Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ ।। ১১ রমযান, ১৪৪৬ হিজরী ।। ১২ মার্চ, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ ।। ১১ রমযান, ১৪৪৬ হিজরী ।। ১২ মার্চ, ২০২৫ ঈসায়ী

    যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় দখলদার ইসরায়েলের হামলা, নিহত শিশুসহ ৮ ফিলিস্তিনি


    ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বরতা থামার কোনো লক্ষণ নেই। যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও প্রায় প্রতিদিনই হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। সর্বশেষ হামলায় এক শিশুসহ অন্তত আটজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ত্রাণ সহায়তার ওপর থেকে ইসরায়েলি অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানালেও হামলার তীব্রতা কমছে না।

    ১২ মার্চ, বুধবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দখলদার ইসরায়েল গাজায় হামলার পরিমান আরো বাড়িয়েছে। যদিও মার্কিন প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ এবং ইসরায়েলের কর্মকর্তারা কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে এবং এরই মধ্যে হামাসও “নতুন দফার আলোচনা” শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। তবে বাস্তবে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে।

    বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে সাতজন নিহত ও আরও অনেকে আহত হয়েছেন। গাজার পূর্বাঞ্চলে বেসামরিক মানুষের ভিড়ে চালানো বিমান হামলায় ৫ জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এছাড়া, দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের শোকা গ্রামে ড্রোন হামলায় এক ফিলিস্তিনি নারী নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গাজার নেটজারিম এলাকায় ধ্বংসস্তূপের কাছে জড়ো হওয়া একদল ফিলিস্তিনির ওপর ইসরায়েলি ড্রোন হামলা চালায়, যাতে আরও হতাহতের ঘটনা ঘটে।

    অন্যদিকে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে অবস্থানরত ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনি বাড়িগুলোর দিকে গুলিবর্ষণ করেছে। সীমান্তের কাছাকাছি মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায়ও ইসরায়েলি বাহিনীর সরাসরি গুলিতে এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু হয়।

    এদিকে গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইহুদিবাদী দখলদার পক্ষ। এমন অবরোধের কারণে গাজায় রমজানে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা। গাজায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করায় নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব, কাতার, জর্ডান ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।


    তথ্যসূত্র:
    1. LIVE: Israel kills 8 Palestinians in Gaza as truce talks continue in Qatar
    https://tinyurl.com/2ru5vwtv
    2.Israeli attacks on Gaza kill eight as famine warnings grow
    https://tinyurl.com/mrxj99sz
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি ভেঙে সরিয়ে দেওয়ার দাবি বিজেপি নেতাদের


    ভারতে এবার মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি ভেঙে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে বিজেপি নেতারা। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের সম্ভাজিনগর (আগে ছিল আওরঙ্গবাদ) জেলার খুলদাবাদে রয়েছে ছয়জন মহান মুঘল সম্রাটের মধ্যে সর্বশেষ এবং শ্রেষ্ঠ এই সম্রাটের সমাধি।

    আর আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর এই দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

    সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ছত্রপতি সম্ভাজিনগর জেলার খুলদাবাদ থেকে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবিকে সমর্থন করেছে।

    সম্প্রতি, মারাঠা রাজা ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের বংশধর ও বিজেপির সাতারা সংসদ সদস্য উদয়নরাজে ভোঁসলে সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধিটি ভেঙে ফেলার দাবি করে। সে বলে, “কী প্রয়োজন..মেশিন পাঠিয়ে তার সমাধি ভেঙে ফেলা উচিত… তিনি ছিলেন একজন চোর এবং লুটেরা (ডাকাত)।”

    সে আরও বলে, “যারা আওরঙ্গজেবের সমাধিতে যায় এবং শ্রদ্ধা জানায় তারা তার ভবিষ্যৎ (আশ্রয়) হতে পারে। তাদের উচিত সেই সমাধিটি তাদের নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু তারপরও আওরঙ্গজেবের গৌরব ও প্রশংসা আর সহ্য করা হবে না।”

    এর আগে গত ৪ মার্চ বিজেপি নেতা নবনীত রানাও সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি ভেঙে ফেলার দাবি করেছিল। সাবেক এই বিজেপি সংসদ সদস্য বলেছে, “আমি মহারাষ্ট্র সরকারকে অনুরোধ করতে চাই, ঠিক যেভাবে আওরঙ্গাবাদের নাম পরিবর্তন করে আমাদের ভগবান সম্ভাজি মহারাজের নামে রাখা হয়েছিল, তেমনই আওরঙ্গজেবের সমাধিও ভেঙে ফেলা উচিত।”

    প্রসঙ্গত, সম্রাট আওরঙ্গজেব ছিলেন ছয়জন মহান মুঘল সম্রাটের মধ্যে সর্বশেষ এবং শ্রেষ্ঠ সম্রাট। তিনি মারা গেছেন ৩০০ বছরেরও বেশি সময় আগে। ভারতকে ১৬৫৮ সাল থেকে ১৭০৭ সাল পর্যন্ত অর্ধ-শতাব্দী কাল ধরে শাসন করেছিলেন তিনি।

    চলতি বছরের জানুয়ারিতে, ভারতের আগ্রায় মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের বাসভবন ‘মুবারক মঞ্জিল’ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ এর মাত্র তিন মাস আগেই ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ওই ভবনটিকে ঐতিহ্যবাহী ও সংরক্ষণযোগ্য স্থাপত্যের তালিকাভুক্ত বলে ঘোষণা করেছিল উত্তরপ্রদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ।

    মুঘল সাম্রাজ্যের ষষ্ঠ সম্রাট আওরঙ্গজেব ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম। তিনি শরিয়া আইন চালু করেছিলেন এবং তাকে বলা হয় “সর্বশেষ কার্যকর মুঘল সম্রাট”।


    তথ্যসূত্র:
    1.Devendra Fadnavis Backs Call To Remove Aurangzeb’s Tomb, Slams Congress
    https://tinyurl.com/m534myka
    2. Devendra Fadnavis backs calls for Aurangzeb’s tomb removal with jab at Congress
    https://tinyurl.com/34s49r39
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতে রমজান মাসে ৫ বছর বয়সী মুসলিম শিশুকে বলি দিয়ে উঠানে পুঁতে রাখলো প্রতিবেশি হিন্দু দম্পত্তি


      কালোজাদুর প্রয়োগ ঘটাতে তান্ত্রিকের পরামর্শ মেনে পবিত্র রমজান মাসেই এক মুসলিম মেয়েকে বলি দিয়ে বাড়ির উঠোনে পুঁতে রেখেছে প্রতিবেশি এক হিন্দু দম্পতি। বলির শিকার মেয়েটির বয়স মাত্র ৫ বছর।

      গত শুক্রবার (৭ মার্চ) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে উঠে আসে এমন তথ্য। এই ঘটনাটি ঘটেছে মূলত ভারতের গোয়া রাজ্যে।

      গোয়া পুলিশের এক কর্মকর্তা এনডিটিভির প্রতিবেদনের বরাতে জানিয়েছে, গোয়ায় এক উগ্র হিন্দু দম্পতি তাদের পাড়ার ৫ বছর বয়সী এক মুসলিম মেয়েকে হত্যা করে তার বাড়ির উঠোনে মৃতদেহ পুঁতে দিয়েছে। পরে ওই দম্পত্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

      উগ্রবাদী ওই হিন্দু নরপিশাচের নাম বাবাসাহেব আলার (৫২) ও তার স্ত্রী পূজা (৪৫)।

      জানা যায়, জীবনে ‘দুঃখের শেষ’ করার জন্য এক তান্ত্রিকের পরামর্শে ০৫ বছর বয়সী মুসলিম মেয়েকে বলি দিয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করছে তারা। বলি দিয়ে শিশুটিকে হত্যার পর তার লাশ বাড়ির উঠানেই পুঁতে রেখেছিল।

      নিহত মুসলিম শিশুর বাবা-মা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত বুধবার শিশুটি পার্শ্ববর্তী ওই হিন্দু প্রতিবেশির বাড়ীতে যায়। এর পর থেকে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ ওই নরপিশাচদের গ্রেফতার করেছে।


      তথ্যসূত্র:
      1. Couple Kills 5-Year-Old Girl To “End” Their Woes, Buries Body In Backyard
      https://tinyurl.com/5dytwdus
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ: কানাডায় মার্কিন পণ্য বয়কটের হিড়িক


        যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের প্রতিবাদে কানাডায় মার্কিন পণ্য বয়কটের হিড়িক পড়েছে। দেশপ্রেমের অংশ হিসেবে স্থানীয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মার্কিন পণ্য বর্জন শুরু করেছে, যা দুই দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক টানাপোড়েনকে আরও তীব্র করে তুলছে।

        সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, টরন্টোর একটি জনপ্রিয় পানশালা ‘ম্যাডিসন অ্যাভিনিউ পাব’। প্রতিষ্ঠানটি তাদের মেন্যু থেকে সব ধরনের মার্কিন পণ্য সরিয়ে ফেলেছে। এতে নাচোস, উইংস এবং বিয়ারের মতো জনপ্রিয় খাবার ও পানীয় এখন কেবল কানাডার স্থানীয় উপাদান বা ইউরোপ ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্য দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে।

        পানশালাটির ব্যবস্থাপক লিয়া রাসেল বলেছে, আমাদের জন্য এটি একদমই স্বাভাবিক সিদ্ধান্ত। আমরা আমাদের স্থানীয় ব্যবসাগুলোকে সমর্থন করতে চাই।

        কানাডার বিখ্যাত অভিনেতা জেফ ডগলাস, যে একসময় ‘আই অ্যাম কানাডিয়ান’ বিজ্ঞাপনের মুখ ছিল। সম্প্রতি এক ভিডিওবার্তায় ট্রাম্পের ‘কানাডাকে ৫১তম রাজ্য বানানোর’ মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। ‘আমরা কারও ৫১তম কিছু নই,’ বলে মন্তব্য করে সে। ভিডিওটি দ্রুতই কানাডাজুড়ে ভাইরাল হয়ে যায়।

        এমনকি, কানাডার সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম ‘সিবিসি’ যখন ‘কানাডা কি যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য হতে পারে?’ শীর্ষক একটি আলোচনা অনুষ্ঠান প্রচার করে, তখন তা প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এটি ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ ও ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে অভিহিত করেন।
        ট্রাম্প প্রশাসন কিছু শুল্ক প্রত্যাহার এবং কিছু শুল্ক ২ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রাখার ঘোষণা দিলেও কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি জানিয়েছে, কানাডাকে যথেষ্ট অসম্মান করা হয়েছে। ট্রাম্প আমাদের ৫১তম রাজ্য বলছে, আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ‘গভর্নর’ বলে অভিহিত করছে।

        এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্ক যুদ্ধের ফলে কানাডার অর্থনীতিতে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন। কানাডার বেশিরভাগ রফতানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে যায়। অর্থনীতিবিদরা পূর্বাভাস দিচ্ছেন, শুল্ক বাড়তে থাকলে প্রায় ১০ লাখ কানাডীয় চাকরি হারাতে পারেন। বিশ্লেষকদের মতে, বাণিজ্য অনিশ্চয়তার কারণে কানাডার বিনিয়োগ বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

        কানাডার বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ট্রাম্পের শুল্কনীতির তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, সে (ট্রাম্প) চায় কানাডার অর্থনীতি ধ্বংস হোক, যাতে আমাদের দখল করা সহজ হয়।

        কানাডায় যুক্তরাষ্ট্র ও মার্কিন পণ্য বয়কটের প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে। কানাডীয় সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল নিউজ’ জানিয়েছে, কানাডীয়দের যুক্তরাষ্ট্রে পর্যটন ভ্রমণ ৪০ শতাংশ কমে গেছে।

        কানাডার নাগরিকরা বলছে, যতক্ষণ পর্যন্ত মার্কিন শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার না করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা এই প্রতিরোধ অব্যাহত রাখবে।


        তথ্যসূত্র:
        1. Interest in ‘Made in CA’ directory surges as Canadian buyers respond to US tariff threats, owner says
        https://tinyurl.com/4p8uwntv
        2.Bourbon is out, patriotism is in – How Canadians are facing Trump threats head on
        https://tinyurl.com/3vzevp83
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ডাকাতি করে পালানোর সময় আটক যুবলীগ নেতাসহ তার দল


          ডাকাতি শেষে পন্টুনসহ ভেকু মেশিন নিয়ে নদীপথে পালানোর সময় দুটি দেশীয় পিস্তলসহ যুবলীগ নেতা ও সন্ত্রাসী রাইফেল মহিউদ্দীনসহ (৩৮) পাঁচ ডাকাত গ্রেফতার হয়েছে। এ সময় ২টি দেশীয় পিস্তল, ৩৭ রাউন্ড গুলি, ম্যাগাজিন ও বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে বরিশালের নাজিরপুর নৌ-পুলিশ।

          সোমবার (১০ মার্চ) সকালে মুলাদী উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর এলাকার আড়িয়ালখাঁ নদ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ডাকাতি করা একটি খননযন্ত্র (ভেকু) ও পন্টুনসহ দুটি ট্রলারযোগে পালাচ্ছিল তারা।

          বিকালে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মুলাদী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে গত ৮ মার্চ বিকালে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরে আলমের ইটভাটা থেকে পন্টুন ও ভেকু ডাকাতি করে তারা।

          গ্রেফতারদের মধ্যে মহিউদ্দীন ওরফে রাইফেল মহিউদ্দীন (৩৮) বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুরের বাসিন্দা ও ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে অন্তত এক ডজন মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

          গ্রেফতার আসামিদের বরাত দিয়ে নৌ-পুলিশ জানায়, গত ৮ মার্চ ডাকাতি করা ওই ভেকু ও পন্টুন মাদারীপুরের কালকিনির কয়ারিয়া ইউনিয়নের জনৈক নূর মোহাম্মাদ মোল্লার ইটভাটায় রাখা হয়। রোববার দিবাগত রাতে পন্টুনের উপর ভেকু তুলে দুটি ট্রলারে চড়ে ২০-২২ জন ডাকাত মাদারীপুরের কালকিনি থেকে বাবুগঞ্জের দিকে পালাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তখন আড়িয়াল খাঁ নদে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় বেশ কয়েকজন ডাকাত পালিয়ে গেলেও ট্রলার ও অস্ত্রসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।


          তথ্যসূত্র:
          ১. ডাকাতি করে পালানোর সময় যুবলীগ নেতাসহ ৫ ডাকাত গ্রেফতার
          https://tinyurl.com/6tev69bm
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            পলাতক হাসিনা ও তার পরিবারের ১২৪ ব্যাংক একাউন্টে ৬৩৫ কোটি টাকা; কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্পদের সন্ধান


            দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের জব্দ হওয়া ১২৪ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬৩৫ কোটি টাকার সন্ধান মিলেছে। এছাড়া ইউরোপ-আমেরিকাসহ পাঁচ দেশে বিপুল সম্পদ পাওয়া গেছে। আর অর্থ পাচারের জন্য প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত হওয়া ১১টি ঘটনার মধ্যে অধিকাংশই হাসিনা ও তার পরিবারের।

            সোমবার (১০ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত বৈঠকে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। পরে এসব তথ্য প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

            সোমবারের বৈঠকে বিএফআইইউ জানায়- শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জব্দ করা ১২৪ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬৩৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা পেয়েছে বিএফআইইউ। এছাড়া ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা দলিলমূল্যে রাজউকের ৬০ কাঠা প্লট এবং ৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা মূল্যের ১০ শতাংশ জমিসহ আটটি ফ্ল্যাট অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

            এতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জে সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া মালয়েশিয়ার একটি অ্যাকাউন্টে রাশিয়ান ‘স্নাশ ফান্ড’-এর অস্তিত্বও মিলেছে। হাসিনা পরিবার ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের হওয়া ৬টি মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে এবং পরিবারের ৭ সদস্যকে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

            প্রেস সচিব বলেন, কতটা বেপরোয়াভাবে পাচার করা হয়েছে, তা দু-একটি উদাহরণে বোঝা যায়। একজন শিক্ষার্থীর টিউশন ফি হিসাবে ৪০০-৫০০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে।

            সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পাচারের অর্থ উদ্ধার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং বিএফআইইউ প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় উল্লেখ করা হয়, আর্থিক খাতে জালিয়াতি, দুর্নীতিসহ সরকারি চুক্তিতে অনিয়মের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে ৭৫ বিলিয়ন থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়েছে।

            বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব অর্থ প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকংসহ অন্যান্য ট্যাক্সহেভেন অফশোর (পাচারকারীদের নিরাপদ স্থান) দেশগুলোতে পাচার হয়েছে।


            তথ্যসূত্র:
            ১. হাসিনার সম্পদের সন্ধান মিলেছে কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জে
            https://tinyurl.com/dc89f2rd
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ছাগল চুরি করায় গ্রেফতার দুই যুবদল নেতা


              ভোলার মনপুরায় এক ব্যবসায়ীর ছাগল চুরি করে দুই যুবদল নেতাসহ চক্রের পাঁচজনকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

              সোমবার (১০ মার্চ) সেহরির সময় উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের তালতলা বাজার থেকে রামছাগলটি চুরি করে নিয়ে যায় যুবদল নেতার নেতৃত্বে অপর চার সদস্য।

              পরে সকাল ১০টায় ঘটনা জানাজানি হলেও স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে পুলিশসহ যুবদল নেতার বাড়ি থেকে ছাগলসহ যুবদল নেতাকে গ্রেফতার করে। পরে ওই যুবদল নেতার স্বীকারমতে অপর চার সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

              ঘটনা ও পুলিশ সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, উপজেলার তালতলা বাজারের চা ব্যবসায়ী শখ করে বাজারে রামছাগল পালতেন। সোমবার ভোররাতে দোকান থেকে সাহরি খেতে বাসায় যান ওই ব্যবসায়ী। এই সময়ে সংঘবদ্ধ চক্রটি রামছাগলটিকে বাজার থেকে চুরি করে নিয়ে যায়। পরে সকালে ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয়রা যুবদল নেতা হুমায়ন মিঝির বাড়ি থেকে ছাগলসহ আটক করে। পরে ওই যুবদল নেতার স্বীকারোক্তিতে চক্রের অপর চার সদস্য আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে বিকাল সাড়ে ৫ টায় মনপুরা থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন চা ব্যবসায়ী সফিজল।


              তথ্যসূত্র:
              ১. ছাগল চুরি করে দুই যুবদল নেতাসহ পাঁচজন গ্রেফতার
              https://tinyurl.com/3pthamyp
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment

              Working...
              X