Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০৯ শাবান, ১৪৪৫ হিজরী।। ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০৯ শাবান, ১৪৪৫ হিজরী।। ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ঈসায়ী

    খান ইউনিসের আল-আমাল হাসপাতাল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের গোলাবর্ষণ



    রেড ক্রিসেন্ট একটি প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে ১৯ ফেব্রুয়ারি, রবিবার ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের আল-আমাল হাসপাতালের তৃতীয় তলায় বিমান হামলা চালিয়েছে। রেড ক্রিসেন্টের সাথে অধিভুক্ত আল-আমাল হাসপাতাল কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি দখলদারিদের দ্বারা বারবার আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছে, যার ফলে রোগী এবং বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি সহ কয়েক ডজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
    দখলদার ইসরায়েল টানা ৩৪ তম দিনের মতো হাসপাতালে অবরোধ অব্যাহত রেখেছে, হাসপাতাল ভবনের সামনে দখলদারদের ট্যাঙ্কগুলি দুই সপ্তাহ ধরে রাখা হয়েছে।
    রেড ক্রিসেন্টের মতে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী হাসপাতালে খাবার, চিকিৎসা সরবরাহ এবং জ্বালানি প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। এতে করে হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
    ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের সাতজন কর্মীকেও নয় দিন আগে হাসপাতালে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে আটক করা হয়েছে, এবং এখন পর্যন্ত ইসরায়েল তাদেরকে আটকে রেখেছে।
    উল্লেখ্য, খান ইউনিস গভর্নরেটে টানা ৩৪ দিন যাবত মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা সহ সব ধরণের টেলিকম পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। ফলে রেড ক্রিসেন্টের বিভিন্ন দলের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
    তথ্যসূত্র:
    1. Israeli shelling targets Al-Amal Hospital in Khan Yunis
    http://tinyurl.com/2s3rvd9u
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    হাদিস বলাকে কেন্দ্র করে প্রত্যাহার হলেন নর্থ সাউথের শিক্ষক

    বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (NSU) শ্রেণিকক্ষে পাঠদানকালে মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম এবং শাসক নমরুদ নিয়ে কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত ঘটনা বর্ণনা করায় এক নারী শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোর্স থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির একজন শিক্ষককে। তদন্ত ছাড়াই শুধু এক নারী শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিগত প্রায় চার মাস আগে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানকালে শিক্ষকের একটি আলোচনাকে উদ্ধৃত করে অভিযোগ দিয়েছে ওই শিক্ষার্থী। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং শিক্ষার্থীর অমনোযোগীতার অংশ দাবি করে প্রত্যাহার হওয়া শিক্ষককে স্বপদে ফেরানোর দাবি জানিয়েছেন।
    নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে প্রত্যাহার হওয়া শিক্ষকের নাম ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিক নোমান। তিনি শিক্ষার্থীদের বাংলা সাহিত্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পাঠদান করেন।
    নর্থ সাউথের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানকালে অভিযোগ প্রদানকারী ওই নারী শিক্ষার্থী অমনোযোগী থাকায় তাকে নাম ধরে ডেকে মনোযোগী হতে বলেন শিক্ষক ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিক। এর আগে তিনি পাঠদানকালে আলোচনার অংশ হিসেবে মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম এবং শাসক নমরুদ নিয়ে কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত একটি ঘটনা বর্ণনা করেন।
    অভিযোগকারী ওই শিক্ষার্থী তখন ক্লাসে অমনোযোগী থাকার কারণে বুঝতে পারেনি এবং সে ধারণা করে, তাকে উদ্দেশ্য করেই এটি বলা হয়েছে। ‘ওই শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ্য করে ক্লাসে কোনো কিছু বলা হয়নি’ বলে তখনই তাকে বুঝিয়ে বলেন শিক্ষক। এছাড়াও বিষয়টি তাকে জানানো হয়েছে মুঠোফোনেও।
    এরপর ওই শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শেষে ভালো গ্রেড নিয়ে উক্ত কোর্স সম্পন্ন করে। কিন্তু এ ঘটনার সাড়ে ৪ মাস পর ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়! যার প্রেক্ষিতে ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিককে সরিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
    অন্যদিকে এ ঘটনায় ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিকের ক্লাসের উপস্থিত থাকা অন্য শিক্ষার্থীরা অভিযোগকারী ঐ শিক্ষার্থীর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ভুক্তভোগী শিক্ষককে ক্লাসে ফেরানোর দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বরাবর শিক্ষককে ক্লাসে ফেরানোর স্মারকলিপি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিক নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ৩টি কোর্সে ক্লাস নিতেন। তাকে তিনটি কোর্স থেকেই প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
    স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে, সামার-২০২৩ সেমিস্টারের বাংলা (২০৫.৪১ কোর্স) ক্লাসে বিগত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিক নোমান স্যারের সেকশনে পাঠদান চলাকালীন আমরা সশরীরে উপস্থিত ছিলাম। উক্ত ক্লাসে স্যার কোর্স সম্পর্কিত হাদিস উল্লেখ করে বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন। সে সময় ক্লাসের একজন অমনোযোগী মেয়ের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য নাম ধরে ডাকেন। মেয়েটি তার অমনোযোগিতার কারণে ভুল বুঝতে পারে। তখন এ ভুল বুঝাবুঝি দূর করতে ক্লাসে উপস্থিত সকলের সামনে বিষয়টি পরিষ্কার করেন ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিক। মেয়েটি বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে সেই কোর্স সম্পন্ন করে এবং ভালো গ্রেড পায় ।
    ‘আমাদের পুরো সেমিস্টার জুড়ে নোমান মল্লিক স্যার কখনোই কাউকে হেয় প্রতিপন্ন বা অপমান করেননি। স্যার ক্লাসের সকলের সাথে একজন আদর্শ শিক্ষকের ন্যায় আচরণ করেন। পুরো সেমিস্টার জুড়েই স্যার কোনো শিক্ষার্থীর সাথে বিন্দুমাত্র অন্যায়, অসুলভ আচরণ করেননি।’

    স্মারকলিপিতে ওই শিক্ষকের ক্লাসে থাকা শিক্ষার্থীরা বলছেন, উক্ত সেকশনের অন্য কোনো শিক্ষার্থীর মতামত ছাড়াই একজন শিক্ষার্থীর কথায় স্যারের বিরুদ্ধে আনীত সিদ্ধান্ত আমরা মানছি না। অনতিবিলম্বে ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিক স্যারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ বাতিল করে তার সম্মান ফিরিয়ে দেয়া হোক এবং স্যারকে অনতিবিলম্বে উনার কোর্সগুলোতে বহাল করা হোক। এছাড়া একই স্মারকলিপিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
    ঘটনার দিন শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকা এক শিক্ষার্থীর সাথে কথা হয় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের। তিনি নাম অপ্রকাশিত রাখার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, স্যার অনেক বয়স্ক মানুষ। সাধারণত তিনি ক্লাসে পড়ানোর সময় শিক্ষার্থীদের নাম উল্লেখ করে কোনো কিছু বলেন। সেদিন মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম এর একটা ঘটনা বলেছিলেন।

    কুরআন-হাদিসে বর্ণিত ঘটনাটি উদ্ধৃত করে সেদিনের ঘটনা বর্ণনায় এ শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্যার বলছিলেন, হজরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামকে আগুনে পুড়িয়ে মারার জন্য নমরুদ একটি ১৮ মাইলের বিশাল অগ্নিকুণ্ড নির্মাণ করে। সেটি এত বড় ও ভয়াবহ উত্তপ্ত ছিল যে, কোনো মানুষের পক্ষে সেটার কাছাকাছি যাওয়া অসম্ভব। তাই হজরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামকে সেখানে নিয়ে নিক্ষেপ করা সম্ভব হলো না। অবশেষে একটি চরকা বানানো হলো যার মাধ্যমে উনাকে আগুনে নিক্ষেপ করা যায়। কিন্তু মহান আল্লাহ তা’আলার নির্দেশে রহমতের ফেরেশতারা চরকার একপাশে ভর করে থাকায় চরকা ঘুরানো যাচ্ছিল না। তখন শয়তান নমরুদকে কু-বুদ্ধি দিলো। কিছু পতিতা (নগ্ন) মেয়ে এনে চরকার সামনে বসিয়ে দিতে, কারণ এ অবস্থায় ফেরেশতারা থাকতে পারবে না। তাই করা হলো এবং ফেরেশতারা চলে গেল, হজরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামকে আগুনে নিক্ষেপ করতে তারা সক্ষম হলো।’

    ‘এ ঘটনা বলার মধ্যখানে মেয়েটি অমনোযোগী থাকায় স্যার ‘মা একটু ক্লাসে একটু মনোযোগ দাও’ বলে তাকে ডাক দেন। সে সময় মেয়েটি ভাবে হাদিসের শেষ অংশের বর্ণনা তার পরিহিত পশ্চিমা ধাঁচের পোশাককে (ওয়েস্টার্ন ড্রেস) ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে। মেয়েটি তখন মন খারাপ করায় স্যার তখনি বলেন, তাকে উদ্দেশ্য করে তিনি কিছু বলেননি।’

    এ শিক্ষার্থী আরো জানান, সাধারণত কেউ ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে স্যার ফোন দিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে থাকেন। মেয়েটি পরেরদিন ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে স্যার মেয়েটিকে ফোন দেয় এবং তাকে বুঝিয়ে বলে। পরে মেয়েটি ক্লাসে অংশগ্রহণ করে। পুরো সেমিস্টার ক্লাস করে। এরপর মিডটার্ম পরীক্ষা, ফাইনাল পরীক্ষা দেয় এবং ভালো গ্রেড পায় এই কোর্সে।
    কিন্তু হঠাৎ সাড়ে ৪ মাস পর স্যারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় যে, সেদিন ঘটনাটি তাকে ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে। অথচ পুরো সেমিস্টারে আরো অনেক শিক্ষার্থী ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়েছে, কখনো স্যার কাউকে কিছু বলেননি। বরং স্যারের অমায়িক ব্যবহারের কারণে সবাই স্যারকে পছন্দ করে।
    ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুধু একজন ছাত্রীর বক্তব্য নিয়ে স্যারকে প্রত্যাহার করলো। অথচ সেদিন আমরাসহ আরো অনেক শিক্ষার্থী ছিলাম তাদের কাউকে জিজ্ঞাসা পর্যন্ত করেনি। আমরা এটা মানি না। স্যারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই—বলেন এ শিক্ষার্থী।
    এর আগে প্রতিবাদে অংশ নেওয়া আরেকজন শিক্ষার্থী জানান, ওই মেয়ে প্রায়ই দেরি করে আসতো। যেহেতু দেরি করে আসতো এবং ক্লাসে অমনোযোগী ছিল। সেজন্য স্যার তার নাম মনে রেখেছেন। স্যার এমনিতে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর নাম মনে রাখেন। যেমন আমার নামও মনে রেখেছেন। প্রায় সময় আমাদের কোনো বিষয়ে বলার জন্য বা কোনো বিষয়ে আকর্ষণের জন্য নাম ধরে ডাকেন। স্যার পড়াতে কুরআন ও হাদিস থেকে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করেন। যেহেতু স্যার অনেক বয়স্ক একজন মানুষ। স্যার হাদিস বলার সময় তার নাম ধরে ডাক দিয়ে হাদিস বলা শুরু করেনি। ঘটনার মাঝখানে সে অমনোযোগী থাকায় তখন তাকে ডাক দিয়েছে। ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়া আরো অনেক শিক্ষার্থী ছিল কাউকে স্যার কখনো কিছু বলেননি।
    গতকাল সোমবার ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিকের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি জমা দিতে উচ্চশিক্ষালয়টির প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছেন, অনেক শিক্ষক দাড়ি নিয়ে, বোরখা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অথচ একটা মিথ্যা অভিযোগের সাথে সাথে ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।
    এদিকে প্রত্যাহার করা শিক্ষক ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার আপনজন। আমি তাদের কেন আঘাত দিয়ে কথা বলবো? এ ছাত্রী কেন অভিযোগ দিয়েছে আমি আজ পর্যন্ত বুঝতে পারিনি। হজরত ইবরাহীমের ঘটনা একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। তবে এতে আমার কোনো ক্ষোভ নেই, কোনো কষ্ট নেই।

    বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এরকম একটা ঘটনা আমি জেনেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী একটা কমিটি রয়েছে। তারা কাজ করছে। সাধারণত তদন্ত চলাকালীন দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তদন্তের কাজ চলছে।

    এ ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ এবং নিজেদের অবস্থান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীরা। মিতা পোদ্দার নামে ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিকের সাবেক একজন শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘আমি স্যারের একজন প্রাক্তন ছাত্রী । আমি তাকে দীর্ঘদিন ধরে জানি। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, স্যার অত্যন্ত একজন ভালো মনের মানুষ। তিনি এত ভালো মানুষ যে, কোনো ছাত্রীর মনে তো দূরে থাকুক কোনো পশুর মনেও আঘাত দেন না।

    আমার সারাজীবনে তার মতো ভালো মানুষ একটিও দেখিনি। ছাত্র-ছাত্রীর প্রতি তার আন্তরিকতা দেখে আমার মনে হয়েছে শিক্ষক যদি ছাত্র-ছাত্রীদের এত ভালোবাসেন, না জানি সৃষ্টিকর্তা আমাদের কত ভালোবাসেন। আমি একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী তবুও তার কুরআন-হাদিসের ব্যাখ্যা আমার কাছে কখনো খারাপ লাগেনি। তাই আমি চাই তাকে অবিলম্বে তার যোগ্য স্থানে ফিরিয়ে আনা হোক।’
    তথ্যসূত্র:
    ১. ‘হাদিস’ বলাকে কেন্দ্র করে প্রত্যাহার নর্থ সাউথের শিক্ষক-http://tinyurl.com/ywy8xkvh
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গণহত্যার ১৩৬তম দিন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কয়েক ডজন বেসামরিক লোক নিহত


      টানা ১৩৬তম দিনের জন্য গাজা উপত্যকাকে লক্ষ্য করে চলমান ইসরায়েলি দখলদারিত্বের সময় ১৯ ফেব্রুয়ারি, সোমবার কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং আহত হয়েছে৷

      দখলদার যুদ্ধবিমানগুলি গাজা শহরের আল-জায়তুন পাড়ায় অন্তত তিনটি বাড়িতে বোমাবর্ষণ করেছে এতে বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
      শহরের পশ্চিমে আল-রিমাল পাড়ায়, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান দুটি বাড়িতে বোমা হামলা করে এতে কমপক্ষে ছয়জন নাগরিক আহত হয় যাদের আল-শিফা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

      গাজা উপত্যকার মধ্যবর্তী অঞ্চলে দখলদার বিমান এবং আর্টিলারি ছয়টি বাড়িতে বোমাবর্ষণ করে। এর মধ্যে দুটি ছিল দেইর আল-বালাহতে, একটি নুসাইরাতে এবং কয়েকটি আল-মাগাজিতে। এ হামলায় কম পক্ষে দশজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়।
      এদিন ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজার দক্ষিণে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের ভিতরে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালে বিদ্যুৎ ও অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ থাকায় এ পর্যন্ত আট রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

      ২০২৩-এর ৭ ই অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা এদিন ২৮,৯৮৫ তে পৌঁছেছে, যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু।
      তথ্যসূত্র:
      1. https://english.wafa.ps/Pages/Details/141794
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        বাংলাদেশের শিক্ষালয় থেকে ভালো ভালো শিক্ষককে ছাঁটাই করা হচ্ছে। যেন তারা খারাপ শিক্ষার প্রচার ঘটাতে পারে এবং এখানে কেউ বাঁধা না দেয়। এবং শিক্ষার্থীদেরকে কেউ ভালো কিছু শিক্ষা না দিতে পারে।
        Last edited by Rakibul Hassan; 02-22-2024, 11:23 PM.
        পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

        Comment

        Working...
        X