Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ০৭ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরী || ০৬ এপ্রিল, ২০২৫ ঈসায়ী

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ০৭ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরী || ০৬ এপ্রিল, ২০২৫ ঈসায়ী

    মাইক্রোসফটের হাতে ফিলিস্তিনিদের রক্ত




    মাইক্রোসফটের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে এক আলোচিত মুহূর্ত তৈরি হয়েছে, যখন এক নারী কর্মী গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে সরাসরি মঞ্চে প্রতিবাদ জানান।

    ঐ কর্মী দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) প্রযুক্তি সরবরাহ করার অভিযোগে কোম্পানির ওপর ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, মাইক্রোসফটের হাতে ফিলিস্তিনিদের রক্ত লেগে আছে।

    ৫ এপ্রিল, শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার মাইক্রোসফটের এআই বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মুস্তফা সুলেমানের বক্তৃতার সময় এ প্রতিবাদ শুরু হয়।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, সাবেক সিইও স্টিভ বলমার এবং বর্তমান সিইও সত্য নাদেলা। এই তিনজনকে ২০১৪ সালের পর প্রথমবারের মতো এক মঞ্চে দেখা যায়।

    সেই সময়ে মাইক্রোসফটের নারী কর্মী ইবতিহাল আবুসাদ হঠাৎ মঞ্চের সামনে গিয়ে চিৎকার করে বলেন, মুস্তফা, তোমার লজ্জা নেই? তুমি বলো এআইকে ভালো কাজে ব্যবহার করবে, অথচ মাইক্রোসফট ইসরায়েলি সেনাদের এআই প্রযুক্তি সরবরাহ করছে! ৫০ হাজার মানুষ মারা গেছে। মাইক্রোসফট এই গণহত্যার অংশীদার!

    প্রতিবাদ চলাকালে ইবতিহাল বলেন, সুলেমান এবং পুরো মাইক্রোসফটের হাতেই রক্ত লেগে আছে। প্রতিবাদের একপর্যায়ে তিনি মঞ্চের উদ্দেশ্যে ফিলিস্তিনের প্রতীক ‘কেফিয়াহ স্কার্ফ’ ছুড়ে দেন। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের করে দেন।

    এই ঘটনার পরপরই আরেক কর্মী ভানিয়া আগারওয়ালও একইভাবে বিক্ষোভে অংশ নেন। তিনি মঞ্চে থাকা গেটস, বলমার ও নাদেলার সামনে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানান। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই পুরো অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছিল, ফলে প্রতিবাদের দৃশ্য দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

    এর আগে ফেব্রুয়ারিতে, গাজায় গণহত্যায় মাইক্রোসফটের সম্পৃক্ততা নিয়ে অভ্যন্তরীণ এক বৈঠকে প্রতিবাদ জানানোয় পাঁচ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

    প্রসঙ্গত, গাজায় চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে এ বছর বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) একটি অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনে জানায়, মাইক্রোসফট ও তাদের অংশীদার ওপেনএআই গোপনে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীকে এআই প্রযুক্তি সরবরাহ করছে। এসব প্রযুক্তির সহায়তায় গাজা ও লেবাননে হামলার লক্ষ্য নির্ধারণ করছে ইসরায়েল।

    গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষ।

    মাইক্রোসফট কর্মীদের এই সরব অবস্থান দেখিয়ে দিচ্ছে, প্রযুক্তি খাতের বড় বড় কোম্পানিগুলোর নৈতিক দায় নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দিন দিন। ইবতিহাল আবুসাদের সাহসী প্রতিবাদ সেই প্রশ্নগুলোকেই সামনে নিয়ে এসেছে বিশ্বমঞ্চে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Pro-Palestinian protesters interrupt Microsoft’s 50th anniversary event
    https://tinyurl.com/3nmy594t
    2.Microsoft employees protest at 50th anniversary party over Israel contract
    https://tinyurl.com/33238k3y
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    চিকেনস নেকে ভারী যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করল ভারত



    ভারতের জন্য কৌশলগতভাবে সবচেয়ে স্পর্শকাতর অঞ্চল ‘চিকেনস নেক’ বা শিলিগুড়ি করিডোরে ব্যাপক সামরিক শক্তি মোতায়েন করেছে নয়াদিল্লি। মাত্র ২২ কিলোমিটার প্রশস্ত এই করিডোর দিয়েই ভারতের মূল ভূখণ্ড সংযুক্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের সঙ্গে। এই ভূখণ্ডটির চারপাশে রয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও চীনের সীমান্ত।

    গত ৪ এপ্রিল এক প্রতিবেদনে ইন্ডিয়ান ডিফেন্স নিউজ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বিমসটেক সম্মেলনের পরপরই করিডোরে নিরাপত্তা জোরদার করে ভারত। এর মধ্যে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রাফায়েল যুদ্ধবিমান, ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রসহ একাধিক অত্যাধুনিক অস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। করিডোর লাগোয়া সুকনায় অবস্থিত ‘ত্রিশক্তি কর্পস’-এর সদরদপ্তর ইতিমধ্যেই ভারতীয় সামরিক শক্তির অন্যতম ঘাঁটি হয়ে উঠেছে।

    বিশ্লেষকদের মতে, যত সামরিক আধুনিকীকরণই করা হোক না কেন, করিডোরটির ভৌগোলিক সংকীর্ণতা ভারতের জন্য একটি কৌশলগত দুর্বলতা। কারণ সামান্য অবরোধেই এই করিডোর বিচ্ছিন্ন হয়ে ভারতের সাতটি রাজ্যের সঙ্গে সংযোগ ছিন্ন হতে পারে।

    ভারতের সেনাপ্রধান সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে, ‘চিকেনস নেক আর ঝুঁকি নয়, বরং এটি ভারতের সবচেয়ে সুরক্ষিত সামরিক অঞ্চল হয়ে উঠবে।’ কিন্তু পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই ধরনের ঘোষণা মূলত ভারতের দুর্বল জায়গাকে ঢাকার কৌশল হিসেবেই দেখা যেতে পারে।

    উল্লেখযোগ্য যে, ২০১৭ সালে ভুটানের দোকলাম অঞ্চলে চীন সেনা মোতায়েন করলে ভারতের সঙ্গে বড় ধরনের উত্তেজনা দেখা দেয়। ওই সময়ই শিলিগুড়ি করিডোরের নিরাপত্তা প্রশ্নে ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। সেই উত্তেজনার ধারাবাহিকতায় ভারত এখন এই অঞ্চলে প্রতিরক্ষা ঘাঁটি মজবুত করছে।

    সব মিলিয়ে, শিলিগুড়ি করিডোর ভারতের জন্য এক কৌশলগত সংকটের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। আঞ্চলিক উত্তেজনার যে কোনো প্রভাব এই করিডোরের মাধ্যমে ভারতের ভূখণ্ডগত অখণ্ডতায় সরাসরি আঘাত হানতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


    তথ্যসূত্র:
    1. India Fortifies ‘Chicken’s Neck’ As Bangladesh, China Eye Strategic Corridor
    https://tinyurl.com/3u5sb7t2
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে আইনে রূপ নিল মুসলিমবিরোধী ওয়াকফ সংশোধনী বিল




      মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের ত্বরিত প্রচেষ্টায় লোকসভা, রাজ্যসভা ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন অতিক্রম করে চূড়ান্ত আইনে রূপ নিল বিতর্কিত ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫। গত ৫ এপ্রিল রাতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বিলটি আইনে পরিণত হয়। ইতোমধ্যেই ভারত সরকারের গেজেটে সংশোধিত আইন সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

      বিলটির পক্ষে সরকার যেমন সক্রিয় ছিল, তেমনি বিরোধীপক্ষ থেকে ওঠে প্রবল আপত্তি। গত ২ এপ্রিল বিলটি লোকসভায় উপস্থাপন করা হলে রাতভর চলে বিতর্ক। এরপর ৩ এপ্রিল গভীর রাতে ২৮৮ ভোটে বিলটি পাস হয়, যেখানে বিপক্ষে পড়ে ২৩২টি ভোট। এরপর রাজ্যসভায় ১২৮ জন সদস্য বিলের পক্ষে ভোট দেয়, আর বিপক্ষে ভোট পড়ে ৯৫টি। এরপর তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় এবং ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির সইয়ের মধ্য দিয়ে তা আইনে রূপ নেয়।

      সংশোধিত আইন অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ডে এখন থেকে অমুসলিম প্রতিনিধিরাও থাকতে পারবে। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, কোনো জমি ওয়াকফ কি না, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারেরও থাকবে নিয়ন্ত্রণ। অর্থাৎ মুসলিম সমাজের নিজস্ব ধর্মীয় সম্পত্তির ওপর রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের পথ খুলে গেল এই আইনের মাধ্যমে।

      ভারতে বর্তমানে ওয়াকফের অধীনে রয়েছে প্রায় ৮.৭ লাখ সম্পত্তি এবং প্রায় ৯.৪ লাখ একর জমি। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১.২ লাখ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে উত্তরপ্রদেশে—২৩ লাখেরও বেশি, যা দেশের মোট ওয়াকফ সম্পত্তির ২৭ শতাংশ। এরপরেই আছে পশ্চিমবঙ্গ, যেখানে প্রায় ৮০ হাজার ওয়াকফ সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে ১৫৮টি স্কুল, ৪টি ইংলিশ মিডিয়াম মাদরাসা, ১৯টি হোস্টেল ও ৯টি হাসপাতাল।

      আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই আইনের ফলে মুসলিমদের শতাব্দীপ্রাচীন ধর্মীয় সম্পত্তির ওপর সরাসরি রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। ইতোমধ্যে এই সংশোধনী বিলকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।


      তথ্যসূত্র:
      1. President Droupadi Murmu Approves Controversial Waqf Amendment Bill
      https://tinyurl.com/2p96pad3
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬০, আহত ১৬২





        গাজায় চলমান বর্বর ইসরায়েলি আগ্রাসনে আরও ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ০৫ এপ্রিল, শনিবার সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করেছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৬২ জন।

        এর মধ্যে শনিবার ভোরে চালানো এক হামলাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট আই।

        ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছে, দখলদার ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ থেকে ফের হামলা শুরু করার পর থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ শিশু হতাহত হচ্ছে। গাজার ১০ লাখেরও বেশি শিশু এক মাসেরও বেশি সময় ধরে স্বাস্থ্য সহায়তা পাচ্ছে না বলেও সতর্ক করেছে ইউনিসেফ।

        গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৫০,৬৬৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তথ্যমতে, নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু। চলমান এই আগ্রাসন গাজাকে ধ্বংস করেছে। বেশিরভাগ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি হামলার মাত্রা এতো বেশি যে, ভূখণ্ডটির জনসংখ্যার ৯০ শতাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।


        তথ্যসূত্র:
        1.Over 60 Palestinians killed in Israeli attacks on Gaza in 24 hours
        https://tinyurl.com/mr4byh4a
        2.At least 60 killed in Israeli strikes on Gaza
        https://tinyurl.com/wfjm3yvw
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          সীমান্তে ভারতের মাদক আগ্রাসন, ধরা ছোঁয়ার বাইরে গডফাদাররা




          মাদক পাচারের ট্রানজিট হিসেবে সীমান্তের গ্রামগুলোকে ব্যবহার করছে চোরাকারবারিরা। প্রতিবেশী ভারত থেকে গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবার চালান সড়ক, রেল ও বিমানপথে ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশে। মাঝেমধ্যে আটক হচ্ছে এসব মাদকের বাহকরা। তবে ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে মাদকের গডফাদাররা। সীমান্ত এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে তারা মাদক কারবার চালিয়ে যাচ্ছে।

          উত্তরের সীমান্ত জেলা লালমনিরহাটের পাড়া-মহল্লায় হাত বাড়ালেই মিলছে সব ধরনের মাদকদ্রব্য। ইয়াবায় ডুবে থাকছে উঠতি বয়সি যুবক, স্কুল-কলেজের ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। জেলায় মাদকাসক্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। উঠতি তরুণ ও যুবক ইয়াবাসেবীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বিগ্ন অভিভাবক মহল।

          গত ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে মাদক কারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে যে চক্রটি মাদক চোরাচালানে সক্রিয় ছিল, সে চক্রই ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

          সূত্র জানায়, ভারতের সঙ্গে উত্তরের সীমান্ত জেলা লালমনিরহাটের প্রায় ২৪৮ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তের কমপক্ষে অর্ধশত স্পট দিয়ে প্রতিনিয়ত আসছে ফেনসিডিল, গাঁজা, মদসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য।

          সীমান্ত গ্রামের মফিজুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন সীমান্তে বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, থ্রি-হুইলারসহ নানা যানবাহনে চড়ে সুকৌশলে তরুণ, যুবক, কিশোর-কিশোরীরা ফেনসিডিল, গাঁজা, ইয়াবা, মদ সেবন করতে ছুটে আসে। রাত হলেই গোটা সীমান্তের নোম্যানসল্যান্ড চোরাকারবারিদের দখলে চলে যায়।

          জেলার সীমান্ত গ্রাম কুলাঘাট, মোগলহাট, দুর্গাপুর, চলবলা, লোহাখুচি, বানিয়াটারী, জাওরানী, দৈখাওয়া, পানবাড়ি, সিন্দুর্না, জগৎবেড়, রসুলগঞ্জ, ঠ্যাংঝাড়া, আমঝোলসহ দেড় শতাধিক গ্রামের মানুষের প্রধান পেশা চোরাচালান।

          আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ভারত সীমান্তের (৫-১০) কিলোমিটারের মধ্যে থাকা তিন শতাধিক ফেনসিডিল কারখানায় প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার ফেনসিডিল তৈরি হয়। বছরে তারা বাংলাদেশে প্রায় ৬ কোটি বোতল ফেনসিডিল পাচার করে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশে হেরোইনের মূল যোগানদাতা ভারত। এ দেশের যুবসমাজ ভারতের মাদক আগ্রাসনে পর্যুদস্ত।


          তথ্যসূত্র:
          1.সীমান্তে ভারতীয় মাদকের ভয়াল থাবা, অধরা গডফাদাররা
          https://tinyurl.com/4e7wfuwh
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X