Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# ৫ই রমজান, ১৪৪২ হিজরি | ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ ঈসায়ী |

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# ৫ই রমজান, ১৪৪২ হিজরি | ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ ঈসায়ী |

    এবার মামুনুল হককেও গ্রেপ্তার করল ভারতীয় দালাল ত্বাগুত বাহিনী

    অবশেষে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর মুরতাদ পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
    আজ রোববার বেলা একটার দিকে শায়খুল হাদিস সাহেবকে মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে মাফিয়া সরকারের গোলাম বাহিনীর ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

    সাধারণ জনগণের অধিকার নিয়ে কথা বলা, ন্যায়ের পক্ষে অবিচল থাকা মামুনুল হককে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের পরপরই বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সাধারণ জনগণ। যুবকদের ওই বিক্ষোভে শায়খুল হাদিসের প্রতি তাদের অগাধ ভালোবাসার প্রমান করে। মুহম্মদপুর থেকে করা হয় বিক্ষোভটি।

    পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপকমিশনার হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে একটি দল শায়খুল হাদিসকে গ্রেপ্তার করে। মাওলানা মামুনুল হককে তেজগাঁওয়ের উপ পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

    মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ৮ বছর আগের ২০১৩ সালের একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে বলে জানায় পেটুয়া ডিএমপি কমিশনার। ৮ বছর আগের মামলার জন্য গ্রেফতার স্বাভাবিকভাবেই গ্রেফতারের উদ্দেশ্য খুব ভালোভাবেই ফুটে ওঠে।

    কথিত লকডাউনের উদ্দেশ্য ছিলো হেফাজতে ইসলামের নেতাদের গ্রেফতার করে ন্যায়ের আন্দোলনকে স্তমিত করা। আর মামুনুল হককে গ্রেফতার হলো তার শেষ চাল। জনগণের কন্ঠস্বরকে থামিয়ে দিতে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই মতামত প্রায় সকল ঘরানার মানুষের।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মোল্লা মোহাম্মদ ওমর মুজাহিদের জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রকাশিত হল ৫২০ পৃষ্ঠার প্রামাণ্যচিত্র

    তালেবান আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রথম আমীরুল মু’মিনিন প্রয়াত মোল্লা মোহাম্মদ ওমর মুজাহিদ (রহ.) এর জীবন ও কর্ম এবং সংগ্রামের অন্যান্য কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে বিশাল এক ডুকুমেন্টারি।

    ‘তৃতীয় ওমর’ নামে এই ডুকুমেন্টারিটি প্রাথমিকভাবে পুশ্ত ভাষায় সুন্দর নকশাকৃত ৫২০ পৃষ্ঠার বিশাল একটি বই আকারে ছাপা হয়েছে, যাতে একটি ভূমিকা এবং ৮টি অধ্যায় রয়েছে। এতে ইসলামী উম্মাহর এই মহান নেতার জীবন ও সংগ্রামের সমস্ত দিকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।

    তালেবানদের সাংস্কৃতিক কমিশনের উপ-প্রধান আহমদুল্লাহ্ ওয়াসিক হাফিজাহুল্লাহ্ বইটি হাতে পেয়ে বলেন, আমিরুল মু’মিনিন মোল্লা মোহাম্মদ ওমর মুজাহিদ (রহঃ) জীবন সম্পর্কিত বিস্তারিত একটি ডকুমেন্টারি পেতে অনেক আগ থেকেই আমি আগ্রহী ছিলাম। আজ আমি আমার প্রিয় ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সম্মানিত ভাই ক্বারী আব্দুস সাত্তার সাঈদের কাছ থেকে এমনই একটি বই পেয়েছি, আমি বইটি দেখে খুবই খুশি হয়েছি।

    তিনি আরো বলেন, প্রিয় লেখক ও কবি মোল্লা মোহাম্মদ ওমর (রহঃ) কে নিয়ে এমন একটি ইতিহাস ও তথ্য নির্ভর বই লিখেছেন, যার জন্য সমস্ত লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ অধীর আগ্রহে ছিলেন। লেখক একটি দুর্দান্ত কাজ করেছেন এবং অন্যদের কাঁধ হালকা করেছেন।

    এদিকে বইটির লেখক মুহতারাম ক্বারী আব্দুস সাত্তার সাঈদ হাফিজাহুল্লাহ্ লিখেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্ তা’আলার জন্য। আমার জীবনের অন্যতম ও বৃহত্তম আকাঙ্খার পর অবশেষে বইটি প্রকাশ করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি ঐসব বন্ধু ও মুজাহিদ দায়িত্বশীল ভাইদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জনাই, যারা গুরুত্বপূর্ণ বার্তা ও তথ্য দিয়ে আমাকে এই কাজ সর্বাত্মক সহায়তা করেছেন।

    বইটির বিষয়বস্তুগুলি দেখার পর এটি বুঝা যাচ্ছে যে, বইটি লিখার ক্ষেত্রে মোল্লা মোহাম্মদ ওমর (রহঃ) এর পরিবার, ঘনিষ্ঠ বন্ধু, তালেবান নেতৃত্ব পরিষদের সদস্য এবং অন্যান্য এমনসব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যাদের জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে মোল্লা মোহাম্মদ ওমর মুজাহিদ (রহঃ) এর সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল।

    তালেবান দায়িত্বশীলগণ জানিয়েছেন যে, মোল্লা মোহাম্মদ ওমর মুজাহিদ ও তালেবানদের ইসলামী আন্দোলন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ এই বইটি খুব শীগ্রই আরবি, ফারসি, উর্দু এবং ইংরেজি ভাষাতেও প্রকাশিত হবে। ইনশাআল্লাহ্

    বইটির মূল বিষয়গুলো নিম্নরূপ-

    ভূমিকা: জীবন ও সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
    ১ম অধ্যায়: জন্ম থেকে মৃত্যু
    ২য় অধ্যায়: কমিউনিজামের বিরুদ্ধে জিহাদ
    ৩য় অধ্যায়: তালেবান ইসলামি আন্দোলন প্রতিষ্ঠা
    ৪র্থ অধ্যায়: ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান
    ৫ম অধ্যায়: ইমারতে ইসলামিয়ার অবস্থান এবং আমীরুল মু’মিনিনের দৈনিক কর্যক্রম
    ৬ষ্ঠ অধ্যায়: আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসন
    ৭ম অধ্যায়: ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধ জিহাদ অব্যাহত রাখা
    ৮ম অধ্যায়: গুরুত্বপূর্ণ বার্তা ও স্মৃতি

    এই প্রামাণ্যচিত্রটির আগেও মোল্লা মোহাম্মদ ওমর মুজাহিদের জীবন ও সংগ্রামের উপর কিছু বই রচিত হয়েছিল। তবে ‘তৃতীয় ওমর’ নামে নতুন এই রচনাটি ইতিহাস ও তথ্যের দিক থেকে অত্যন্ত মূল্যবান এবং একটি মাস্টারপিস।
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বড়াইবাড়ী যুদ্ধ: আগের সাহসিকতায় নেই বাংলাদেশ বর্ডারগার্ড

      বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা কুড়িগ্রামের একটি গ্রাম বড়াইবাড়ি। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের লাগোয়া এই গ্রামটি অবস্থিত।

      ২০০১ সালের ১৮ই এপ্রিল এই গ্রামে ঘটে যায় বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে ইতিহাসের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

      ২০০১ সালে আজকের এই দিনে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফ কোন প্রকার কারণ ছাড়াই অতর্কিত ভাবে ঢুকে পড়ে বাংলাদেশের ভূখন্ডে। ১০৬৭/৩ পিলার অতিক্রম করে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী বিডিআর ক্যাম্পের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে। বড়াইবাড়ী বিডিআর ক্যাম্পসহ আশপাশের গ্রাম তাদের দখলে নিতে এ বর্বরোচিত আক্রমণ মিশন ছিল তাদের। বাংলাদেশী ভূখন্ডে হানাদার বিএসএফ বাহিনীর গুলীতে নিহত হয় ৩ বিডিআর জোয়ান। অপরদিকে বিডিআরের গুলিতে বিএসএফ অফিসারসহ নিহত হয় ১৬ জনের অধিক মালাউন সদস্য। বিএসএফ বাহিনী পুড়িয়ে দেয় শতাধিক ঘরবাড়ি। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয় প্রায় কোটি টাকার সম্পদ।
      ঘটনার দিন ১৭ এপ্রিল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বড়াইবাড়ী বিওপিতে ডিউটিতে ছিলেন মাত্র ১১ জন বিডিআর সদস্য। ভোর ৫টার দিকে সীমান্তের ওপার থেকে আসা ভারী অস্ত্রে সুসজ্জিত বিএসএফ বাহিনী স্থানীয়

      গ্রামবাসীর কাছে হিন্দি ভাষায় জানতে চায়, বিডিআরের ক্যাম্প কোথায়?
      তখন গ্রামবাসী বুঝতে পারেন এরা ভারতের বিএসএফের সদস্য।
      সুচতুর লাল মিয়া ক্যাম্পের পরিবর্তে ক্যাম্প সদৃশ্য একটি প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে দেয়। বিএসএফ সদস্যরা বিডিআর ক্যাম্প ভেবে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে এগুতে থাকে সেদিকে। এর ফাঁকে লাল মিয়া দৌড়ে গিয়ে বড়াইবাড়ী ক্যাম্পের বিডিআর জোয়ানদের খবর দেয়। বিডিআর জোয়ানরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং তাদেরকে সাহায্য করে স্থানীয় গ্রামবাসী।
      সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ফায়ার। শত শত গুলি, চারিদিক থেকে গুলি। আমিও তখন অস্ত্র হাতে তুলে নিলাম।”

      প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা মতে ভোর পাঁচটা থেকে তীব্র গোলাগুলির আওয়াজে প্রকম্পিত হয়ে উঠে বড়াইবাড়ি গ্রাম ও তার আশপাশের এলাকা।

      এরই মধ্যে আশপাশের আরো দুটি বিডিআর ক্যাম্প থেকে আরো ২০জন সদস্য বড়াইবাড়িতে আসেন। তারা গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে বিএসএফকে প্রতিহত করে।
      বড়াইবাড়িতে যখন তীব্র সংঘর্ষ চলছে তখন ঢাকায় তৎকালীন বিডিআর (এখন বিজিবি) সদরদপ্তরের নির্দেশনায় জামালপুর এবং ময়মনসিংহ থেকে আরো বিডিআর সদস্য পাঠানো হয় কুড়িগ্রামের বড়াইবাড়িতে।

      ময়মনসিংহ এবং জামালপুর থেকে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বিডিআর সদস্যরা বড়াইবাড়িতে গিয়ে পৌঁছান।

      এরপর কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে আবারো শুরু হয় গোলাগুলি। এভাবে ১৮ই এপ্রিল সারাদিন এবং রাত গড়িয়ে ১৯শে এপ্রিল রাত পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলি চলে।

      বড়াইবাড়ি সংঘাতে ১৬জন বিএসএফ সদস্যের মৃতদেহ পাওয়া যায় বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে।
      স্থানীয় বাসিন্দা এবং তৎকালীন বিডিআর সদস্যদের দাবি ছিল, সে ঘটনায় বিএসএফ’র আরো বেশি সৈন্য মারা গেলেও অনেকের মৃতদেহ তারা ভারতে নিয়ে গেছে।

      বড়াইবাড়ির বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম লাল উল্লেখ করেন, যে ১৬জন সৈন্যের মৃতদেহ নিতে পারেনি সেগুলো বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে ধানক্ষেতে পাওয়া যায়।

      কেন রৌমারি আক্রমণ?

      কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফ আক্রমণ করার একটি পটভূমি রয়েছে।

      বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) ফজলুর রহমান ২০১২ সালে বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল সিলেটের পদুয়াতে। সেখানে বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে ভারতের বিএসএফ একটি ক্যাম্প করে দীর্ঘদিন সে জায়গা দখল করে আছে।

      সিলেটের পদুয়ায় বিএসএফের সে ক্যাম্প নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কোন উত্তেজনা ছিল না।

      ২০০১ সালের প্রথম দিকে ভারতের বিএসএফ তাদের পাশের আরেকটি ক্যাম্পের সাথে সংযোগ সড়ক নির্মাণ শুরু করে বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতর দিয়ে।

      এই রাস্তা নির্মাণ নিয়ে বাংলাদেশের বিডিআর আপত্তি তুললেও ভারতের বিএসএফ তাতে কর্ণপাত না করে তাদের কাজ অব্যাহত রাখে।

      এমন অবস্থায় বিডিআরের সে এলাকায় তাদের একটি অস্থায়ী অপারেশনাল ক্যাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।

      “আমরা পদুয়াতে যাই এবং সেখানে তিনটা ক্যাম্প স্থাপন করি। বিএসএফ সেখানে ছয়টা ফায়ার করে। এরপর তারা প্রায় ৭০ জনের মতো সেখানে সারেন্ডার করে। আমরা পদুয়া দখল করে নিয়েছি।”

      তিনি বলেন, পদুয়ার ঘটনার জের ধরে কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তের বড়ইবাড়ি বিডিআর ক্যাম্প দখলের জন্য বিএসএফ বাংলাদেশের ভেতরে ঢোকে।

      ধারণা করা হয় ১৬ এপ্রিল সিলেটের পাদুয়ায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে দখল করতে গিয়ে বিডিআর জোয়ানদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে শোচনীয় পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই তারা এ আক্রমণ চালায়।

      এই যুদ্ধ ৪২ ঘণ্টাব্যাপী চলে। বিএসএফ হানাদারদের তাণ্ডবে পুড়ে ছাই হয়েছিল বড়াইবাড়ী গ্রামের ৮৯টি বাড়ি। সরকারি হিসেবে মোট ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৭২ লাখ টাকা।

      ঘটনার দুদিন পরে বাংলাদেশের ভেতরে নিহত ১৬জন বিএসএফ সৈন্যের মরদেহ ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

      কিন্তু শুরুতে ভারত সেগুলো গ্রহণ করতে চায়নি। কারণ, মৃতদেহগুলো অনেকটাই বিকৃত হয়ে পড়েছিল।

      বিএসএফ’র এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ২০০১ সালের ২০শে এপ্রিল ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিডিআর যেসব মৃতদেহ এনেছিল প্রায় সবগুলোই এতোটা বিকৃত হয়ে গেছে যে সেগুলো চেনা যাচ্ছে না।
      রৌমারি সংঘাতের পর অনেকে বিডিআরের ভূমিকাকে ‘সাহসী’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
      রৌমারীর ঘটনার পর মেজর জেনারেল ফজলুর রহমানকে বিডিআরের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে সেনাবাহিনীতে ফেরত আনা হয়।

      জেনারেল রহমান বলেন, “আপনারাই বিচার করুন। বর্ডারে রক্ষণাবেক্ষণ করবার দায়িত্বেই আমাকে নিয়োজিত করা হয়েছে। আমি যদি ঐ সময়ে আপোষ করতাম, তাহলে এই সমালোচনা আমাকে শুনতে হতো না। আমার তো কাজই হলো সীমান্ত রক্ষা করা এবং সীমান্তের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া।”

      এই যুদ্ধে বাংলাদেশের এক অবিস্মরণীয় জয় হয়, ভারতীয় সীমান্তবাহিনী বিএসএফ বিডিআর এর সাহসিকতা ও উপস্থিত পাল্টা আক্রমণে হার মানতে বাধ্য হয় এবং হয় শোচনীয় পরাজয়ের শিকার।
      সূত্র: বিবিসি বাংলা
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X