Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২০ শাবান, ১৪৪৫ হিজরী।। ০২ মার্চ, ২০২৪ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২০ শাবান, ১৪৪৫ হিজরী।। ০২ মার্চ, ২০২৪ ঈসায়ী

    শিক্ষাসফরে ছাত্র-শিক্ষক একসাথে মদ্যপান!

    মাদারীপুরের শিবচরে স্কুল থেকে শিক্ষা সফরে গিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একত্রে মদপান করেছে। শিক্ষার্থীরা বিদেশি মদের বোতল থেকে শিক্ষককে মদ ঢেলে দিচ্ছে, আবার শিক্ষকের সামনেই শিক্ষার্থীরা আনন্দ উল্লাস করে মদ্যপান করছে। এমন ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকে ছড়িয়ে পড়েছে।

    গত শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের শিকদার হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা সফরে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, শনিবার ভোরে বিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ৪১ জন শিক্ষার্থী শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্য নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও যায়। তবে সঙ্গে নেওয়া হয়নি কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবককে।

    ভিডিও ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা সফর থেকে এলাকায় ফেরার পর ফেসবুক ও টিকটকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মদপানের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়, বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ওয়ালিদ মদের বোতল হাতে নিয়ে মদ ঢালছে এবং শিক্ষার্থীদের হাতে মদের বোতল দিচ্ছে।

    বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার বন্ধুরা শিক্ষা সফরে গিয়েছিলো। ওরা ফেসবুক স্টোরি দিয়েছে। আমি ভিডিওতে দেখেছি ওরা ফরেন(বিদেশি) মদ পান করেছে। ওরা স্যার-ম্যাডামদের সামনেই খেয়েছে মদ।

    বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মো. ওয়ালিদ বলে, ‘বাসে আমার পরিবার ছিল। আমরা বাসের মধ্যে থাকা অবস্থাতেই বিষয়টি শুনে বোতলটি নিয়ে আসি। আমি আসলে একা ছিলাম তখন। আর শিক্ষার্থীরা বলেছে-বোতলে মদ ছিল না। বিভিন্ন জিনিস দিয়ে মিক্সার বানাইছে। আমি ওদের শাসন করেছিলাম। এখন আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’

    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন বলে, আমার বাড়ি সদরপুর। আমি আগের দিন ঢাকাতে অবস্থান করেছি। শিক্ষা সফরে আমি যোগ দিয়েছি ঢাকা থেকে। এর আগে বাসের মধ্যে কী হয়েছে তা আমি জানি না। সেখানে ছিল শিউলি ম্যাডাম। আমি বাসে ওঠার পর এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।

    এ বিষয়ে বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খাঁন বলে, শিক্ষা সফরের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মদপান করে নেচেছে, বিষয়টি শুনেছি ও ভিডিও দেখেছি।


    তথ্যসূত্র:
    ১. শিক্ষা সফরে স্কুলছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকের ‘মদপান’, ভিডিও ভাইরাল – https://tinyurl.com/4765r5xy

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    স্বামীকে জিম্মি করে স্ত্রীকে গণধর্ষণ, পাঁচ দিনেও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ


    পাবনার সুজানগর উপজেলায় অস্ত্রের মুখে স্বামীকে জিম্মি করে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ওই দম্পতি একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে ফিরছিলেন। গত ২৩শে জানুয়ারি শুক্রবার দিবাগত রাতে সুজানগর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

    ঘটনার পরদিন গত শনিবার ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে আমিনপুর থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

    মামলার আসামিরা হলো সুজানগর উপজেলার সেলিম প্রামাণিক (২৩), মো. শরীফ (২৪), রাজীব সরদার (২১), রুহুল মণ্ডল (২৬), লালন সরদার (২০) ও সিরাজুল ইসলাম (২৩)।

    ভুক্তভোগী দম্পতি ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর বাড়ি পাবনার বেড়া উপজেলায়। স্ত্রীকে নিয়ে তিনি পাশের সুজানগর উপজেলায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। শুক্রবার রাতে সেখান থেকে একটি ওয়াজ মাহফিলে যান। ওয়াজ শুনে রিকশায় আত্মীয়ের বাড়িতে ফেরার পথে অভিযুক্ত ধর্ষকেরা তাদের পথরোধ করে। তারা স্বামী-স্ত্রী কি না, জানতে চায়। এরপর বিভিন্ন প্রশ্ন করে বিভ্রান্ত করতে থাকে। একপর্যায়ে অস্ত্রের মুখে স্বামীকে জিম্মি করে ওই নারীকে পাশের একটি ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। ওই নারীর স্বামী জিম্মিদশা থেকে ছুটে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিষয়টি জানান। পরে এলাকাবাসী এসে ধাওয়া দিয়ে ধর্ষকদের একজনকে আটক করেন। অন্যরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে পাবনার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়িতে নেওয়া হয়। আটক ধর্ষককেও পিটুনি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই গ্রামের দুজন বাসিন্দা বলেন, শুক্রবার রাতে তাদের গ্রামে ওয়াজ মাহফিল চলছিল। রাত একটার দিকে ছেলেটি (স্বামী) ছুটে এসে জানান, তার স্ত্রীকে কয়েকজন লোক ধরে নিয়ে গেছে। পরে গ্রামের লোকজন জলসা থেকে গিয়ে হাতেনাতে একজনকে আটক করে পিটুনি দেন। একই সঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

    ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী বেশ অসুস্থ। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে খুব অসহায় অবস্থায় আছেন। মামলা তুলে নিতে হুমকি পাচ্ছেন। নিজেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করছে না। তার স্ত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলেও দাবি করেন।

    ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘ওরা পিশাচের মতো আচরণ করছে। আমার সাথে অত্যাচার করছে। অস্ত্র দেখায়া আমার স্বামীকে মারপিট করছে। আমি এর বিচার চাই।’

    ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেন একজন পল্লিচিকিৎসক। তিনি বলেন, ‘উদ্ধারের পর তিনি (নারী) রক্তাক্ত ছিলেন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে গিয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম।’

    ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার নিয়ে প্রশাসনের তেমন তোড়জোড় আছে বলে মনে হচ্ছে না। আমরা এ রকম একটা ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে দ্রুত অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার দাবি করি।’

    প্রথম আলোর সূত্রে জানা যায়, দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলার আসামিরা এলাকায় ‘কিশোর গ্যাং’ হিসেবে পরিচিত। নামে কিশোর গ্যাং হলেও এসব বাহিনীর বেশির ভাগ সদস্যের বয়স ১৮ বছরের বেশি। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রচ্ছায়ায় তারা মাদক ব্যবসা, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। ধর্ষণের ঘটনার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও তাদের গ্রেপ্তার না করায় গ্রামের লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

    তথ্যসূত্র:
    ১. পাবনায় স্বামীকে জিম্মি করে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, চার দিনেও কোনো গ্রেপ্তার নেই – http://tinyurl.com/36samerj
    ২. পাবনায় ধর্ষণে অভিযুক্তরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য, রয়েছে নানা অপকর্মের অভিযোগ- http://tinyurl.com/3jpas2ya

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X