Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ # ২৯শে রজব ১৪৪২ হিজরি ১৪ই মার্চ ২০২১ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ # ২৯শে রজব ১৪৪২ হিজরি ১৪ই মার্চ ২০২১ ঈসায়ী

    মালাউন মোদীর বাংলাদেশ সফর: তিস্তা, সীমান্ত হত্যার সমাধানে যাবে না ভারত



    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছে ২৬শে মার্চ। গুজরাটের কসাই খ্যাত মালাউন মোদী এমন এক সময়ে ঢাকায় আসছে, যখন ভারতের সাথে সম্পর্কে প্রত্যাশার ক্ষেত্রে হতাশা ভোগছে বাংলাদেশের জনগণ।

    ভারতে নাগরিকত্ব আইন এবং মুসলমিদের নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সরকার বা বিজেপির রাজনীতি অনেক সময় বাংলাদেশকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে।

    ট্রানজিট সুবিধাসহ ভারতের নানা চাহিদা পূরণ করার পরও বাংলাদেশ কী পেয়েছে- সেই প্রশ্ন উঠছে।

    বাংলাদেশের কথিত স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি এবং মুজিব জন্ম শতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তার এই সফর।

    এই সফরকে সামনে রেখে গত ৯ই মার্চ সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর ওপর একটি সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। সেতুটি সরাসরি যুক্ত করেছে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলোকে।

    এখন ভারতের এই রাজ্যগুলো সেতু দিয়ে সহজে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে পণ্য আনা নেয়া করতে পারবে।

    পাঁচ বছর আগেই ভারতের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার বা ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা কার্যকর হয়েছে।

    কিন্তু বাংলাদেশের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির ফারাক এখন নানা আলোচনার জন্ম দিচ্ছে।

    ‘ভারত সবই পেয়েছে’

    সাবেক একজন পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারত তাদের চাহিদার সবই পেয়েছে। কিন্তু তার তুলনায় বাংলাদেশের প্রাপ্তি না থাকায় এখানে হতাশা বাড়ছে বলে তিনি মনে করেন।

    “ভারত তাদের ট্রানজিটের ব্যাপার ছিল। এই সমস্যাগুলোতে কিন্তু বাংলাদেশ পরিপূর্ণভাবে সহযোগিতা করেছে তাদের উদ্বেগ দূর করার জন্য। এসব ব্যাপারে ভারতের কিন্তু আর চাওয়ার কিছু নাই,” মন্তব্য করেছেন তৌহিদ হোসেন।

    “ফেনীর নদীর ওপর এই ব্রিজ উদ্বোধন হল। তাতে করে কানেকটিভিটির আরেকটা সুযোগ সৃষ্টি হল। আসলে ত্রিপুরার মানুষের জন্য এটা বিরাট সুবিধা হল ভারতের অন্য অংশ থেকে বা বিদেশ থেকে পণ্য আনা নেয়ার ক্ষেত্রে।”

    হোসেন আরও বলেছেন, “এগুলো সবই হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের যে কয়েকটা চাওয়া ছিল, দৃশ্যত তাতে কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।”

    এই সাবেক পররাষ্ট্র সচিবের বক্তব্য হচ্ছে, “তিস্তা নদীর পানি নিয়ে কিন্তু আমরা মোটামুটি নিশ্চিত ছিলাম যে তা হবে। কারণ বেশ কয়েক বছর যাবৎ একাধিক প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছিলেন। এবং সই হওয়ার কাছাকাছিও গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এটা এখন অনেকটাই কোল্ডস্টোরেজে চলে গেছে। যেটা একটা হতাশার কারণ।”

    “আরেকটা খুব ছোট্ট অ্যাকশন ভারত নিতে পারে, সেটা হল সীমান্তে হত্যা বন্ধ করা। কিন্তু ভারতের নেতৃত্ব যে কারণেই হোক, এটার খুব প্রয়োজন মনে করছেন না,” মন্তব্য করেন মি: হোসেন।

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখন যে ঢাকা সফরে আসছে, এবারও তিস্তা নদীর পানি বন্টন প্রশ্নে সমাধানের কোন ইঙ্গিত নেই।

    এই সফরকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে ঢাকায় এসেছিল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নে তার বক্তব্য ছিল, তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি নিয়ে ভারত সরকার আগের অবস্থানেই আছে।

    আর সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধের প্রশ্নে সে সীমান্তে বাংলাদেশিরে উপরই দোষ চাপিয়েছে। সে বলেছে,”অপরাধ নয়, মৃত্যুও নয়।”

    ফলে বাংলাদেশের মূল দু’টি ইস্যুতে সমাধানের ব্যাপারে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

    অন্যদিকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা নিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ভারতকে সেভাবে পায়নি।

    সম্পর্কটা কেমন?

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন মনে করেন, বাংলাদেশের উদ্বেগগুলো ভারতের কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছে না।

    “আন্তর্জাতিক সম্পর্কে আমরা দেখি প্রতিটা রাষ্ট্রেরই ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট (জাতীয় স্বার্থ) কিন্তু প্রাধান্য পায়। কিন্তু তার যে প্রতিবেশীর সাথে এমন ধরনের কথিত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, সেখানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত অন্তত নিরপেক্ষ ভূমিকা নেবে-সেটা আমরা আশা করেছিলাম। সেটাও কিন্তু করেনি।”

    অধ্যাপক ইয়াসমিন আরও বলেছেন, “সে কারণে এই ক্ষোভটাও কিন্তু বাংলাদেশে রয়ে গেছে যে এখানে ভারতের সাথে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক, সেটা কিন্তু স্ট্রাটেজিক (কৌশলগত) নয়, যেটাকে আমরা বলি ট্যাকটিক্যাল। এর মানে হচ্ছে, যখন যেটা প্রয়োজন, সেই প্রয়োজনের ভিত্তিতে সম্পর্কটা নির্ধারিত হচ্ছে।”

    তিনি বলছেন ভারত বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের বিষয়টা দীর্ঘ মেয়াদে চিন্তা করছে না বলে দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের উদ্বেগের জায়গাাগুলোকেও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে না।

    “এর আগেও আমি যেটা বলতাম যে ভারতের নেইবারহুড পলিসিটা (প্রতিবেশীদেশের সাথে সম্পর্কের নীতি) ঠিকই আছে। কিন্তু তাদের এই নীতিতে বাংলাদেশের কনসার্নগুলো (উদ্বেগগুলো) কিন্তু প্রয়োরাটাইজ (অগ্রাধিকার) একদমই করা হচ্ছে না। যেটা আমরা বার বার দেখতে পাচ্ছি,” বলেন অধ্যাপক ইয়াসমিন।

    ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে ঘিরে সবচেয়ে বেশি আলোচনা ছিল তিস্তার পানি ভাগাভাগি প্রসঙ্গে। তবে দু দেশের মধ্যে ২২টি চুক্তি সই হলেও তিস্তা নিয়ে চুক্তি হয়নি।

    তিস্তা চুক্তিতে জট

    তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি সই না করার ক্ষেত্রে কয়েকবছর ধরেই ভারতের পক্ষ থেকে তাদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরোধিতার বিষয়কে কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে।

    তবে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে দেশটির রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকার কেউই এর দায়িত্ব নিতে চায় না।

    তিস্তা ইস্যুসহ বাংলাদেশের চাহিদাগুলোর ক্ষেত্রে ভারত সংকীর্ণ স্বার্থ দেখছে বলে তিনি মনে করেন।

    হোসেন আরও বলেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকারকেইতো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরাতো পশ্চিমবঙ্গের সাথে চুক্তি সই করবো না। আমি মনে করি না যে, মমতা ব্যানার্জি প্রকৃত অর্থে খুব অসন্তুষ্ট হতে, যদি কেন্দ্রীয় সরকার চুক্তি করে ফেলতো।

    গেরুয়া সন্ত্রাস ছড়ানো নিয়েও উদ্বেগ বাংলাদেশে

    আওয়ামী লীগের ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পরের বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের মধ্য দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়।

    তখন ভারতে ছিল কংগ্রেস সরকার। সেই প্রেক্ষাপটে ২০১১ সালে ঢাকা সফরে এসেছিলেন দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড: মনমোহন সিং।

    পরে ভারতে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার গঠনের পরও আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ট হওয়ার কথা বলা হয় দু’পক্ষ থেকেই।

    কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১২ বছরে বাংলাদেশের প্রত্যাশার জায়গায় ফারাক রয়ে গেছে।

    অন্যদিকে ভারতে নাগরিকত্ব আইন এবং মুসলিমদের নিয়ে মোদী সরকার বা বিজেপির রাজনীতিও বাংলাদেশে বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ তৈরি করছে।

    “আমরা যেটা দেখছি, ভারতে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এবং এমনকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর মতো ব্যক্তিরাও প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখছেন যে, অবৈধ অভিবাসী যারা আছে, তাদের ভারত থেকে বের করে দেয়া হবে। এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে নানান নেতিবাচক ও খুব অবজেকশনমূলক বক্তব্য তারা দিচ্ছে।”

    সঈদ ইফতেখার আহমেদ বলছেন: “এর প্রতিক্রিয়ায় আমরা দেখছি বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির একটা ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। যার ফলে ভারত বিরোধী সেন্টিমেন্টটা আরও ব্যাপকহারে বাড়ছে।”

    নরেন্দ্র মোদীর এবারের ঢাকা সফরেও বাংলাদেশের মূল সমস্যাগুলো দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় কতটা অগ্রাধিকার পাবে-তা নিয়েও বিশ্লেষকদের অনেকে প্রশ্ন তুলেছে।

    তিস্তা নদীর পানি বন্টন ইস্যু নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্য হচ্ছে, “তিস্তা চুক্তি সই হয়ে আছে। বাস্তবায়ন হয়নি, কারণ তাদের কিছু সমস্যা আছে।
    সূত্র: বিবিসি
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    গুজরাটে মুসলিম হত্যার খলনায়ক মোদীকে স্বাগত জানাতে পারে না বাংলাদেশ

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশের জনগণ স্বাগত জানাতে পারে না। কারণ, ভারত তিস্তাসহ অভিন্ন নদীসমূহের পানি প্রবাহ শুষ্ক মৌসুমে প্রত্যাহার করেছে। সীমান্তে বাংলাদেশী জনগণকে হত্যা করছে, কাশ্মীরে মুসলিম গণহত্যা চালাচ্ছে। বাংলা ভাষাবাসীদের নাগরিকত্ব বাতিলের পাঁয়তারা করছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বার বার নগ্ন হস্তক্ষেপ করছে। কাশ্মীর গুজরাটসহ ভারতে মুসলমানদের রক্তে বার বার রঞ্জিত হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর হাত।

    সুতরাং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানাতে পারে না।

    গত (১৩ মার্চ) শনিবার বিকাল ৬টায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর পল্টনস্থ কার্যালয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর সহসভাপতি আল্লামা আব্দুর রব ইউসুফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সমমনা ইসলামী দলসমূহের নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      চীন কর্তৃক মুসলিম নিধনকে “উইঘুর গণহত্য” বলতে নারাজ তুরস্ক

      তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট চীন সরকার কর্তৃক পূর্ব তুর্কিস্তানের মুসলিম নিধনকে গণহত্যা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

      গত ১৩ মার্চ, তুরস্কের সংসদে ক্ষমতাসীন দলের (এরদোগান) জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট দলের (AKP) দ্বারা পূর্ব তূর্কিস্তানে কম্যুনিস্ট চীন কর্তৃক মুসলিম নিধনকে “উইঘুর গণহত্যা”- আখ্যা দেয়া হবে কিনা মর্মে এক ভোটের আয়োজন করা হয়।

      গত সপ্তাহে তুরস্কের সংসদে ডানপন্থী গুড পার্টি (iYi Party) পূর্ব তূর্কিস্তানে উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে কম্যুনিস্ট চীনের দমন-পীড়নকে ” উইঘুর গণহত্যা” হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। এবং জাতিসংঘে এই গণহত্যা বন্ধ ও বিচার দাবি করা যায় কিনা মর্মে একটি প্রস্তাব পেশ করে। তুরস্কের ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্টে পার্টি (MHP) সংসদের এই ব্যাপারে সমর্থন দেওয়া থেকে বিরত থাকে।
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X