Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ ।। ১৭ শাবান, ১৪৪৬ হিজরী।। ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ ।। ১৭ শাবান, ১৪৪৬ হিজরী।। ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ঈসায়ী

    ৮০ বছরের এক গাজাবাসীর সঙ্গে ভয়াবহ নৃশংসতার তথ্য ফাঁস ইসরায়েলি সেনার



    ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ১৫ মাস ধরে ভয়াবহ সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে দখলদার ইসরায়েল। ১৯ জানুয়ারি থেকে উপত্যকাটিতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে। এ সময়ের মধ্যে সেখানে গাজার নিরীহ মানুষের ওপর চালানো বর্বর নির্যাতনের অনেক তথ্য ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে।

    ১৬ ফেব্রুয়ারি, রবিবার সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদন থেকে এমনই এক তথ্য জানা যায়।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি এক দখলদার ইসরায়েলি সেনা নিজেই ফাঁস করেছে গাজায় সংঘটিত এক ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধের তথ্য। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘হামাকোম’-এ প্রকাশিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কিভাবে এক ৮০ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি বৃদ্ধকে গলায় বিস্ফোরক বেঁধে আট ঘণ্টা ধরে হাঁটানো হয় এবং শেষ পর্যন্ত তাকেসহ তার স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

    হামাকোমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার জেইতুন এলাকায় অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনারা ওই বৃদ্ধকে বন্দি করে এবং তাকে তাদের জন্য একটি ‘মানব ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করে।

    এক সেনা সংবাদমাধ্যমটিকে জানায়, আমরা তাকে আমাদের সঙ্গে বাড়ি ও সুড়ঙ্গ তল্লাশির কাজে বাধ্য করি। তার গলায় বিস্ফোরক বাঁধা হয়েছিল এবং বলা হয়েছিল, যদি তিনি আমাদের সহযোগিতা না করেন বা পালানোর চেষ্টা করেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তার মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।

    এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বৃদ্ধ আট ঘণ্টা ধরে সেনাদের সঙ্গে হাঁটতে বাধ্য হন। সেনাটি আরও জানায়, তিনি ৮০ বছর বয়সী একজন বৃদ্ধ। তার পালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা ছিল না এবং তিনি জানতেন, তার পেছনে থাকা সেনারা যে কোনো মুহূর্তে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাকে হত্যা করতে পারে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযান শেষে ওই বৃদ্ধকে এবং তার স্ত্রীকে আল-মাওয়াসি এলাকায় চলে যেতে বলা হয়। তবে ইসরায়েলি সেনারা শেষ পর্যন্ত তাদেরকে গুলি করে হত্যা করে। পরে তাদের মরদেহ রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

    এই ঘটনা গাজার যুদ্ধাপরাধের মাত্র একটি উদাহরণ। এর আগে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ ও ‘স্কাই নিউজ’-এর একাধিক প্রতিবেদনে গাজায় সংঘটিত ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধাপরাধের চিত্র উঠে এসেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সামনের দিনগুলোতে আরও ভয়াবহ তথ্য প্রকাশিত হবে, যা ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে।

    তথ্যসূত্র:
    1. Gaza: Israeli forces used 80-year-old Palestinian as human shield before killing him
    https://tinyurl.com/yskzbjk6
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ‘রাজনৈতিক স্বার্থে’ জিম্মি বিনিময়ের দ্বিতীয় ধাপে বাধা দিচ্ছে নেতানিয়াহু



    ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইসরায়েল-হামাস জিম্মি বিনিময় চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়ন ঠেকানোর চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের একজন সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা। ইসরায়েলি গণমাধ্যম ইয়ানেটকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই কর্মকর্তা জানায়, নেতানিয়াহু রাজনৈতিক স্বার্থে জিম্মিদের জীবনের বিনিময়ে কৌশল অবলম্বন করছে।

    সে বলেছে, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য জিম্মিদের জীবন নিয়ে খেলছে নেতানিয়াহুর প্রশাসন। প্রতিবার মনে হয় এর চেয়ে নিচে নামা সম্ভব নয়,কিন্তু তারপর দেখা যায়, আরও নিচে নামছে তারা।

    এই কর্মকর্তা আরও জানায়, চুক্তি অনুযায়ী ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নেতানিয়াহুর পক্ষ থেকে কোনো আলোচনা শুরু করা হয়নি, যা চুক্তির শর্ত ভঙ্গের শামিল।

    সে সতর্ক করে বলেছে, যদি ইসরায়েল এখনই দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করেও, তাতেও ২ মার্চের মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে না, কারণ সময় অত্যন্ত কম।

    চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, দুই পক্ষ যদি আন্তরিকতার সঙ্গে আলোচনায় থাকে,তাহলে প্রথম ধাপ অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে পারে। তবে নেতানিয়াহুর দল আলোচনার কোনো ইঙ্গিতই দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে এই কর্মকর্তা।

    সে বলেছে, নেতানিয়াহু ও তার সমর্থকরা রাজনীতির ফাঁদে আটকা পড়েছে। তারা বাস্তব পরিস্থিতি বা আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার দিকে কোনো নজর দিচ্ছে না। নেতানিয়াহুর এই অবস্থানের কারণে জিম্মি বিনিময় চুক্তির ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


    তথ্যসূত্র:
    1. Senior security official to media: Netanyahu working to prevent deal’s second phase
    https://tinyurl.com/mkb6srx3
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      পশ্চিম তীরে প্রায় ১০০০ ‘অবৈধ’ বাড়ি নির্মাণ করবে দখলদার ইসরায়েল




      ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রায় এক হাজার ‘অবৈধ’ বসতি স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা করছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল। অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেথলেহেমের দক্ষিণে অবস্থিত একটি কৌশলগত এলাকা ইফ্রাত বসতিতে নতুন এসব অবৈধ আবাসন ইউনিট নির্মাণের জন্য একটি দরপত্র জারি করেছে দখলদার দেশটির সরকার।

      জানা গেছে, এসব এলাকায় ৯৭৪টি আবাসন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সন্ত্রাসী ইসরায়েলের। ইসরায়েলি ওয়াচডগ পিস নাউয়ের তথ্য অনুসারে, নতুন এসব আবাসন তৈরির ফলে ওই অঞ্চলে বাসিন্দাদের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

      আল জাজিরা বলছে, ইফ্রাত বসতির ফলে দক্ষিণে একটি পরিকল্পিত বেথলেহেমে মেট্রোপলিসের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে। ইসরায়েল যদি এলাকাটিকে সংযুক্ত করতে চায়, তবে এটি সমগ্র দক্ষিণ পশ্চিম তীরের অংশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হবে।

      পিস নাউ বলেছে, যখন ইসরায়েলের জনগণ জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধের সমাপ্তির দিকে তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করছে, তখন নেতানিয়াহু সরকার উল্টো উস্কানিমূলক কাজ করছে। তারা এমন তথ্য প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে যা শান্তি ও সমঝোতার সুযোগকে ধ্বংস করবে।

      ইসরায়েলের গৃহায়ণমন্ত্রী জিভ এলকিন এক বিবৃতিতে বলেছে, ইহুদিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি কার্যকরের জন্যই পশ্চিম তীরে ইহুদি উপস্থিতি জোরদার করা জরুরি। গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়ের এ ঘোষণায় ফুসে উঠেছে ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়াহ এর নিন্দা জানিয়েছেন। দখলদার ইসরায়েলের এই বসতি নির্মাণকে ফিলিস্তিনিদের ওপর ‘আগ্রাসন’ বলেও বর্ণনা করেছেন। ১৯৬৭ সালে ৬ দিনের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় অবৈধভাবে পশ্চিম তীর দখল করে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। পশ্চিম তীরে বর্তমান প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ ইহুদির বাস। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এটাকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া এই পশ্চিম তীর নিয়ে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে।


      তথ্যসূত্র:
      1. Israel approves construction of 1,000 new settler homes in the West Bank
      https://tinyurl.com/mutmjphr
      2. Watchdog says plans advancing for nearly 1,000 more settler homes in West Bank
      https://tinyurl.com/r52j9wes
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X