Announcement

Collapse
No announcement yet.

যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ চলছে ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়ে, প্রেসিডেন্ট প্রার্থীসহ গ্রেপ্তার ৯০০

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ চলছে ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়ে, প্রেসিডেন্ট প্রার্থীসহ গ্রেপ্তার ৯০০

    যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ চলছে ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়ে, প্রেসিডেন্ট প্রার্থীসহ গ্রেপ্তার ৯০০


    যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া ফিলিস্তিনপন্থী ও ইসরায়েল বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির বিভিন্ন ক্যাম্পাসে। কমপক্ষে ৪০টি ফিলিস্তিনপন্থী প্রতিবাদ শিবির গড়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। বিক্ষোভ সামাল দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ, চাপে পড়েছে প্রশাসন। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ডাকায় এর প্রেসিডেন্ট মিনোশি শফিকের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে প্রস্তাব পাস করা হয়েছে।

    গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন বিক্ষোভ দ্রুত বেগে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন করে আরও ২০টির মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ ব্যাপক হারে ধরপাকড় চালাচ্ছে। এক দিনে আরও ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে দেশটির একজন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীও। তবে আন্দোলনকারীরা বলছেন, গ্রেপ্তার অভিযানে তারা পিছু হটবেন না। দাবি আদায়ে ত্যাগ স্বীকারে তারা প্রস্তুত। বিক্ষোভের মুখে একটি অনুষ্ঠানে পেছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে হয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে।

    বিক্ষোভকারীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোম্পানি এবং ব্যক্তিদের বয়কট করার দাবি করছেন। সিএনএন জানায়, মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থামার সামান্যতম লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

    শুক্রবার এনবিসি টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৪০টির বেশি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ক্যাম্পাসে তাঁবু তৈরি করে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অধিকাংশ বিক্ষোভই শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হচ্ছে। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ষাটের দশকের শেষের দিকে ভিয়েতনামে আমেরিকার আগ্রাসনবিরোধী ছাত্র বিক্ষোভের পর সম্ভবত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছাত্র আন্দোলন হচ্ছে এটি।

    নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, স্থানীয় সময় শনিবার চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ দমনের জন্য দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি এবং সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানে তাঁবু গেড়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। ১৮ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুরু হওয়া আন্দোলন দমনে এখন পর্যন্ত ৭০০-এর বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাদের বেশির ভাগকেই পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    প্রেসিডেন্ট প্রার্থী গ্রেপ্তার

    গ্রিন পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জিল স্টেইনকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ থেকে শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়। ক্যাম্পাসে ক্যাম্প স্থাপন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানাতে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। গ্রেপ্তারের আগে রেকর্ড করা একটি ভিডিওতে তিনি বলেছেন, তিনি ছাত্রদের সমর্থনে এবং সংবিধানে দেওয়া বাকস্বাধীনতা রক্ষার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।

    এদিকে খ্যাতনামা মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেছেন, মার্কিন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ইহুদি বিদ্বেষপ্রসূত নয়। গাজায় ধ্বংসযজ্ঞের জন্য ইসরায়েলি সরকারকে জবাবদিহিতে বাধ্য করা গুরুত্বপূর্ণ। সিএনএনকে স্যান্ডার্স বলেন, আমেরিকার অধিকাংশ জনগণ গাজায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর যুদ্ধ মেশিনের ওপর বিরক্ত। তারা ইসরায়েলে আর সাহায্য পাঠাতে চায় না।

    বাইডেনের অনুষ্ঠানস্থলে বিক্ষোভ

    প্রেসিডেন্ট বাইডেন শনিবার রাতে বার্ষিক হোয়াইট হাউস কোরেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ডিনারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখোমুখি হন। ব্যানারধারী বিক্ষোভকারীরা বার্ষিক সমাবেশের স্থান ওয়াশিংটন হিলটনের বাইরে গাজায় সাংবাদিকদের মৃত্যুর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। শত শত বিক্ষোভকারী সাংবাদিকদের ওই অনুষ্ঠান বয়কটে উৎসাহিত করতে এ আয়োজন করেন। এ অবস্থায় বাইডেন পেছনের প্রবেশদ্বার দিয়ে হোটেলে পৌঁছে বলে জানায় রয়টার্স।

    অনেকে বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ফিলিস্তিনপন্থী এই বিক্ষোভ ষাটের দশকে ভিয়েতনাম যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভের স্মৃতিকে মনে করিয়ে দিচ্ছে।যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন সময়ে নানা বিক্ষোভ হয়েছে। বর্ণবাদী বৈষম্য, বৈশ্যিক উষ্ণায়ন কিংবা বন্দুক-সহিংসতার মতো ঘটনার প্রতিবাদে মাঝেমধ্যেই ছোটখাটো বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এসব বিক্ষোভে মার্কিন প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াই দেখায়। তবে গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার কারণে ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট বিক্ষোভ যেন কর্তৃপক্ষের বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিক্ষোভ দমনে তাই তারা ‘বাকস্বাধীনতার’ বুলিকে পাশ কাটিয়েই বলপ্রয়োগ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে শুরু করছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Pro-Palestinian protests continue at colleges across the US
    https://tinyurl.com/mr2vpvm7
    2. A look at the protests about the war in Gaza that have emerged on US college campuses
    https://tinyurl.com/4yfvmyb2

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    আসসালামু আলাইকুম,, ভাইয়েরা,, মধুখালির ঘটনার উপর তথ্যবহুল নিউজ ভিডিও দিলে ভালো হয়

    Comment


    • #3


      [26] قَد مَكَرَ الَّذينَ مِن قَبلِهِم فَأَتَى اللَّهُ بُنيٰنَهُم مِنَ القَواعِدِ فَخَرَّ عَلَيهِمُ السَّقفُ مِن فَوقِهِم وَأَتىٰهُمُ العَذابُ مِن حَيثُ لا يَشعُرونَ

      [26] নিশ্চয় চক্রান্ত করেছে তাদের পূর্ববর্তীরা, অতঃপর আল্লাহ তাদের চক্রান্তের ইমারতের ভিত্তিমূলে আঘাত করেছিলেন। এরপর উপর থেকে তাদের মাথায় ছাদ ধ্বসে পড়ে গেছে এবং তাদের উপর আযাব এসেছে যেখান থেকে তাদের ধারণা ছিল না।
      পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

      Comment


      • #4
        আল্লাহ্‌ তাআলা আমেরিকাকে হয়তো ইসলামের ভূমি হিসেবে কবুল করুন, নয়তো সমূলে ধ্বংস করুন, আমীন

        Comment


        • #5
          বার্নি স্যান্ডার্স নিজেও তো কম খারাপ না। তারও বিভিন্ন ইসলাম বিরোধী কাজের নজির আছে।

          Comment

          Working...
          X