Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০৩ শাবান, ১৪৪৫ হিজরী।। ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০৩ শাবান, ১৪৪৫ হিজরী।। ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ঈসায়ী

    আলেমদের সঙ্গে সমন্বয় করে পাঠ্যবই পর্যালোচনার দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম



    একশ্রেণির ধর্মবিরোধী গোষ্ঠী দেশের মুসলিমদের মন থেকে ইসলামি ধ্যানধারণা মুছে দেওয়ার নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে বলে অভিযোগ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রমের অধীন সংকলিত পাঠ্যপুস্তককে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকে ইসলামবিরোধী বিষয়বস্তু সুপরিকল্পিতভাবে অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছে।

    এসব কারণে জাতীয় শিক্ষাক্রমের আওতায় প্রণীত প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনার দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আপত্তিকর বিষয়গুলো চিহ্নিত, সংশোধন ও আলেমদের সঙ্গে সমন্বয় করে পাঠ্যপুস্তক আবার বিতরণ করতে হবে।

    মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত ফেনী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব দাবি তুলে ধরা হয়।

    ‘জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব বিষয় বাতিল, ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা আইন-২০২৩ (খসড়া) পাস না করা, কাদিয়ানিদের সালানা জলসা বন্ধ, আলেম-ওলামাদের মুক্তি, হেফাজতের নামে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হেফাজতের ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন’—এসব বিষয়কে সামনে রেখেই সংবাদ সম্মেলন করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান হেফাজতে ইসলামের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব। তাতে বলা হয়, রাষ্ট্রের নাগরিকদের ওপর দেশের জাতীয় শিক্ষাক্রমের প্রভাব থাকে। নাগরিকদের চিন্তাচেতনা, ধ্যানধারণা ও নীতি-নৈতিকতা গঠনে জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার প্রভাবের বিষয়টি অনস্বীকার্য। আলেম সমাজের দাবি থাকে, জাতীয় শিক্ষাক্রম কোনোভাবেই ইসলামি চিন্তাচেতনার বিপরীত যেন না হয়।

    ট্রান্সজেন্ডার আইনের প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা আইন ২০২৩ (খসড়া)’ আইনটিকে হিজড়া সম্প্রদায়ের অধিকার সুরক্ষা আইন মনে করা হচ্ছে। বাস্তবে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। আইনটিকে ইসলামি শরিয়তের পরিপন্থী উল্লেখ করে এটি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি দাবি জানায় হেফাজতে ইসলাম।

    সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের নামে করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে অনেক আলেমকে ‘বিনা অপরাধে’ কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। তাঁরা যতটুকু আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার রাখেন, সে ক্ষেত্রেও বৈষম্য করা হচ্ছে। কারাগারে বন্দী হেফাজত নেতাদের বিনা শর্তে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

    পঞ্চগড়ের আহমদনগর এলাকায় কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের লোকজন ২৩ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী সালানা জলসার আয়োজন করতে যাচ্ছে। অবিলম্বে এ জলসা বন্ধের দাবি জানায় হেফাজতে ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এই জলসাকে ঘিরে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায়ভার প্রশাসন ও কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের লোকজনকে নিতে হবে।

    সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের আমির মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী, মহাসচিব সাজেদুর রহমান, সহসভাপতি মহিউদ্দিন রাব্বানী, আহমদ আলী, যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল ইসলাম, হারুন ইজাহার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    তথ্যসূত্র:
    ১. আলেমদের সঙ্গে সমন্বয় করে পাঠ্যবই পর্যালোচনার দাবি হেফাজতের – http://tinyurl.com/2wvt22zh

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    টাকা নিয়ে মাদকবিক্রেতাকে ছেড়ে দিলো পুলিশ



    মাদকসহ দুজনকে আটকের পর অর্থের বিনিময়ে একজনকে ছেড়ে দিয়েছে বরিশালের আগৈলঝাড়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবু সালেহ।

    জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামের রাহাত খান ও শিবু রায়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক বেচাকেনার অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ শিহিপাশা এলাকা থেকে ১০টি ইয়াবা বড়িসহ তাদের দুজনকে আটক করে এএসআই আবু সালেহ। পরে অর্থের বিনিময়ে ঘটনাস্থল থেকে শিবু রায়কে ছেড়ে দেয়। আর রাহাত খানের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় সে।

    ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করে এলাকাবাসী।


    তথ্যসূত্র:
    ১. টাকার বিনিময়ে ‘মাদক বিক্রেতাকে’ ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ, পুলিশ প্রত্যাহার – http://tinyurl.com/yc4tcne7

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      কুড়িগ্রামে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ



      এবারে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার দাসিয়ারছড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ফুলবাড়ী থানার এসআই স্বপন কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

      স্থানীয় প্রভাবশালীরা ঘটনা ধামাচাপা দিতে কিশোরীর পরিবারকে থানায় যেতে বাধা দেওয়ায় ৩ দিন পর সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগীর অভিভাবক। তবে অভিযুক্ত কাউকেই সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

      মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই কিশোরী তার নানা বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই কিশোরী বাইসাইকেলযোগে ঔষধ কেনার জন্য পার্শ্ববর্তী টনকার মোড় বাজারে যায়। বাড়ি ফেরার পথে দাসিয়ারছড়া রাসমেলা গ্রামের সোহাগ (১৯), একই গ্রামের ময়নুল ইসলাম (২২) ও মিজানুর রহমান (২৩) জোরপূর্বক কিশোরীকে তুলে নিয়ে রাসমেলা নদীর পাড়ে যায়। সেখানে ময়নুল ও মিজানুরের পাহারায় সোহাগ কিশোরীকে ধর্ষণ করে।

      পথচারীরা সড়কের পাশে বাইসাইকেল পড়ে থাকতে দেখে চালককে খুঁজতে গিয়ে নদীর পাড়ে অভিযুক্তদের দেখতে পায়। লোকজন দেখে অভিযুক্ত ৩ যুবক কিশোরীকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা কিশোরীকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। এ সময় ভুক্তভোগীর পরিবার কিশোরীর প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে ঘটনার ৩ দিনেও থানায় যেতে পারেনি কিশোরী ও তার পরিবার।

      ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, এ ঘটনায় তারা ওই দিনই থানায় যেতে চাইলে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বিষয়টি মীমাংসার জন্য চাপ দিতে থাকে। খবর পেয়ে তার বাবা ঢাকা থেকে ফিরে সোমবার থানায় মামলা করেন।


      তথ্যসূত্র:

      ১. বাড়ি ফেরার পথে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ – http://tinyurl.com/ar9wbsaz

      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        নিজ দলের কর্মীর পায়ের রগ কাটলো ছাত্রলীগ নেতা


        চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় একটি সালিসি বৈঠকে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে নিজ সংগঠনের এক কর্মীর পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ সময় ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখমও করা হয়।

        ভুক্তভোগী ছাত্রলীগের কর্মী মামুনুর রশিদ (২২) উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের চান্দা এলাকার বাসিন্দা এবং চট্টগ্রাম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এ ঘটনায় মামুনুরের পিতা আবুল হাশেম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও ১২ জনকে আসামি করে গত রোববার লোহাগাড়া থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি তানভীর আহমদ (২৬) উপজেলার আলফাজ মোস্তাফিজুর রহমান ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং এজাহারনামীয় অন্য চারজন তার অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মী।

        মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার একটি সালিসি বৈঠকে মামুনুরের সঙ্গে তানভীরের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। ওই দিন দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মামুনুর লোহাগাড়া থানার কাছে একটি টার্ফে ফুটবল খেলে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় তানভীর তার অনুসারীদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্রের সাহায্যে মামুনুরের ওপর হামলা চালায়। হামলায় মামুনুরের মাথায় জখম হয় এবং ডান পায়ের গোড়ালির রগ কেটে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন মামুনুরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

        এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা তানভীরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে প্রথম আলো।


        তথ্যসূত্র:
        ১. কর্মীর পায়ের রগ কেটে দিলেন ছাত্রলীগ নেতা – http://tinyurl.com/y8vbvhws

        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          খুলনায় চোখ-মুখে সুপারগ্লু লাগিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণ


          খুলনার পাইকগাছায় গভীর রাতে ঘরে ঢুকে চোখ-মুখে সুপারগ্লু (একপ্রকার আঠা) দিয়ে এক গৃহবধূকে (৪৫) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে পাইকগাছার রাড়ুলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

          সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

          ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে কে বা কারা মই দিয়ে ছাদে উঠে সিঁড়ির দরজা শাবল দিয়ে ভেঙে গৃহবধূর শোবার ঘরে ঢুকে। ওই গৃহবধূর স্বামী ব্যবসার কাজে বাইরে থাকায় তিনি একাই বাড়িতে ছিলেন। দুর্বৃত্তরা ওই গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে চোখে সুপারগ্লু ও মুখে টেপ লাগিয়ে রেখে গণধর্ষণ এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন। এ সময় তারা ওই গৃহবধূর কানের স্বর্ণের দুল নিয়ে যায়। পরে গৃহবধূর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তার স্বামীকে খবর দেন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
          খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. কনক হোসেন বলেন, সকালে ভুক্তভোগী নারী যখন আসেন তার দুই চোখের পাতা আঠা দিয়ে লাগানো ছিল। গাইনি ও চক্ষু বিভাগে তার চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে রোগীর জ্ঞান ফিরেছে। তবে এখন পর্যন্ত তিনি সুস্থ নন।

          পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলে, গৃহবধূকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। ধর্ষণ করা হয়েছে বা সুপারগ্লু দিয়েছে কিনা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।


          তথ্যসূত্র:
          ১. পাইকগাছায় অভিনব কায়দায় গৃহবধূকে গণধর্ষণ – http://tinyurl.com/4cb3rv6p

          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            সীতাকুণ্ডে রেলওয়ের আরও প্রায় তিনশ কোটি টাকার ভূমি বেদখল


            রেলের সম্পত্তি বেদখল হয়ে যাওয়া একরকম ‘স্থায়ী সংস্কৃতি’তে পরিণত হয়েছে। রেলের জমি উদ্ধারে কঠোর আইন থাকলেও এর কার্যকর প্রয়োগে তেমন কোনো তৎপরতা নেই। বর্তমানে রেলের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার একর জমি দখলদারদের কবলে রয়েছে। উদ্ধার হলেও তা আবার বেদখল হয়ে যায়-এমন মন্তব্য খোদ রেল কর্মকর্তাদের। সম্প্রতি পূর্বাঞ্চল রেলের সীতাকুণ্ডে প্রায় ৩শ কোটি টাকার ৫০ একর ভূমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এলাকার চিহ্নিত একাধিক ভূমিদস্যুর নেতৃত্বে এই সম্পত্তি দখলে নেওয়া হয়।

            সেখানে বসবাসরত প্রায় ৫০০ পরিবারকে (অধিকাংশ রেলের কর্মচারী) উচ্ছেদ করে অবৈধ দখলদাররা। এরপর প্রকাশ্যে স্থানীয়দের ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই জমির চারপাশে টিন দিয়ে বেড়া দেয় তারা। প্রতিকার চেয়ে দুই ভূমিদস্যু ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এরপর জমি দখল মুক্ত করতে মাঠে নেমেছে। কিন্তু এ অভিযান কতটুকু সফল হবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

            এর আগে ২০১৫ সালের ৫ ডিসেম্বরে রেলওয়ের জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রথম আলোর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ রেলওয়ের ৪ হাজার ৩৯১ একর জমি বেদখলে।

            তখন রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছে, ‘রেলের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ জন্য রেলের বেদখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধার করা হবে। যারা এসব জমি দখল করে রেখেছে, সেই তালিকা হচ্ছে। যে করেই হোক এসব জমি উদ্ধার করা হবে।’

            সেই বক্তব্যের প্রায় ৯ বছর অতিবাহিত হলেও রেলের জমি দখলমুক্ত রাখতে পারেনি সরকার। এখনও আগের রেলপথমন্ত্রীর সুরেই বক্তব্য দিয়েছে বর্তমান রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।

            মো. জিল্লুল হাকিম যুগান্তরকে বলেছে, সীতাকুণ্ডে রেলের জমি দখল মুক্ত করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তারা মাঠে আছেন। দখল মুক্ত করা হচ্ছে ওই জমি। নিশ্চয়ই দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। রেলের কোনো জমি বেদখলে থাকবে না। নিজ থেকে উচ্ছেদ না হলে কিংবা জমি লিজ নেওয়ার যথাযথ ডকুমেন্ট না দেখাতে পারলে-কাউকে রক্ষা করা হবে না। রেলের জমি উদ্ধার করে পরিকল্পনা অনুযায়ী বরাদ্দ এবং স্থাপনা তৈরি করা হবে। অব্যবহৃত জমি কাজে লাগিয়ে আয় বাড়ানো হবে। কারও দখলে রেলের জমি থাকবে না। জমি উদ্ধারে যা যা করণীয় তা করা হবে।

            তবে রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা বলছেন, দখলকারীদের বেশির ভাগের সঙ্গেই রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক আছে। এ কারণেই অধিকাংশ সময় দখলমুক্ত করা যায় না।

            তবে রেলওয়ের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশেও জমি দখলের অভিযোগ আছে। বিশেষ করে রেলের শ্রমিকনেতাদের কারণে অনেক জায়গাই দখলমুক্ত করা যায় না।

            রেলওয়ে অবকাঠামো দপ্তর সূত্রে জানা যায়, রেলওয়ে আইন অনুযায়ী রেললাইনে দুপাশের (১০ ফুট করে ২০ ফুট) জায়গায় কোনো স্থাপনা করা যাবে না। বেআইনিভাবে রেলের অব্যবহৃত ভূমিতে কোনো স্থাপনা করা যাবে না। এমন আইনি বাধা থাকলেও পুরো রেলে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার একর জমি ভূমিদস্যুদের দখলে রয়েছে। বিভিন্ন সময় উচ্ছেদ করা হলেও সেই সব জায়গা পুনরায় বেদখলে চলে যায়।


            তথ্যসূত্র:
            ১. সীতাকুণ্ডে তিনশ কোটি টাকার ভূমি বেদখল – http://tinyurl.com/2y5etdzu
            ২. রেলের ৪৩৯১ একর জমি বেদখলে – http://tinyurl.com/ms73y7cd

            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              “২০২৪ সালের নির্বাচনের আগেই সিএএ কার্যকর হবে”- হিন্দুত্ববাদী নেতা অমিত শাহ




              ভারতের চরম মুসলিমবিদ্বেষী হিন্দুত্ববাদী নেতা অমিত শাহ দিল্লির ‘ইটি নাও-গ্লোবাল বিজনেস সামিটে’ বক্তব্য রাখার সময় উল্লেখ করেছে যে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) জারি করা হবে।

              নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কী?

              নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ভারতের ক্ষমতাসীন চরম মুসলিম বিদ্বেষী হিন্দুত্ববাদী সরকার চালু করেছে। এই আইনের লক্ষ্য ছিলো ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশ করা মুসলিম বাদে অন্যান্য সকল ধর্মের অর্থাৎ হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান- সকল নিপীড়িত অমুসলিম অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান।

              উল্লেখ্য, হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার প্রথমে এনআরসি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল, এটা ছিল ভারতীয় নাগরিকদের তলিকা প্রণয়ন। তাদের নির্ধারিত দলিল থাকলেই কেবল ভারতের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া যাবে- এমন ব্যবস্থা করেছিল তারা। তবে ভারতের মুসলিমদের একটা বড় অংশই স্বল্প শিক্ষিত বা অশিক্ষিত হওয়ায় তাদের পক্ষে এসকল দলিল জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব ছিল। কিন্তু আসামে এটি কার্যকর করলে দেখা যায় যে ১৯ লাখ মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যাবে, যার মধ্যে ১১ লাখই ছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এই সমস্যা দূর করতেই মূলত পরবর্তীতে এই সিএএ বিল প্রণয়ন করে বিজেপি সরকার, যাতে করে বাতিল হয়ে জাওয়া হিন্দুদের নাগরিকত্ব নিরাপদ রেখে মুসলিমদের নাগরিকত্ব বাতিল করা সহজ হয়।


              তথ্যসূত্রঃ

              1. Amit Shah says CAA will be implemented before 2024 Lok Sabha elections
              http://tinyurl.com/4wa5wbb4

              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ইয়া আল্লাহ্‌, উম্মাহ নিউজ বিভাগেও এসকল দুঃখজনক সংবাদের বদলে হৃদয় প্রশান্তিকর সংবাদ নিয়মিত পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিন

                Comment

                Working...
                X