Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ ।। ১০ শাবান, ১৪৪৬ হিজরী।। ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ ।। ১০ শাবান, ১৪৪৬ হিজরী।। ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ঈসায়ী

    বিজেপি নেতার দাবীর মুখে দুই দশকের পুরোনো মসজিদ ভেঙে দিল উগ্র হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন




    বিজেপি নেতার দাবীর মুখে তিন তলা বিশিষ্ট একটি মসজিদ ভেঙে দিল উত্তর প্রদেশের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকার। গত রবিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) উত্তর প্রদেশের কুশিনগর জেলায় অবস্থিত মাদানি নগর মসজিদটি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয় উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকার।

    গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, হইকোর্টের দেওয়া ‘স্টে অর্ডার’ শেষ হয় ০৮ ফেব্রুয়ারি। ঠিক তার পরদিনই (০৯ ফেব্রুয়ারি) ভাঙচুর চালায় উগ্র হিন্দুত্ববাদী যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন।

    ঘটনার সূত্রপাত গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর। উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতা রামবাচান সিং দাবী করে যে, মসজিদটি অবৈধভাবে সরকারি জায়গার উপর নির্মিত। সে উত্তর প্রদেশের মূখ্য মন্ত্রীর পোর্টালে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করে।

    উগ্রবাদী ওই নেতার দাবির জবাবে মসজিদ কর্তৃপক্ষ বলেন, মসজিদ নির্মাণের ১৫ বছর পূর্বে তারা মসজিদ নির্মাণের জন্য ০.৩২ একর জমি ক্রয় করেছিলেন।

    মসজিদ কমিটির পক্ষে জনাব জাকির খান গণমাধ্যমকে জানান, স্থানীয় বাসিন্দা জনাব জাকির হোসাইন এবং আজমতুন্নোসার কাছ থেকে মোট ৩২ শতক জমি মসজিদের জন্য ক্রয় করা হয়। যার মধ্যে ৩০ শতকের উপর মসজিদ নির্মাণ করা হয় এবং মসজিদের আশে-পাশে – ০২ শতক জায়গা খালি রয়েছে।

    জাকির খান আরও জানান, যে ব্যক্তি মসজিদের ব্যাপরে অভিযোগ দায়ের করেছে, মসজিদের আশে-পাশে তার কোনো জমি নাই।

    তিনি আরও বলেন, ‘কেউ যদি বিজেপির লেটারহেডে মুসলিম স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয় সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই একটি ধর্মীয় স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া স্পষ্টতই অবিচার।’

    গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, মসজিদের আশে-পাশের জমির মালিকানা স্থানীয় পুলিশ স্টেশন এবং নগর পলিকার। জেলা প্রশাসকের উপস্থিতে জনসম্মুখে জমিটি পরিমাপ করা হয়। জমির পরিমাপ শেষে প্রশাসন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে মসজিদটি বৈধ জায়গায় অবস্থিত এবং কোনো সরকারী সম্পদের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়।

    কেবলমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতেই মসজিদটি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় মুসলিমরা এবং মসজিদের দায়িত্বশীলরা।

    গত দুই দশক ধরে মাদানি মসজিদটি উত্তর প্রদেশের মুসলিমদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পরিণত হয়েছিল। এটি স্থানীয় মুসলিমদের জন্য প্রধান শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছিল। মসজিদটি পূর্ব উত্তর প্রদেশের ‘তাবলীগ জামায়াতের’ মারকাজ হিসেবেও ব্যবহৃত হত। মসজিদটি ধর্মীয় শিক্ষা ও স্থানীয় মুসলিমদের ঐক্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছিল।

    মসজিদটি ভাঙার ফলে স্থানীয় মুসলিমদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ এবং হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ দিনের পুরোনো মসজিদে ভাঙায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ব্যাপক স্থানীয় মুসলিম।

    এর আগেও অবৈধ স্থাপনার নামে একধিক মসজিদ বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে উত্তর প্রদেশের উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার। মূলত অবৈধ স্থাপনার নামে মুসলিম স্থাপনা বিশেষকরে মসজিদ, মাদ্রাসাকে লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত করাই উগ্র হিন্দুত্ববাদী যোগী আদিত্যনাথের সরকারের প্রধান লক্ষ্য।

    তথ্যসূত্র:
    1. UP: Authorities Demolish Mosque after BJP Leader Alleges ‘Encroachment’
    https://tinyurl.com/4xt5jutk
    2. UP govt bulldozes Madni mosque after High Court’s stay order expires
    https://tinyurl.com/mr3c5sy8
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে চাপাইনবাগঞ্জ সীমান্তে লংমার্চ; প্রতিবাদে গরু জবাই করে জিয়াফত


    ফেলানীসহ সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত সবার আত্মার মাগফিরাত কামনায় ও ফারাক্কার ন্যায্য পানির হিস্যার দাবিতে লংমার্চ ও সামাজিক জিয়াফত অনুষ্ঠিত হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে। রবিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শিবগঞ্জ উপজেলার সরকারি মডেল হাই স্কুলে জিয়াফত উপলক্ষে গরু জবাই করে ভোজের আয়োজন করা হয়।

    এর আগে গত শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ‘বাংলাদেশের জনগণ’-এর ব্যানারে প্রায় ৫০০ সদস্য লংমার্চ করে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শিবগঞ্জ মডেল সরকারি হাই স্কুলে এসে পৌঁছায়। বাংলাদেশের জনগণ নামের একটি সংগঠন এই লংমার্চ ও জিয়াফতের আয়োজন করে।

    লংমার্চ ও জেয়াফতে অংশগ্রহণকারীরা ‘কাঁটাতারের ফেলানী আমরা তোমাকে ভুলিনি’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও জনগণ’, ‘সীমান্তে হত্যা বন্ধ করো করতে হবে’, ‘বেশি করে গরু খান আগ্রাসন রুখে দেন’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

    জিয়াফতে অংশ নেওয়া বিনোদপুর ইউনিয়নের কালীগঞ্জ সীমান্তের বাসিন্দা আব্দুল মজিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘৫, ৬ ও ১৮ জানুয়ারি কালীগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় ভারতীয়রা আগ্রাসন চালিয়েছিল। এই আগ্রাসনবিরোধী কার্যক্রম স্থানীয়রা প্রতিহত করেছিল। আর যারা এই ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিহত কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের জন্য এখানে একটি প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে। সে জন্য আমরা এখানে এসেছি।’


    তথ্যসূত্র:
    ১. চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘ভারতীয় আগ্রাসন’ প্রতিরোধে গরু জবাই ও লংমার্চ
    https://tinyurl.com/2uck9td2
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও দখলদার বাহিনীর গুলিতে ৪ ফিলিস্তিনি নিহত


      দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় পর সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গাজায় কার্যকর হয়েছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি। তবে এরপরও যেন থামছেই না সন্ত্রাসী ইসরায়েলের হামলা। যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও গাজা উপত্যকায় ০৯ ফেব্রুয়ারি, রবিবার দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একটি মেডিকেল সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা আনাদুলু এ তথ্য জানিয়েছে।

      সূত্রটি জানিয়েছে, পূর্ব গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর গুলি চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। বর্বর এ হামলায় তিন জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি মারা গেছে। পরে মৃতদেহগুলো গাজা শহরের ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

      প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাজা শহরের পূর্বে অবস্থানরত কুয়েত গোলচত্বরে এলাকায় ফিরে আসার সময় একদল ফিলিস্তিনিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী।

      চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বে আল-কারারায় দখলদার বাহিনীর গুলিতে একজন বৃদ্ধ ফিলিস্তিনি মহিলা নিহত হয়েছেন।

      ১৯ জানুয়ারী থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও নতুন করে এই মৃত্যু ঘটেছে। এই চুক্তির ফলে ইসরায়েলের গণহত্যা সাময়িকভাবে থামলেও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর আগ্রাসন এখনও থামেনি। সন্ত্রাসী এই রাষ্ট্রটির চলমান আগ্রাসনে গাজায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।


      তথ্যসূত্র:
      1. 4 Palestinians killed by Israeli army fire in Gaza despite ceasefire
      https://tinyurl.com/u3vyrf3j
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        পশ্চিম তীরে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে গুলি করে হত্যা করল দখলদার বাহিনী



        ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ০৯ জানুয়ারি, রবিবার পশ্চিম তীরে গুলি চালিয়ে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক ফিলিস্তিনি নারীকে হত্যা করেছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা এ খবর জানিয়েছেন।

        রামাল্লার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নূর শামস শরণার্থী শিবিরে স্থানীয় সময় ভোররাতে সংঘটিত এক ঘটনায় সুন্দুস জামাল মোহাম্মদ শালাবি নিহত হন।

        এ সময় তার স্বামী ইয়াজান আবু শোলা গুরুতর আহত হন। ২৩ বছর বয়সী ওই নারীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।

        এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দখলদার বাহিনী আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেওয়ায় চিকিৎসকরা নবজাতক শিশুটিকে বাঁচাতে পারেননি।’

        শিবিরের পপুলার কমিটির সদস্য মুরাদ আলিয়ান বলেন, ‘ভোরের দিকে এই ঘটনা ঘটে। তারা (নিহত নারী ও তার স্বামী) শিবির ছেড়ে যেতে চেয়েছিলেন, এর আগেই দখলদার বাহিনী সেখানে প্রবেশ করে। তাদের গাড়ির ভেতরে থাকা অবস্থায় গুলি করা হয়, এতে স্ত্রী ও তার শিশুর মৃত্যু হয় এবং স্বামী আহত হন।’

        ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী রবিবার ভোরে নূর শামস শরণার্থী শিবিরে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালায়, যা তুলকারেম ও জেনিনের নিকটবর্তী শরণার্থী শিবিরগুলোতে চলমান অভিযানের অংশ।
        নূর শামস থেকে ধারণ করা ভিডিওতে সামরিক বুলডোজারগুলোকে ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরের খালি ভবনগুলোর সামনে রাস্তা পরিষ্কার করতে দেখা গেছে।

        ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিম তীরে অন্তত ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ১৯৬৭ সাল থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়েছে, বিশেষ করে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে। মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, তখন থেকে ইসরায়েলি সন্ত্রাসী বাহিনী এবং বসতি স্থাপনকারীদের হাতে অন্তত ৮৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।


        তথ্যসূত্র:
        1. Israel kills eight-month-pregnant woman in occupied West Bank raid
        https://tinyurl.com/mr3jc8hw
        2.Palestinians: Israelis kill pregnant West Bank woman
        https://tinyurl.com/ycjfxrxs
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X