Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০৭ শাবান, ১৪৪৫ হিজরী।। ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০৭ শাবান, ১৪৪৫ হিজরী।। ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ঈসায়ী

    মধ্যরাতে ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ৬৭ নিহত জন


    সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ হামলায় ৬৭ জন নিহত হয়েছে, উদ্ধার অভিযান চলমান থাকায় এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

    রাফাহ শহরের ফিলিস্তিনিরা বলেছেন ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্ক ও জাহাজ এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তিনটি মসজিদ এবং বেশ কয়েকটি বাড়িকে লক্ষ করে আঘাত হেনেছে, যার ফলে ঘুমন্ত মানুষদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

    এ হামলায় ১৪টি আবাসিক ভবন ও ৩টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত একটি ছবিতে ধ্বংসস্তূপের একটি বিস্তীর্ণ এলাকা দেখানো হয়েছে।

    এই হামলায় ৬৭ জন নিহত হয়েছেন যার মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু । সবচেয়ে ছোট শিশুটির বয়স মাত্র তিন মাস।

    এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় চলমান অভিযান রাফা পর্যন্ত বিস্তৃত করার ঘোষণা দিয়েছে। গাজার অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ প্রায় ১৪ লাখ মানুষ রাফায় আশ্রয় নিয়েছে। জনাকীর্ণ রাফায় তাদের ঠাঁই হয়েছে তাঁবুর ভেতর বা বাইরে। সেখানে দিন দিন খাবার, পানি ও চিকিৎসা উপকরণের সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে।

    গাজার দক্ষিণের অঞ্চল রাফাকে আগে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ বলে আখ্যা দিয়েছিল ইসরায়েল। এবার সেখানেই স্থল অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছে সন্ত্রাসী নেতানিয়াহু। এই ঘোষণার ঘণ্টাখানেক পরেই রাফায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এবার মাত্র ১৫১ বর্গকিলোমিটার এলাকার এই অঞ্চলে হামলার পরিকল্পনা করেছে ইসরায়েল।

    সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮ হাজারেরও বেশি। এছাড়া এই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ৬৭ হাজার ৪৫৯ জন ফিলিস্তিনি।


    তথ্যসূত্রঃ
    1. israel-strikes-rafah-refugee-camp-22-killed
    http://tinyurl.com/4zsr6d3b

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    আল-নাসের হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে পাঁচ রোগীর মৃত্যু


    ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের আল-নাসের হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ১৬ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার পাঁচজন রোগী মারা গেছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি দখলদার সেনারা আল-নাসের হাসপাতাল ঘেরাও করে রাখার পর সেখানে অভিযান চালায়। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে অভিযান চালানোর কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলি বাহিনীর ছোড়া গুলিতে ডাক্তর ও চিকিৎসা কর্মী সহ কয়েক জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছে আরো বেশ কয়েক জন।

    গাজাস্থ ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, “আমরা ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীকে রোগী এবং কর্মীদের জীবনের জন্য দায়ী করি, এই বিবেচনায় যে কমপ্লেক্সটি এখন সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।” হাসপাতালের জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেছে এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, নার্সারিতে নিবিড় পরিচর্যায় থাকা ছয় রোগী এবং তিন শিশুর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।

    টেলিগ্রামে একটি বিবৃতিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, দুইজন মহিলা “অমানবিক” পরিস্থিতিতে সন্তান জন্ম দিয়েছেন এবং ইসরায়েলি সৈন্যরা মহিলা ও শিশুদের কোনও জিনিসপত্র ছাড়াই প্রসূতি ইউনিট ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে।

    একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, “ইসরায়েলি স্নাইপাররা হাসপাতালের অভ্যন্তরে স্থানান্তরিত যেকোন মানুষের উপর গুলি চালাচ্ছে। আশেপাশে থাকা ইসরায়েলি সামরিক যানগুলো থেকেও গুলি চালানো হচ্ছে।”

    এদিকে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) বলেছে যে, তাদের কর্মীরাও ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর অনুপ্রবেশ ও গোলাগুলির ফলে রোগীদের পিছনে ফেলে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
    তারা আরও জানায় যে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী হাসপাতালের বাইরে চেকপোস্ট বসিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তিকে তল্লাশি করছে। আর সেখান থেকে তাদের এক সহকর্মীকে ইসরায়েলি বাহিনী আটক করে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

    তথ্যসূত্র:
    1. At least five people dead after israeli army raid on nasser hospital
    http://tinyurl.com/mw2tm6j3

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর একজন ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ তিন সেনা নিহত হয়েছে


      গত মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি,২০২৪) দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় আল কাসসামের সাথে যুদ্ধে একজন কমান্ডার এবং দুই সৈন্য নিহত হয়েছে। নিহত সেনারা হল— গাজা ডিভিশনের সাউদার্ন ব্রিগেডের ৬৩০তম ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেনেন্ট কর্নেল নেতানিয়েল ইয়াকুব এলকোবি (৩৬), মেজর (রিজার্ভ) ইয়ারির কোহেন (৩০) এবং সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস (রিজার্ভ) জিভ চেন (২৭)। এ ঘটনায় আরও দুজন সেনা সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে।

      টাইমস অফ ইসরাইলের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, খান ইউনিসের পূর্ব দিকে একটি ভবনে ইসরাইলি সেনারা অবস্থান করছিল, সেখানে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধারা বিস্ফোরণ ঘটান। এতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে সেখানে তীব্র লড়াই চলছে।

      বিবৃতিতে আইডিএফ স্বীকার করেছে যে, তাদের সাউদার্ন ব্রিগেডের ৬৩০ তম ব্যাটালিয়নের আরও দুজন সেনা সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে।

      এদিন ইসরায়েলি সীমান্তবর্তী গ্রামে রকেট হামলার সাইরেন বেজে উঠতেও সোনা গেছে, তবে সেখানে কোন হতাহতের খবর জানায় নি ইসরায়েলি কতৃপক্ষ। উল্টো তারা এদিন অন্তত ৪০ জন হামাস সদস্যকে হত্যার দাবি করেছে।

      তবে অতীতেও দেখা গেছে যে, গাজার সাধারণ বেসামরিক মানুষদের হত্যা করে তারা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছে।


      তথ্যসূত্র:
      http://tinyurl.com/3xwfv462

      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        খান ইউনুসে প্রতিরোধের মুখে অন্তত ৭৯ জায়োনিস্ট সৈন্য হতাহত



        দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনুস শহরে ইসরায়েলি দখলদারত্বের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা। অঞ্চলটিতে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কেবলমাত্র ২টি প্রতিরোধ বাহিনীর অভিযানেই অন্তত ৭৯ জায়োনিস্ট সৈন্য হতাহত এবং ২৪টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস হয়েছে। উক্ত প্রতিরোধ বাহিনী দুটি হলো আল-কাসসাম ব্রিগেড এবং আল-কুদস ব্রিগেড।

        এরমধ্যে গত ২ ফেব্রুয়ারি অঞ্চলটির আল-জাওজাত এলাকায় আল-কাসসামের অ্যাম্বুশে ১৫ জায়োনিস্ট সৈন্য নিহত হয় এবং আরও কতক সৈন্য আহত হয়। এই অভিযানে আল-কাসসামের ৩টি “আল-ইয়াসিন-১০৫” রকেট ও মর্টারের আঘাতে জায়োনিস্ট বাহিনীর ৩টি ট্যাংক এবং ১টি সামরিক যান ধ্বংস হয়ে যায়।

        অপরদিকে গত ৯ ফেব্রুয়ারি, খান ইউনুসের পূর্বে জায়োনিস্ট বাহিনীর একটি দলকে টার্গেট করে অ্যান্টি-পার্সোনাল মাইন বিস্ফোরণ ঘটান আল-কাসসাম যোদ্ধারা। এতে অন্তত ৭ জায়োনিস্ট সৈন্য নিহত হয়।

        আর গত ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টায় অঞ্চলটির “আবসান আল-কাবিরা” এলাকায় জায়োনিস্ট বাহিনীর একটি দলের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন আল-কাসসাম মুজাহিদিন। এসময় তাঁরা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে ১১ জায়োনিস্ট সৈন্যকে হত্যা করতে সক্ষম হন।

        আল-কাসসাম যোদ্ধারা উক্ত ৩টি অভিযানের পাশাপাশি “মুজাহিদ ব্রিগেড”-এর সাথে একটি যৌথ সামরিক অপারেশন পরিচালনা করেছেন। সেখানে আরও ৭ জায়োনিস্ট সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

        আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, তাদের যোদ্ধাদের পরিচালিত এধরণের আরও কয়েকটি অ্যাম্বুশে আরও প্রায় ২২ জনের বেশি জায়োনিস্ট সৈন্য হতাহত হয়েছে।

        আল-কাসসাম যোদ্ধারা উক্ত অ্যাম্বুশগুলো ছাড়াও জায়োনিস্ট বাহিনীর আরও ৭টি ব্যাটালিয়নকে তাদের সামরিক অবস্থান, ভবন ও টানেল প্রবেশকালে সফল লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছেন। এতে আরও কয়েক ডজন জায়োনিস্ট সৈন্য হতাহত হয়েছে এবং ১৭টিরও বেশি ট্যাংক ও সামরিক যান ধ্বংস হয়েছে।

        অপরদিকে আল-কুদস ব্রিগেড জানিয়েছে, উক্ত সময়সীমার মধ্যে তাদের প্রতিরোধ যোদ্ধারা খান ইউনুসে জায়োনিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে ৫টি অভিযান পরিচালনা করছেন। এরমধ্যে গত ৭ ফেব্রুয়ারি খান ইউনুসের হায়াত স্কুলের কাছে জায়োনিস্ট বাহিনীর একটি দলকে টিবিজি রকেট দ্বারা সফলভাবে টার্গেট করেন তারা। এতে ঘটনাস্থলেই ৭ জায়োনিস্ট সৈন্য নিহত হয় এবং আরও কতক সৈন্য আহত হয়। অপরদিকে আল-হাওজা এলাকায় একটি বাড়িতে অবস্থান নেওয়া জায়োনিস্ট সৈন্যদের বিরুদ্ধেও একটি সফল অ্যাম্বুশ করেন আল-কুদস ব্রিগেডের যোদ্ধারা। এতে অন্তত ১০ জায়োনিস্ট সৈন্য হতাহত হয়।

        আল-কুদস ব্রিগেড জানায়, তারা এই অভিযানগুলো ছাড়াও জায়োনিস্ট বাহিনী ও তাদের ১০টি অবস্থান লক্ষ্য করে রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র এবং মর্টার শেল দ্বারা হামলা চালিয়েছেন। ফলশ্রুতিতে জায়োনিস্ট বাহিনীর কয়েক ডজন সৈন্য হতাহত এবং ৪টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস হয়েছে।



        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আল্লাহ্‌ তাআলা এই জালিমদের আখিরাতের পাশাপাশি দুনিয়ায়ও দৃষ্টান্তমূলক পরিণাম দিন, যেমন দিয়েছেন ফিরাউন ও তার দলবল কে, আমীন

          Comment

          Working...
          X