Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ১৮ ই জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪২ হিজরি | ০১লা ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ১৮ ই জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪২ হিজরি | ০১লা ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ঈসায়ী

    ভারতের দুই কুফরী হাইকোর্টের রায়: স্বামীকে খুন করলেও স্ত্রী পাবে তার পেনশন



    সরকারি চাকুরে স্বামীকে খুন করলেও স্ত্রী পারিবারিক পেনশন পাবে। একটি মামলার শুনানিতে এই রায় দিয়েছে ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট।

    শুধুই রায়ই নয়, এ ব্যাপারে হরিয়ানা সরকারের দেওয়া একটি নির্দেশ খারিজ করে দোষী সাব্যস্ত মহিলাকে তাঁর প্রাপ্য পারিবারিক পেনশন ও অন্যান্য প্রাপ্য অর্থ দু’মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    পর্যবেক্ষণে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ বলেছে, ‘‘যে মুরগি ডিম পাড়ে, কেউই তাকে মারে না। যদি কোনও স্ত্রী তাঁর স্বামীকে খুনও করে, তা হলেও তিনি পারিবারিক পেনশন থেকে বঞ্চিত হতে পারে না। ফ্যামিলি পেনশন একটি কল্যাণমূলক প্রকল্প। কোনও সরকারি চাকরিজীবীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্যই এই প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল। তাই ভারতীয় দণ্ডবিধির কোনও মামলায় যদি দোষী সাব্যস্ত হন স্ত্রী, তা হলেও তিনি পারিবারিক পেনশন পেতে বাধ্য।’’ ১৯৭২ সালের পেনসন আইন মোতাবেক কোনও বিধবা ফের বিয়ে করলেও পারিবারিক পেনশন পাবে।

    অম্বালার মহিলা বলজিত কউরের একটি আর্জির প্রেক্ষিতেই শুনানি চলছিল পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে। বলজিতের আইনজীবী জানায়, তাঁর মক্কেলের সরকারি চাকুরে স্বামী তারসেম সিংহ ২০০৮ সালে মারা যান। তার পর ২০০৯ সালে তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা দায়ের হয়। বলজিৎ ২০১১ সালে দোষী সাব্যস্ত হয়। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি হরিয়ানা সরকারের কাছে থেকে পারিবারিক পেনশনের টাকা পেয়েছিলেন। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে তা বন্ধ করে দেয় হরিয়ানা সরকার। বলজিতের তরফে হরিয়ানা সরকারের নির্দেশ খারিজ করার আর্জি জানানো হয়।

    সেই আর্জির প্রেক্ষিতে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের বেঞ্চ হরিয়ানা সরকারের সংশ্লিষ্ট নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে। বলজিতকে দু’মাসের মধ্যে তাঁর বকেয়া পারিবারিক পেনশনের টাকা ও অন্যান্য প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    সূত্র: আনন্দবাজার
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান, আটক সু চি-সহ বহু রাজনীতিক



    মায়ানমারে সেনা এবং সরকারের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। সেনারা দেশের নেত্রী তথা স্টেট কাউন্সিলর (প্রধানমন্ত্রী পদের সমান) অং সান সু চিকে আটক করেছে। আটক করা হয়েছে সে দেশের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তকেও। সোমবার ভোরে তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে কোনও এক অজ্ঞাত জায়গায় রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দেশের প্রথম সারির রাজনীতিকদের অনেকেরই হদিশ মিলছে না।

    কূটনীতিবিদদের একাংশের দাবি, সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছে সে দেশে। সেই আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে আগামী ১ বছরের জন্য দেশের দখল নেওয়ার কথা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা মিয়াওয়াদি টিভি। এর আগে, ১৯৬২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত, প্রায় পাঁচ দশক মায়ানমারে সেনা শাসন কার্যকর ছিল।

    নভেম্বরের নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই দেশের সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে টানাপড়েন চলছিল। এ দিন আচমকাই পরিস্থিতির অবনতি ঘটে বলে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)-র মুখপাত্র নমিয়ো ন্যুন্ত। সে বলেছে, ‘‘দেশের মানুষকে বলব, উত্তেজনার বশে কিছু ঘটিয়ে ফেলবেন না। আইন মেনে চলুন।’’
    সিটি হলের বাইরে মোতায়েন সেনা।

    সিটি হলের বাইরে মোতায়েন সেনা।

    যে কোনও মুহূর্তে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও ফোনে আশঙ্কা প্রকাশ করে মিয়ো। প্রথম বার ফোনে কথা বলার পর দ্বিতীয় বার আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স। ভোর থেকে রাজধানী নেইপিদ-এর সমস্ত ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন। সেখানে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সমস্যা রয়েছে ইন্টারনেটেরও। তাই এই মুহূর্তে রাজধানীতে কী পরিস্থিতি, তা জানা যাচ্ছে না। রয়টার্সের তরফে মায়ানমার সেনার মুখপাত্রের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি বলে জানা গিয়েছে।

    নভেম্বরের ওই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় এনএলডি। তার পর সোমবারই দেশের সংসদের প্রথম অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল। তার মধ্যেই এই ঘটনা। ইয়াঙ্গনে সিটি হল-সহ সর্বত্র সেনা মোতায়েন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে কোনও খবর সম্প্রচার করতে পারছে না বলে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে জানিয়েছে সে দেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এমআরটিভি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনএলডি-র এক সাংসদ ফোনে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, দলের কেন্দ্রীয় এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য হান থার মিন্তকেও আটক করা হয়েছে।

    দীর্ঘ দেড় দশক বন্দিদশা কাটিয়ে ২০১৫ সালে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে দেশের নেত্রী নির্বাচিত হয় সু চি। পরে দেশের পশ্চিমে রাখাইন প্রদেশ থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উচ্ছেদ এবং গণহত্যার কারণে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক মহলে সু চি-র ভাবমূর্তি প্রকাশিত হয়। যদিও দেশীয় রাজনীতিতে আগের মতোই জনপ্রিয়তা ছিল তাঁর। কিন্তু নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ ঘিরে সম্প্রতি আঙুল উঠতে শুরু করে তাঁর দিকে। দেশের নির্বাচন কমিশন যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু সংবিধান এবং আইন রক্ষার দায়িত্ব তাঁদের হাতেই বলে শনিবারই ঘোষণা করে সে দেশের সেনা। তার পর থেকেই অভ্যুত্থানের আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মেয়ের পরকীয়ার জেরে সংঘর্ষ: প্রাণ গেল মায়ের, বাবাসহ আহত ৭

      মেয়ের পরকীয়াজনিত কারণে সৃষ্ট সংঘর্ষে হাজেরা খাতুন (৫১) নামের এক নারী প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় মেয়ে নাগরী খাতুন, তার বাবা মুকুল প্রামাণিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন।

      শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়নের পাথাইলহাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) মামলার পর পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে।

      সাঁথিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) একরামুল হক জানান, পাথাইলহাট গ্রামের প্রামাণিক গোষ্ঠীর মুকুল প্রামাণিকের মেয়ে নাগরী খাতুনের (৩১) সঙ্গে একই গ্রামের সরদার গোষ্ঠীর ছেলে নেকবার হোসেনের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ ঘটনায় উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলে আসছিল। ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে নেকবার হোসেন তার প্রেমিকা নাগরীর ঘরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় নাগরীর মা তাকে বাধা দেন। এ নিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।

      একপর্যায়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্য বাগ্বিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সরদার গোষ্ঠীর একজনের আঘাতে মুকুল প্রামাণিকের স্ত্রী হাজেরা খাতুন গুরুতর আহত হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনার ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

      সংঘর্ষে আহতরা হলেন- নাগরী খাতুন (৩১), নাগরী খাতুনের বাবা মুকুল প্রামাণিক (৫৮), জহুরুল ইসলাম (৩০), মুরাদ হোসেন (৩৪), খালেক সরদার (৩৫), নওশাদ সরদার (৫০) ও নেকবার সরদার (৩০)। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আইমান সাদিকের ‘সশস্ত্র’ ছবি ভাইরাল, সামাজিক মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া

        আইমান সাদিক। টেন মিনিট স্কুল, সমকামীতার পক্ষাবলম্বনসহ বেশ কিছু ইস্যুতে কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে বিতর্কিত একটি নাম। আইমান সাদিকের সাথে তার সহযোগী ও বন্ধুরাও বরাবরই আলোচনায় থাকে বিতর্কিত নানা ইস্যুতে। সামাজিক মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে একটি ছবি আপলোড দিয়ে সম্প্রতি আবার বিতর্ক উস্কে দিয়েছে আইমান সাদিক।

        আইমান সাদিকের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেখা গেছে, সে তার ১৪ জন বন্ধুকে সাথে নিয়ে একটি ছবি আপলোড করেছে, যেখানে তারা সবাই ‘অস্ত্র’ হাতে নিয়ে বিভিন্ন পোজ দিয়েছে। ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই তা নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে নানা মাত্রিক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

        কেউ কেউ বলেছেন, কিছুদিন আগে একজন দাড়ি-টুপি পরিহিত মানুষ খেলনার অস্ত্র হাতে শখের বসে ছবি তুলেছিলেন। খামখেয়ালির বসে তিনি সেই ছবি সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করেন। এরপরই শুরু হয় তুলকালাম কাণ্ড। এমন ছবি আপলোড করার অপরাধে দাড়ি-টুপি পরিহিত সেই মানুষটিকে হাতকড়া, থানা, জেলের শিক পর্যন্তও দেখতে হয়েছে।

        শুধু শখের বসে খেলনার অস্ত্র হাতে ছবি তোলায় কি অপরাধ ছিল সেই দাড়ি-টুপি পরিহিত মানুষটির। সামাজিক মাধ্যমে জোরালোভাবে এমন একটি প্রশ্ন ওঠাতে দেখা গেছে নেটিজেনদের।

        একজন দাড়ি টুপি পরিহিত মানুষের যে কাজটা প্রশাসনের কাছে অপরাধ সেটাই আইমান সাদিকরা করলে একজন যুবকের হেয়ালিপনা! দাড়ি-টুপির প্রতি কিছু মানুষের কেন এতো বিদ্বেষ- জ্বালাপোড়া- এভাবেও লিখেছেন কেউ কেউ।

        এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইন্সটাগ্রামে আইমান সাদিকের ‘সশস্ত্র’ সেই ছবি আপলোডের ২১ ঘণ্টারও অধিক পার হয়েছে; কিন্তু তা নিয়ে দায়িত্বশীলদের কারো পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। প্রশাসনের লোকজনের মাঝেও দেখা গেছে এক ধরণের নির্লিপ্তভাব।

        সময়ে সময়ে ইসলামী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বির্তক তৈরিকারী আইমান সাদিক সেকুলারপন্থী ও পশ্চিমাপ্রেমী হিসেবে পরিচিত হওয়ার কারণেই কি তবে তাদের কাছ থেকে সে পাচ্ছে সিমপ্যাথী!- সামাজিক মাধ্যমে এমন নানান প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে দেখা গেছে নেটিজেনদের।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X