ঘুষের বিনিময়ে নারীঘটিত সমস্যার সমাধান করতো মেম্বার ও আ.লীগ সভাপতি
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের একজন সদস্য। নাম হারুন উর রশিদ। এলাকায় সংগঠিত নারী নির্যাতন, পরকীয়া বা ধর্ষণ যাই ঘটুক না কেনো টাকার বিনিময়ে সব ঘটনার মীমাংসা দেন তিনি ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই।
শুধু তাই নয় আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়দের হাতে ধরা খাওয়া লোকদের টাকার বিনিময়ে মুক্ত করে দেন এই দুই নেতা। তাদের কথা না মানলে ভয় দেখান থানা পুলিশের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত তিন দিনে ওই ওয়ার্ডে দুইটি নারী ঘটিত ঘটনা ঘটে। পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলার বেরহাওলিয়া গ্রামের আব্দুল মোমিন নামের এক বিবাহিত যুবকের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে সোমবার রাতে পারভাঙ্গুড়া গ্রামে আসলে এলাকাবাসী তাদের আপত্তিকর অবস্থায় ঘেরাও করে। অবস্থা বেগতিক দেখে মোটরসাইকেল রেখে সে দৌড়ে পালাতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পরে।
ঘটনা শুনে ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হাই মমিনকে নিজ জিম্মায় নিয়ে পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদে ভবনে আটকে রাখেন। সকালে মোমিনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন যুগান্তরের প্রতিনিধিকে টাকা নিয়ে বিষয়টি চেপে যেতে অনুরোধ করেন।
এদিকে গত শুক্রবার রাতে পারভাঙ্গুড়া গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে মকবুল হোসেন পাশের বাড়ির এক গৃহবধূর সঙ্গে অবৈধ মেলামেশার সময় এলাকাবাসীর ধাওয়ায় দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে ওই গৃহবধূর স্বামী থানায় অভিযোগ দিতে চাইলে ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বিষয়টি নিয়ে চুপচাপ থাকতে হুমকি দেন।
পরদিন সালিশ বসিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেন তারা। তবে ওই দুই নারীর পরিবার সালিশের মাধ্যমে টাকা পাওয়ার বিষয়ে মুখ খোলেননি।
শুধু এই দুটি ঘটনা নয়, নারীঘটিত যে কোনো ঘটনা ঘটলেই ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হাই জোরপূর্বক অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিষয়গুলো ধামাচাপা দেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা টাকা দিতে না চাইলেই তাদেরকে মারধর করাসহ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ভয় দেখান তারা। এমনকি অভিযুক্তদের কাছ থেকে আদায় করা টাকাও নির্যাতিত নারীদের পরিবারকে না দিয়ে আত্মসাৎ করেন এই দুই ব্যক্তি।
এ বিষয়ে গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, সোমবার রাতে আমরা কয়েকজন যুবক ধাওয়া করে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত মমিন নামে এক যুবককে আটক করে ইউপি সদস্যের কাছে দেই। কিন্তু তিনি পরে তাকে পুলিশে না দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জাজনক।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ বলেন, দুই পরিবারের চাপে নারীঘটিত বিষয়গুলো মীমাংসা করেছি। তবে এরপরে আর করব না। সাংবাদিকদের জন্য টাকা রেখে দিয়েছি টাকা নিয়ে এবারের মতো চেপে গেলে খুশি হব।
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের একজন সদস্য। নাম হারুন উর রশিদ। এলাকায় সংগঠিত নারী নির্যাতন, পরকীয়া বা ধর্ষণ যাই ঘটুক না কেনো টাকার বিনিময়ে সব ঘটনার মীমাংসা দেন তিনি ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই।
শুধু তাই নয় আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়দের হাতে ধরা খাওয়া লোকদের টাকার বিনিময়ে মুক্ত করে দেন এই দুই নেতা। তাদের কথা না মানলে ভয় দেখান থানা পুলিশের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত তিন দিনে ওই ওয়ার্ডে দুইটি নারী ঘটিত ঘটনা ঘটে। পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলার বেরহাওলিয়া গ্রামের আব্দুল মোমিন নামের এক বিবাহিত যুবকের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে সোমবার রাতে পারভাঙ্গুড়া গ্রামে আসলে এলাকাবাসী তাদের আপত্তিকর অবস্থায় ঘেরাও করে। অবস্থা বেগতিক দেখে মোটরসাইকেল রেখে সে দৌড়ে পালাতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পরে।
ঘটনা শুনে ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হাই মমিনকে নিজ জিম্মায় নিয়ে পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদে ভবনে আটকে রাখেন। সকালে মোমিনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন যুগান্তরের প্রতিনিধিকে টাকা নিয়ে বিষয়টি চেপে যেতে অনুরোধ করেন।
এদিকে গত শুক্রবার রাতে পারভাঙ্গুড়া গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে মকবুল হোসেন পাশের বাড়ির এক গৃহবধূর সঙ্গে অবৈধ মেলামেশার সময় এলাকাবাসীর ধাওয়ায় দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে ওই গৃহবধূর স্বামী থানায় অভিযোগ দিতে চাইলে ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বিষয়টি নিয়ে চুপচাপ থাকতে হুমকি দেন।
পরদিন সালিশ বসিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেন তারা। তবে ওই দুই নারীর পরিবার সালিশের মাধ্যমে টাকা পাওয়ার বিষয়ে মুখ খোলেননি।
শুধু এই দুটি ঘটনা নয়, নারীঘটিত যে কোনো ঘটনা ঘটলেই ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হাই জোরপূর্বক অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিষয়গুলো ধামাচাপা দেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা টাকা দিতে না চাইলেই তাদেরকে মারধর করাসহ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ভয় দেখান তারা। এমনকি অভিযুক্তদের কাছ থেকে আদায় করা টাকাও নির্যাতিত নারীদের পরিবারকে না দিয়ে আত্মসাৎ করেন এই দুই ব্যক্তি।
এ বিষয়ে গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, সোমবার রাতে আমরা কয়েকজন যুবক ধাওয়া করে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত মমিন নামে এক যুবককে আটক করে ইউপি সদস্যের কাছে দেই। কিন্তু তিনি পরে তাকে পুলিশে না দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জাজনক।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ বলেন, দুই পরিবারের চাপে নারীঘটিত বিষয়গুলো মীমাংসা করেছি। তবে এরপরে আর করব না। সাংবাদিকদের জন্য টাকা রেখে দিয়েছি টাকা নিয়ে এবারের মতো চেপে গেলে খুশি হব।
Comment