Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ৩০ শে জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪২ হিজরি | ১৩ই ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ৩০ শে জুমাদাল আখিরাহ, ১৪৪২ হিজরি | ১৩ই ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ঈসায়ী

    মসজিদ-মাদরাসা ভেঙে শপিংমল করার ঘোষণা; আলেমদের প্রতিবাদ সমাবেশ

    মসজিদ ভেঙে শপিং মল ও মাদরাসা উচ্ছেদ করে পার্ক করার অভিযোগ এনে মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ ওলামা পরিষদ।

    শুক্রবার জুমার নামাজের পর শহরের চাষাড়া এলাকার বাগে জান্নাত মসজিদের সামনে কয়েক হাজার মুসল্লি ও শত শত আলেম-ওলামা এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

    মুসল্লিদের অভিযোগ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আইভী প্রায় অর্ধশত বছরের প্রাচীন বাগে জান্নাত মসজিদ ও মাদরাসা ভেঙে ফেলতে চিঠি দিয়েছে।

    এদিকে সমাবেশ থেকে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ওলামা পরিষদের প্রায় অর্ধশত ওলামা।

    তারা এ সময় শহরের কয়েকটি মসজিদ ও মাদরাসা দখল ও ভাঙার প্রতিবাদ জানিয়ে মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি ফেরদাউসুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদানীনগর মাদরাসা মোহতামিম ও নারায়ণগঞ্জ হেফাজত ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মুফতি বশীরউল্লাহ।

    সমাবেশে মুফতি বশীরউল্লাহ বলেন, ফতুল্লার মাসদাইর সিটি কবরস্থানের বহু পুরানো একটি মাদরাসা ২ বছর আগেই মেয়র আইভী উচ্ছেদ করে দিয়েছে। কিন্তু কথা দিয়েও সেই মাদরাসা আজও করে দেওয়া হয়নি। শহরের বাগে জান্নাত মসজিদ সংলগ্ন মাদরাসা উচ্ছেদে চিঠি দিয়েছে। এমনকি মেয়র আইভী নিজে এসেই মাদরাসাটি উচ্ছেদে কঠোর ভাষায় তাগিদ দিয়েছে। সে মসিজদটি ভেঙে সেখানে বহুতল শপিং কমপ্লেক্স ও মাদরাসা ভেঙে পার্ক করতে চাচ্ছে। অথচ সে পাশের রামকৃষ্ণ মিশনে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা দিয়ে প্রধান ফটক বানিয়ে দিচ্ছে, মাজারের জন্য সিটি কর্পোরেশনের জায়গা ছেড়ে দিচ্ছে। মেয়র আইভীর এসব দ্বৈত নীতি আমাদের হৃদয়ে রক্তরক্ষণ করছে।

    এ সময় উপস্থিত ওলামারা ফতোয়া চাইলে মুফতি বশীরউল্লাহ বলেন, কিতাবের পরিস্কার নির্দেশনা মতে একজন মুসলমান হয়ে মেয়র আইভী মন্দিরে গিয়ে সিদুর এটে প্রতীমার সামনে করোজোরে নমস্কার করে ও মাজারে কপাল ঠেকিয়ে শিরিক করেছেন, ইসলামের বিধান ভঙ্গ করেছেন। তাই মেয়র আইভী এখন মুসলমানের কাতারে নেই, সে একজন মুশরিকের কাজ করেছে। সে মুসলমান হিসেবে নিজেকে দাবি করতে পারে না। তার উচিত আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে পুনরায় কালেমা পাঠ করা অথবা ঘোষণা দিতে হবে তিনি কোন ধর্মে থাকবে’।

    এদিকে সমাবেশের আগে জুমার নামাজের পর ওই মসজিদের অভ্যন্তরেও এই ইস্যুত ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুসল্লিরা।

    সেখানে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রয়োজনে কাউন্সিলর পদ থেকে পদত্যাগ করব, বুকের তাঁজা রক্ত ঢেলে দেব। কিন্তু মসজিদ মাদরাসা ভেঙে শপিং মল আর পার্ক করতে দেব না। আল্লাহর ঘর মসজিদ আর পবিত্র কোরআন হাদিস যেখানে পড়ানো হয় সেই মাদরাসার প্রশ্নে আমরা ছাড় দেব না।

    মসজিদ কমিটির সদস্য ও মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু বলেন, ছোট বেলায় দেখেছি এখানে টিনের ঘরে নামাজ হতো। সম্পূর্ণ মুসল্লিদের অনুদানে সেই মসজিদ এখন ৩ তলা। সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এখানে মসজিদ ভেঙে শপিং মল আর মাদরাসা ভেঙে পার্ক করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এই উদ্যোগ কখনোই বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। মসজিদের উন্নয়ণ করতে চাইলে উপরে পিলার দিয়ে করেন, কিন্তু শপিং মল করে দোকান বাণিজ্য করবে সেটা হবে না।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কঠিন দুর্ভিক্ষের মুখে ইয়েমেনের বাসিন্দারা

    যুদ্ধকবলিত ইয়েমেনের নারী ও শিশুরা খাদ্য ও চিকিৎসা সংকট এবং তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে৷

    চলতি বছর দেশটিতে ১-৫ বছরের অর্ধেক শিশু খাদ্যাভাবের কারণে অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভুগবে। চলমান যুদ্ধে মানবিক সহায়তার অভাবে কয়েক লাখ মানুষ মারা যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের সংস্থাগুলি।

    এছাড়াও দশ লাখেরও বেশি গর্ভবতী নারী ২০২১ সালে তীব্র অপুষ্টি ও খাদ্য সংকটে ভুগবে৷ আরবী আ’লাম টিভি নেট আজ (শনিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়৷

    সম্প্রতি ইয়েমেনে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তাদের পশ্চিমা মিত্রদের দ্বারা গঠিত জোট এবং হুথি বিদ্রোহীদের মাঝে চলমান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকট ও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে৷ জাতিসংঘের মতে, যুদ্ধের শুরু থেকে নিয়ে এপর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত ও গৃহচ্যুত হয়েছে কয়েক লাখেরও বেশি৷ চরম আর্থিক সংকটের কারণে ইয়েমেনবাসী দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে৷

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক প্রতিবেদনে সতর্ক করে জানিয়েছে, প্রায় তিন লক্ষ ইয়েমেনি শিশু তীব্র খাদ্যাভাব ও অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভুগবে৷

    জাতিসংঘের চারটি সংস্থা সতর্ক করে দিয়েছে যে, যদি ইয়েমেনের চলমান সহিংসতা নিরসনে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা না হয়, তবে চলতি বছর ইয়েমেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ও করোনার প্রাদুর্ভাবজনিত শহরগুলোতে ৫ বছরের কম বয়সী অর্ধেকের মতো শিশু খাদ্যসংকটে ভুগবে। মারা যেতে পারে চার লক্ষ শিশু৷

    আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি তাদের প্রতিবেদনে জানায়, গত বছর ইয়েমেনে ৫ বছরের কম বয়সের শিশুদের মধ্যে তীব্র অপুষ্টির হার বৃদ্ধি পেয়েছে ২২ শতাংশ৷ তবে আদন, হাদিদা, তাইজ এবং সানা’ হলো ইয়েমেনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চল।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও হুথি বিদ্রোহীদের লুটপাট ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ফলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে সেখানে পৌঁছতে পারছে না৷ ফলে নারী শিশু ও বৃদ্ধসহ হাজার হাজার মানুষ চরম খাদ্য ও চিকিৎসা সংকটে ভুগছে৷

    সূত্র: মাশহাদুল আরব, এবং আ’লাম টিভি নেট
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতে সরকার বিরোধী নিউজ করায় গণমাধ্যম কার্যালয়ে তল্লাশি

      ভারতে চলমান কৃষক আন্দোলন নিয়ে খবর প্রকাশ করে সরকারের তোপের মুখে পড়েছে ‘নিউজক্লিক’ নামের একটি গণমাধ্যম। আন্দোলন নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করায় গত মঙ্গল ও বুধবার দিল্লিতে গণমাধ্যমটির কার্যালয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে।

      ভারতের ‘এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট’ এই অভিযান চালায়। সরকারের এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।

      গত দুই দিনে দক্ষিণ দিল্লিতে নিউজক্লিকের দপ্তরে তল্লাশি ছাড়াও এর প্রধান সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। ভারতের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নিউজক্লিকের টাকাপয়সা কোথা থেকে আসে, তার খোঁজখবর করতেই এই তল্লাশি চালানো হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়েছেন একাধিক সাংবাদিক, সমাজকর্মী।

      এ নিয়ে সিপিজের এশিয়াবিষয়ক প্রধান গবেষক আলিয়া ইফতিখার বলেন, নিউজক্লিকের দপ্তরে এবং প্রবীর পুরকায়স্থের বাড়িতে তল্লাশি করা হয়েছে মূলত ভয় দেখানোর জন্য। সরকারের কাজকর্মের সমালোচনা করে এমন সংবাদমাধ্যমের ওপর এই ঘটনার সাংঘাতিক প্রভাব পড়বে।

      ভারতের সংবাদমাধ্যমের ওপরে লাগাতার হস্তক্ষেপকে মূলস্রোতের সংবাদমাধ্যম এখনো বড় ইস্যু করে তোলেনি। বিশিষ্ট সাংবাদিক পি সাইনাথ বলেছে, ‘ভারতের ইতিহাসের একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে আমরা চলেছি। নিউজক্লিক সেই ইতিহাসকে লিপিবদ্ধ করছে, ইতিহাসকে তার চেহারাও দিচ্ছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, ইতিহাসের সঠিক দিকে এই মুহূর্তে রয়েছে নিউজক্লিক। তিনি বলেন, ভারতে এখন একটা প্রাতিষ্ঠানিক জরুরি অবস্থা চলছে, এমনটা বলা যেতে পারে। প্রবীর পুরকায়স্থ ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সময় জেলে ছিলেন, তাই তিনি ভালোভাবে জানে ভারতে এখন কী ঘটছে।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী : অপরাজেয় শক্তি নয় কাগুজে বাঘ

        বিগত কয়েক দশকে ভারতের কৌশলগত অবস্থান নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। সাধারণভাবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সাথে লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকলেও, বর্তমানে ভারত চিন্তিত চীনের সামরিক বাহিনীর বিপুল গতিতে বিস্ময়কর আধুনিকায়নে।

        দুর্বল অক্ষম বিমান বাহিনী, গত শতকের সামরিক কলাকৌশলেই আবদ্ধ থাকা সেনাবাহিনী এবং কাগজে-কলমে উন্নত কিন্তু চীনা নৌবাহিনীর তুলনায় যোজন দূরে পিছিয়ে থাকা নৌবাহিনী নিয়ে ভারত শেষ পর্যন্ত তার ঘাটতি উপলব্ধি করছে।

        গত বছরে লাদাখে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের পর ভারত এই ঘাটতিগুলো শনাক্ত ও নিজস্ব সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়।

        উত্তরে কারাকোরাম পর্বতমালা ও দক্ষিণে জংস্কর পর্বতমালার মাঝে ভারত নিয়ন্ত্রিত লাদাখের অবস্থান। এর পশ্চিমে পাকিস্তানের সাথে এবং পূর্বে চীনের সাথে ভারতের সীমান্ত রয়েছে। শুষ্ক ও রূক্ষ ভূখণ্ড হওয়ার পরেও বহু শতাব্দীর প্রাচীন রেশম সড়কের অংশ ছিল এই অঞ্চল। প্রাচীন বাণিজ্যে নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য এই ভূমির দখল নিতে লড়াই করেছে ইরানি, তিব্বতি ও রুশসহ বিভিন্ন সাম্রাজ্য।

        ভারত, চীন ও পাকিস্তান, তিনপক্ষেরই গুরুত্বপূর্ণ এই ভূখণ্ডে রয়েছে বাণিজ্যিক ও কৌশলগত স্বার্থ। লাদাখের সাথে আবার রয়েছে ভারত দখলকৃত কাশ্মির ভূখণ্ডের সীমান্ত। একসময় একত্রে স্বায়ত্বশাসনের অধীনে থাকলেও ২০১৯ সালে ভারতীয় সংবিধানের পরিবর্তন করে অঞ্চলটির স্বায়ত্বশাসন কেড়ে নেয়া হয়। সাথে সাথে জম্মু ও কাশ্মিরের থেকে লাদাখকে বিচ্ছিন্ন করে দুই ভূখণ্ডকে আলাদাভাবে সরাসরি কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে নিয়ে আসা হয়।

        ভারতের সাথে প্রতিবেশী দুই দেশের সংঘর্ষের অন্যতম কেন্দ্র লাদাখ ভূখণ্ড। চীনের সাথে ভারতের সাম্প্রতিক উত্তেজনায় লাদাখ পরিণত হয়েছে সংঘর্ষের কেন্দ্রভূমি হিসেবে।

        গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলে যেকোনো সংঘর্ষে ভারত বিভিন্ন দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও তার রয়েছে বিপুলতর ঘাটতি।

        দুর্বল বিমান বাহিনী

        আমলাতন্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ ব্যবস্থাপনা, সংকুচিত হয়ে আসা প্রতিরক্ষা বাজেটে ভাগ নিয়ে বাহিনীগুলোর বিতর্ক এবং সরকারের পাকিস্তান ও চীনকে কেন্দ্র করে বারবার কৌশলের পরিবর্তনের ফলে সামরিক বাহিনী দ্বিধাগ্রস্ত।

        প্রতিরক্ষা বাজেটের বেশিরভাগ অংশ ঐতিহ্যগতভাবেই সেনাবাহিনীর হাতে যাওয়ায় ভারতীয় বিমান বাহিনী বিভিন্ন দিক থেকেই প্রচণ্ড দুর্বলতা ও অক্ষমতায় মারাত্মকভাবে ভুগছে। পূর্ণ শক্তি নিয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনী ৪২ স্কোয়াড্রন বিমান পরিচালনা করতে পারলেও বর্তমানে কার্যকর আছে ৩১টি স্কোয়াড্রন।

        পুরনো মিগ-২১ বিমান নিয়েই এখনো চলছে ভারতের বিমান বাহিনীর কার্যক্রম । ২০১৯ সালে কাশ্মিরে উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সহজেই ভারতীয় মিগ-২১ কে ধ্বংস করে। ওই সময় বিমানটির ভারতীয় পাইলটকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানি টেলিভিশনে দেখানো হয়। এই ঘটনা ভারতকে চরম লজ্জার মুখে ফেলে দেয়।

        এছাড়াও ভারতীয় বিমান বাহিনী আরো বিভিন্ন দিক থেকে এখনো পিছিয়ে আছে।

        পুরনো যুদ্ধকৌশলে আবদ্ধ সেনাবাহিনী

        নিজস্ব প্রযুক্তিতে ট্যাঙ্ক তৈরির প্রকল্প ‘অর্জন’ চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিন দশকের আমলাতান্ত্রিক জটিলতাপূর্ণ ও ব্যয়বহুল প্রকল্পের যে ফলাফল এসেছে, তাতে ব্যবহারের অনুপযোগী ও যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত এই ট্যাঙ্কগুলো সেনাবাহিনীকে সুবিধা দেয়ার বদলে বদলে তা বোঝায় পরিণত হয়েছে।

        ট্যাঙ্ক মোতায়েনের পুরনো কৌশলে যুদ্ধে অভ্যস্ত ভারতীয় সেনাবাহিনীর নীতি নির্ধারকরা বর্তমানে যুদ্ধের কৌশল উপলব্ধি করতে যথেষ্ট বিলম্ব করেছেন। মাত্র কিছুদিন আগে আন্তঃবাহিনীর যৌথ অভিযানের কৌশল তারা রপ্ত করেছেন এবং বিশেষ বাহিনী ও দুরপাল্লার নিঁখুত নিশানার অস্ত্রের ওপর তারা জোর দিয়েছেন।

        তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী এখনো এই কৌশলকে আত্মস্থ করতে পারেনি।

        ভারত এখনো তাদের সেনাবাহিনীর কোল্ড স্টার্ট নীতিমালার আকস্মিক আক্রমণের কৌশল মাথায় রেখেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সাজিয়ে রেখেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই কৌশলের আওতায় যেকোনো হামলার মোকাবেলায় সাঁজোয়া যানের বিশাল বহর নিয়ে দেশটির মাঝে ঢুকে পড়ে সম্পূর্ণ দুই ভাগ করে ফেলার পরিকল্পনা রাখা হয়েছে। কিন্তু চীনের ক্ষেত্রে এই কৌশল হবে সম্পূর্ণ অকার্যকর।

        কেননা চীনের সাথে পাহাড়ি সীমান্তে ট্যাঙ্কের গতি সমান থাকবে না। তাছাড়া চীনের পাহাড়ি অঞ্চলে লড়াইয়ে প্রশিক্ষিত এবং নিঁখুত নিশানার অস্ত্র ও ভ্রাম্যমাণ কামানধারী সেনাবাহিনীর সাথে সাথে উন্নততর বিমান বাহিনীর মোকাবেলা করে বেশি দূর এগুতে পারবে না ভারতীয় ট্যাঙ্ক।

        রাশিয়ার সাথে ২০১৮ সালে পাঁচ দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলারের পাঁচ স্কোয়াড্রন এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা মিসাইল ব্যবস্থা পাওয়ার চুক্তি স্বাক্ষরের পর ইসরাইলের কাছ থেকে ড্রোন প্রযুক্তি নিয়েছে ভারত। ইতোমধ্যে ৯০টি ইসরাইলি হ্যারোন ড্রোন ভারতের সেনাবাহিনীর হাতে এসেছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এমকিউ-৯ রিপার আর্মার্ড ড্রোন পাওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

        পাহাড়চূড়ায় সামরিক সরবরাহ

        বছরের পর বছর চীন ও ভারত সীমান্তের দুই পাশে যোগাযোগের জন্য সড়ক ও সেতুর উন্নতি করছে, যাতে জরুরি প্রয়োজনের সেনাবাহিনীর কাছে সরবরাহ সম্ভব হয়। এই ক্ষেত্রে চীন ভারতের চেয়ে এগিয়ে আছে। সীমান্ত পর্যন্ত উচ্চ গতির রেল সংযোগ জরুরি যেকোনো মুহূর্তে বিপুল গোলাবারুদ ও অন্য সরবরাহ নিয়ে আসতে পারে। পাশাপাশি মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (মাইনাস ২২ ডিগ্রি ফরেনহাইট) তাপমাত্রায় মানিয়ে নিতে সেনাবাহিনীর জন্য উষ্ণ তাপমাত্রার স্থাপনা তৈরি করেছে চীন।

        অপরদিকে পাহাড়ি এলাকার ভূমিগত গঠনের কারণে সড়ক তৈরি করতে গিয়ে লাদাখে বিপত্তির মুখে পড়েছে ভারত। পাশাপাশি খাবার পানির অপ্রতুলতাও সমস্যা হিসেবে কাজ করছে ভারতীয় সৈন্যদের জন্য। হেলিকপ্টারে করে কিছু সরবরাহ চালু থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম।

        অপ্রয়োজনীয় বোঝা তলিয়ে যাওয়া নৌবাহিনী

        ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য বিমানবাহী নৌবহর পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। ২০১২ সালে প্রতিরক্ষা বাজেটের ১৮ ভাগ বরাদ্দ থেকে ২০২০ সালে এসে এই বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে ১৩ ভাগে।

        বর্তমানে ভারতের হাতে সোভিয়েত আমলের পুরনো একটি বিমানবাহী রণতরী ’আইএনএস বিক্রমাদিত্য’ রয়েছে। দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রন্তকে’ পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে এবং ২০২২ সালে শুরুতে তা নৌবাহিনীর সাথে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

        দুই বিমানবাহী নৌযানেই খরচের সীমা ইতোমধ্যেই মাত্রা ছাড়িয়েছে এবং তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিশাল’ শুধুই কল্পনার জগতে রয়েছে। এরমধ্যেই ভারতে বিমানবাহী নৌযানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে যেখানে সীমিত শক্তির সংঘাতে ছোট নৌযান, ড্রোন ও হাইপারসোনিক মিসাইল ব্যবহার হবে, সেখানে বিমানবাহী রণতরী অপ্রয়োজনীয় বোঝায় পরিণত হয়েছে।

        চীন সমুদ্রসীমা রক্ষায় নৌযান তৈরির বিশাল প্রকল্প চালু করেছে এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর তুলনায় উন্নত নৌযান তৈরি করছে। নিজস্ব দুইটি বিমানবাহী রণতরী সংগ্রহের পাশাপাশি চীনা নৌবাহিনী মনোযোগ দিয়েছে ছোট, দ্রুতগতিসম্পন্ন, ভারী অস্ত্রবাহী ও নিজস্ব নেটওয়ার্কে যুক্ত নৌযান তৈরিতে মনোযোগ দিয়েছে, যা ভবিষ্যতের যুদ্ধকৌশলে বেশি কাজে আসবে।

        ভারত মহাসাগর নিয়ন্ত্রণের লড়াই

        চীনা বাণিজ্যের মূল পথটিই চলে গেছে দক্ষিণ চীন সাগর হয়ে আন্দামান সাগর ও সংকীর্ণ মালাক্কা প্রণালীর ভেতর দিয়ে। গুরুত্বপূর্ণ এই পথটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবধরনের প্রচেষ্টাই নিয়েছে চীন।

        ভারত মহাসাগরে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে বিপুল অবকাঠামো ও বন্দর প্রকল্প হাতে নিয়েছে চীন। মালদ্বীপে ভারত সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় থাকায় সেখানে কোনো প্রভাব বিস্তারে ব্যর্থ হয় চীনা সরকার। মিয়ানমারেও চীন তার জন্য স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। দেশটির বন্দর উন্নয়নে চীনের অবদান মিয়ানমারে চীনের জাহাজের অবাধ যাতায়াত ও প্রয়োজনে আশ্রয় নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

        ভারতও নিজের জন্য মালাক্কা প্রণালীর কাছে নিজস্ব আশ্রয় ঘাঁটির জাল বিস্তার করেছে। পাশাপাশি জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মিলে চীনের প্রভাব বিরোধী চারদেশের একটি জোট গঠন করেছে। গত বছরের নভেম্বরে চারদেশ একত্রে পূর্ব ভারত মহাসাগরে নৌ মহড়া করেছে।

        চীনের মোকাবেলায় ভারত তার দুর্বলতা উপলব্ধি করছে। তবে এই দুর্বলতা ও ঘাটতি পূরণ করতে পারবে কি না, তা জানার জন্য সময়ের অপেক্ষা করতে হবে।

        সূত্র : আলজাজিরা।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          গাড়ি হামলা চালিয়ে ৫০ ঊর্ধ্ব ফিলিস্তিনিকে হত্যা ইসরায়েল সেনাবাহিনীর

          দখলদার ইসরায়েল গাড়ি হামলা চালিয়ে ৫০ উর্ধ এক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

          গতকাল শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পশ্চিম তীরের জর্ডান উপত্যকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর ডকুমেন্টিং অপরেশন এগিনেস্ট মুসলিম।

          স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, সন্ত্রাসী ইসরায়েল সেনাবাহিনী একদল ফিলিস্তিনিকে লক্ষ্য করে গাড়ি হামলা চালায়। হামলায় ৫০ উর্ধ এক ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।

          এ ঘটনার মাত্র ২ দিন পূর্বে পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরেও একই কায়দাই গাড়ি হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে আজ্জাম জামিল নামে অন্য এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিল। গত দুইদিনে দুইজন ফিলিস্তিনিকে গাড়ি হামলায় হত্যা করেছে সন্ত্রাসবাদী ইসরায়েল।

          এসব হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে পশ্চিম তীরে অবৈধভাবে ইহুদি বসতি নির্মানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            কঠিন দুর্ভিক্ষের মুখে ইয়েমেনের বাসিন্দারা
            হে আল্লাহ! আপনি ইয়েমেনের মুসলমি ভাই,মা ও বোনদের জালিমের জুলুম থেকে হেফাজত করেন।
            দুর্ভিক্ষের কবল থেকে মুক্তি দিন।
            সবর করার তাউফিক দিন।
            মুজাহিদদের সাহায্যকে ত্বরান্বিত করুন। আমিন
            গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

            Comment


            • #7
              ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী : অপরাজেয় শক্তি নয় কাগুজে বাঘ!
              ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে 'কাগুজে বাঘ' কে দুমড়ে মুচড়ে দেওয়ার ঈমানী ও সিলাহি শক্তি দান করুন। আমীন! ইয়া রাব্বাল আলামীন!!
              দাওয়াহ,ইদাদ ও জিহাদের মাধ্যমে ইসলামি খিলাফাহ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।

              Comment


              • #8
                Originally posted by ফোরামের সাথি View Post
                ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী : অপরাজেয় শক্তি নয় কাগুজে বাঘ!
                ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে 'কাগুজে বাঘ' কে দুমড়ে মুচড়ে দেওয়ার ঈমানী ও সিলাহি শক্তি দান করুন। আমীন! ইয়া রাব্বাল আলামীন!!
                আমিন ছুম্মা আমিন।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by ফোরামের সাথি View Post
                  ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী : অপরাজেয় শক্তি নয় কাগুজে বাঘ!
                  ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে 'কাগুজে বাঘ' কে দুমড়ে মুচড়ে দেওয়ার ঈমানী ও সিলাহি শক্তি দান করুন। আমীন! ইয়া রাব্বাল আলামীন!!
                  মাশাআল্লাহ আপনি যথার্থই বলেছেন।
                  হে আল্লাহ আপনি আমাদের তাওফীক দিন যাতে আমরা ইসলামের দুশমনদের কালো হাত ভেঙ্গে দিতে পারি আমীন।
                  মুসলিম হয়ে জন্মেছি আমি ইসলাম আমার ধর্ম
                  লড়বো আমি খোদার পথে এটাই আমার গর্ব।

                  Comment

                  Working...
                  X