Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ ।। ১১ শাবান, ১৪৪৬ হিজরী।। ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ ।। ১১ শাবান, ১৪৪৬ হিজরী।। ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ঈসায়ী

    নাফ নদী থেকে ৪ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেলো আরাকান আর্মি




    কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নাফ নদী থেকে চার বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি।

    মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের গোলারচর মুখ এলাকা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গেছে।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহপরীর দ্বীপের দক্ষিণ নৌঘাটের সভাপতি বশির আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, সকালে শাহপরীর দ্বীপের চার জেলে নাফ নদীতে মাছ ধরতে যায়। সেখান থেকে বেলা ১১টার দিকে তাদের ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি।

    তথ্যসূত্র:
    ১.নাফ নদী থেকে ৪ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেলো আরাকান আর্মি
    -https://tinyurl.com/44b8cwnn
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    গ্ৰেফতার আওয়ামী নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে পুলিশকে মারধর করল স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা




    নরসিংদীর শিবপুরে আবিদ হাসান জজ মিয়া নামের এক স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়াতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে শিবপুর থানায় এ ঘটনা ঘটে।

    আবিদ হাসান জজ মিয়া শিবপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব ও পুবেরগাঁও এলাকার মজি মিয়ার ছেলে।

    গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নাদিম সরকারকে আটক করে পুলিশ। খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে তাকে ছাড়াতে থানায় যায় জজ মিয়া। থানায় উপস্থিত হয়ে হাজতখানায় নাদিমের সঙ্গে দেখা করতে চায় সে এ সময় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য সবুজ মিয়া তাকে বাধা দেয়। একপর্যায়ে ওই নেতা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্য সবুজ মিয়াকে মারধর করে। এ সময় অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা তাকে বাঁচাতে গিয়ে ঘটনার কারণ জানতে চাইলে জজ মিয়া আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ে।

    এ সময় ওই নেতা বলতে থাকে, এই থানায় চাকরি করলে তাকে চিনতে হবে। তার কথা শুনতে হবে। তা না হলে এখানে চাকরি করা যাবে না। পরে পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করেন।


    তথ্যসূত্র:
    ১.আ.লীগ নেতাকে ছাড়াতে পুলিশকে পেটালেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা
    -https://tinyurl.com/4zn63y2v
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ২০২৪–এ ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি বিদ্বেষ বেড়েছে ৭৫ শতাংশ



      ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীদের লক্ষ্য করে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক ‘ইন্ডিয়া হেট ল্যাব’ জানিয়েছে, ২০২৪ সালে ভারতে ১ হাজার ১৬৫টি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৭৪ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।

      ইন্ডিয়া হেট ল্যাবের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ঘৃণা ছড়ানো বক্তব্যগুলোর ৯৮ দশমিক ৫ শতাশই সংখ্যালঘু মুসলিম ও খ্রিষ্টানদের লক্ষ্য করে করা হয়েছে। আর পরোক্ষভাবে বিদ্বেষের শিকার হয়েছেন ১০ শতাংশ খ্রিষ্টান।

      ওয়াশিংটনভিত্তিক সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ অর্গানাইজড হেট–এর একটি প্রকল্প ‘ইন্ডিয়া হেট ল্যাব’। এই প্রকল্পের অধীনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি শাসিত এলাকাগুলোতে।

      এ ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বাড়ার প্রবণতাকে ‘ভীষণ উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করেছে ইন্ডিয়া হেট ল্যাব।

      জাতিসংঘের মতে, যেকোনো ধরণের যোগাযোগ, বক্তৃতা, লেখা বা আচরণের মাধ্যমে যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ধর্ম, জাতীয়তা, বর্ণ, বংশ, লিঙ্গ বা পরিচয়কে অবমাননা করা হয়, তবে তা ঘৃণামূলক বক্তব্য হিসেবে বিবেচিত হবে।

      এই সংজ্ঞাকে বিবেচনা নিয়ে ইন্ডিয়া ল্যাব জানিয়েছে, ২০২৪ সালে ভারতে ৮০ শতাংশ বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ঘটনা ঘটেছে বিজেপিশাসিত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোতে।

      এসব ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক ক্ষমতার ‘স্পষ্ট সম্পর্ক’ রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে ইন্ডিয়া হেট ল্যাব। সংস্থাটি বলছে, ভারতের উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্য বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ঘটনায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। মোট ঘটনার অর্ধেকের বেশি বিজেপিশাসিত এই তিন রাজ্যে সংঘটিত হয়েছে।

      গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, তারা এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু কোনো সাড়া পায়নি।

      ইন্ডিয়া হেট ল্যাব আরও জানিয়েছে, ২০২৪ সালে ঘৃণামূলক বক্তব্যের মাত্র ২০ শতাংশ ঘটেছে বিরোধীদল শাসিত রাজ্যগুলোতে।

      বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের ঘটনাগুলোর ৩২ শতাংশই ঘটেছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ে। এসব ঘটনার মধ্যে অন্তত ২৫৯টি ঘটনা সরাসরি সহিংসতা উসকে দেওয়ার মতো ছিল বলে উল্লেখ করেছে ইন্ডিয়া হেট ল্যাব।

      ‘সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট’-এর নির্বাহী পরিচালক রাকিব হামিদ নাইক বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেদন স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং এটি একটি নির্দিষ্ট ধারা অনুসরণ করে ঘটছে। এটি এখন শুধু সম্প্রদায়গত মেরুকরণের হাতিয়ার নয়, বরং ভারতীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি, নির্বাচনী প্রচারণা, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং সামাজিক বাস্তবতার অংশ হয়ে গেছে।’


      তথ্যসূত্র:
      1. Hate speech against religious minorities in India soared by 75% in 2024
      https://tinyurl.com/22n5zn6a
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        পশ্চিম তীরে সন্ত্রাসী ইসরায়েলের তাণ্ডব, বাস্তুচ্যুত ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি




        গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে থামেনি সন্ত্রাসী ইসরায়েলের তাণ্ডব। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর ‘অপারেশন আয়রন ওয়াল’ অভিযানের কারণে অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। শুধু স্থানীয় বাসিন্দাই নয়,শরণার্থী শিবিরের অধিবাসীদেরও উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

        মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দখলদার ইসরায়েলি সেনারা জেনিন, তুলকারাম, নুর শামস, তুবাস, ফারা’আ, তামুনসহ বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘর ধ্বংস করছে এবং ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করছে। দখলদার বাহিনীর এই অভিযানে প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা বলছেন, তারা বছরের পর বছর ধরে এসব এলাকায় বসবাস করে আসছেন এবং এখন তাদের পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে।

        অধিকৃত পশ্চিম তীরের বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিরা অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছেন। যেখানে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং চিকিৎসা সেবার সংকট দেখা দিয়েছে।

        ২১ জানুয়ারি থেকে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী জেনিন ও আশপাশের শহর এবং শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালায়। এতে অন্তত ২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। ২৭ জানুয়ারি তুলকারম শহরে নতুন করে হামলায় আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে দুই বছর বয়সী এক শিশুও ছিল, যাকে ইসরায়েলি এক স্নাইপার গুলি করে হত্যা করে।

        এ ছাড়া অধিকৃত এই ভূখণ্ডের নূর-শামস শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান চলাকালে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারী নিহত হয়েছেন। হামলায় ওই নারীর গর্ভের সন্তানও নিহত হয়েছে।

        আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ সত্ত্বেও দখলদার ইসরায়েলি সেনারা পশ্চিম তীরে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলের এই সামরিক অভিযান ও মার্কিন সমর্থনকে কেন্দ্র করে পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। এখন দৃশ্যত ট্রাম্প প্রশাসনের নিরঙ্কুশ সমর্থন নিয়ে গাজার পর এবার পশ্চিম তীরে তাণ্ডব শুরু করেছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল।


        তথ্যসূত্র:
        1. 35,000 Palestinians displaced by Israel’s assaults on West Bank
        https://tinyurl.com/35zth42y
        2.Israeli offensive on occupied West Bank forcibly displaced 40,000: UN
        https://tinyurl.com/h4pty76a
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          কুড়িগ্রাম সীমান্তে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে বিএসএফ



          কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানী সীমান্তে শূন্যরেখায় অবস্থিত এক‌টি মস‌জি‌দের পা‌শে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বা‌হিনী-বিএসএফ ক্লোজড সা‌র্কিট (সিসি) ক‌্যা‌মেরা স্থাপন ক‌রে‌ছে।

          সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি ) কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির পরিচালক লেফ‌টেন‌্যান্ট ক‌র্নেল মাসুদুর রহমান এ তথ‌্য নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন।

          গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশজানী সীমান্তের আন্তর্জা‌তিক সীমানা পিলার ৯ এস এর ৯৭৮ নম্বর পিলারের পাশে শূন্যরেখার একটি ইউক‌্যা‌লিপটাস গাছে রবিবার রাতে বাংলাদেশের দিকে তাক করে একটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেন ভার‌তের ছোট গাড়ল ঝড়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা।

          সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি ) সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি বিজিবিকে জানায়। প‌রে বিজিবি এ নি‌য়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগা‌যোগ ক‌রে। র‌বিবার উভয় সীমান্তরক্ষী বা‌হিনীর কোম্পা‌নি কমান্ডার পর্যা‌য়ে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠ‌কে সিসি ক্যামেরা স্থাপ‌নে আপ‌ত্তি জা‌নি‌য়ে তা অপসারণ করার দাবি জানায় বি‌জি‌বি। তবে বিকাল পর্যন্ত ক্যামেরা খুলে নিয়ে যায়নি বিএসএফ।

          স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দক্ষিণ বাঁশজানি ঝাকুয়াটারী সীমান্তে শত বছরের পুর‌নো ও আলোচিত দক্ষিণ বাঁশজানি ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদ পুনর্নির্মাণ কাজ চলছে। মস‌জিদ‌টি সীমা‌ন্তের শূন‌্যরেখায়। এই মসজিদে উভয় দে‌শের নাগ‌রিক নামাজ আদায় ক‌রেন। কিন্তু মস‌জিদ‌টির পাকা স্থাপনা নির্মা‌ণে আপ‌ত্তি জানায় বিএসএফ। দুই বছর ধ‌রে সেই নির্মাণকাজ বন্ধ থাক‌লেও র‌বিবার রাতের আঁধারে মসজিদের সন্নিকটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে তারা। এতে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

          দক্ষিণ বাঁশজানি ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, বিএসএফের বাধায় দুই বছর থেকে মসজিদের কাজ বন্ধ রয়েছে। তারপরও তারা রাতের আঁধারে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে গেছে। এতে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। বিজিবি ক্যামেরা খুলে নিয়ে যেতে বললেও তা করেনি বিএসএফ।


          তথ্যসূত্র:
          ১.কু‌ড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের সিসি ক্যামেরা স্থাপন, বিজিবির আপ‌ত্তি
          -https://tinyurl.com/6zkfkc9k
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            পশ্চিম তীরে দখলদার বাহিনীকে আরও গুলির নির্দেশ, বাড়ছে ফিলিস্তিনিদের লাশের মিছিল



            অধিকৃত পশ্চিম তীরে সেনাদের গুলি চালানোর নির্দেশ বাড়িয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। যার ফলে অঞ্চলটিতে সামরিক অভিযানে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

            ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজ বলছে, সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড পশ্চিম তীরে গাজা যুদ্ধে ব্যবহৃত গুলি চালানোর নীতি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার কারণে সন্দেহভাজন হোক বা না হোক যেকোনও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকেই হত্যা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় কমান্ডার আভি ব্লটের এই নির্দেশ সেনাদের গুলি করা আরও সহজ করে তুলেছে।

            পশ্চিম তীরে চলমান সামরিক অভিযানে অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদপত্রটি বলেছে, আভি ব্লট ফিলিস্তিনিদের গ্রেফতার না করে হত্যা করার উদ্দেশে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে।

            দখলদার সেনারা বলছে, পশ্চিম তীরে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের সাম্প্রতিক মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া ‘স্বাভাবিক’। কারণ তারা ব্লটের নির্দেশে বিস্ফোরক স্থাপন বা ‘ভূমিতে বিশৃঙ্খলা’ করার সন্দেহে যে কোনও ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করতে পারে।

            হারেৎজ সেনাবাহিনীর ইউনিট কমান্ডারদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর পশ্চিম তীর বিভাগের প্রধান ইয়াকি ডলফ, সৈন্যদের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আসা এবং চেকপয়েন্টের দিকে অগ্রসর হওয়া যেকোনোও যানবাহনে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল।

            ২১ জানুয়ারি থেকে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী জেনিন ও আশপাশের শহর এবং শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালায়। এতে অন্তত ২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। ২৭ জানুয়ারি তুলকারম শহরে নতুন করে হামলায় আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে দুই বছর বয়সী এক শিশুও ছিল, যাকে ইসরায়েলি এক স্নাইপার গুলি করে হত্যা করে।

            এছাড়াও ৯ ফেব্রুয়ারি, রবিবার পশ্চিম তীরে একটি সামরিক চেকপয়েন্টের দিকে এগিয়ে আসা একটি গাড়িতে দখলদার ইসরায়েলি সেনার গুলিতে দুই ফিলিস্তিনি নিহত হন।


            তথ্যসূত্র:
            1. Israel expands shooting orders for soldiers to kill Palestinians in West Bank: Report
            https://tinyurl.com/333y7ch4
            2. Israeli army expands shooting orders for soldiers to kill Palestinians in West Bank: Report
            https://tinyurl.com/2mh8zsz2
            3. Haaretz Exposé | Israeli Army Expands Open-fire Orders in West Bank, Leading to Surge in Palestinian Civilian Deaths
            https://tinyurl.com/43ejfht5
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment

            Working...
            X