Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ০৫ রজব, ১৪৪৬ হিজরী।। ০৬ জানুয়ারী, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ০৫ রজব, ১৪৪৬ হিজরী।। ০৬ জানুয়ারী, ২০২৫ ঈসায়ী

    স্বরাষ্ট্র সচিবকে নিয়ে ভারতীয় সাংবাদিক পালকি শর্মার প্রতিবেদন মিথ্যা




    ইউটিউব চ্যানেল ফার্স্টপোস্ট ও বিডিডিগেস্ট নামে একটি নিউজ পোর্টালে ভারতীয় সাংবাদিক পালকি শর্মার প্রযোজনায় স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনিকে নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনটি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

    সম্প্রতি ভারতীয় সাংবাদিক পালকি শর্মা এই দুই সংবাদ মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে জড়িয়ে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

    প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের একজন প্রতিষ্ঠাতা।

    প্রমাণ হিসেবে, পালকি শর্মা ও বিডিডিগেস্ট একটি নিউজ পোর্টালের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়েছে, যা ২০০৮ সালে দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত হয়েছিল। অথচ ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা নাসিমুল গনি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি দুজন ভিন্ন ব্যক্তি। হিযবুত তাহরীর নেতা নাসিমুল গনি (যার প্রকৃত নাম নাসিমুল গনি) একজন ব্রিটিশ নাগরিক।

    অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বাংলাদেশের একজন শীর্ষ আমলা। তিনি একজন বাংলাদেশি নাগরিক, তার কোনো দ্বৈত নাগরিকত্ব নেই, তিনি অন্য কোনো দেশে বসবাসও করেন না।

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

    আমরা মনে করি, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে যে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে তার অংশ হিসেবেই এই মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।’


    তথসূত্র:
    ১. ভারতীয় সাংবাদিক পালকি শর্মার প্রতিবেদন মিথ্যা
    https://tinyurl.com/34zfjbzt
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ভারতে দুর্নীতি উন্মোচন করা ‘সাহসী’ সাংবাদিকের লাশ মিলল সেপটিক ট্যাঙ্কে




    ‘সাহসী’ সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিল ভারতের ছত্তিসগড়ের ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকর। একের পর এক চাঞ্চল্যকর সংবাদ প্রকাশ করে নজর কেড়েছিল অনেকের। প্রভাবশালীদের দুর্নীতির খবর প্রকাশই কি কাল হলো সাংবাদিক মুকেশের! যে কারণে হয়তো ‘নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হতে হলো তাকে।

    সম্প্রতি ১২০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে দুর্নীতির খবর ফাঁস করেছিল মুকেশ চন্দ্রকর। প্রশ্ন উঠেছে, এই তথ্য সামনে আনার জন্যই কি খুন হতে হলো তাকে?

    শুক্রবার (০৪ জানুয়ারি) ছত্তিসগড়ের বিজাপুর জেলার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মুকেশের মরদেহ উদ্ধার হয়। তার মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় পুরো ছত্তিসগড়ে। এরই মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    মুকেশের পরিচিত ও ঘনিষ্ঠরা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ভয়ডর ছিল না তার। বেশ কয়েকবার তার ওপর হামলাও হয়। কিন্তু এরপরেও সত্য উদ্ঘাটনের খোঁজে ছুটে গেছে বার বার। বিজাপুর, বস্তার জেলার অনেক দুর্নীতি ও অপরাধের পর্দা ফাঁস করেছে। আর এই নির্ভীক সাংবাদিকতার জন্য বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছিল মুকেশ।

    সাংবাদিকতায় আসার পর মুকেশ বলেছিল, বস্তারের এমন অনেক ঘটনা রয়েছে, যেগুলো সংবাদমাধ্যমগুলোতে কাটছাঁট করে দেখানো হয়। তাই এলাকার বিভিন্ন পরিস্থিতির ‘আনকাট’ ছবি তুলে ধরতে নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেলও খোলে মুকেশ। নাম দেয় ‘বস্তার জংশন। দেড় লাখ সাবস্ক্রাইবার ছিল সেই চ্যানেলের।

    স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কোনো নতুন খবর করলেই মুকেশ এলাকার লোকজনদের ডেকে জিজ্ঞাসা করত, ঠিক হয়েছে কি না। বিজাপুর ও বস্তার চিনতেন হাতের তালুর মতো। বছর দুই-তিনেক আগে রাওঘাট প্রকল্প নিয়ে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে দুষ্কৃতিদের হামলার শিকার হয় মুকেশ।

    বস্তার জেলার মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে খবর করেছিল মুকেশ। গঙ্গালুর থেকে হিরোলি পর্যন্ত একটি রাস্তা নির্মাণের জন্য টেন্ডার হয়েছিল ৫০ কোটি টাকার। কিন্তু, পরে সেই নির্মাণ খরচ ১২০ কোটি টাকায় পৌঁছে যায়। রাস্তা নির্মাণের ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রকরের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার।

    পুলিশ স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ঘটনার দিন চন্দ্রকর তার ভাই রীতেশ ও মহেন্দ্র রামটেকের সঙ্গে সুরেশ চন্দ্রকরের বাড়িতে নৈশভোজ করেছিলেন। সেই সময়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। রীতেশ ও মহেন্দ্র লোহার রড দিয়ে আক্রমণ করে মুকেশকে। হত্যার পরে সাংবাদিকে দেহ একটি সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রেখে সিমেন্ট দিয়ে ট্যাঙ্কের মুখ জমিয়ে দেওয়া হয়।


    তথ্যসূত্র:
    1. Mukesh Chandrakar: Indian media bodies seek probe into murder of journalist
    https://tinyurl.com/mr9z987n
    ২. ভারতে দুর্নীতি উন্মোচন করা ‘সাহসী’ সাংবাদিকের লাশ মিলল সেপটিক ট্যাঙ্কে
    https://tinyurl.com/22kr9c6r
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতের বদলে বিচারকদের মুফতিদের কাছে পাঠানো উচিত- মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী




      বিচারকদের নির্ধারিত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি পেশাদারিত্ব অর্জন, নিরপেক্ষভাবে বিচারকাজ পরিচালনার অনুপ্রেরণা মজবুত করতে ভারতের বদলে বিজ্ঞ মুফতিদের কাছে পাঠানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী।

      রবিবার (৫ জানুয়ারি) এক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রশিক্ষণের জন্য নিম্ন আদালতের ৫০ জন বিচারককে ভারত যাওয়ার অনুমতি প্রদানের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

      মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, ‘ইসলামের ইতিহাসে বিচারক স্বয়ং রাষ্ট্রপ্রধানদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন এ রকম অনেক নজিরও রয়েছে। মুসলিম বিচারকরা ন্যায়বিচারের স্বার্থে মুসলিমের বিরুদ্ধে অমুসলিমের পক্ষে রায় দিয়েছেন এমন উদারহরণও রয়েছে। অতএব রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে নির্মোহ ও নিরপেক্ষভাবে বিচার কাজ পরিচালনার জন্য সরকারের উচিত বিজ্ঞ মুফতি সাহেবদের বিচারকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা।’

      তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী হওয়া সত্ত্বেও তারা প্রতিবেশীসুলভ আচরণ না করে প্রভুত্বসুলভ আচরণ করতেই বেশি পছন্দ করে। আমাদের বিচারকদের প্রশিক্ষণ দেওয়াটাও তাদের আধিপত্যবাদী পরিকল্পনারই অংশ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত হবে ভারতের সঙ্গে আগের হওয়া সব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক পর্যালোচনা করা এবং বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী সব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক বাতিল করা।’

      তথ্যসূত্র:
      ১.‘ভারতের বদলে বিচারকদের মুফতিদের কাছে পাঠানো উচিত’
      https://tinyurl.com/4pz7sp7j
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সম্রাট আওরঙ্গজেব নির্মিত ঐতিহাসিক ‘মুবারক’ মঞ্জিল ভেঙে ফেলল উগ্র হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন


        মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব কর্তৃক নির্মিত আগ্রার ঐতিহাসিক ‘মুবারক’ মঞ্জিল ভেঙে ফেলেছে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকার।

        গত ০৩ জানুয়ারি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটায় আগ্রার প্রশাসন। ঐতিহাসিক ভবনটি গুড়িয়ে দেওয়ার পর সেখান থেকে ১০০ টিরও বেশি ট্রাক্টর দিয়ে ভেঙে ফেলা কংক্রিট সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

        ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার বরাতে জানা যায়, গত তিন মাস আগেই ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটি সংরক্ষণের আদেশ করে। কিন্তু সে আদেশের কোনও তোয়াক্কা না করে ভেঙে ফেলা হল ঐতিহাসিক মুসলিম স্থাপনাটি।

        মুবারক মঞ্জিল নামক ওই প্রাসাদটি আওরঙ্গজেব হ্যাভেলি নামেও পরিচিত। মঞ্জিলটি ঐতিহাসিক ভাবে মুসলিম স্থাপত্যের সাক্ষী বহন করছিল। বিখ্যাত মুঘল সম্রাট শাহজাহান, সম্রাট সুজা এবং সর্বশেষ সম্রাট আওরঙ্গজেব সহ মুঘল সাম্রাজ্যের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এই ভবনে বসবাস করেছিলেন।

        পরে, ব্রিটিশ শাসন আমলে ঐতিহাসিক স্থাপনাটির বেশকিছু পরিবর্তন হয়। প্রথমে কাস্টমস হাউস, তারপরে লবণ অফিস এবং সর্বশেষ ১৯০২ সালে তারা নিবাসে রূপান্তরিত করে।

        ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, গতবছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মুবারক মঞ্জিল সংরক্ষণের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপনে মুবারক মঞ্জিল নিয়ে অভিযোগকারীদের এক মাসের মধ্যে অভিযোগ উত্থাপনের জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু কোনো অভিযোগ পত্র কেউ দাখিল করেনি।

        লখনৌ সরকারী কর্তৃপক্ষ মঞ্জিলটি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে পরিদর্শনে এসেছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তাদের পরিদর্শনের পরপরই মঞ্জিলটি ভাঙার কার্যক্রম শুরু করা হয় এবং ঐতিহাসিক স্থাপনাটি ভেঙে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়।

        স্থানীয়দের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের উপস্থিতিতেই একটি বিল্ডার কোম্পানি ঐতিহসিক ভবনটি গুড়িয়ে দেয়।
        এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ এবং হতাশা প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

        ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া দেওয়া এক সাক্ষাতকারে স্থানীয় বাসিন্দা কাপিল বাজপেয়ী হতাশা প্রকাশ করে জানিয়েছে, ‘ভাঙা শুরু করার সময় আমরা একাধিক অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু সেসকল অভিযোগের তোয়াক্কা না করেই ইতিমধ্যে স্থাপনাটির ৭০ শতাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।’

        মুবারক মঞ্জিলে অবস্থিত মার্বেল ফলক এবং আর্কিবল্ড ক্যাম্পবেল কার্লাইলের ১৮৭১ সালের প্রতিবেদনের মতো ঐতিহাসিক নথিপত্র স্থাপনাটির গুরুত্বের সাক্ষী বহন করে। সম্রাট আওরঙ্গজেব সমুগড়ার যুদ্ধে জয় লাভ করার পর ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটি নির্মাণ করেছিলেন। স্থাপনাটি ছিল মুঘল ও ব্রিটিশ স্থাপত্যশৈলীর এক অনন্য সংমিশ্রণ। লাল বালিপাথরের ভিত্তি, খিলানযুক্ত নীচতলা এবং মিনারের নকশার কারণে অনন্য স্থাপনার চেয়ে এটি ছিল অনন্য।


        তথ্যসূত্র:
        1.Agra: 17th-Century Mubarak Manzil, Built by Aurangzeb, Reduced to Rubble
        https://tinyurl.com/yc5awwxa
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X