ভারতের দুই কুফরী হাইকোর্টের রায়: স্বামীকে খুন করলেও স্ত্রী পাবে তার পেনশন
সরকারি চাকুরে স্বামীকে খুন করলেও স্ত্রী পারিবারিক পেনশন পাবে। একটি মামলার শুনানিতে এই রায় দিয়েছে ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট।
শুধুই রায়ই নয়, এ ব্যাপারে হরিয়ানা সরকারের দেওয়া একটি নির্দেশ খারিজ করে দোষী সাব্যস্ত মহিলাকে তাঁর প্রাপ্য পারিবারিক পেনশন ও অন্যান্য প্রাপ্য অর্থ দু’মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পর্যবেক্ষণে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ বলেছে, ‘‘যে মুরগি ডিম পাড়ে, কেউই তাকে মারে না। যদি কোনও স্ত্রী তাঁর স্বামীকে খুনও করে, তা হলেও তিনি পারিবারিক পেনশন থেকে বঞ্চিত হতে পারে না। ফ্যামিলি পেনশন একটি কল্যাণমূলক প্রকল্প। কোনও সরকারি চাকরিজীবীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্যই এই প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল। তাই ভারতীয় দণ্ডবিধির কোনও মামলায় যদি দোষী সাব্যস্ত হন স্ত্রী, তা হলেও তিনি পারিবারিক পেনশন পেতে বাধ্য।’’ ১৯৭২ সালের পেনসন আইন মোতাবেক কোনও বিধবা ফের বিয়ে করলেও পারিবারিক পেনশন পাবে।
অম্বালার মহিলা বলজিত কউরের একটি আর্জির প্রেক্ষিতেই শুনানি চলছিল পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে। বলজিতের আইনজীবী জানায়, তাঁর মক্কেলের সরকারি চাকুরে স্বামী তারসেম সিংহ ২০০৮ সালে মারা যান। তার পর ২০০৯ সালে তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা দায়ের হয়। বলজিৎ ২০১১ সালে দোষী সাব্যস্ত হয়। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি হরিয়ানা সরকারের কাছে থেকে পারিবারিক পেনশনের টাকা পেয়েছিলেন। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে তা বন্ধ করে দেয় হরিয়ানা সরকার। বলজিতের তরফে হরিয়ানা সরকারের নির্দেশ খারিজ করার আর্জি জানানো হয়।
সেই আর্জির প্রেক্ষিতে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের বেঞ্চ হরিয়ানা সরকারের সংশ্লিষ্ট নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে। বলজিতকে দু’মাসের মধ্যে তাঁর বকেয়া পারিবারিক পেনশনের টাকা ও অন্যান্য প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: আনন্দবাজার
সরকারি চাকুরে স্বামীকে খুন করলেও স্ত্রী পারিবারিক পেনশন পাবে। একটি মামলার শুনানিতে এই রায় দিয়েছে ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট।
শুধুই রায়ই নয়, এ ব্যাপারে হরিয়ানা সরকারের দেওয়া একটি নির্দেশ খারিজ করে দোষী সাব্যস্ত মহিলাকে তাঁর প্রাপ্য পারিবারিক পেনশন ও অন্যান্য প্রাপ্য অর্থ দু’মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পর্যবেক্ষণে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ বলেছে, ‘‘যে মুরগি ডিম পাড়ে, কেউই তাকে মারে না। যদি কোনও স্ত্রী তাঁর স্বামীকে খুনও করে, তা হলেও তিনি পারিবারিক পেনশন থেকে বঞ্চিত হতে পারে না। ফ্যামিলি পেনশন একটি কল্যাণমূলক প্রকল্প। কোনও সরকারি চাকরিজীবীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্যই এই প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল। তাই ভারতীয় দণ্ডবিধির কোনও মামলায় যদি দোষী সাব্যস্ত হন স্ত্রী, তা হলেও তিনি পারিবারিক পেনশন পেতে বাধ্য।’’ ১৯৭২ সালের পেনসন আইন মোতাবেক কোনও বিধবা ফের বিয়ে করলেও পারিবারিক পেনশন পাবে।
অম্বালার মহিলা বলজিত কউরের একটি আর্জির প্রেক্ষিতেই শুনানি চলছিল পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে। বলজিতের আইনজীবী জানায়, তাঁর মক্কেলের সরকারি চাকুরে স্বামী তারসেম সিংহ ২০০৮ সালে মারা যান। তার পর ২০০৯ সালে তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা দায়ের হয়। বলজিৎ ২০১১ সালে দোষী সাব্যস্ত হয়। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি হরিয়ানা সরকারের কাছে থেকে পারিবারিক পেনশনের টাকা পেয়েছিলেন। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে তা বন্ধ করে দেয় হরিয়ানা সরকার। বলজিতের তরফে হরিয়ানা সরকারের নির্দেশ খারিজ করার আর্জি জানানো হয়।
সেই আর্জির প্রেক্ষিতে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের বেঞ্চ হরিয়ানা সরকারের সংশ্লিষ্ট নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে। বলজিতকে দু’মাসের মধ্যে তাঁর বকেয়া পারিবারিক পেনশনের টাকা ও অন্যান্য প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: আনন্দবাজার
Comment