প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর ভেঙে পড়ল বৃদ্ধার উপর, গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি
দুর্যোগ সহনীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার নির্মাণাধীন ঘরের দেয়াল ধসে চাপা পড়ে আহত হয়েছেন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের আশি বছরের বৃদ্ধা। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
গত শনিবার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী ৭নং ওয়ার্ডের মধ্য চুকাইবাড়ী রামপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, ষাটোর্ধ্ব মমতাজ বেগম অসহায় বৃদ্ধ নারী। তার নামে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষে দুর্যোগ সহনীয় একটি পাকা বাড়ি বরাদ্দ হয়। বাড়িতে নির্মাণ কাজ চলছিল। দুপুরে নির্মাণাধীন ঘরের দেয়াল ধসে পড়ে। এ সময় মমতাজ বেগম ও তার নাতি রাসেল (২৬) দেয়াল চাপা পড়ে। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করেন। পরে মমতা বেগমকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মমতাজ বেগম বলেন, সরকার আমারে একটি ঘর দিছে। সে ঘর আমার ওপর ভেঙে পড়ল।
ঘর নির্মাণ মিস্ত্রী এরশাদ জানান, ৬ বস্তা বালুর সঙ্গে ১ বস্তা সিমেন্ট দিয়ে কাজ করা হয়েছে।
বৃদ্ধার জামাই আমির উদ্দিন বলেন, মাটি বালুর সঙ্গে কম সিমেন্ট দিয়ে কাজ করায় দেয়াল ভেঙে পড়েছে।
দেওয়ানগঞ্জ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাফিজ জানান, ভর্তিকৃত বৃদ্ধার কোমর নাড়াতে পারছেন না। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ পাঠানো হতে পারে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হাসান এ বিষয়ে জানান, উপজেলায় ১৭২টি দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ কাজ চলছে। ঘরগুলো দৈর্ঘ্য ১৯ ফুট ও প্রস্ত ৯ ফুট। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রতি ঘর ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
এদিকে, বরগুনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া দুর্যোগ সহনশীল ঘরের দেয়াল নির্মাণের কয়েক ঘণ্টা পরই ভেঙে পড়েছে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার সকালে তালতলী উপজেলার করইবাড়ীয়া ইউনিয়নের বেহেলা গ্রামে। উর্মিলা (৭০) মৃত রাজেস্বরের স্ত্রী। জানা যায়, উর্মিলা ভূমিহীন ও গৃহহীন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের একটি পাকা ঘর পেয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে চলছে সেই ঘর নির্মাণের কাজ।
কিন্তু কাজ শেষ হতে না হতেই কারিগরি ত্রুটির কারণে বুধবার সকালে ভেঙে পড়েছে সেই ঘরের একটি দেয়ালের কিছু অংশ। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, রাজমিস্ত্রিদের অবহেলার কারণে ও তড়িঘড়ি করে দেয়াল নির্মাণ করতে গিয়ে এমনটি হয়েছে। মিস্ত্রিরা মাটির গভীরে না গিয়ে হালকা মাটির উপর দেয়াল করতে গিয়ে মাটি সরে গিয়ে দেয়াল ভেঙে পড়েছে।
স্বামী পরিত্যক্তা উর্মিলা রাণী প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় একটি ঘর উপহার পান। যা গত ২৩ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করে। ওই নারীর ঘর নির্মাণের সময় দুই দুইবার দেয়াল ধসে পড়ে। সর্বশেষ গতকাল বুধবার সকালে দেয়াল ভেঙে পড়ে অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি।
গৃহ নির্মাণে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করে ও সিমেন্ট কম দিয়ে মিস্ত্রিরা কোনোরকমে ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন। এ জন্যই বার বার দেয়াল ভেঙে পড়ছে। নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে গৃহ তৈরি করায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তারা সরকারের কাছে টেকসই মজবুত ঘর নির্মাণের জন্য দাবি জানান।
স্বামী পরিত্যক্তা উর্মিলা রাণী বলেন, জীবন দশায় এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটি ঘর উপহার দিয়েছে। তাও আবার নির্মাণের পূর্বেই দুইবার ঘরের দেয়াল ভেঙে পড়ছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ ঘর নির্মাণ শেষে যদি ভেঙে আমার গায়ের ওপর পড়ে ও ঘরের মধ্যে যদি আমার জীবন চলে যায় তাহলে সেই ঘরের আমার কোনো দরকার নাই। রড, ইট, বালিসহ নির্মাণসামগ্রী গাড়িতে করে আনা-নেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে আমার ৯ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। যা আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
তালতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রুনু বেগম মুঠোফোনে বলেন, এ উপজেলার প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় নির্মিত গৃহগুলোর কোনো তদারকি আমি করিনি। ইউএনও স্যার জনৈক ঠিকাদারের মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ করিয়েছেন এবং আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেই কাজের তদারকি করেন। আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মফিজুল ইসলাম তালতলী উপজেলায় গৃহ নির্মাণ ও তদারকির কথা অস্বীকার করেন।
দুর্যোগ সহনীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার নির্মাণাধীন ঘরের দেয়াল ধসে চাপা পড়ে আহত হয়েছেন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের আশি বছরের বৃদ্ধা। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
গত শনিবার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী ৭নং ওয়ার্ডের মধ্য চুকাইবাড়ী রামপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, ষাটোর্ধ্ব মমতাজ বেগম অসহায় বৃদ্ধ নারী। তার নামে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষে দুর্যোগ সহনীয় একটি পাকা বাড়ি বরাদ্দ হয়। বাড়িতে নির্মাণ কাজ চলছিল। দুপুরে নির্মাণাধীন ঘরের দেয়াল ধসে পড়ে। এ সময় মমতাজ বেগম ও তার নাতি রাসেল (২৬) দেয়াল চাপা পড়ে। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করেন। পরে মমতা বেগমকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মমতাজ বেগম বলেন, সরকার আমারে একটি ঘর দিছে। সে ঘর আমার ওপর ভেঙে পড়ল।
ঘর নির্মাণ মিস্ত্রী এরশাদ জানান, ৬ বস্তা বালুর সঙ্গে ১ বস্তা সিমেন্ট দিয়ে কাজ করা হয়েছে।
বৃদ্ধার জামাই আমির উদ্দিন বলেন, মাটি বালুর সঙ্গে কম সিমেন্ট দিয়ে কাজ করায় দেয়াল ভেঙে পড়েছে।
দেওয়ানগঞ্জ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাফিজ জানান, ভর্তিকৃত বৃদ্ধার কোমর নাড়াতে পারছেন না। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ পাঠানো হতে পারে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হাসান এ বিষয়ে জানান, উপজেলায় ১৭২টি দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ কাজ চলছে। ঘরগুলো দৈর্ঘ্য ১৯ ফুট ও প্রস্ত ৯ ফুট। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রতি ঘর ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
এদিকে, বরগুনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া দুর্যোগ সহনশীল ঘরের দেয়াল নির্মাণের কয়েক ঘণ্টা পরই ভেঙে পড়েছে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার সকালে তালতলী উপজেলার করইবাড়ীয়া ইউনিয়নের বেহেলা গ্রামে। উর্মিলা (৭০) মৃত রাজেস্বরের স্ত্রী। জানা যায়, উর্মিলা ভূমিহীন ও গৃহহীন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের একটি পাকা ঘর পেয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে চলছে সেই ঘর নির্মাণের কাজ।
কিন্তু কাজ শেষ হতে না হতেই কারিগরি ত্রুটির কারণে বুধবার সকালে ভেঙে পড়েছে সেই ঘরের একটি দেয়ালের কিছু অংশ। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, রাজমিস্ত্রিদের অবহেলার কারণে ও তড়িঘড়ি করে দেয়াল নির্মাণ করতে গিয়ে এমনটি হয়েছে। মিস্ত্রিরা মাটির গভীরে না গিয়ে হালকা মাটির উপর দেয়াল করতে গিয়ে মাটি সরে গিয়ে দেয়াল ভেঙে পড়েছে।
স্বামী পরিত্যক্তা উর্মিলা রাণী প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় একটি ঘর উপহার পান। যা গত ২৩ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করে। ওই নারীর ঘর নির্মাণের সময় দুই দুইবার দেয়াল ধসে পড়ে। সর্বশেষ গতকাল বুধবার সকালে দেয়াল ভেঙে পড়ে অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি।
গৃহ নির্মাণে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করে ও সিমেন্ট কম দিয়ে মিস্ত্রিরা কোনোরকমে ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন। এ জন্যই বার বার দেয়াল ভেঙে পড়ছে। নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে গৃহ তৈরি করায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তারা সরকারের কাছে টেকসই মজবুত ঘর নির্মাণের জন্য দাবি জানান।
স্বামী পরিত্যক্তা উর্মিলা রাণী বলেন, জীবন দশায় এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটি ঘর উপহার দিয়েছে। তাও আবার নির্মাণের পূর্বেই দুইবার ঘরের দেয়াল ভেঙে পড়ছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ ঘর নির্মাণ শেষে যদি ভেঙে আমার গায়ের ওপর পড়ে ও ঘরের মধ্যে যদি আমার জীবন চলে যায় তাহলে সেই ঘরের আমার কোনো দরকার নাই। রড, ইট, বালিসহ নির্মাণসামগ্রী গাড়িতে করে আনা-নেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে আমার ৯ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। যা আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
তালতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রুনু বেগম মুঠোফোনে বলেন, এ উপজেলার প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় নির্মিত গৃহগুলোর কোনো তদারকি আমি করিনি। ইউএনও স্যার জনৈক ঠিকাদারের মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ করিয়েছেন এবং আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেই কাজের তদারকি করেন। আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মফিজুল ইসলাম তালতলী উপজেলায় গৃহ নির্মাণ ও তদারকির কথা অস্বীকার করেন।
Comment