বুরকিনা ফাসোতে বেসামরিক লোকদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর গণহত্যা অব্যাহতভাবে চলছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রবিবারও দেশের উত্তরে ইয়াতেঙ্গা প্রদেশের ২টি গ্রামে হামলা চালিয়ে ২২৩ জন বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে জান্তা বাহিনী।
আয-যাল্লাকা সহ স্থানীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে যে, নাইজার সীমান্তের কাছে পূর্ব বুরকিনা ফাসোর টিও এবং উয়াহিগুইয়া এলাকায় নতুন এই গণহত্যাটি চালানো হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই ছিল মহিলা এবং শিশু।
পশ্চিম আফ্রিকার সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’ কর্তৃক প্রকাশিত এক বিবৃতি থেকে জানা যায়, মুজাহিদগণ এদিন উয়াহিগুয়া শহরে বুরকিনা ফাসোর বিশ্বাসঘাতক সেনাবাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। পরে সেনাবাহিনী ঘাঁটিটি উদ্ধারে কয়েকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় এবং প্রতিবারই কয়েক ডজন সৈন্যের লাশ নিয়ে ফিরে যায়। আর সেনাবাহিনী তাদের এই চরম ব্যর্থতার প্রতিক্রিয়ায় গ্রামগুলোর নিরীহ মানুষদের বিরুদ্ধে তাদের কাপুরুষোচিত জঘন্য গণহত্যাটি চালিয়েছে, যা যুদ্ধের সমস্ত নিয়মকানুন ও নৈতিকতার সাথে সাংঘর্ষিক।
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি ভিডিওতে কয়েক ডজন মৃতদেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এসকল মৃতদের পাশে কিছু কিছু শিশুকে জীবিত এবং অনেক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায়ও পাওয়া গেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া শিশু ও আহতদের পানি খাওয়াচ্ছেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন ‘জেএনআইএম’ প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
শিশুদের উদ্ধারের সংক্ষিপ্ত একটি ভিডিও:
https://alfirdaws.org/wp-content/upl...-women.mp4?_=1
গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া কিছু লোক প্রতিবেশী গৌরমা প্রদেশের রাজধানী ফাদা এনগৌরমা-তে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা ফরাসি সংবাদ মাধ্যম RFI-কে জানান যে, গণহত্যাটি বুরকিনার নতুন র্যাপিড ইন্টারভেনশন ব্যাটালিয়ন (BIR) এর দ্বারা সংঘটিত হয়েছে। এই বিআইআর বাহিনীটি গত বছরের অক্টোবরে জান্তা প্রধান ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওরে তৈরি করেছিল।
Comment