ভারতে জ্বালানির অগ্নিমূল্য, কেন্দ্রের কোষাগারে ২৪ লক্ষ কোটি
ভারতে পেট্রল-ডিজেলের লাগাতার দাম বৃদ্ধি, আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অগ্নিমূল্য রান্নার গ্যাস। জ্বালানির দামের বেলাগাম ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের কারণে প্রাণ ওষ্ঠাগত সাধারণ মানুষের। আচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখানো নরেন্দ্র মোদি সরকারের সৌজন্যেই এখন মূল্যবৃদ্ধির জাঁতাকলে পিষছে মধ্যবিত্ত। আর সেস ও করের টাকায় ফুলে ফেঁপে উঠছে কেন্দ্রীয় সরকারের ভান্ডার। কোটি কোটি দেশবাসীর নাভিশ্বাস উঠছে, আর এক্সাইজ ডিউটি বাড়িয়ে গত এক বছরেই ২৪ লক্ষ কোটি টাকা আদায় করেছে মোদি সরকার। এই টাকা আম আদমিকে ছাড় হিসেবে দিলেই পেট্রল, ডিজেলের দাম কমে যেত। বাড়ত না রান্নার গ্যাসও। কিন্তু নির্দয় সরকার তা করছে না।
এই সরকার রোজই জিনিসের দাম বাড়িয়ে চলেছে। একদিকে দেশের সবকিছু বিক্রি করে দিচ্ছে, আর অন্যদিকে দাম বাড়াচ্ছে জ্বালানির।
গত ডিসেম্বরের গোড়ায় রান্নার গ্যাসের দাম কলকাতায় ছিল ৬২০.৫ টাকা। ১৫ ফেব্রুয়ারি তা পৌঁছেছে ৭৯৫.৫ টাকায়। অর্থাৎ আড়াই মাসে দাম বেড়েছে ১৭৫ টাকা। অথচ এই দাম বৃদ্ধির জন্য এক পয়সাও বাড়তি ভর্তুকি পাচ্ছেন না গ্রাহক। গ্যাসের সঙ্গেই পেট্রল, ডিজেলের বেনজির মূল্যবৃদ্ধি চলছে।
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমলেও কেন মোদি সরকার তার লাভ আম আদমিকে না দিয়ে কোষাগার ভরছে? আর বাজেটে ‘সেস’ বসিয়ে সরকার বাড়তি অর্থ আদায় করলেও যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় কেনই বা তার অংশ রাজ্যকে দেওয়া হবে না? এই প্রশ্ন উঠছে। এআইসিসির মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনেট বলেন, ‘উজ্জ্বলা যোজনাতেও কিন্তু পরিবারগুলিকে নগদে সিলিন্ডার কিনতে হয়। তাই গরিবদের জন্য লোকদেখানো ওই প্রকল্প চালু হলেও আদতে উজ্জ্বলার সুবিধেভোগীদেরও ভুগতে হচ্ছে।’ কংগ্রেস মুখপাত্র প্রশ্ন তোলেন, ‘বিজেপির যেসব মহিলা নেত্রী বিগত কংগ্রেস সরকারের আমলে রান্নার গ্যাসের দাম সামান্য বাড়লেই রাস্তায় নেমে পড়তেন, তাঁরা কি এখন ঘুমিয়ে পড়েছেন? নাকি ক্ষমতার সুখ এমনই যে সাধারণের কষ্ট দৃষ্টির বাইরে চলে গিয়েছে?’
এদিকে পেট্রল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে লাগাম নেই। কলকাতায় সোমবার পেট্রল ও ডিজেলের দর গিয়েছে যথাক্রমে ৯০.২৫ টাকা এবং ৮২.৯৪ টাকা। কেন্দ্রের উদাসীনতায় এই দাম কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, তা নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই সাধারণ মানুষের। কারণ, অগ্নিমূল্য জ্বালানির প্রভাব কিন্তু পড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপরও।
সূত্র: বর্তমান
ভারতে পেট্রল-ডিজেলের লাগাতার দাম বৃদ্ধি, আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অগ্নিমূল্য রান্নার গ্যাস। জ্বালানির দামের বেলাগাম ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের কারণে প্রাণ ওষ্ঠাগত সাধারণ মানুষের। আচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখানো নরেন্দ্র মোদি সরকারের সৌজন্যেই এখন মূল্যবৃদ্ধির জাঁতাকলে পিষছে মধ্যবিত্ত। আর সেস ও করের টাকায় ফুলে ফেঁপে উঠছে কেন্দ্রীয় সরকারের ভান্ডার। কোটি কোটি দেশবাসীর নাভিশ্বাস উঠছে, আর এক্সাইজ ডিউটি বাড়িয়ে গত এক বছরেই ২৪ লক্ষ কোটি টাকা আদায় করেছে মোদি সরকার। এই টাকা আম আদমিকে ছাড় হিসেবে দিলেই পেট্রল, ডিজেলের দাম কমে যেত। বাড়ত না রান্নার গ্যাসও। কিন্তু নির্দয় সরকার তা করছে না।
এই সরকার রোজই জিনিসের দাম বাড়িয়ে চলেছে। একদিকে দেশের সবকিছু বিক্রি করে দিচ্ছে, আর অন্যদিকে দাম বাড়াচ্ছে জ্বালানির।
গত ডিসেম্বরের গোড়ায় রান্নার গ্যাসের দাম কলকাতায় ছিল ৬২০.৫ টাকা। ১৫ ফেব্রুয়ারি তা পৌঁছেছে ৭৯৫.৫ টাকায়। অর্থাৎ আড়াই মাসে দাম বেড়েছে ১৭৫ টাকা। অথচ এই দাম বৃদ্ধির জন্য এক পয়সাও বাড়তি ভর্তুকি পাচ্ছেন না গ্রাহক। গ্যাসের সঙ্গেই পেট্রল, ডিজেলের বেনজির মূল্যবৃদ্ধি চলছে।
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমলেও কেন মোদি সরকার তার লাভ আম আদমিকে না দিয়ে কোষাগার ভরছে? আর বাজেটে ‘সেস’ বসিয়ে সরকার বাড়তি অর্থ আদায় করলেও যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় কেনই বা তার অংশ রাজ্যকে দেওয়া হবে না? এই প্রশ্ন উঠছে। এআইসিসির মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনেট বলেন, ‘উজ্জ্বলা যোজনাতেও কিন্তু পরিবারগুলিকে নগদে সিলিন্ডার কিনতে হয়। তাই গরিবদের জন্য লোকদেখানো ওই প্রকল্প চালু হলেও আদতে উজ্জ্বলার সুবিধেভোগীদেরও ভুগতে হচ্ছে।’ কংগ্রেস মুখপাত্র প্রশ্ন তোলেন, ‘বিজেপির যেসব মহিলা নেত্রী বিগত কংগ্রেস সরকারের আমলে রান্নার গ্যাসের দাম সামান্য বাড়লেই রাস্তায় নেমে পড়তেন, তাঁরা কি এখন ঘুমিয়ে পড়েছেন? নাকি ক্ষমতার সুখ এমনই যে সাধারণের কষ্ট দৃষ্টির বাইরে চলে গিয়েছে?’
এদিকে পেট্রল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে লাগাম নেই। কলকাতায় সোমবার পেট্রল ও ডিজেলের দর গিয়েছে যথাক্রমে ৯০.২৫ টাকা এবং ৮২.৯৪ টাকা। কেন্দ্রের উদাসীনতায় এই দাম কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, তা নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই সাধারণ মানুষের। কারণ, অগ্নিমূল্য জ্বালানির প্রভাব কিন্তু পড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপরও।
সূত্র: বর্তমান
Comment