Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ ।। ২০ শাবান, ১৪৪৬ হিজরী।। ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ ।। ২০ শাবান, ১৪৪৬ হিজরী।। ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ঈসায়ী

    দেশের অভ্যন্তরে ঢুকে বাংলদেশি কৃষকের সবজি ও ধানগাছ কেটে দিয়েছে বিএসএফ ও ভারতীয়রা




    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তে কৃষকের ক্ষেতের সবজি গাছ কাটা এবং বোরো ধানের চারা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে।

    এ বিষয়ে বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

    সীমান্তঘেষা লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা মালেক মিয়া (৮৭), সাফায়েত মিয়া (৩০) ও শামসুল আলম (৪০) গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তের ২০২৪/১৩-এস পিলার এলাকায় বাংলাদেশ অংশে জমি লিজ এবং বর্গা নিয়ে স্থানীয় কৃষকরা যুগ যুগ ধরে চাষাবাদ করে আসছে। চলতি বছর কৃষকরা সবজি চাষাবাদসহ বোরো ধান রোপণ করেছে। সোমবার বিএসএফ ভারতীয় লোকজন নিয়ে এদেশে প্রবেশ করে লাউ, সিম, কপি, টমেটো গাছ কেটে দেয় এবং ধানের চারা তুলে ফেলে। এ সময় জমিগুলো ভারতীয় অংশের বলে দাবি করে তারা। খবর পেয়ে ৬০ বিজিবি কর্নেল বাজার ক্যাম্পের টহল জওয়ানরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দেয়। এতে পিছু হটতে বাধ্য হয় বিএসএফ।

    ওই গ্রামের প্রবীণ মালেক মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ওই জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন তিনি। সোমবার সকালে সেখানে গেলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মনতলা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএসএফ তাদের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে লাঠিসোটা নিয়ে কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করে। তারা বাঁশ দিয়ে জমিতে সীমানা প্রাচীর দেওয়ারও চেষ্টা চালায়।


    তথসূত্র:
    ১. সীমান্তে কৃষকের সবজি ও ধানের চারা কেটে দিয়েছে বিএসএফ
    -https://tinyurl.com/bdexf5ju
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    যুক্তরাজ্যে মুসলিমবিদ্বেষ বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণ




    গাজাযুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাজ্যে মুসলিমবিদ্বেষ রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। দেশটিতে গত বছর মুসলিমবিদ্বেষের ঘটনা ঘটেছে প্রায় ছয় হাজার, যা এর আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি।

    ইসলামোফোবিয়া থেকে সংঘটিত নানা ঘটনার ওপর নজর রাখে এমন একটি সংগঠন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ‘টেল মামা’ নামের এ সংগঠনের যাত্রা শুরু ২০১২ সালে। তারা বলেছে, গত বছর নারীদের তুলনায় পুরুষেরা বেশি মুসলিমবিদ্বেষী কর্মকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজাযুদ্ধ শুরু হওয়া ও সাউথপোর্ট হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাজ্যে মুসলিমবিদ্বেষী কথাবার্তা অনেক বেড়েছে, মুসলিমদের সন্ত্রাসী বা সন্ত্রাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলেও মিথ্যা দাবি করা হচ্ছে।

    প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যে মুসলিমবিদ্বেষের ৬ হাজার ৩১৩টি ঘটনা ঘটেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৪৩ শতাংশ বেশি। এসব ঘটনার মধ্যে ৫ হাজার ৮৩৭টি অভিযোগ যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছে টেল মামা।

    সংগঠনটি বলেছে, তাদের হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী অফলাইনে এসব ঘটনার মাত্রা বেড়েছে। তারা এমন ৩ হাজার ৬৮০টি ঘটনার কথা জেনেছে, দুই বছর আগের তুলনায় যা ৭২ শতাংশ বেশি।

    প্রত্যক্ষ যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর বেশির ভাগই ছিল বিদ্বেষমূলক আচরণ, শারীরিক নিপীড়ন, বৈষম্য ও ভাঙচুরের। অধিকাংশ হামলা হয়েছে সড়ক ও উদ্যানের মতো খোলা জায়গায়, যেখানে লোকসমাগম বেশি থাকে। কর্মক্ষেত্রে এমন ঘটনা কম ঘটেছে।

    প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যেদিন থেকে তারা এ ধরনের ঘটনার ওপর নজর রাখতে শুরু করেছে, সেদিন থেকে এবারই (২০২৪ সাল) প্রথম নারীদের তুলনায় পুরুষদের মুসলিমবিদ্বেষের শিকার বেশি হতে দেখছে তারা।

    টেল মামার পরিচালক ইমান আতা মুসলিমবিদ্বেষের ঘটনা কমাতে সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে মুসলিমদের এক বড় অংশ সড়ক ও অনলাইনে মুসলিমবিরোধী ঘৃণার শিকার হচ্ছেন। যারা শিকার হচ্ছেন, তাদের পাশে দাঁড়ানো ও তাদের জন্য কাজ করা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি প্রয়োজন।’ জনগণকে ঘৃণা ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে একজোট হয়ে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।


    তথ্যসূত্র:
    1. Anti-Muslim hate at record level in UK, report says
    https://tinyurl.com/4bn4t2zu
    2. Anti-Muslim hate cases in 2024 reach record high in UK
    https://tinyurl.com/3e9jckc2
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গাজায় ১ হাজার মসজিদ ধ্বংস করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী




      ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ১১০৯টি মসজিদ ধ্বংস করেছে দখলদার ইসরায়েল। গাজা সরকারের ধর্মীয় বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের বর্বর হামলার ফলে গাজা উপত্যকায় এক হাজার ২৪৪টি মসজিদের মধ্যে এক হাজার ১০৯টি মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে। মিডলইস্ট মনিটরের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

      গাজার ধর্মীয় বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা গাজার ধ্বংসপ্রাপ্ত ওমরি মসজিদের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রদান করেছেন।

      বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজার ৮৯ শতাংশ মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। ৮৩৪টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে এবং ২৭৫টি মসজিদ ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

      গাজার ধর্মীয় ও প্রশাসনিক কেন্দ্র, ওয়াকফ সম্পত্তি, কবরস্থান এবং মসজিদের ধ্বংসের ফলে মোট ৫০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থের ক্ষতি হয়েছে। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী মসজিদ ছাড়াও গাজায় ৩টি গির্জা ধ্বংস করেছে।

      এছাড়াও দখলদার বাহিনী গাজার কবরস্থান গুলোতেও হামলা করেছে। ৬০টি কবরস্থানের মধ্যে ৪০টি কবরস্থান হামলার শিকার হয়েছে এবং ২১টি কবরস্থান পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ৬৪৩টি ওয়াকফ অস্থাবর সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে এবং এই স্থানগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষা পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে।

      এছাড়াও গাজার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ৩১৫ জন ইমাম ও বক্তা ইসরায়েলের বর্বর হামলায় শহিদ হয়েছেন এবং ২৭ জন কর্মী আটক হয়ে দখলদার বাহিনীর হাতে বন্দি রয়েছেন।


      তথ্যসূত্র:
      1. Israel destroyed 1,109 mosques and 3 churches during Gaza genocide, says ministry
      https://tinyurl.com/24b3f7xn
      2. More than 1,100 mosques in Gaza Strip destroyed by Israeli attacks
      https://tinyurl.com/32sdcbb7
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X