ভারতে এবার জ্ঞানবাপি মসজিদের নিচে কথিত মন্দিরের অস্তিত্ব খোঁজার নির্দেশ
ভারতের বারানসিতে মুঘল আমলে নির্মিত জ্ঞানবাপি মসজিদের নিচে হিন্দু মন্দিরের চিহ্ন রয়েছে কিনা এবার তা খুঁজে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় একটি আদালত। মসজিদটি বিখ্যাত কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশেই অবস্থিত।
হিন্দু ধর্মানুসারীদের দাবি, ১৬৬৪ সালে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব প্রাচীন মন্দিরটি ভেঙে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করে। এ নিয়ে ১৯৯১ সালে আদালতে একটি পিটিশন দায়ের হয়েছিল।
প্রায় তিন দশকের পুরনো সেই পিটিশনের শুনানিতে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) বারানসি আদালত ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থাকে (এএসআই) মসজিদটি মন্দিরের জায়গায় বানানো কিনা তা অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে।
বিষয়টি তদন্তের জন্য এএসআইয়ের মহাপরিচালককে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করতে বলা হয়েছে, যার মধ্যে দুজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য থাকতে হবে। কমিটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য প্রসিদ্ধ কাউকে নিয়োগ দেয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে বলা হয়, এই প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের মূল উদ্দেশ্য হবে ‘বিতর্কিত স্থানে’ বর্তমানে যে ধর্মীয় অবকাঠামো দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাতে অন্য কোনো ধর্মীয় স্থাপনার যে কোনো ধরনের পরিবর্তন, সংযোজন বা রূপান্তরের চিহ্ন রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করা। অর্থাৎ, মসজিদের ওই জায়গায় কখনো হিন্দু মন্দির ছিল কিনা, সেটাই অনুসন্ধান করবে কমিটি।
যদিও এ ধরনের জরিপের নির্দেশনা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য আর শামসাদ। তার মতে, ১৯৯১ সালে প্রণীত একটি আইন বিবেচনায় আবেদনটি বাতিল করা উচিত।
তিনি বলেছেন, এই মামলা খারিজ করার জন্য একটি আবেদন করা হয়েছিল, যার ভিত্তিতে জেলা আদালত আদেশ জারি করেছে। মামলাটির শুনানি করা যায় কিনা তার পুরো বিষয়টি এলাহাবাদ হাইকোর্টে বিচারাধীন। এই পটভূমিতে মনে হয় না এধরনের আদেশের কোনও যৌক্তিকতা রয়েছে। এটি মোটেও উচিত হয়নি।
সূত্র : এনডিটিভি
ভারতের বারানসিতে মুঘল আমলে নির্মিত জ্ঞানবাপি মসজিদের নিচে হিন্দু মন্দিরের চিহ্ন রয়েছে কিনা এবার তা খুঁজে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় একটি আদালত। মসজিদটি বিখ্যাত কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশেই অবস্থিত।
হিন্দু ধর্মানুসারীদের দাবি, ১৬৬৪ সালে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব প্রাচীন মন্দিরটি ভেঙে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করে। এ নিয়ে ১৯৯১ সালে আদালতে একটি পিটিশন দায়ের হয়েছিল।
প্রায় তিন দশকের পুরনো সেই পিটিশনের শুনানিতে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) বারানসি আদালত ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থাকে (এএসআই) মসজিদটি মন্দিরের জায়গায় বানানো কিনা তা অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে।
বিষয়টি তদন্তের জন্য এএসআইয়ের মহাপরিচালককে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করতে বলা হয়েছে, যার মধ্যে দুজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য থাকতে হবে। কমিটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য প্রসিদ্ধ কাউকে নিয়োগ দেয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে বলা হয়, এই প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের মূল উদ্দেশ্য হবে ‘বিতর্কিত স্থানে’ বর্তমানে যে ধর্মীয় অবকাঠামো দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাতে অন্য কোনো ধর্মীয় স্থাপনার যে কোনো ধরনের পরিবর্তন, সংযোজন বা রূপান্তরের চিহ্ন রয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করা। অর্থাৎ, মসজিদের ওই জায়গায় কখনো হিন্দু মন্দির ছিল কিনা, সেটাই অনুসন্ধান করবে কমিটি।
যদিও এ ধরনের জরিপের নির্দেশনা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য আর শামসাদ। তার মতে, ১৯৯১ সালে প্রণীত একটি আইন বিবেচনায় আবেদনটি বাতিল করা উচিত।
তিনি বলেছেন, এই মামলা খারিজ করার জন্য একটি আবেদন করা হয়েছিল, যার ভিত্তিতে জেলা আদালত আদেশ জারি করেছে। মামলাটির শুনানি করা যায় কিনা তার পুরো বিষয়টি এলাহাবাদ হাইকোর্টে বিচারাধীন। এই পটভূমিতে মনে হয় না এধরনের আদেশের কোনও যৌক্তিকতা রয়েছে। এটি মোটেও উচিত হয়নি।
সূত্র : এনডিটিভি
Comment