Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ ।। ২১ শাবান, ১৪৪৬ হিজরী।। ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ ।। ২১ শাবান, ১৪৪৬ হিজরী।। ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ঈসায়ী

    আল্লাহ তায়ালার শানে কটূক্তিকারী রাখাল রাহার শাস্তির দাবীতে ১৫০ জন আলেমের বিবৃতি



    জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-এর পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির অন্যতম সদস্য রাখাল রাহা (সাজ্জাদুর রহমান) আল্লাহ ও নবীর শানে ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় তার শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১৫০ আলেম।
    মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শীর্ষ আলেমদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    বিবৃতিতে আলেমরা বলেন, রাখাল রাহা মহান আল্লাহর শানে চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করে সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট প্রকাশ করে (পরিস্থিতির চাপে পড়ে সে পরবর্তীতে পোস্টটি মুছে ফেলে, যা নিজেই স্বীকার করে আরেকটি পোস্ট দিয়েছে)। এই মন্তব্যের মাধ্যমে সে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের ওপর আঘাত করেছে, যা দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।

    আলেমরা আরও বলেন, এই ধরনের বক্তব্য শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি পরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টি, সামাজিক বিভাজন উসকে দেওয়া এবং জাতীয় স্থিতিশীলতা বিনষ্টের একটি ষড়যন্ত্রমূলক প্রচেষ্টা বলেই প্রতীয়মান হয়। বিশেষত, সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ধারাবাহিকভাবে একই ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। রাখাল রাহার আগে কথিত কবি সোহেল হাসান গালিবও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কুরুচিপূর্ণ ও ঘৃণ্য মন্তব্য করেছে, যা দেশের ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

    আলেমরা বলেন, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং সুসংগঠিত পরিকল্পনার অংশ বলে প্রতীয়মান হয়, যেখানে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সামাজিক উত্তেজনা ও সংঘাত সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। আমরা মনে করি, এই ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতাগুলো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

    এর আগে শিক্ষাক্ষেত্রেও রাখাল রাহা বিভিন্ন বিতর্কিত সংশোধন ও পরিবর্তনের মাধ্যমে ইসলামী সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং জাতীয় মূল্যবোধের প্রতি অবমাননাকর দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছে।

    উল্লেখ্য, নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বইতে ‘আদিবাসী’ গ্রাফিতি সংযোজনের মাধ্যমে সে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করে, যা দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতাকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলেছিল।

    বাংলাদেশের আলেম সমাজ রাখাল রাহার সাম্প্রতিক ধৃষ্টতাপূর্ণ ফেসবুক পোস্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং সরকারের কাছে জোরালোভাবে দাবি করেন যে, রাখাল রাহাকে (সাজ্জাদুর রহমান) অবিলম্বে এনসিটিবির পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটি থেকে অপসারণ করতে হবে।

    ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার কারণে রাখাল রাহার শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছেন ওলামায়ে কেরাম।

    বিবৃতিদাতারা হলেন, আল্লামা সাইয়্যেদ কামালুদ্দীন জাফরী, প্রফেসর ড. এবিএম হিজবুল্লাহ, মুফতি মুহা. কাজী ইব্রাহীম, মাওলানা লিয়াকত আলী, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরি, ড. খলিলুর রহমান আল মাদানী, মাওলানা শরীফ মুহাম্মাদ, ড. গিয়াসউদ্দীন তালুকদার, মাওলানা খুবাইব বিন তায়্যিব (জিরি), মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, ড. মানজুরে এলাহি, ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, ড. মুহাম্মদ গোলাম রববানী, ড. মীর মনজুর মাহমুদ, প্রফেসর ড. সায়্যেদ মাকসুদুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. মুখতার আহমেদ প্রমুখ।



    তথ্যসূত্র:
    ১.আল্লাহর নামে কটূক্তি; রাখাল রাহার শাস্তির দাবিতে ১৫০ আলেমের বিবৃতি
    -https://tinyurl.com/2vuy6ypw



    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    আলেপের বিরুদ্ধে গুম ব্যক্তির স্ত্রীকে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণের প্রমাণ পেয়েছে আদালত




    সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা ও এএসপি আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুম করা ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণের তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

    তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আলেপ উদ্দিন অসংখ্য গুম, খুন, নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত। এক আসামিকে গুম করে রাখার সময়ে তার (আসামির) স্ত্রীকে রমজান মাসে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করেছিল আলেপ উদ্দিন, এর তথ্য প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে।

    বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের সথে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

    তাজুল ইসলাম বলেন, আলেপ উদ্দিন অনেক ব্যক্তিকে অপহরণ করে বছরের পর আটকে রেখেছিল। নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করেছিল। চোখ বেঁধে রেখে, ইলেকট্রিক শক দিয়ে এবং উল্টো করে ঝুলিয়ে রেখে অনেককে নির্যাতন করেছিল।

    প্রসঙ্গত, আল-জাজিরার সাংবাদিক মউদুদ সুজনের করা এক ফেসবুক পোষ্ট থেকে জানা যায়, আলেপ র‌্যাবের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। সে গুম হওয়া ব্যাক্তিদেরকে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করতো।

    মউদুদ সুজন লিখেন, গুম হওয়া এক স্বামী বলছেন- পবিত্র শবে কদরের দিন রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করা হয় তার স্ত্রীকে। এর আগেও প্রায় তিনবার ধর্ষণ করা হয়েছে স্বামীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে। শেষবার ধর্ষণের পর স্ত্রীর মানসিক অবস্থার অবনতি হয় এবং কিছুদিন পরে মৃত্যুবরণ করেন। স্বামী সবকিছু হারিয়ে যখন আলেপকে বারংবার ফোন দিতে থাকে, তখান আলেপ রিপ্লাইয়ে জানান, বন্দি মেয়ে বা বন্দি পুরুষদের স্ত্রীদের সঙ্গে এমন আচরণ এখানে অলিখিতভাবে স্বীকৃত।

    ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী পরিস্থিতিতে এ আলেপ বেশ বহাল তবিয়তেই দিন কাটাচ্ছিল। এসবি থেকে বদলি হয় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে। পরে ২০ অক্টোবর ২০২৪ তার একটি পোস্টের পর যেন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে, আলেপকে বরিশাল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয় এবং পরে সেখান থেকে গ্রেফতার দেখানো হয়।


    তথ্যসূত্র:
    ১.আলেপের বিরুদ্ধে বন্দি ব্যক্তির স্ত্রীকে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে
    -https://tinyurl.com/4797f6ax
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      নৌকাসহ ১৯ বাংলেদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি




      আবারও কক্সবাজারের টেকনাফে ফেরার পথে নাফ নদী থেকে মাছ ধরার ৪টি নৌকাসহ ১৯ মাঝিমাল্লাকে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) ধরে নিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ও দুপুরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর এবং নাফ নদী নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায়।

      এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি নাফ নদের মোহনা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ৬ বাংলাদেশি জেলেকে এখনো ছাড়েনি।

      এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল জলিল গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, টেকনাফে ফেরার পথে আজকেও আমাদের ঘাটের মাছ ধরার দুটি ট্রলারসহ ৯ জন মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার। এর আগে ধরে নিয়ে যাওয়া ৬ জেলেকে এখনো ছেড়ে দেয়নি। তার ওপর এ ধরনের ঘটনা মাছ ব্যবসায়ীসহ জেলেদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাছাড়া এটি সমাধানে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি আমরা।

      এর আগে গত বছর ৬ অক্টোবর সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে ৬টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৫৮ জেলে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যায়। তাদের ৯ অক্টোবর অপহরণ করে সেই দেশের নৌবাহিনী। এ সময় মিয়ানমার নৌবাহিনীর টহলরত একটি স্পিডবোট থেকে বাংলাদেশি একটি ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাতে তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে জেলেদের ফেরত দেওয়া হয়। তখন এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল।

      এছাড়া সব শেষ ১৫ অক্টোবর মিয়ানমারের রাখাইনে অনুপ্রবেশ করা মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা বাংলাদেশি ১৬ জেলেকে ফেরত এনেছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।


      তথ্যসূত্র:
      ১. মাছ ধরার নৌকাসহ ১৯ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
      https://tinyurl.com/4pz32wb7
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X