শ্রমিকদের ন্যায্য আন্দোলনেও ৫ জনকে গুলি করে হত্যা মুরতাদ পুলিশ বাহিনীর

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে বেতন-ভাতার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভে গুলির ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৩জন।
আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। মাফিয়া বাহিনী পুলিশ এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সওগাত ফেরদৌস বলেন, ‘আহত অবস্থায় অনেককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে চারজন মারা গেছেন।’ তিনি জানান, নিহত চারজন হলেন আহমেদ রেজা (১৮), রনি (২২), শুভ (২৪) ও মো. রাহাত (২২)। আহত ব্যক্তিদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাবিবুল্লাহ (১৯) নামের একজন মারা যান। বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শফিউর রহমান মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) হুমায়ূন কবির বিক্ষোভের ঘটনায় শ্রমিকদের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
শ্রমিকরা দাবি করেছেন, পুলিশই আগে গুলি করেছে৷ একজন শ্রমিক বলেন, ‘‘আমাদের রমজানে ইফতারের সময় দেয়া হয় না৷ আমরা বলেছি আমাদেরকে নামাজ, ইফতার ও রোজার ছুটি দিতে হবে৷ এসব দাবি না মেনে পুলিশকে দিয়ে আমাদের আন্দোলনে গুলি চালানো হয়েছে৷’’ আরেক জন শ্রমিক অভিযোগ করেন, ‘‘আন্দোলন শুরুর পরই পুলিশ গোলাগুলি শুরু করে৷ অনেকের মাথায় পিঠে গুলি লাগে৷ যে যেভাবে পেরেছি ছুটে পালিয়েছি৷’’ নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের মধ্যেই পুলিশের একটি ক্যাম্প আছে৷ শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, মালিকপক্ষ তাদের ন্যায্য আন্দোলন দমনে পুলিশকে ব্যবহার করেছেন৷
শনিবারের ঘটনায় চারজনকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ মৃত ঘোষণা করা হয়৷ আরেকজন মারা যান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে৷ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, তিনজন পুলিশসহ ১৯ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়৷ তাদের মধ্যে একজন শ্রমিক মারা যান৷ তিনি বলেন, ‘‘আহত শ্রমিকরা জানিয়েছেন দাবি দাওয়া নিয়ে মালিক পক্ষের সাথে তাদের আগে থেকেই ঝামেলা চলছিলো৷’’
ঘটনার পর বাঁশখালী এবং হাসপাতালে আহত শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, তাদের বেশ কয়েক মাস ধরে নিয়মিত বেতন দেয়া হচ্ছিল না৷ সেই সঙ্গে তারা বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন৷ রোজার মাসে কাজের সময় পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিলেন তারা, তাও মানা হচ্ছিল না৷ এছাড়াও শ্রমিকদের অভিযোগ সেখানে পানি ও টয়লেটের সংকট রয়েছে৷ আট ঘণ্টার পরিবর্তে ১০ ঘণ্টা কাজে বাধ্য করা হয়৷ তাদের সাথে সবসময় খারাপ ব্যবহার করা হয়৷ এনিয়ে তারা ১১ দফা লিখিত দাবি দিয়েছিল৷ শুক্রবারও তাদের কাজ করতে হয়৷ এনিয়ে শুক্রবার তারা বিক্ষোভ করেন৷ শনিবার সকালে তারা আবার বিক্ষোভ করলে তা দমনে গুলি চালানো হয়৷
চীনের সাথে যৌথ উদ্যোগে দেশের বৃহৎ শিল্প গ্রুপ এস আলম-এর কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপনের প্রাথমিক কাজ শুরু হয় প্রায় আট বছর আগে৷ ২০১৬ সালের এপ্রিলে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের রিরোধিতা করে স্থানীয়রা আন্দোলন করেন৷ তখন গুলিতে চারজন নিহত হন৷ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে স্থানীয়রা শুরু থেকেই পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে এর বিরোধিতা করে আসছেন৷

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে বেতন-ভাতার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভে গুলির ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৩জন।
আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। মাফিয়া বাহিনী পুলিশ এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সওগাত ফেরদৌস বলেন, ‘আহত অবস্থায় অনেককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে চারজন মারা গেছেন।’ তিনি জানান, নিহত চারজন হলেন আহমেদ রেজা (১৮), রনি (২২), শুভ (২৪) ও মো. রাহাত (২২)। আহত ব্যক্তিদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাবিবুল্লাহ (১৯) নামের একজন মারা যান। বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শফিউর রহমান মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) হুমায়ূন কবির বিক্ষোভের ঘটনায় শ্রমিকদের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
শ্রমিকরা দাবি করেছেন, পুলিশই আগে গুলি করেছে৷ একজন শ্রমিক বলেন, ‘‘আমাদের রমজানে ইফতারের সময় দেয়া হয় না৷ আমরা বলেছি আমাদেরকে নামাজ, ইফতার ও রোজার ছুটি দিতে হবে৷ এসব দাবি না মেনে পুলিশকে দিয়ে আমাদের আন্দোলনে গুলি চালানো হয়েছে৷’’ আরেক জন শ্রমিক অভিযোগ করেন, ‘‘আন্দোলন শুরুর পরই পুলিশ গোলাগুলি শুরু করে৷ অনেকের মাথায় পিঠে গুলি লাগে৷ যে যেভাবে পেরেছি ছুটে পালিয়েছি৷’’ নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের মধ্যেই পুলিশের একটি ক্যাম্প আছে৷ শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, মালিকপক্ষ তাদের ন্যায্য আন্দোলন দমনে পুলিশকে ব্যবহার করেছেন৷
শনিবারের ঘটনায় চারজনকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ মৃত ঘোষণা করা হয়৷ আরেকজন মারা যান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে৷ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, তিনজন পুলিশসহ ১৯ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়৷ তাদের মধ্যে একজন শ্রমিক মারা যান৷ তিনি বলেন, ‘‘আহত শ্রমিকরা জানিয়েছেন দাবি দাওয়া নিয়ে মালিক পক্ষের সাথে তাদের আগে থেকেই ঝামেলা চলছিলো৷’’
ঘটনার পর বাঁশখালী এবং হাসপাতালে আহত শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, তাদের বেশ কয়েক মাস ধরে নিয়মিত বেতন দেয়া হচ্ছিল না৷ সেই সঙ্গে তারা বেতন বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন৷ রোজার মাসে কাজের সময় পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিলেন তারা, তাও মানা হচ্ছিল না৷ এছাড়াও শ্রমিকদের অভিযোগ সেখানে পানি ও টয়লেটের সংকট রয়েছে৷ আট ঘণ্টার পরিবর্তে ১০ ঘণ্টা কাজে বাধ্য করা হয়৷ তাদের সাথে সবসময় খারাপ ব্যবহার করা হয়৷ এনিয়ে তারা ১১ দফা লিখিত দাবি দিয়েছিল৷ শুক্রবারও তাদের কাজ করতে হয়৷ এনিয়ে শুক্রবার তারা বিক্ষোভ করেন৷ শনিবার সকালে তারা আবার বিক্ষোভ করলে তা দমনে গুলি চালানো হয়৷
চীনের সাথে যৌথ উদ্যোগে দেশের বৃহৎ শিল্প গ্রুপ এস আলম-এর কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপনের প্রাথমিক কাজ শুরু হয় প্রায় আট বছর আগে৷ ২০১৬ সালের এপ্রিলে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের রিরোধিতা করে স্থানীয়রা আন্দোলন করেন৷ তখন গুলিতে চারজন নিহত হন৷ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে স্থানীয়রা শুরু থেকেই পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে এর বিরোধিতা করে আসছেন৷
Comment