Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ১৯ ই রজব ১৪৪২ হিজরি ০৪ঠা মার্চ ২০২১ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ১৯ ই রজব ১৪৪২ হিজরি ০৪ঠা মার্চ ২০২১ ঈসায়ী

    ভারত-বাংলাদেশে পণ্য আনার ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত জটিলতা তৈরি করে লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজি

    দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আমদানি পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি ট্রাক। ফলে দুই দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য এবং রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

    অভিযোগ উঠেছে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশে পণ্য আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত জটিলতা তৈরি করে ট্রাক থেকে প্রতিদিন আদায় করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকার চাঁদা। আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ অন্য ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানিতে দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগ তুলেছেন। এ কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন তারা।

    বেনাপোল বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এই বন্দর দিয়ে প্রতি বছর ভারতের সঙ্গে অন্তত ২৪ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। বছরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে থাকে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ। দেশের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বেনাপোল বন্দর দিয়ে সাধারণত প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হতো ভারতে থেকে। বর্তমানে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ ট্রাকে।

    ব্যবসায়ীরা জানান, সীমান্তের ওপারে বনগাঁ পৌরসভার মেয়র শংকর আঢ্য (ডাকু) ‘কালিতলা পার্কিং’ নামে একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন পার্কিং তৈরি করেছেন। সরকারি পার্কিংয়ের চেয়ে এটি আকারে বড়। তার লোকজন মোটামুটি জোর করেই আমদানির পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো সেখানে প্রবেশ করাচ্ছে। প্রতিদিন ট্রাকপ্রতি পার্কিং খরচ নেওয়া হচ্ছে দুই হাজার টাকা করে। বর্তমানে একটি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করতে ভারতে প্রায় ১৫/২০ দিন সময় লাগছে। আর অপেক্ষায় থাকার সময় পার্কিংয়ের নামে চাঁদার এই পুরো অর্থ বাংলাদেশি আমদানিকারকদের পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে মোটা অঙ্কের লোকসানের কথা ভেবে আমদানিকারকদের অনেকেই বেনাপোল বন্দর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন।

    বেনাপোল কাস্টম ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়াডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা জানান, দেশের ৭৫ ভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে। ওপারে পণ্য আমদানিতে দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানের ওপর এর প্রভাব পড়ছে। পাশাপাশি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রেও।

    এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২ মার্চ) সকালে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান আমদানিকৃত ট্রাকের সংখ্যা বৃদ্ধি ও রাজস্ব আয় বাড়াতে ভারতীয় ব্যবসায়ী ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

    বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, ‘বেনাপোলের ওপারে এখন ভয়াবহ পণ্যজট লেগে রয়েছে। প্রায় পাঁচ হাজার ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে বন্দরের ওপারে বাংলাদেশে আসার অপেক্ষায় রয়েছে। পেট্রাপোলের কালিতলা পার্কিং থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করতে এখন প্রায় ১৫ দিন লেগে যাচ্ছে। ফলে আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, তেমনি বেড়ে যাচ্ছে আমদানি ব্যয়।’

    ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, ‘বেনাপোল বন্দর দিয়ে স্থলপথে পণ্য আমদানি করতে বেনাপোলের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। বনগাঁ পৌরসভার মেয়র শংকর আঢ্য (ডাকুর) নেতৃত্বে তার লোকজন প্রতিটি পণ্যবোঝাই ট্রাক থেকে প্রতিদিন দুই হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। পণ্যবোঝাই একটি ট্রাক ২০ দিন ওপারে আটকে থাকলে তাকে ৪০ হাজার রুপি পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে আমদানিকারকরা মোটা অঙ্কের আর্থিক লোকসানে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন।’

    বেনাপোল কাস্টম ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, ‘দেশের ৭৫ ভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে। আমদানিতে জটিলতার কারণে এসব পচনশীল পণ্য নষ্ট হচ্ছে এবং অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানের ওপর এর প্রভাব পড়ছে। রাজস্ব আদায়ও কমে যাচ্ছে।’

    বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, ‘ভারতীয় পেট্রাপোল কালিতলা পার্কিংয়ে বর্তমানে ৫৫০০ পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকা আছে।

    সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ওয়ায়েজদের তালিকায় ‘হেফাজত নেতা’ থাকায় মাহফিল বন্ধ

    কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার শহরতলীর গাছতলা ঘাট ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে ৩রা মার্চ (বুধবার) ৮ম বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল হওয়ার কথা থাকলেও প্রশাসন কেন্দ্রিক বিভিন্ন জটিলতায় বন্ধ হয়ে গেছে।

    মাহফিল বন্ধের বিষয়ে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে মো. জসিম উদ্দীন গণমাধ্যকে জানান, আমরা দীর্ঘ ৭ বছর ধরে এখানে মাহফিলের আয়োজন করে আসছি। কিন্তু কখনো প্রশাসনিক অনুমতি নিতে হয়নি। তাই ‘মাহফিলের জন্য অনুমতি নিতে হবে’ এটিও আমরা জানতাম না।

    তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কথা বলে গতকাল প্রশাসন থেকে আমাদের জানানো হয়, অনুমতি না নেয়ায় মাহফিল করতে দেয়া হবে না। এরপর আমরা অনুমতি নেয়ার জন্য অনেক দৌড়ঝাঁপ করেছি। কিন্তু আর অনুমতি মেলেনি।

    তিনি আরো বলেন, তবে আমরা জানতে পেরেছি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাওলানা মামুনুল হকের ঘনিষ্ঠজন মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন আমাদের ওয়ায়েজদের তালিকায় থাকায় আমাদের মাহফিলে বিঘ্নতা ঘটানো হচ্ছে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে সব বাধা ডিঙিয়ে আমরা এ মাসের মধ্যেই আরো বড় আকারে এ মাহফিল বাস্তবায়ন করবো বলে আশা করছি।

    এদিকে বার্ষিক এ ইসলামি সম্মেলন বন্ধ হওয়ায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী জানান, সারা দেশে সবকিছুই হচ্ছে। কিন্তু মাহফিল করতে গেলেই কেন বাধা! এভাবে চলতে থাকলে ধর্মপ্রাণ মুসলমান ওয়াজ মাহফিল থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। কেননা আমরা সাধারণ মানুষ অনেক টাকা খরচ করে এ মাহফিলের আয়োজন করেছিলাম; এখন আমরা আবার মাহফিল করতে গেলে কতটা ধকল পোহাতে হবে তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন?
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মুসলিমদের বিচ্ছিন্ন দ্বীপে কবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত শ্রীলঙ্কা সরকারের

      শ্রীলঙ্কা সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংখ্যালঘু মুসলিম ও খ্রিস্টানদের কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তাদের কবর দেয়া হবে বিচ্ছিন্ন এক দ্বীপে। কলম্বো গেজেট জানিয়েছে যে, সরকারের মুখপাত্র কেহেলিয়া রামবুকভেলা বলেছেন, দ্বীপটির এক পাশে এজন্য একটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।

      ভারত মহাসাগরের মান্নার উপসাগরে ইরানাথিবু দ্বীপটি এখন করোনায় মারা যাওয়া মুসলিম ও খ্রিস্টানদের জন্য নির্ধারণ করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার। এ দ্বীপটি রাজধানী কলম্বো থেকে তিন শ’ কিলোমিটার দুরে এবং দাফনের জন্য এই দ্বীপকে নির্বাচিত করার কারণ হিসেবে এর কম ঘনবসতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

      তবে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও জাতিসঙ্ঘ এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি তুলেছে।

      কিছু মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারা শ্রীলঙ্কা সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। শ্রীলঙ্কা মুসলিম কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিলমি আহামেদ বলেছেন, ‘এটি একটি হাস্যকর সিদ্ধান্ত।এটা একেবারেই বর্ণবাদী এজেন্ডা।’

      ওই দ্বীপের একজন ধর্মযাজক মাধুথিন পাথিনাথার বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্তে স্থানীয়রাও কষ্ট পেয়েছে। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করি। এটা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য ক্ষতিকর হবে।’

      শ্রীলঙ্কায় মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেক ক্ষোভ আছে। তবে গত সপ্তাহে বাধ্যতামূলক দাহ করার নীতি থেকে সরকার সরে আসার ঘোষণা দিলে তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্তও তাদের জন্য অবমাননাকর বলে মনে করা হচ্ছে।

      শ্রীলঙ্কায় করোনায় আক্রান্ত এ পর্যন্ত মারা গেছে ৪৫০ জন। কিন্তু এর মধ্যে তিন শ’ জনই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।

      সূত্র : বিবিসি
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সে দিন আর বেশি নয়, অপেক্ষা কর! তোদের মরদেহ রাস্তা ঘাটের পোকামাকড়, মাংসভোজী জন্তুর খাদ্যের পরিনত হবে,বিইজনিল্লাহ।
        “দ্বীনের জন্য রক্ত দিতে দৌড়ে বেড়ায় যারা,সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর উত্তরসূরী তারা”–TBangla

        Comment

        Working...
        X