Announcement

Collapse
No announcement yet.

মোদীর ভারতে মুসলিমরা নিজভূমে পরবাসী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মোদীর ভারতে মুসলিমরা নিজভূমে পরবাসী

    মোদীর ভারতে মুসলিমরা নিজভূমে পরবাসী




    মনে নানা উদ্বেগ নিয়ে সালাম এখন শুধু অফিস ও বাসায় যাওয়া-আসা করেন। ভারতে বসবাসকারী একজন মুসলিম হিসেবে জনাব সালাম ও তার স্ত্রী উজমা তাদের মেয়েদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। কেননা হিন্দুত্ববাদের উগ্র অভ্যুত্থানের কবলে ভারতে মুসলিমরা নানা সমস্যার মধ্যে রয়েছে। আবাসন ও বাসা বদলানোর ক্ষেত্রে আবাসন এজেন্টরা আগে জানতে চান ওই পরিবার মুসলিম কিনা; মুসলিম হলে ভাড়া দিতে অনাগ্রহ দেখায়।

    শনিবার দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। স্ত্রী উজমা আউসাফ আর চার কন্যাকে নিয়ে দিল্লির উপকণ্ঠে থাকা সাংবাদিক জিয়া উস সালাম বলেন, ‘এটা এখন নির্জীব এক জীবন। সালাম বহুত্ববাদী ভারতে সবার সহাবস্থানের বিষয়টি স্মরণ করেন। তিনি দেশটির অভ্যন্তরে বিভেদ আর বাড়াতে দেখতে চান না। ‘ভারতে এমন বিভেদের খেলা ক্ষণস্থায়ী’– এমনটা মনে করেই সালাম নিজেকে সান্ত্বনা দেন।

    তবে ভারতের হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তার দল বিজেপি ও অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলো হিন্দু-মুসলিম ইস্যু নিয়ে লম্বা খেলায় ব্যস্ত। দীর্ঘ সময় ধরে চলা প্রান্তিক পর্যায়ের হিন্দু জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে মূলধারায় এনে তার সাথে উন্নয়নের দোহাই যুক্ত করে দিয়ে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে মোদী। তখন থেকে সে ভারতের হিন্দুত্ববাদী চেহারা ও কথিত গণতন্ত্রের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ধীরে ধীরে মুসলিমবিদ্বেষ উগড়ে দিতে থাকে, সমাজে মুসলিমদের কোণঠাসা ও দুর্বল করতে থাকে। এতকাল কথিত ধর্মনিরপেক্ষতা ও বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশের তকমা পেয়ে আসা দেশটির সাম্প্রদায়িক রূপ ও জাতিগত বিদ্বেষের প্রকৃত রূপ সামনে নিয়ে আসে সে।

    মোদী ক্ষমতায় আসার পর তাকে সামনে রেখে ডানপন্থি সংগঠনগুলো ভারতের সমাজকে পাল্টাতে শক্তি প্রদর্শন শুরু করে। তারা সাম্প্রদায়িক সংঘাতে উস্কানি দিতে থাকে, যা সরকার দেখেও না দেখার ভান করেছে। এসব ঘটনায় মুসলিমদের বাড়িঘর ভেঙে দেয় কর্মকর্তারা; আবার ধরে নিয়ে যায় মুসলিমদেরকেই। গরুর মাংস পাচারের অভিযোগ তুলে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন শুরু করে সহিংস গ্রুপগুলো। মোদির দলের শীর্ষ নেতারাও সমাদৃত হিন্দু, যারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অপরাধ সংঘটন করে যাচ্ছে।

    ভারতের প্রচারমাধ্যমে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মান্ধতা যাচাই করা হয় না। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ষড়যন্ত্র তথ্য সম্প্রচার করা হয়। এতে বলা হয়, মুসলিম যুবকরা হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তরিত হতে প্রলুব্ধ করছেন। মোদী ও তার দল অবশ্য এসব বৈষম্যকরণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে যে, তারা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করছে, যা প্রত্যেক ভারতীয়কে সমান চোখে দেখে। তবে নির্বাচনের প্রচারণায় গিয়ে খোদ মোদীই বারবার মুসলিমবিরোধী নানা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে, লাগাতার। সে ভারতের ২০ কোটির অধিক মুসলিমকে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে সরাসরি আক্রমণ করছে এখন; তাদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে মন্তব্য করেছে সে।

    তথ্যসূত্র:
    1. Strangers in Their Own Land: Being Muslim in a Hindu-First India
    https://tinyurl.com/4t23jrth


    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    আল্লাহ ভারতীয় মুসলিমদেরকে হেফাযত করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      আমরা সাধ্যমত ভারতের মুসলিমদের সাহায্য করতে পারি। যেমন- হিন্দুদের পণ্যগুলোকে বয়কট করতে পারি। আর কিছুদিন পূর্বে ফরিদপুরে যা হয়েছে তার প্রতিশোধ নেওয়া খুবই জরুরি। তা না হলে আমাদের মান-ইজ্জত এবং স্বাধীনতা আর কিছুই বাকি থাকবে না।
      Last edited by Munshi Abdur Rahman; 05-22-2024, 06:35 PM.

      Comment


      • #4
        Originally posted by আবু যুবাইর View Post
        আল্লাহ ভারতীয় মুসলিমদেরকে হেফাযত করুন। আমীন
        আমীন ইয়া রব্বাল আলামিন

        আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদেরকেও সকল নির্যাতিত ভাইবোনদের সাহায্যার্থে এগিয়ে যাওয়ার তাওফিক দিন, আমীন

        Comment


        • #5
          Originally posted by Hamjah Ibn Abdul Muttalib View Post
          আমরা সাধ্যমত ভারতের মুসলিমদের সাহায্য করতে পারি। যেমন- হিন্দুদের পণ্যগুলোকে বয়কট করতে পারি। আর কিছুদিন পূর্বে ফরিদপুরে যা হয়েছে তার প্রতিশোধ নেওয়া খুবই জরুরি। তা না হলে আমাদের মান-ইজ্জত এবং স্বাধীনতা আর কিছুই বাকি থাকবে না।
          এক হাজার বছর মুসলমান দাবিদার মানুষরা ভারত শাসন করেছে। দ্বীনী শিক্ষা থাকার পরও নিজের আকলকে প্রাধান্য দিয়েছে। অমুসলমান সম্‌প্রদায়ের লোকজনের কাউকে কাউকে রাষ্ট্র ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল । মুসলমানদের উপর কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছিল। কাউকে সেনাধ্যাক্ষ পদ দেয়া হয়েছিল। ইসলামের বিঁধান অবমাননা করা হয়।

          কাফেরের ঘরের ধোঁয়া দেখা যাবে না এমন দূরত্ব বাড়ি বানানো মুসলমান আল্লাহর হুকুম জেনে জরুরী মনে না করা পর্যন্ত মুসলমানদের তরবিয়তি ব্যাবস্থা চলতে থাকবে আশা রাখা যায়।

          উম্মাতের পদস্খলন কখনো এমন পর্যায়ে পৌছায় যা থেকে উত্তরণ অসম্ভব হয়ে দাড়ায় । অতীতে পর্যায়ে মহাপরাক্রমশিল আল্লাহ নতুন জাতি সৃষ্ঠি করেন। এ উম্মাতের জন্যে অন্য জাতিকে দিন নিয়ে এগিয়ে যাবার সুযোগ দিয়েছেন। আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষি নন- আমরা প্রত্যেকে প্রতিটা মুহূর্তে সব কিছুর জন্যেই তাঁর মুখাপেক্ষি ।​
          Last edited by Munshi Abdur Rahman; 05-24-2024, 10:49 AM.
          আস্তাগফিরুল্লাহ

          Comment


          • #6
            দেশিয় কুফরি আইনকে শ্রদ্ধা করা, এবং মান্য করা এটা তো এক মহা বিপর্যয়ের বিষয়। আমাদের দেশেও অনেক আলিম আছেন, যারা রাষ্ট্রের আইনকে মান্য করা ফরজ বলেন। দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্র অনবরত জুলুমের আইন করে রেখেছে( যেমন: কর/ টেক্সের আইন) তার ব্যাপারে কোন উচ্চবাচ্য নেই বললেই চলে। আল্লাহ, আপনি মুসলিমদের সাহায্য করুন আমিন। শরিয়কে বাদ দিয়ে নিজেদের পঁচা মস্তিষ্ক নির্গত দুর্গন্ধযুক্ত আইন দিয়ে রাষ্ট্র চালাচ্ছে, আর আলিমরা তাকে মেনে নিরব হয়ে আছেন। এ বিষয়টি আমাকে খুবি ব্যাথিত করে।
            Last edited by Munshi Abdur Rahman; 05-26-2024, 10:00 AM.

            Comment

            Working...
            X