Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ ।। ২৪ শাবান, ১৪৪৬ হিজরী।। ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ ।। ২৪ শাবান, ১৪৪৬ হিজরী।। ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ঈসায়ী

    উত্তর প্রদেশে ১৬৮ বছরের পুরোনো মসজিদ ভেঙ্গে দিল উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার


    উত্তর প্রদেশে ১৬৮ বছরের পুরনো মসজিদ গুড়িয়ে দিলো ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকার।

    রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মুসলিম মিররের খবরে একথা জানানো হয়।

    এতে বলা হয়, প্রসিদ্ধ মেরুত এলাকায় ‘দিল্লি রোড’ এর পাশে ১৬৮ বছরের পুরনো মসজিদ গুড়িয়ে দিয়েছে উত্তর প্রদেশের উগ্র হিন্দুত্ববাদী যোগী আদিত্যনাথের সরকার। র‍্যাপিড রেল ট্রানজিট নেটওয়ার্কের অভিযোগ তুলে মসজিদটি ভাঙা হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।

    শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে মসজিদটি ভাঙার পূর্বে ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হয় উগ্র হিন্দুত্ববাদী যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। পরবর্তীতে ব্যাপক পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতে রাতে মসজিদটি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়।

    সরকারের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়, মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্মতিতে রেল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য মসজিদটি ভাঙার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু মসজিদের মুতাওয়াল্লি হাজ্বি সালেহীন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যদিও এবিষয়ে প্রশাসনের সাথে ২০ ফেব্রুয়ারি আমাদের আলোচনা হয়েছিলো কিন্তু অতি প্রাচীন ও ঐতিহাসিক হওয়ায় আমরা এতে পুরোপুরি সম্মত ছিলাম না। উপায়ন্তর না দেখে নতুন জায়গায় নতুন মসজিদ বানিয়ে দেওয়ার শর্তে পরবর্তীতে আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য হই। আমাদের কাছে এখনো এই মসজিদ ও জায়গার মালিকানার নথি রয়েছে, যেখানে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে এটি ১৮৫৭ সনের পূর্বেকার।

    তথ্যসূত্র:
    1.168 year old mosque demolished in UP‘s Meerut
    -https://tinyurl.com/4whc28zs
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    রাঙামাটিতে মিলল নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের আয়নাঘর; স্থানীয়দের জিম্মি করে আদায় করতো লাখ লাখ টাকার চাঁদা



    এবার ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের ‘আয়নাঘর’ এর সন্ধান মিলেছে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে। এ আয়না ঘরটি জেলা শহরের লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ সড়কের আলম ডক ইয়ার্ড এলাকায় অবস্থিত বলে সন্ধান পাওয়া গেছে।

    এ আয়নাঘরে সাধারণ মানুষদের বন্দি করে চাঁদা আদায়, মাদক কারবার, ভারতীয় অবৈধ সিগারেটের ব্যবসা, ইভটিজিংসহ নানা অপকর্ম পরিচালনা করা হত।

    আয়নাঘরটি পরিচালনা করতেন নিষিদ্ধ ঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান বাপ্পী, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন কায়সার এবং বাপ্পীর দুই সহোদর ছাত্রলীগ নেতা মো. রাব্বী এবং মো. রাকিবসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন।

    এ গ্যাংটি পুরো এলাকায় অর্ধকোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি করেছে, যেখানে নতুন ভবন গড়ে ওঠে সেখানেই হানা দিত তারা এবং চাঁদা না দিলে কাজ বন্ধ রাখা হত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, গ্যাংটি ওই এলাকায় সাবা টাওয়ারের মালিক প্রবাসী মো. ইউনুছকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দশ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। শুধু তাই নয়; ওই ভবনের নিচতলায় আয়না ঘর বানিয়ে সাধারণ মানুষদের আটক করে মারধর করে চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে।

    সাবা টাওয়ারের কেয়ারটেকার মো. নাজিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, আমার মালিকের থেকে সন্ত্রাসীরা চাঁদা আদায় করলেও কত টাকা দিয়েছে তা আমি জানি না। আমরা ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারিনি।

    এ গ্যাংয়ের অত্যাচারের শিকার শ্রমিক মো. জাহাঙ্গীর। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‌‌‘২০২৪ সালের ২৮ জুন ঠেলা গাড়ি করে মাশরুম নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে এবং তার দুই সঙ্গী মো. মনির ও মো. হাফিজকে আটক করে সন্ত্রাসী বাপ্পী এবং তার ক্যাডাররা তাদের আয়না ঘরে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। প্রাণে বাঁচতে সে আটক থাকা অবস্থায় তার স্ত্রীকে ফোন করে চার লাখ টাকা দিয়ে ওইদিন রাতে মুক্তি পান।’

    জাহাঙ্গীর আরও বলেন, ‘চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি চক্রটির বিরুদ্ধে রাঙামাটির কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।’

    আরেক ভুক্তভোগী মো. করিম এবং রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম শাহ আলমের কেয়ারটেকার রবিউল হোসেন বাবলু বলেন, সন্ত্রাসী বাপ্পীর গ্যাংয়ের সদস্যরা আয়নাঘরে আমাদের ভবন তৈরির মিস্ত্রিদের তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর এবং নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনতাই করে। এরপর চাঁদা দাবি করে। থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি বলে জানান তিনি।

    একজন ভুক্তভোগী রং মিস্ত্রী আকতার হোসেন বলেন, ‘এই এলাকায় নির্মিত একটি ভবনে রং করার কাজে বাধা দেয় সন্ত্রাসী বাপ্পীর ছোট ভাইরা। ভবন মালিক পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দিলে কাজ করা যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।’

    স্থানীয় দোকানদার আব্দুল হক বলেন, ‘চাঁদা না দেওয়ায় সন্ত্রাসী বাপ্পী গংরা আমার দোকানের জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে।’

    সম্প্রতি আনোয়ার হোসেন কায়সারকে চট্টগ্রাম থেকে পুলিশ আটক করলেও গ্যাংটির সন্ত্রাসী কার্যক্রম এখনো বহাল আছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

    তথ্যসূত্র:
    ১.এবার মিলল ছাত্রলীগের আয়নাঘরের সন্ধান
    -https://tinyurl.com/bddmnx2y
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করতে ‘নোংরা খেলা’ খেলছে নেতানিয়াহু




      গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি বানচাল করতে নেতানিয়াহু ‘নোংরা খেলা’ খেলছে বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। দলটির দাবি, দখলদার ইসরায়েল সরকার চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের বিষয়ে কোনো আলোচনা করছে না, যা ১ মার্চ শেষ হওয়ার কথা।

      এই চুক্তির দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায় ছয় সপ্তাহের প্রথম পর্যায়ের মধ্যে চূড়ান্ত করার কথা ছিল। প্রথম পর্যায়ে ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দেওয়া, গাজা থেকে আংশিকভাবে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করা হয়। ১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় পর্যায় চূড়ান্ত হলে সব ইসরায়েলি বন্দির মুক্তি এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা।

      ২২ ফেব্রুয়ারি, শনিবার আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সিনিয়র সদস্য বাসেম নাইম বলেন, আমরা মনে করি, এটি ডানপন্থি সরকারের একটি কৌশল, যা চুক্তি বানচাল ও যুদ্ধের দিকে ফেরার বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে।

      তিনি জানান, হামাস এখনো চুক্তিতে অটল রয়েছে এবং তাদের সব শর্ত মেনে চলেছে। তবে তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েল চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে।

      নাইম বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১০০-র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, নির্ধারিত মানবিক সহায়তার অধিকাংশ গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি, এবং নেতজারিম করিডোর (গাজার উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে সংযোগকারী সংকীর্ণ পথ) থেকে সেনা প্রত্যাহার বিলম্বিত করা হয়েছে।

      এর আগে, নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা স্বীকার করেছে, হামাসের অভিযোগ সত্য। তবে সরকারিভাবে ইসরায়েল এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

      চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইসরায়েল ৬০ হাজার ভ্রাম্যমাণ ঘর এবং ২ লাখ তাঁবু গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়িত হয়নি। গাজার ২৪ লাখ মানুষের মধ্যে ৯০ শতাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং অঞ্চলটির বিশাল অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

      এদিকে যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী শনিবার আরও ছয় জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর বিনিময়ে ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও- তা অমান্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

      রোববার ইসরায়েল ঘোষণা করেছে, তারা শত শত ফিলিস্তিন বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা পিছিয়ে দিয়েছে, যতক্ষণ না হামাস তাদের শর্ত পূরণ করে। এই সিদ্ধান্ত গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তির ভঙ্গুরতা প্রকাশ করছে।

      নেতানিয়াহুর অফিস রোববার ভোরে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েল ৬২০ জন ফিলিস্তিন বন্দী ও আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছে, যতক্ষণ না পরবর্তী দফায় জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত হচ্ছে এবং অপমানজনক আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া তাদের হস্তান্তর করা হয়।

      তথ্যসূত্র:
      1. Netanyahu playing ‘dirty games’ to sabotage Gaza truce deal: Hamas
      https://tinyurl.com/5br32snz
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X