Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ১৮ রজব, ১৪৪৫ হিজরী।। ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ১৮ রজব, ১৪৪৫ হিজরী।। ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ ঈসায়ী

    ভারতের বিহারে হিন্দুত্ববাদীদের আতশবাজি থেকে কবরস্থানে আগুন



    ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অন্যায়ভাবে ভেঙ্গে ফেলা ষোল শতকের ঐতিহ্যবাহী বাবরী মসজিদের জায়গায় গত ২২ জানুয়ারী কথিত ‘রাম মন্দিরের’ অভিষেক অনুষ্ঠান পালিত হবার পর থেকে গোটা ভারতজুড়ে মুসলিমদের উপর উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের নির্যাতন এক নতুন মাত্রা লাভ করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলার খিরমা গ্রামের একটি কবরস্থানে আগুন দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।

    ‘রাম মন্দিরের’ অভিষেক অনুষ্ঠান উদযাপন উপলক্ষে হিন্দুত্ববাদীদের একটি শোভাযাত্রা চলাকালীন মুসলিমদের কবরস্থানে আতশবাজি নিক্ষেপ করা হয়। ফলে মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে সারা কবরস্থানে।

    কবরস্থানে আগুন লাগার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।

    শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উক্ত ঘটনাটির ব্যাপারে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হলেও এখনও কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।


    তথ্যসূত্রঃ
    1. Bihar: Muslim graveyard set ablaze during Ram temple celebrations – http://tinyurl.com/3mjpfvaa
    2. Miscreants set #Muslim graveyard on fire while participating in a procession for #RamMandir –
    http://tinyurl.com/2r7w9tpr

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ভুলে ভরা-বিতর্কিত পাঠ্যবই: কার ভুলে এত সমস্যা?



    বাংলাদেশের শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আনা হয়েছে, পরিবর্তন করা হয়েছে বইও। নতুন পাঠ্যবইয়ে ইসলামবিরোধী এবং মানববিধ্বংসী বিভিন্ন মতবাদ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিক্ষুব্ধ দেশের জনগণ। নতুন পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা, নারীবাদ, ফ্রি-মিক্সিংসহ নানা বিধ্বংসী মতবাদের প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ মুসলিমদের দেশে পাঠ্যপুস্তকে এমন ভয়ানক বিষয়গুলো এলো কীভাবে?

    বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজে পাঠ্যপুস্তকে ভুল নিয়ে সম্প্রতি দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। “কার ভুলে পাঠ্যবই বিতর্ক?” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, “পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবই রচিত হয়। কিন্তু তড়িঘড়ি করে না দেখেই পাঠ্যবই ছাপিয়ে দেওয়ায় নানা বিতর্ক হচ্ছে। সূত্রমতে, সপ্তম শ্রেণির যে বইয়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে সেই বইয়ের শিক্ষক গাইডেও বিতর্কিত শব্দগুলো ছিল। শিক্ষক গাইডের তত্ত্বাবধানে ছিলেন পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের গবেষণা কর্মকর্তা এনামুল হক। তিনি না দেখেই মশিউজ্জামানের নির্দেশে বইটি ছাপতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। গতকাল ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে এনামুল হক বলেন, মশিউজ্জামান স্যারের দোষ আমি দিতে পারব না। এতে স্যার বিপদে পড়ে যাবেন। তবে কার ভুলে এমনটি ঘটল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাফ করে দেন।”

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ভোরের কাগজের প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন শিক্ষাক্রমের কাজ করার জন্য অভিজ্ঞদের নেননি অধ্যাপক মশিউজ্জামান। বরং যার সঙ্গে তার বনিবনা হতো না তাকেই অন্যত্র সরিয়ে দিতেন। সবশেষে বনিবনা না হওয়ায় পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রধান সম্পাদক সন্তোষ ঢালীকে সরিয়ে দেন তিনি। ওই কর্মকর্তার মতে, মশিউজ্জামানের একগুঁয়েমি, খামখেয়ালিপনার কারণে পাঠ্যবইয়ে ভুল ও বিতর্কিত তথ্যে ভরা।

    কিন্তু মশিউজ্জামান কার নির্দেশে এমন করছেন? মশিউজ্জামানের পেছনে কারা কলকাঠি নাড়ছে বাংলাদেশের মুসলিমদের মধ্যে ঈমানবিধ্বংসী মতবাদ ছড়াতে?
    ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত ”গোঁজামিলে তৈরি হচ্ছে নতুন কারিকুলাম” শিরোনামের প্রতিবেদনে অভিজ্ঞদের বাদ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়, জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বিশেষজ্ঞদের বাদ দিয়ে দেশি-বিদেশি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) নির্দেশিকাতেই নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করা হয়েছে।

    শিক্ষাক্রম পরিমার্জন ও নবায়ন কার্যক্রম ও জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন কোর কমিটির (সিডিআরসি) সঙ্গে সমন্বয় রক্ষায় গঠন করা ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ’-এর আহ্বায়ক এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান। অভিযোগ রয়েছে, ১৫ সদস্যের ওই গ্রুপের ছয়জন সদস্যকে বাইপাস করে ইউনিসেফ, প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রতিনিধিসহ অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে কারিকুলাম তৈরির কাজ হচ্ছে। এনজিও প্রতিনিধিরা যে পরামর্শ দিয়েছেন সেটাই করছেন অধ্যাপক মশিউজ্জামান।”

    মশিউজ্জামান যে এনজিওগুলোর পরামর্শে পাঠ্যপুস্তক তৈরি করেছেন, তার মধ্যে ইউনিসেফ জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বিশ্বব্যাপী সমকামিতা, ট্রান্সজেন্ডারসহ বিকৃত সব মতবাদের প্রচারে প্রকাশ্যে কার্যক্রম চালাচ্ছে। শিশুদেরকে এলজিবিটিকিউ+ মতবাদের অনুসারী হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করছে এই প্রতিষ্ঠান। আর প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ মেয়েদের নিয়ে কাজ করছে। নারী নেতৃত্ব, বাল্যবিয়ে রোধ, লাগামহীনভাবে যৌনশিক্ষা, লিঙ্গ সমতা ইত্যাদি কার্যক্রমের আড়ালে তারা ঈমানবিধ্বংসী নারীবাদের প্রচার করছে বাংলাদেশে। ছড়াচ্ছে অশ্লীলতা। নতুন পাঠ্যপুস্তকেও যার ছাপ পাওয়া যায় পাতায় পাতায়।

    এছাড়া, নতুন শিক্ষাক্রমে নানা অসঙ্গতি থাকা সত্ত্বেও তাড়াহুড়া করে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ না নিয়েই প্রকাশ করা হয়েছে নতুন বই। এখন ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির বই ‘সক্রিয় শিখন পদ্ধতি’ না ‘অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন পদ্ধতি’তে লেখা হবে সেই নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ রকম জটিলতায় পড়ে দশম শ্রেণির নতুন বই কীভাবে লেখা হবে, তারও কোনো সমাধান হচ্ছে না।

    ভোরের কাগজ জানিয়েছে, পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের যেসব কর্মকর্তা এ কাজের বিরোধিতা করেছিলেন তাদের সবাইকে বদলি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে গত দুই বছরে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে বদলি হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা। এর মধ্যে শুধু গত ৬ মাসেই পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে বদলি করা হয়েছে কমপক্ষে ৩৫ জনকে।



    তথ্যসূত্র:
    ১. সমন্বয়হীনতার খেসারত : দুই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ভিন্ন অবস্থানে আটকে আছে তিন শ্রেণির পাঠ্যবই লেখার কাজ > নতুন শিক্ষাক্রম
    http://tinyurl.com/r73bxh23
    ২. কার ভুলে পাঠ্যবই বিতর্ক?
    http://tinyurl.com/yc6rdsyd
    ৩. গোঁজামিলে তৈরি হচ্ছে নতুন কারিকুলাম
    http://tinyurl.com/3r3d6vad
    ৪. Plan International Bangladesh
    http://tinyurl.com/ycx3ccbk
    ৫. Parenting for LGBTQ+ children’s mental health, Unicef
    http://tinyurl.com/5aafmb7t

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3

      এবার মদের দোকান খুলতে চলেছে সৌদি আরব



      ৭০ বছরের বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো মদের দোকান খোলা হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের প্রাণকেন্দ্র সৌদি আরবে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক ইসলাম বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে আসছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এরই অংশ হিসেবে এবারে মদের দোকান চালু করতে যাচ্ছে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম পরাক্রমশালী এ দেশটিতে ।

      নতুন এই মদের দোকানটি রিয়াদের কূটনৈতিক কোয়ার্টারে অবস্থিত। মূলত এই অঞ্চলটিতেই দূতাবাস এবং কূটনীতিকরা বসবাস করেন। বুধবার রয়টার্সের হাতে পাওয়া একটি নথি এবং মদের দোকান স্থাপনের পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

      সূত্রের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, আগামী সপ্তাহগুলোতে দোকান খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। রয়টার্সের হাতে পাওয়া নথি অনুযায়ী, মুসলিমদের জন্য মদ ক্রয় ‘সীমাবদ্ধ’ থাকবে। মদ পেতে হলে প্রথমে গ্রাহকদের একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি ক্লিয়ারেন্স কোড পেলে প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ মদ কিনতে পারবেন রেজিস্ট্রেশনকারীরা। তবে অন্য অমুসলিম প্রবাসীরা এই দোকানে প্রবেশাধিকার পাবে কি না তা নথিতে স্পষ্ট উল্লেখ নেই। পর্যটন ও অন্যান্য ব্যবসা খাতকে সমৃদ্ধ করতে মদের দোকান খোলার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।

      তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে পর্যটননির্ভর সৌদি আরব গড়ে তুলতে ভিশন ২০৩০ প্রকল্প হাতে নিয়েছে রিয়াদ, যার অন্যতম কারিগর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এই প্রকল্পের আওতায় সৌদি আরবকে বিদেশিদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে গত কয়েক বছরে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।

      প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মোহাম্মদ বিন সালমান ইসলামি বিধিনিষেধগুলি অনেকটাই শিথিল করেছে,অপর দিকে ক্ষমতায় থাকার জন্য বেশ কিছু ইসলাম বিরোধী পদক্ষেপ নিয়েছেন,যেমন দেশকে অধর্মীয় পর্যটনের জন্য উন্মুক্ত করা, কনসার্ট করা,পাবলিক প্লেসে নারী-পুরুষ অবাধ চলাফেরা এবং নারীদের পোষাকের স্বাধীনতা , সে সঙ্গে হক্বানী আলেম ও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন।

      তথ্যসূত্র:
      1. Saudi Arabia prepares to open first alcohol store for diplomats:

      2. Saudi Arabia set to open first alcohol store, serving only diplomats:
      http://tinyurl.com/ykrkzn5t

      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আল্লাহ্‌ তাআলা জালিমদের ধ্বংস করে পুরো বিশ্বে খিলাফাহ আলা মিনহাযিন নবুয়্যাহ দান করুন, আমীন

        Comment

        Working...
        X