Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০৩ রজব, ১৪৪৫ হিজরী।। ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০৩ রজব, ১৪৪৫ হিজরী।। ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ঈসায়ী

    মানসিক রোগে ভুগছে জায়োনিস্ট বাহিনী, চিকিৎসা নিয়ে ২৫% আর যুদ্ধে ফিরেনি



    গাজায় স্থল আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে কমপক্ষে ১৬০০ ইসরায়েলি দখলদার সৈন্য মানসিক রোগে ভুগছে বলে ওয়াল্লা এর বরাতে জানাচ্ছে ইসরায়েলি পত্রপত্রিকা।

    ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণের মুখোমুখি হয়ে বেশ কিছু মানসিক সমস্যায় ভুগছে দখলদার সৈন্যরা। হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, অত্যাধিক ঘামা, উচ্চ রক্তচাপ, শরীরে অনিয়ন্ত্রিত কম্পন অনুভূত হওয়া, দ্বিধায় ভোগা, ঘুম না আসা, মনোযোগ দিতে না পারা এবং ডিপ্রেশনে ভোগাসহ আরও অনেক মানসিক সমস্যায় ভুগছে জায়োনিস্ট বাহিনী। তাদের অনেকে এখন হতাশায় ভুগছে, নিজেদেরকে অসহায় ভাবছে, অযথা রেগে যাচ্ছে এবং মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে গেছে।

    এসব জায়োনিস্ট সৈন্যের মধ্যে ২৫ শতাংশ চিকিৎসা শেষে আর যুদ্ধে ফিরে যায়নি। এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫০ জায়োনিস্ট সৈন্যকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আর যারা যুদ্ধে ফিরে গেছে, তারাও সম্মুখ সারিতে লড়াই করার পরিবর্তে পেছনে পেছনে থাকাকে বেছে নিচ্ছে।

    প্রতিনিয়তই মানসিক বিকারগ্রস্ত এসব দখলদার সৈন্যের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৪৭৫ জায়োনিস্ট সৈন্যকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি পত্রিকা জেরুজালেম পোস্ট।

    দখলদার বাহিনীর মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগ জায়োনিস্ট সৈন্যদের সাধারণ জীবনে ফিরে যাওয়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে বলে জানিয়েছে হারেৎজ নামে আরেক ইসরায়েলি পত্রিকা।

    উল্লেখ্য, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে গাজায় স্থল আগ্রাসন চালানোর পর থেকে দখলদার বাহিনীর উপর কেবল আল-কাসসাম ব্রিগেডের হামলাতেই ৫২০ জায়োনিস্ট সৈন্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২৪৪৭ এরও বেশি জায়োনিস্ট সৈন্য।


    তথ্যসূত্র:

    1. Israel-Hamas War: 1,600 IDF soldiers suffer from combat PTSD
    http://tinyurl.com/ycyutn4v
    2. 1,600 Israeli Soldiers Suffer From PTSD Since Start of War; 90 Discharged From Service
    http://tinyurl.com/2kxhf2t7

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    সংগ্রাম ফিলিস্তিনবাসীর পরিস্থিতি পরিবর্তন করে দেবে



    তিন মাসের অধিক সময় ধরে গাজা উপত্যকায় দখলদার জায়োনিস্ট বাহিনী বর্বর নির্যাতন চালাচ্ছে। শহীদ, আহতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে সেখানে। হাজার হাজার মুসলিম হত্যা ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পরও চলমান নৃশংস অত্যাচার অব্যাহত রাখতে পেরেছে তারা। কেউ কোনো বাধা দেয়নি তাদের। কার্যকর হস্তক্ষেপের অভাব এবং পশ্চিমা দেশ বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ্য মদদের কারণেই জালেমরা আরো বেপরোয়া-উদ্ধত হয়ে উঠেছে।

    প্রশ্ন হলো গাজার বেসামরিক জনগণের কী অপরাধ? কেন তাদেরকে দখলদার বাহিনী অবিরাম মিসাইল ও বুলেটের টার্গেট বানাচ্ছে? এই জাতি দীর্ঘ সময় ধরে অত্যাচার ও অবিচারে জর্জরিত হয়ে আসছে। তথাকথিত যেসব সংস্থা নির্যাতিত জনগণ ও তাদের ভূমিকে সহযোগিতার দাবি করে থাকে, তারা এক্ষেত্রে নীরব ভূমিকায় রয়েছে। আর এখন আমরা ফিলিস্তিনিদের ঘর ও গ্রাম উচ্ছেদ ও ধ্বংসের সাক্ষী হচ্ছি ।

    কোনো আত্মপক্ষ সমর্থন ব্যতীতই জায়োনিস্ট দল একটি নিরপরাধ জাতির বিরুদ্ধে নির্মম যুদ্ধ চলমান রেখেছে। মনে হচ্ছে, জায়োনিস্টরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, গাজাবাসী তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার না করার আগ পর্যন্ত তাদের সংগ্রাম থেকে পিছপা হবে না, একারণে তাদেরকে পুরোপুরি নির্মূল করার সংকল্প গ্রহণ করেছে জায়োনিস্টরা। যদিও তাদের এই আশা কখনো পূরণ হবে না।

    নিঃসন্দেহে গাজা একটি কসাইখানায় পরিণত হয়েছে এবং গাজার যুবকরা ক্রমেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তারপরও এই ভূমিতে শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না । প্রতিজন শাহাদাতের বিপরীতে ডজন ডজন মুজাহিদ তৈরি হবে এবং মাতৃভূমির জন্য নিজ জীবন বিসর্জন দেবে। ফলে পবিত্র ভূমিতে স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার হবে ইনশাআল্লাহ । এটাই মহান আল্লাহর ইচ্ছা, ত্যাগ স্বীকার ব্যতীত স্বাধীনতা অর্জিত হয় না। যারা এর ভিন্ন চিন্তা করে তারা ধোঁকার মধ্যে রয়েছে।

    আধুনিক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত দখলদার ইহুদিরা সব ধরনের নিপীড়ন ও অত্যাচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তবে তারা অবশ্যই বুঝবে যে, এসব কিছুর হিসাব-নিকাশের দিন আসছে। সেদিন যখন অসহায় নিপীড়িতদের হাতে ক্ষমতা স্থানান্তরিত হবে, তখন দখলদার ইহুদিরা লুকোনোর কোনো স্থান খুঁজে পাবে না। কিছুই তাদের বাঁচাতে পারবে না, এমনকি পাথর কিংবা গাছও মুসলিমদের নিকট ইহুদিদের আত্মগোপনের স্থানগুলো প্রকাশ করে দেবে, হত্যা করতে বলবে। সেদিন খুব বেশি দূরে নেই ইনশাআল্লাহ।

    ইমারতে ইসলামিয়ার অফিসিয়াল সাইট থেকে সংগৃহীত ও ঈষৎ পরিমার্জিত


    তথ্যসূত্র:

    1. Time will change for Palestinians as their struggle eventually bears fruit
    http://tinyurl.com/37vu9dtk



    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3


      [2] هُوَ الَّذى أَخرَجَ الَّذينَ كَفَروا مِن أَهلِ الكِتٰبِ مِن دِيٰرِهِم لِأَوَّلِ الحَشرِ ۚ ما ظَنَنتُم أَن يَخرُجوا ۖ وَظَنّوا أَنَّهُم مانِعَتُهُم حُصونُهُم مِنَ اللَّهِ فَأَتىٰهُمُ اللَّهُ مِن حَيثُ لَم يَحتَسِبوا ۖ وَقَذَفَ فى قُلوبِهِمُ الرُّعبَ ۚ يُخرِبونَ بُيوتَهُم بِأَيديهِم وَأَيدِى المُؤمِنينَ فَاعتَبِروا يٰأُولِى الأَبصٰرِ

      [2] তিনিই কিতাবধারীদের মধ্যে যারা কাফের, তাদেরকে প্রথমবার একত্রিত করে তাদের বাড়ী-ঘর থেকে বহিস্কার করেছেন। তোমরা ধারণাও করতে পারনি যে, তারা বের হবে এবং তারা মনে করেছিল যে, তাদের দূর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহর কবল থেকে রক্ষা করবে। অতঃপর আল্লাহর শাস্তি তাদের উপর এমনদিক থেকে আসল, যার কল্পনাও তারা করেনি। আল্লাহ তাদের অন্তরে ত্রাস সঞ্চার করে দিলেন। তারা তাদের বাড়ী-ঘর নিজেদের হাতে এবং মুসলমানদের হাতে ধ্বংস করছিল। অতএব, হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিগণ, তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।
      পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

      Comment


      • #4
        কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনঃ একই দুর্ভোগের পুনরাবৃত্তি
        - শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ

        Comment


        • #5
          আরব জায়োনিস্টদের মানে সৌদি, ইরান, জর্ডান, সিরিয়া, কাতার, কুয়েত এসব দেশ বাঁধার প্রাচীর হয়ে না দাঁড়ালে ইমারতে ইসলামিয়াহ থেকে কয়েক লক্ষ মুজাহিদ গিয়ে ইসরাইলকে বানের পানির মত ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারতো। বর্ডারগুলো উন্মুক্ত করে দিলেই যথেষ্ট হতো।

          Comment

          Working...
          X