Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৫ শাবান, ১৪৪৫ হিজরী।। ০৭ মার্চ, ২০২৪ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৫ শাবান, ১৪৪৫ হিজরী।। ০৭ মার্চ, ২০২৪ ঈসায়ী

    চট্টগ্রামে গণধর্ষণে তরুণীর মৃত্যু, ধর্ষকদের একজন ছিল ‘প্রেমিক’!



    গত ৫ই মার্চ চট্টগ্রাম নগরীতে গণধর্ষণে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া দুজনের একজনের সাথে ঐ তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

    পুলিশ জানিয়েছে, হালিশহর থেকে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে আটকে রাখে অভিযুক্তরা। ক্রমাগত পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে তার মৃত্যু হয়।

    মৃত বিবি রহিমা আক্তার (২০) নগরীর হালিশহর থানার ছোটপুল এলাকার বাসিন্দা। গ্রেফতার হওয়া দুই ধর্ষক হলো— ওবায়দুল করিম (৩৩) ও মো. সেলিম (৪৩)।

    হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কায়সার হামিদের বক্তব্য অনুযায়ী, সেলিমের সঙ্গে রহিমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২৬ জানুয়ারি তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেলিম পাঁচলাইশের কসমোপলিটন আবাসিক এলাকায় নিজের বাসায় এবং পরে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে নিয়ে যায়।

    আসামিদের স্বীকারোক্তি ও তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী যাত্রাবাড়ীতে একমাসেরও বেশি সময় আটকে রেখে সেলিমসহ আরও কয়েকজন রহিমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। চারজন তাকে ধর্ষণে জড়িত ছিল বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।


    তথ্যসূত্র:
    ১. চট্টগ্রামে গণধর্ষণে তরুণীর মৃত্যু, গ্রেফতার দুই – https://tinyurl.com/2e6f6jef
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    মেডিকেল কলেজে ক্লাসে ছাত্রকে গুলি করলো ‘ছাত্রলীগ শিক্ষক’



    বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলায় শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে শ্রেণিকক্ষে এক শিক্ষার্থীকে গুলি করেছে ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ নেতা রায়হান শরীফ নামে এক ‘শিক্ষক’। ঘটনার পর তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। তার বিরুদ্ধে দুটি আলাদা মামলা করা হয়েছে।

    জানা যায়, ৪ মার্চ সোমবার দুপুরের পর সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ক্লাস চলার সময় এক শিক্ষার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় শিক্ষক রায়হান শরীফ। এতে আরাফাত আমিন তমাল নামে ওই শিক্ষার্থী আহত হন।
    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন ভিডিওতে ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই।

    এরমধ্যে এক নারী শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, “আমাদের আজ একটা আইটেম চলতেছিল(ক্লাসে), সে আমাদের বলে, আমার কাছে পিস্তল পোষা পাখির মতো। সে একটা ফটোশুট করার মতো আমাদের ভয় দেখায়। এরকম করে সে একজনকে টার্গেট করে এবং তাকে গুলি মেরে দেয়।”

    “এ ঘটনা ঘটার পরে সে আমাদের বন্ধুকে হসপিটালে নিয়ে যেতে দেয়নি। সে আমাদের আটকানোর চেষ্টা করেছে।”

    প্রত্যক্ষদর্শী একজন শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাস শেষে তাদের একটা ভাইবা পরীক্ষার মতো ছিল। সেখানে সময় না থাকায় সে ত্রিশ জনকে একসাথে ডাকে। সেখানে তমালকে একটা কোয়েশ্চেন করলো তমাল পারলো না। এরপরে সে তার আর্মসটা বের করলো, বের করে টানলো, লোড হয়তোবা আগে থেকেই করা ছিল, সে জাস্ট ফায়ার করলো।

    আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, সন্ধ্যা বেলায় তাদের ওয়ার্ড থাকে। ঐ শিক্ষক বলে ওয়ার্ড মিস দিয়ে ওর ক্লাসে যেতে। শিক্ষার্থীরা গতকাল ওর ক্লাসে যায়নি, ওয়ার্ডে গেছে। যার কারণে সে শিক্ষার্থীদের উপর ক্ষেপে ছিল। ঐদিন ক্লাসে সে ১০টা তরবারি নিয়ে আসছে, চাকু নিয়ে আসছে শিক্ষার্থীদের ভয় দেখানোর জন্য।

    অস্ত্র বহন এবং হুমকি-ধমকি ছাড়াও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগও তুলেছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। গভীর রাতে ছাত্রীদের ফোন করে বিরক্ত করতো সে।

    ৫ মার্চ সকালে গ্রেফতারকৃত শিক্ষকের শাস্তি দাবি করে মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় এবং ক্যাম্পাসের ভেতরে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে তাদের দাবির বিষয়টি তুলে ধরেন।

    সিরাজগঞ্জ ডিবির ওসি জুলহাজ উদ্দীন বলেছে, রায়হান শরীফের ব্যাগ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, ৮১ রাউন্ড তাজা গুলি, ১টি গুলির খোসা, ৪টি ম্যাগজিন, ২টি বিদেশি কাতানা (ছোরা) ও ১০টি অত্যাধুনিক বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।’
    গুলির ঘটনার পর রায়হান শরীফের সাবেক ও বর্তমান কর্মস্থলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সার্বক্ষণিক নিজের সঙ্গে পিস্তল রাখতো সে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের মারধর এবং গভীর রাতে ক্যাম্পাসে ফাঁকা গুলি ছুড়তো রায়হান।

    জানা যায়, জেলা শহরের বিএ কলেজ রোডের বাসিন্দা সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রায়হান। তার বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। সে প্রায়ই পিস্তল নিয়ে ক্যাম্পাস ও ক্লাসে আসায় শিক্ষার্থীরা ভয়ে থাকেন। তার বদলির জন্য অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে একাধিকবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পত্র পাঠানো হলেও ফলপ্রসূ হয়নি। কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক হয়েও গায়ের জোরে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অনির্ধারিত ক্লাস নেয় রায়হান।
    ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিল রায়হান। ২০১৩ সাল থেকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পায় সে। তখন থেকেই নিজের সাথে অস্ত্র রাখতো সে।


    তথ্যসূত্র:
    ১. ছাত্ররাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন রায়হান, অস্ত্র কিনে রাখতেন সংগ্রহে
    https://tinyurl.com/bp7ncr8e
    ২. ছাত্রজীবন থেকেই অস্ত্র নিয়ে ঘুরতেন শিক্ষক ডা. রায়হান!
    https://tinyurl.com/4cpkszxh
    ৩. মেডিকেল শিক্ষার্থীকে গুলি করা শিক্ষকের কাছ থেকে দুটি অস্ত্র উদ্ধার, এ পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে
    https://tinyurl.com/3ckpe3d9
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ইসরাইলের প্রতি তরুণ আমেরিকানদের সমর্থন কমছে



      একটি নতুন জরিপে দেখা গেছে, অক্টোবরে গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রেক্ষাপটে গত বছরের তুলনায় ইসরাইলের প্রতি তরুণ আমেরিকানদের সমর্থন ২৫ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে।

      ৫ মার্চ সোমবার প্রকাশিত গ্যালাপ-এর জরিপে দেখা গেছে যে, ২০২৩ সালে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী ৬৪ শতাংশ তরুণ আমেরিকানদের ইসরাইলের প্রতি সমর্থন ছিল৷ কিন্তু ২০২৪ সালে তা কমে হয়েছে ৩৮ ভাগ। অর্থাৎ সমর্থন কমেছে ২৬ ভাগ। সামগ্রিকভাবে মার্কিন প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও জরিপ করা হয়েছে, সেখানেও ইসরায়েল সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

      ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৫ মার্চ পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে, যাদের বেশিভাগই নারী ও শিশু। ইসরাইল সেখানকার স্কুল, হাসপাতাল, জাতিসংঘ আশ্রয়কেন্দ্রসহ বেসামরিক অবকাঠামোগুলোকে টার্গেট করছে। সম্প্রতি ইসরায়েল গাজার কিছু অংশে প্রবেশ করতে এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোকদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে বাধা পর্যন্ত দিচ্ছে।

      এছাড়াও, নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি জরিপে দেখা গেছে, অর্ধেক তরুণ আমেরিকান বিশ্বাস করে যে ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় বেসামরিক মানুষকে হত্যা করছে। আর জানুয়ারিতে করা ইকোনমিস্টের জরিপে দেখা গেছে, ৩৫ শতাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করে যে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে।


      তথ্যসূত্র:
      1. War on Gaza: Young Americans’ positive views of Israel drop by 26 percent, poll finds
      https://tinyurl.com/3hnxyuvw

      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ‘স্বজ্ঞানে মুসলিম হয়েছি’: স্বামীর মুক্তি চেয়ে নওমুসলিমা স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন



        হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করে বিয়ে করায় শাশুড়ির মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন মো. ইব্রাহিম ওমর নামে এক নওমুসলিম। নওমুসলিম স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তারই স্ত্রী নওমুসলিমা জান্নাতুল ইসলাম স্নেহা। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় জহুর আহমদ চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

        সংবাদ সম্মেলনে জান্নাতুল ইসলাম স্নেহা বলেন, “আমি জান্নাতুল ইসলাম স্নেহা, আমার আগের নাম স্নেহা সাহা, বাবা দেবাশীষ সাহা, মা ঝিনি সাহা, স্থায়ী ঠিকানা-হোল্ডিং নম্বর ৩৬৪, জয়নাব কলোনী, রুমাঘাটা, কোতোয়ালী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। মহান আল্লাহ তাআলাকে একমাত্র উপাস্য মেনে, আল্লাহর সর্বশেষ প্রেরিত রাসূল মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সত্য জেনে, ইসলামের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে গত বছরের ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর আদালতের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। তিনি আরো বলেন, গত ৫ নভেম্বর ইসলামিক শরীয়াহ অনুযায়ী ঢাকার সাভার থানার মো. ইব্রাহিম ওমরকে (আগের নাম বিশ্বজিৎ রায়) বিয়ে করি। তিনি নিজেও প্রায় আড়াই বছর আগে হিন্দু ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।

        তিনি আরো বলেন, ‘আমি প্রাপ্ত বয়স্কা এবং সাবালিকা, বিধায় আমার আইনত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পূর্ণ জ্ঞান এবং অধিকার রয়েছে। ‘ইসলাম’ ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে আমি বিজ্ঞ প্রথম শ্রেণির চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ঢাকা থেকে ‘সনাতন’ থেকে ‘ইসলাম’ ধর্মে পরিবর্তন সংক্রান্ত ‘হলফনামা’ সম্পন্ন করি। যার রেজিস্ট্রার্ড ক্রমিক নম্বর : ১৮, তারিখ: ০২/১১/২০২৩। অতঃপর আমি, আমার বর্তমান ধর্ম তথা ইসলাম পালনের সুবিধার্থে এবং মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রয়াসে গত ০৫/১১/২০২৩ তারিখে ইসলামিক শরীয়াহ অনুযায়ী, রেজিস্টার্ড কাবিননামা মূলে-নিজ ইচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ শরীরে, সুস্থ মস্তিষ্কে, বিনা প্ররোচনায় মো: ইব্রাহিম ওমরকে বিয়ে করি। আমার স্বামী মো: ইব্রাহিম ওমর, আগের নাম-বিশ্বজিৎ রায়, বাবা-বিশু রায়, মা-মুকুল রানী রায়, স্থায়ী ঠিকানা-ডগর মুড়া, সাভার পৌরসভা, ওয়ার্ড নম্বর-৭, থানা-সাভার, জেলা-ঢাকা। তিনি নিজেও প্রায় আড়াই বছর আগে ‘সনাতন’ ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।’

        নওমুসলিম জান্নাতুল ইসলাম স্নেহা আরো বলেন, ‘আমাদের বিয়ের বিষয়টি আমার মা-বাবা এবং আত্মীয়-স্বজন জানতে পারেন এবং তারা আমার সংসার ভাঙার পায়তারা শুরু করেন। আমাকে জোরপূর্বক আগের ধর্ম গ্রহণ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন এবং আমার স্বামীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এমতাবস্থায় নিরুপায় হয়ে আমি আমার স্বামীর সহযোগিতায় আমার এবং আমার স্বামী মো: ইব্রাহিম ওমরের নিরাপত্তার স্বার্থে ০৭/১১/২০২৩ তারিখে ‘সাভার মডেল থানায়’ একটি সাধারণ ডায়েরী বা জি.ডি. করি। জিডি নম্বর- ৪২৪, তারিখ: ৭/১১/২০২৩।’

        তিনি আরো বলেন, ‘পূর্বোক্ত ঘটনাগুলোর প্রায় আড়াই মাস পরে, আমি যখন স্বাচ্ছন্দে আমার স্বামীর বাড়িতে দিনযাপন করছিলাম, আমার মা রোববার (১৪ জানুয়ারি) তারিখে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু দমন আইনে আমাকে অপহরণ করা হয়েছে এই অজুহাতে আমার স্বামীর নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।’

        তিনি বলেন, ‘আমার মায়ের দেয়া মামলাতে কিন্তু ভিকটিম আমি নিজেই। মামলার মাধ্যমে আমার মা দাবি করেন আমাকে নাকি ফুসলিয়ে অপহরণ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমি সমস্ত দেশবাসীকে সুস্পষ্ট করে বলতে চাই, আমি স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে, বিনা প্ররোচনায় ইসলামের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে ‘ইসলাম’ ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছি। এবং স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে, বিনা প্ররোচনায় মো: ইব্রাহিম ওমরকে বিয়ে করেছি। ‘ইসলাম’ ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য এবং মো: ইব্রাহিম ওমরকে বিয়ে করার জন্য আমাকে কেউ জোর করেনি, ভয় দেখায়নি, ধমক দেয়নি কিংবা টাকা পয়সার লোভও দেখায়নি। সুতরাং এখানে অপহরণ করার তো প্রশ্ন-ই আসে না!! তাই, প্রকৃতপক্ষে এই অভিযোগটিই একদমই অবান্তর।’

        তিনি আরো বলেন, ‘একজন স্বাধীন নাগরিক হিসেবে আমি আমার পছন্দের ধর্ম পালনে কেনো বাধাগ্রস্থ হবো? আমি আমার স্বামী এবং সংসার নিয়ে কেনো অনিশ্চয়তায় থাকবো? আমার স্বামী মো: ইব্রাহিম ওমরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা এবং সাজানো। আমি বিজ্ঞ আদালতের কাছে আমার স্বামী মো: ইব্রাহিম ওমরের জামিন মঞ্জুর এবং এই মামলাটি মিথ্যা বিবেচনা করে খারিজ করে দেয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আমি বিজ্ঞ আদালতে আমার দেয়া ২২ ধারা জবানবন্দিতে পরিষ্কার বলেছি এবং এখনো বলছি, ‘আমি স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়েছি। স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছি। আমি আমার স্বামীর কাছে থাকতে চাই। আমার মা-বাবার কাছে যেতে চাই না। অতএব, আমার নির্দোষ স্বামীকে জামিন দিয়ে উক্ত মিথ্যা মামলাটি খারিজ করে দেয়া হোক। রাষ্ট্রের কাছে এটাই আমার একান্ত চাওয়া।’

        জান্নাতুল ইসলাম স্নেহা বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে ‘তৃতীয় ভাগ’ তথা ‘মৌলিক অধিকার’, অনুচ্ছেদের ৪১-এর (ক) তে বলা আছে, ‘রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকের যেকোনো ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের পূর্ণ অধিকার রহিয়াছে’। আমি রাষ্ট্রের একজন প্রাপ্ত বয়স্কা এবং সাবালিকা নাগরিক। এতদসত্ত্বেও, আইনের মধ্যে থেকেও ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য আমাকে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে। আদালত প্রাঙ্গণে আমাকে হেনস্থা করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত যখন আমার দেয়া ২২ ধারা জবানবন্দি বিবেচনা করে, আমাকে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছিলেন, তখন চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গনে আমার পরিবার-পরিজনসহ কিছু উগ্রবাদী, চরমপন্থীদের মদদ-পুষ্ট’রা হট্টগোল শুরু করে এবং উস্কানিমূলক শ্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে আমাকে টানাটানি করা হয় এবং আমাকে জোরপূর্বক অপহরণের চেষ্টা করা হয়। উপস্থিত প্রশাসন এবং আমার আইনজীবীর সহায়তায় আমি নিরাপদ অবস্থানে পৌঁছায়। পরিস্থিতির বিড়ম্বনায় পড়ে এবং সার্বিক বিষয়গুলো বিবেচনা করে আমার নিরাপত্তার স্বার্থে বিজ্ঞ আদালত আমাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার তথা সেইফ কাস্টডিতে পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে শুনানির মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালত আমাকে নিজ জিম্মায় মঞ্জুর করেন। বর্তমানে আমি নিজ ইচ্ছায়, আমার স্বামীর বাড়িতে নিরাপদে অবস্থান করছি।’

        জান্নাতুল ইসলাম স্নেহা আরো বলেন, ‘আমি প্রশাসনকে বলতে চাই, এই উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী এবং তাদের মদদ-দাতাদের চিহ্নিত করে, আইনের আওতায় নিয়ে আসাটা, সময়ের দাবি। এরা এই দেশ এবং দেশের জনগণের সাংবিধানিক অধিকার হরণ করছে। আমি স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছি এবং স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছি। এটি আমার ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং সাংবিধানিক অধিকার। আমার এই ব্যক্তিগত ইস্যুকে তারা উস্কানি দিয়ে সাম্প্রদায়িকতার দিকে নিয়ে যাওয়ার পায়তারা করা হচ্ছে। এদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করছি।’

        সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইব্রাহিম ওমরের ভাই মুহম্মদ আল আমীন, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাছুমা জামায়েলসহ প্রমুখ।


        তথ্যসূত্র:
        ১. আমি স্বজ্ঞানে ইসলাম গ্রহণ করেছি, স্বামীর মুক্তি চাই : স্নেহা – https://tinyurl.com/yc246jdh
        ২. আমি স্বজ্ঞানে ইসলাম গ্রহণ করেছি স্বামীর মুক্তি চাই – https://tinyurl.com/4hbaujba
        ৩. স্বামীর মুক্তি চেয়ে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন – https://tinyurl.com/mv9pr3ua

        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          জুলুমের রাত অনেক গভীর হয়ে গেছে
          পুরো বিশ্বের মুক্তিকামী জনতা ভোরের অপেক্ষায়...

          Comment

          Working...
          X