Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ২৮শে রজব ১৪৪২ হিজরি ১৩ই মার্চ ২০২১ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ২৮শে রজব ১৪৪২ হিজরি ১৩ই মার্চ ২০২১ ঈসায়ী

    মহিলাদের পর্দা এবং ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে শ্রীলঙ্কা

    শ্রীলঙ্কা প্রশাসন মুসলিম মহিলাদের ফরজ বিধান পর্দা এবং দেশটির ১০০০ (এক হাজার) ইসলামী স্কুল বন্ধ করার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে।

    গত ১২ মার্চ শুক্রবার আয়োজিত এক বৈঠকে শ্রীলঙ্কা সরকার এই সিদ্ধান্তগুলি অনুমোদন করেছে। এমনিভাবে দেশটির জননিরাপত্তা মন্ত্রী সরথ বীরসেকেরা শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইসলাম বিদ্বেষী এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসাবে জাতীয় সুরক্ষার অযুহাতকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছে। সে এও বলেছে যে মুসলমানরা বোরকা জাতীয় কোন কিছু পরতে পারবে না, কারণ এটি চরমপন্থার প্রতীক! সে আরো উগ্রতাভাব প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, তারা এই প্রথাটিকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করবে।

    বীরসেকেরা আরও একধাপ এগিয়ে বলেছে যে, তারা দেশটিতে মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত ১০০০ টিরও (এক হাজার) বেশি ইসলামিক স্কুল বন্ধ করে দেবে। তার পুরো বক্তব্য জুড়েই ছিল ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী কথাবার্তা।

    শ্রীলঙ্কায় মুসলমানদের উপর হামলা

    ২০০৯ সালে তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদী ও দেশটির কাফের সরকারী বাহিনীর মধ্যে গৃহযুদ্ধের অবসানের পরে, দেশের প্রায় দশ শতাংশ মুসলিম নাগরিকরা মুশরিক হিন্দু ও সিংহল বৌদ্ধদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হন, এরপর থেকে এধারা আরো তীব্র আকার ধারণ করতে থাকে। এরপর দেশটির খ্রিস্টান সন্ত্রাসী দলগুলিও সরকারের ছত্রছায়ায় ২০১৯ এর পরে এই আক্রমণগুলিতে যোগদান করে।

    সর্বশেষ করোনা ভাইরাস মহামারীকে অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করে মুসলমানদের দেহকে জোর করে আগুনে পোড়াতে শুরু করে দেশটির সরকার।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    এবার ভুট্টাখেত থেকে লাশ উদ্ধার

    জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় (৩৫) এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার কর হয়েছে ।

    আজ শনিবার সকালে উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের উত্তর কৃষ্ণপুর গ্রামের ভুট্টাখেত থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

    বাগজানা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম জানান, স্থানীয় লোকজন মাঠের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ভুট্টাখেতে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরা কেউই লোকটিকে চিনতে পারেননি।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ফাঁদ

      বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একাধিক কারণে সমালোচনার সম্মুক্ষিন হচ্ছে । যদিও সরকার বলছে যে আইনটি যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে , তবুও সাম্প্রতিক সময়ে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে , যখন এই আইনে গ্রেপ্তার একজন বন্দি অবস্থায় মারা গেছে এবং অপর একজন জামিনে মুক্তি পেয়ে অসুস্থ্য অবস্থায় রয়েছে। এছাড়াও বহু ক্ষেত্রে ইসলামপন্থী অনেক সদস্যকেও বিভিন্ন সময় এই আইনে আটক ও অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে।

      এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন মানবাধিকার কর্মী এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি দিলরুবা শরমিন , যিনি মনে করেন এই আইন বিরোধীদের বিপক্ষেই প্রয়োগ করা হচ্ছে এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই আইন বিলুপ্ত হওয়া দরকার । আর তাঁর সঙ্গে স্কাইপে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড থেকে ভয়েস অফ আমেরিকার মাল্টিমিডিয়া সংবাদ সম্প্রচারক আনিস আহমেদ ।

      সাউথ এশিয়ান মনিটর
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        নিধনের ফাঁকা বুলি, ঢাকায় মশার ঘনত্ব বেড়েছে চারগুণ

        ঢাকার সিটি করপোরেশন নির্বাচন এলেই নাগরিক সেবার নানান প্রতিশ্রুতি দেন প্রার্থীরা। সেই তালিকায় সবার ওপরে থাকে মশা নিধন। প্রার্থীদের দেয়া সেই মিথ্যে প্রতিশ্রুতিতে আশায় বুক বাঁধেন নগরবাসী। তবে হতাশার কথা হলো, এখন পর্যন্ত ঢাকার কোনো মেয়রই মশা নিধন বা নিয়ন্ত্রণে সফলতা অর্জন করতে পারেননি। উল্টো দিন যতোই যাচ্ছে, রাজধানীতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মশা। বাড়ছে মশাবাহিত রোগ, এমনকি সেই রোগে ঝরছে প্রাণও।

        রাজধানীতে মশার ঘনত্ব নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক গবেষণার তথ্য বলছে, গত বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় মশার ঘনত্ব চারগুণ বেড়েছে। এখন যে মশা দেখা যাচ্ছে, তার মধ্যে ৯০ শতাংশই কিউলেক্স মশা। সাধারণত শুষ্ক মৌসুমে কিউলেক্স মশার প্রকোপ বাড়ে।

        অথচ গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের আগে মশা নিধনে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নির্বাচিত মেয়রেরা।

        ডিএসসিসিতে শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হওয়ার আগে সংস্থার সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের মশা নিধন কার্যক্রমের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু এক বছরের মাথায় তাকেই সইতে হচ্ছে সেই সমালোচনা।

        একইভাবে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। মশা নিধনে তিনিও তার প্রতিশ্রুতি যথাযথভাবে রক্ষা করতে পারেননি।

        নগরবিদ ও কীটতত্ত্ববিদেরা বলছেন, নির্বাচনের আগে মেয়রপ্রার্থীরা মশা নিধন, যানজট নিরসনসহ অনেক প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এর অধিকাংশই সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। আর যেসব প্রতিশ্রুতি সরাসরি সিটি করপোরেশনের বাস্তবায়ন করার কথা, সেগুলোতেও তারা অনেকাংশ সফল হতে পারেননি। তাই আগে নিজ সংস্থার কাজগুলো ঠিক মত করতে হবে।

        মশা নিধনের নামে যতো উদ্যোগ
        ১৯৯০ সালের আগে ঢাকা সিটি করপোরেশন ‘ঢাকা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন’ নামে পরিচিত ছিল। পরে নাম পরিবর্তন হয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশন করা হয়। ১৯৯৪ সালের ৩০ জানুয়ারি নগরবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটে মোহাম্মদ হানিফ ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগের দিন তিনি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জনসভা করেছিলেন। ওই জনসভায় তিনি নির্বাচনী ইশতেহার চারটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর মধ্যে মশা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী পরিকল্পনা ছিল অন্যতম।

        ২০১৫ সালের এপ্রিলে নির্বাচনী ইশতেহারে ‘মশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা’ করে ডিএনসিসিতে আনিসুল হক ও ডিএসসিসিতে সাঈদ খোকন মেয়র নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ২০১৭ সালে আনিসুল হক মারা যাওয়ার পর নগরে ব্যাপকভাবে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকাসহ সারাদেশে এডিস মশার বিস্তার ঘটে।

        পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় তা নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি করপোরেশনকে হিমশিম খেতে হয়েছে। তখন দুই সিটি করপোরেশনের ওষুধের মান, কেনাকাটায় অনিয়ম, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব অবহেলাসহ অনেক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নাগরিকেরা। এমনকি সাঈদ খোকন মেয়র পদে নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইলেও না পাওয়ার পেছনে এই মশা নিধনে ব্যর্থতাও দায়ী বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। সরকারি হিসাবে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় ১১১ জন মারা যান।

        মশা নিধনের নামে ৪ বছরে ডিএসসিসির ব্যয় ৭৬ কোটি
        ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের হিসাব বিভাগ সূত্র জানায়, (ডিএসসিসি) গত চার বছরে শুধু মশা মারতে ৭৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা খরচ করেছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে প্রতিবছরই মশা আগের তুলনায় বাড়ছে। এখন চলতি অর্থবছরে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এর মধ্যে গত জুন থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় সাত কোটি টাকা।

        নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসসিসির এক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকার লেক, জলাশয়, পুকুরের পানি অনেক নোংরা। সেখানে প্রচুর জীবাণু রয়েছে। বাস্তবতা না বুঝে হাঁসগুলো ছাড়া হয়েছিল। এরমধ্যে বিদেশি প্রজাতির হাঁসের সংখ্যাই বেশি ছিল। অথচ এসব হাঁস দেখভাল এবং খাবারের ব্যবস্থা করেনি সংস্থাটি। ফলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই অধিকাংশ হাঁস মারা যায়। এখন নগরে কিউলেক্স মশার প্রভাব বাড়লেও ডিএসসিসি তেমন কোনো কর্মসূচি নেয়নি। আগের মতোই মশা নিধন কার্যক্রম ঢিলেঢালাভাবে চলছে।

        ডিএনসিসির নোভালুরন ব্যবহৃত এলাকায়ই বেশি মশা
        গত বছরের অক্টোবর থেকে কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে গুলশান, বনানী, উত্তরা, মিরপুরের ৬২৯টি লেক, খাল, জলাশয় চিহ্নিত করে ট্যাবলেট বড়ির মত দেখতে নোভালুরন ওষুধ ব্যবহার শুরু করে ডিএনসিসি। মশার প্রজনন ও বংশবিস্তার রোধে ওই ওষুধ ব্যবহার করেছিল বলে জানায় সংস্থাটি। কিন্তু এখন এই এলাকাগুলো শহরের অন্যতম মশাপ্রবণ এলাকা হিসেবে আলোচিত। অর্থাৎ ডিএনসিসির নোভালুরন পদ্ধতি কাজে লাগেনি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

        ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, কিউলেক্স মশা নিধনে গত ৮ মার্চ থেকে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে একযোগে ক্রাশ প্রোগ্রাম কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা। এই কর্মসূচিতে এক হাজার ৪০০ কর্মী কাজ করছেন। এর মধ্যে ১০ মার্চ মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে মোহাম্মদপুরের রিং রোডে সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে ক্রাশ প্রোগ্রাম কর্মসূচি শুরু করে ডিএনসিসি। তবে এই ক্রাশ প্রোগ্রামে মশার উপদ্রব কমছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।

        জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার জাগো নিউজকে বলেন, ‘এডিস এবং কিউলেক্স মশা নিধনে সিটি করপোরেশনকে বছরব্যাপী কর্মসূচি নিতে হবে। ওষুধের গুণগতমান এবং ব্যবহার যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে হবে। যদিও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ওষুধের মান এবং ব্যবহার নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে।’
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          রোজার আগেই চড়ছে ভোগ্যপণ্যের বাজার


          দুই মাস ধরেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চাল ও ভোজ্যতেল; রোজার একমাসেরও কম সময় বাকি থাকতে নতুন করে বেড়েছে পেঁয়াজ ও ব্রয়লার মুরগির দাম।

          একের পর এক ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রবণতার মধ্যে রোজাকে কেন্দ্র করে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন ভোক্তারা।

          দেশি মুড়িকাটা ও হালি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায়, যেগুলোর দাম দুই সপ্তাহ আগেও ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা ছিল।

          একইভাবে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৩০ টাকায়।

          নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এমন দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে তার জন্য ব্যবসায়ীদের লোভ ও সরকারের নজরদারির অভাবকে দায়ী করেন কারওয়ান বাজারে কেনাকাটা করতে আসা মোহাম্মদ সেলিম।

          বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এবার রোজার আগেভাগেই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটগুলো রোজার দাম বাড়াতে শুরু করেছে। এখনই সরকার নজর না দিলে রোজায় নতুন নতুন সিন্ডিকেট যুক্ত হতে পারে।”

          দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হলেও তার কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীদের কথায় সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে কেউ কেউ বলছেন, মুড়িকাটা দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ প্রায় শেষের পথে থাকায় বাজারে তার প্রভাব পড়েছে।

          কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা আবুল কালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হালি পেঁয়াজগুলো উঠতে শুরু করেছে। রোজা আসতে আসতে দাম আবার কমে যাবে।

          এই বাজারে প্রতি কেজি দেশি হালি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ টাকায়, আর ভারতীয় ক্রস জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকায়। তবে মিরপুর বড়বাগ কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায়।

          গত এক সপ্তাহে বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। মিরপুরে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকা হয়েছে। লেয়ার মোরগের দাম উঠেছে ২২০ টাকায়; কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা, পাকিস্তানি বা সোনালী মুরগীর দাম উঠেছে ৩৬০ টাকায় যা সাধারণ ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।

          বড়বাগের একজন বিক্রেতা বলেন, মুরগীর সরবরাহ কিছুটা কমে গেছে, পাশাপাশি খামার মালিকরা দামও কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছেন। কারণ মুরগীর খাবারের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক।

          সয়াবিন তেলের কেজি ১৩০ টাকা

          গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে সরকার সব স্তরে তেলেও দাম নির্ধারণ করে দিলেও খুচরায় সর্বত্র সেই সিদ্ধান্ত মানা হচ্ছে না।

          পীরেরবাগ, বগবাগ এলাকার মুদি দোকানগুলোতে দেখা যায়, প্রতিকেজি সয়াবিন তেল বিক্রি করা হচ্ছে ১৩০ টাকায়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল সর্বোচ্চ ১১৫ টাকায় বিক্রি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

          প্রতি লিটার সয়াবিন (খোলা) মিল গেইটে ১০৭ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১১০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিলগেট মূল্য ১২৩ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১২৭ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

          কারওয়ান বাজারে তেলের পাইকারি দোকানিদের কেউ কেউ মিল গেইটে বাড়তি দাম নেওয়ার অভিযোগ করলেও তা উড়িয়ে দিয়েছেন তেল পরিশোধকরা।

          আরেক তেল পরিশোধনকারী টিকে গ্রুপের পরিচালক মোস্তফা হায়দার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অনেকে তেলের অর্ডার করার পর সময় মতো তা গ্রহণ না করে অপেক্ষায় রাখেন। আবার অনেক সময় একসঙ্গে অনেকেই পুরোনো অর্ডারের তেল চেয়ে বসেন। এসব কারণে কখনও কখনও সরবরাহে কিছুটা বিলম্ব হয়।

          খুচরা বাজারে এখনও সরু চাল ৬০ টাকা থেকে ৬৬ টাকা, মাঝারি চাল ৫২ টাকা থেকে ৫৮ টাকায় এবং মোটা চাল ৪৬ টাকা থেকে ৫০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

          টিসিবির হিসাবে, গত এক মাসে সরু চালে ৫ শতাংশ, মাঝারি চালে ২ শতাংশ এবং মোটা চালে ৪ শতাংশ হারে দরবৃদ্ধি ঘটেছে।

          সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            দাউদকান্দিতে তাগুত ইউএনও বন্ধ করে দিলো জায়েজ বিয়ে

            কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে তাগুত প্রশাসন একটি জায়েজ বিবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। শুক্রবার বিকেলে দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল ইসলাম খান অভিযান চালিয়ে এ ‘বাল্যবিবাহের’ নামে জায়েজ বিবাহ বন্ধ করে দেয়। এ সময় উপস্থিত ছিলো বিটেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ওয়াছেক মিয়া।

            এ ঘটনায় কনে পড়তেন অষ্টম শ্রেণিতে। নারায়ণগঞ্জের এক ছেলের সঙ্গে আজ তার বিয়ের আয়োজন চলছিল। কথিত বাল্যবিবাহের কথা বলে বন্ধ করে দেয়া হয় ইসলাম সমর্থিত জায়েজ বিয়ে।

            এলাকাবাসী জানান, নারায়ণগঞ্জের এক ছেলের সঙ্গে আজ তার বিয়ের কথা ছিলো। পরে তাগুত ইউএনও কামরুল ইসলাম খান ঘটনাস্থলে গিয়ে উক্ত বিবাহ বন্ধ করে। প্রথম আলো
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment

            Working...
            X