Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ#| ২৩ রজব, ১৪৪৬ হিজরী।। ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ#| ২৩ রজব, ১৪৪৬ হিজরী।। ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫ ঈসায়ী

    হেলিকপ্টার থেকে বিজিবির ছোড়া গুলিতে ছিন্নভিন্ন মনিরের পা; গত ৬ মাসে ১২ বার অপারেশন




    ২০২৪ সালের ২০ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টা। গাজীপুর চৌরাস্তায় চলছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উত্তাল বিক্ষোভ। মূল রাস্তা অবরোধ করে হাজার হাজার মানুষ স্লোগানে প্রকম্পিত করছিল চারদিক। এরকম মুহূর্তেও গুলি-টিয়ার শেল সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে ছুড়তে প্রায় ক্লান্ত ছিল পুলিশ। তবুও পিছপা হয়নি একজন আন্দোলনকারীও। বরং সেখানে নামতে থাকে জনতার ঢল। ঠিক তখনই বিকট শব্দে আকাশ কাঁপিয়ে বিক্ষোভ স্থানের দিকে আসতে থাকে বিজিবির একটি হেলিকপ্টার। সেখান থেকে ভারী অস্ত্র দিয়ে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় এলোপাতাড়ি গুলি। যার একটি গুলি বিদ্ধ হয় মনির হোসেনের (৩০) ডান পায়ের হাঁটুর নিচে। ডান পায়ে লাগলেও এক গুলিতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় মনিরের দু’টি পাই। দুই পায়েরই হাড় ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে গোশতসহ বেরিয়ে যায়। শুধু মাত্র রগের সাথে দুই পায়ের পাতা ঝুলতে থাকে।

    গত প্রায় ছয় মাসে ১২ বার অপারেশন করা হয়েছে মনিরের দুই পায়ে। কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো হাসপাতালের বিছানায় সুস্থতার প্রহর গুনছেন তিনি।

    রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে পা দুটো বালিশে রেখে তুলা দিয়ে কিছু একটা মোছার চেষ্টা করছেন মনির। তার দুই পায়ে ৮ থেকে ১০ করে রড ঢুকিয়ে এলিজা করে রাখা হয়েছে। বেডের নিচে ছোট মেয়েকে নিয়ে বসে আছেন তার স্ত্রী। কেমন আছেন জানতে চাইলে মনির বলেন, মৃত্যু কেমন জানি না। তবে জীবিত অবস্থায় এত কষ্ট আর সহ্য করা যাচ্ছে না। ছয় মাস পা দুটো বালিশের ওপর তুলে রেখেছি। অন্যের সাহায্য ছাড়া কোনো কাজ করতে পারছি না।

    মনির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, গাজীপুরের লেভেনডার ফ্যাশন লিমিটেড নামক গার্মেন্টসের লাইন চিফ হিসাবে কাজ করতেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালি। স্ত্রী, দুই সন্তান ও পরিবারে আরো তিন সদস্যকে নিয়ে চৌরাস্তা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় ছিল তার সংসার। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই যুক্ত ছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের সাথে সমন্বয় রেখে আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেন।

    ২০ জুলাই সকাল থেকেই গাজীপুর চৌরাস্তা অবরোধ করেন তারা। সেখানে চলতে থাকে ব্যাপক বিক্ষোভ। পুলিশের সাথে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। একের পর এক গুলি চালাতে থাকে পুলিশ। সেই সাথে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশ যখন গুলি চালাতে থাকে তখন একটু ছত্রভঙ্গ হলেও কেউ রাস্তা ছাড়ছিল না। এতে করে অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল পুলিশ।

    কিন্তু ঠিক ওই সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আকাশ কাঁপিয়ে আসতে থাকে বিজিবির হেলিকপ্টার। দুই পাশের দরজা খোলা রেখে ভারী অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে তারা। তাদের ছোড়া গুলি যখন রাস্তায় বিদ্ধ হচ্ছিল তখন রাস্তার পিচ গ্রেনেড বিস্ফোরণের মতো উড়ে যাচ্ছিল। এই পরিস্থিতি দেখে অনেকেই মাথায় হাত দিয়ে রাস্তা থেকে সরে পাশের ভবনের দিকে ছুটতে থাকে। ওই সময় একটি গুলি এসে লাগে আমার ডান পায়ে। কাকতালীয় ভাবে পা দুটো পাশাপাশি থাকায় ডান পায়ে লাগা গুলি বিদ্ধ হয়ে বাম পা ভেদ করে হাড়-গোশত চামড়া ছিঁড়ে বের হয়ে যায়। পায়ের পাতার ওপরের হাড় না থাকায় মুুহূর্তের মধ্যে আমি ধপাস করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি।

    জ্ঞান থাকা অবস্থায় তাকিয়ে দেখি আমার দুটো পা নেই। এরপর তেমন কিছু মনে নেই। শুধু অনুভব করছিলাম সঙ্গীরা আমাকে ধরাধরি করে কোনো একটি অটোরিকশায় তোলার চেষ্টা করছে। এরপর নিজেকে আবিষ্কার করি টাঙ্গাইল সিটি হাসপাতালে। তবে তারা আমাকে রাখে নাই। পরে নেয়া হয় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পাঠানো হয় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে।

    এখানে গত ছয় মাসে ১২ বার অপারেশন করা হয় তার দুই পায়ে। গুলিতে টুকরো টুকরো হওয়ায় হাড় কেটে সমান করে শরীরের অন্য জায়গা থেকে হাড় গোশত কেটে এনে পায়ে জোড়া লাগানো হয়েছে। এতে তার স্বাভাবিক উচ্চতার চাইতে তিন ইঞ্চি ছোট হয়ে গেছেন তিনি। তিনি বলেন, তাতেও কষ্ট নেই। কিন্তু একটু দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠলে মনে হয় জীবন ফিরে পেতাম। ছয় মাস ধরে হাসপাতালের বিছানায় কোনো স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। তাছাড়া হাসপাতাল ছাড়তে আরো কত মাস লাগবে তারও নির্দিষ্ট কোনো সময় কারো জানা নেই।

    তথ্যসূত্র:
    ১.হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলিতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় মনিরের দুই পা
    -https://tinyurl.com/nhfvuuck
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কের উপর নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ছাত্রলীগের হামলা



    পাবনার ঈশ্বরদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইব্রাহিম হোসেনের ওপর হামলা চালিয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

    বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

    আহত ছাত্র সমন্বয়ক ইব্রাহিম পৌর শহরের পূর্বটেংরি এলাকার মো. আব্দুস সালামের ছেলে ও পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।

    স্থানীয়রা ও পুলিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, রাত ১০টার দিকে ইব্রাহিম ও তার আরেকজন বন্ধু কলেজের সামনে বসে চা খাচ্ছিলেন। এসময় ৩-৪ জনের একটি গ্রুপ লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় ইব্রাহিমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

    আহত ওই সমন্বয়ক ফেসবুকে একটি লাইভ ভিডিওতে বলেন, ‘পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাকিল হোসেনসহ আরও কয়েকজন লাঠি নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। এসময় শাকিল আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গুলি করার চেষ্টা করলে স্থানীয়দের তোপের মুখে পালিয়ে যায়। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করছি।’


    তথ্যসূত্র:
    ১.ঈশ্বরদীতে সমন্বয়কের ওপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলা
    -https://tinyurl.com/ys4j6x9m
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি অভিযানে আরও ২ ফিলিস্তিনি নিহত




      দীর্ঘ ১৫ মাস পর চলতি সপ্তাহে গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের গণহত্যা থেমেছে। যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সেখানে ইসরায়েলি সন্ত্রাসী বাহিনীর মুহুর্মুহু বিমান হামলার শেষ হয়েছে। তবে ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ থেকে গাজাবাসী কিছুটা স্বস্তি পেলেও এবার তাদের রক্তচক্ষু পড়েছে অধিকৃত পশ্চিম তীরে। গাজায় ব্যবহৃত সেই একই নৃশংস কৌশল সেখানেও ব্যবহার করছে সন্ত্রাসী নেতানিয়াহুর বাহিনী।

      ২১ জানুয়ারি, মঙ্গলবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে ‘আয়রন ওয়াল’ নামে একটি সামরিক আগ্রাসন শুরু করে দখলদার ইসরায়েল। বুরকিন এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় ২৩ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার রাতে দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে জেনিনে তিন দিনের অভিযানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১২-তে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এ ছাড়া সেখানকার শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত দুই বছরের মধ্যে জেনিনে ইসরায়েলি সন্ত্রাসী বাহিনীর তৃতীয় বড় ধরনের অভিযান এটি।

      বুধবার জেনিন শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দারা অব্যাহত গুলির শব্দ ও বিস্ফোরণের কথা জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য বিভাগ অন্তত চারজন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে।

      জেনিনের গভর্নর কামাল আবু আল-রুব বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন। কারণ ইসরায়েলি সামরিক বুলডোজার জেনিন শরণার্থী শিবির এবং জেনিনের সরকারি হাসপাতালের সব রাস্তাঘাট ধ্বংস করে দিয়েছে। মঙ্গলবার অভিযান শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী জেনিনের আশপাশের গ্রাম থেকে প্রায় ২০ জনকে আটক করেছে।

      পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সংস্থার পরিচালক রোলান্ড ফ্রিডরিখ জানান, জেনিনে ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযান গাজায় সদ্য হওয়া নাজুক যুদ্ধবিরতি বিপন্ন করতে পারে।

      জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সংস্থা বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী জেনিন শরণার্থী শিবিরে উন্নত অস্ত্র ও যুদ্ধ কৌশল ব্যবহার করছে যার মধ্যে বিমান হামলাও রয়েছে। শিবিরটি বর্তমানে প্রায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এবং গত ডিসেম্বর থেকে আনুমানিক ২ হাজার পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।


      তথ্যসূত্র:
      1. Minister says Israel applying ‘lessons’ from Gaza in West Bank operation
      https://tinyurl.com/2sbkeu28
      2.West Bank mayor warns of ‘man-made disaster,’ as Israel says it took ‘lessons’ from Gaza war
      https://tinyurl.com/2b4wnu9e
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X