Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ০২ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ০১লা মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ০২ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ০১লা মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

    ভারত-নেপাল সীমান্তে ২০’র বেশি মসজিদ-মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার



    ভারতের উত্তর প্রদেশে নেপাল সীমান্ত ঘেঁষা জেলাগুলিতে চলছে মুসলিম স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে বুলডোজার অভিযান। গত কয়েক দিনে বাহরাইচ, শ্রাবস্তী, সিদ্ধার্থ নগর, মহারাজগঞ্জ, বলরামপুর এবং লখিমপুর খেরি জেলায় অন্তত ২০টি মসজিদ ও মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    গত ৩০ এপ্রিল ভারতীয় গণমাধ্যম ক্লারিওন ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রশাসনের দাবি তারা ‘রাজস্ব কোডের ৬৭ ধারা’ অনুযায়ী অবৈধ দখল উচ্ছেদ করছে। কিন্তু মুসলিম নেতাদের অভিযোগ, এ অভিযানের লক্ষ্য আসলে মুসলিম সমাজকেই নিশানা করা। স্থানীয় মুসলিম মানবাধিকার কর্মী ইমরান খান বলেন, ‘এটা শুধু দখল উচ্ছেদের নামে হচ্ছে না, এটা মুসলিমদের পরিচয়ের উপর সরাসরি আঘাত। সরকার চাইলে নিয়মে এনে বৈধ করতেই পারত, কিন্তু তারা ধ্বংসের পথ বেছে নিয়েছে।’

    শুধু শ্রাবস্তী জেলাতেই ১৭টি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেগুলোর বেশিরভাগই দরিদ্র শিশুদের জন্য শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা মুহাম্মদ সেলিম আক্ষেপ করে বলেন, ‘এসব মাদ্রাসা গরিব ছেলেমেয়েদের বিনা পয়সায় শিক্ষা দিত। সরকারি কাগজপত্রের ঝামেলা মেটানোর মতো টাকা তাদের ছিল না, কিন্তু বছরের পর বছর তারা সমাজের সেবা করে যাচ্ছিল। আজ সব গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

    সিদ্ধার্থ নগর থেকে লক্ষ্মীপুর খেরি—সর্বত্র একই চিত্র। সরকারি নথিতে এগুলোকে ‘অবৈধ’ বলা হলেও বাস্তবে মসজিদ-মাদ্রাসাই মূল টার্গেট হয়েছে। মাওলানা আরশাদ হুসেন প্রশ্ন তুলেছেন, ‘যদি কোনো মন্দির অবৈধ হয়, সেখানে কি বুলডোজার যায়? তাহলে শুধু মুসলিম স্থাপনাগুলোকেই কেন ভাঙা হচ্ছে?’

    অভিযান থেমে নেই। মহারাজগঞ্জে এখনও মামলাগুলি আদালতে বিচারাধীন, তবুও বুলডোজার চলছে। বলরামপুরে ৭টি স্থাপনার মধ্যে কিছু জায়গা লোকজন নিজেরাই ছেড়ে দিয়েছে, আর বাকিগুলো জোর করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    এই ঘটনা ভারতীয় মুসলিমদের মনে গভীর ক্ষোভ ও আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে। সিনিয়র সাংবাদিক আনোয়ার আলম বলেছেন, ‘আজ বুলডোজার হয়ে উঠেছে মুসলিম নিপীড়নের প্রতীক। এভাবে ভয় দেখিয়ে আমাদের স্তব্ধ করার চেষ্টা চলছে।’

    শিক্ষক শায়েস্তা পারভীন বলেন, ‘আমাদের মসজিদ, মাদ্রাসা, এমনকি ঘরবাড়িও আর নিরাপদ নয়। আমাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বানিয়ে রাখা হয়েছে।’

    অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এই পদক্ষেপকে সংবিধান লঙ্ঘন বলে চিহ্নিত করেছে এবং ধ্বংস হওয়া স্থাপনাগুলোর পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ল নেটওয়ার্কের আইনজীবী দীপা কৌলও বলেছেন, ‘এটা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্পষ্ট উদাহরণ। বিশ্ব সম্প্রদায়কে এ নিয়ে সরব হতে হবে।’

    শ্রাবস্তীর মাওলানা আব্দুল মালিক বলেছেন, ‘ওরা আমাদের মসজিদ ভাঙতে পারবে, ঈমান ভাঙতে পারবে না। আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করেই দাঁড়াবো।’

    সীমান্তবর্তী মুসলিম পরিবারগুলো এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। বাহরাইচের বৃদ্ধ আব্দুল রহমানের বেদনা জড়ানো কণ্ঠে কথাগুলো যেন গোটা মুসলিম সমাজের ক্ষতচিহ্নই তুলে ধরে: ‘এটা শুধু মসজিদ-মাদ্রাসা নয়, আমাদের ওপর আস্থার ভিত্তিটাই গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ওরা।’


    তথ্যসূত্র:
    1. 20 Mosques, Madrasas Targeted in UP Demolition Drive Near Nepal Border
    https://tinyurl.com/4w5j37y2
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    নতুন মিত্রের খোঁজে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: মোগাদিশু সরকারের সাথে সম্পর্ক ছিন্নের গুঞ্জন





    সোমালিয়ায় কয়েক দশকের তীব্র যুদ্ধে শাবাবের কৌশলী আক্রমণে ধ্বংসের দারপ্রান্তে এসে উপনীত হয়েছে পশ্চিমা সমর্থিত মোগাদিশু সরকার। একই সাথে ভঙ্গুর এই সরকারকে সমর্থন করতে গিয়ে চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। চলতি সপ্তাহেও দেশটিতে শাবাব মুজাহিদিনের হামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩ সেনা নিহতের পাশাপাশি ৭ অফিসার ও ২ সেনা আহত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গুঞ্জন উঠেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মোগাদিশু সরকারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছে।

    সূত্রমতে, ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে সোমালিয়া থেকে নিজেদেরকে গুটিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এর মাধ্যমে ভিলা সোমালিয়া (মোগাদিশু) প্রশাসনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে যে অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা প্রদান করে আসছিল তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

    এবিষয়ে ফরাসি লেখক এবং বৈশ্বিক সামরিক বিশ্লেষক অলিভিয়ের ডুজন বলেন, ওয়াশিংটন এখন মোগাদিশু সরকারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে সোমালিল্যান্ড সরকারের সাথে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করছে বলে মনে হচ্ছে।

    লেখক জোর দিয়ে বলেন যে, ভিলা সোমালিয়া সরকারকে ঘিরে থাকা নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার তুলনায়, ওয়াশিংটন সোমালিল্যান্ডকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার একটি বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প হিসেবে দেখছে।

    লেখকের মতে, এক্ষেত্রে সোমালিল্যান্ডের বারবারা শহরটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি কৌশলগত ঘাঁটি হতে পারে। যেখান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব আফ্রিকা থেকে শুরু করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তার সামরিক অভিযান পরিচালনায় সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে।

    এপ্রিল মাসে, মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফার ল্যান্ডাউ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে যে, সোমালিল্যান্ড সম্পর্কে মার্কিন নীতি পর্যালোচনাধীন রয়েছে। লেখকের মতে, উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার পূর্ববর্তী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কিছুটা সরে আসতে পারে। মূলত ওয়াশিংটন তার কৌশলগত ও সামরিক স্বার্থ রক্ষা করার লক্ষ্যে এই অঞ্চলে তার আচরণ পুনর্বিবেচনা করতে চায়।


    তথ্যসূত্র:
    https://tinyurl.com/4bk9x5pu
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ৫০ বছরের মধ্যে কঠিন সময়ে মার্কিন শেয়ারবাজার


      হোয়াইট হাউজে প্রত্যাবর্তনের প্রথম ১০০ দিন অতিক্রম করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সময়ের মধ্যে মার্কিন শেয়ারবাজার সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে।

      অর্থাৎ গত ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের পর এই প্রথম এতোটা কঠিন সময় পার করছে মার্কিন শেয়ারবাজার। তা যে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের মেয়াদের প্রথম ১০০ দিন শেয়ারবাজার পতনে এতোটা কঠিন অবস্থায় উপনিত হয়নি।

      সর্বশেষ ১৯৭৪ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেরাল্ড ফোর্ডের দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম ১০০ দিন মার্কিন স্টক মার্কেটে সবচেয়ে খারাপ পতনের রেকর্ড গড়েছিল।

      ২০২৪ সালের নভেম্বরে নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে আসার পর ব্যবসা-বান্ধব উত্থানের প্রত্যাশায় শেয়ারবাজার প্রাথমিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে। তবে বৈশ্বিকব্যাপী শুল্ক আরোপকে কেন্দ্র করে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের ১০০ দিন পার হওয়ার এখনো ওয়াল স্ট্রিট ঐতিহাসিক অনিশ্চয়তা এবং অস্থিরতায় কাঁপছে।

      ২৮ এপ্রিল, সোমবার এক নোটে ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের ডেপুটি চিফ মার্কেটস ইকোনমিস্ট জোনাস গোল্টারম্যান বলেছে, ‘মার্কিন বাণিজ্য নীতির চারপাশে চলমান অনিশ্চয়তা এবং আরও বিস্তৃতভাবে অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিপ্রেক্ষিতে, আমরা সন্দেহ করি যে এখান থেকে এগিয়ে যাওয়া আরও কঠিন হবে।’

      এসঅ্যান্ডপি ডাও জোন্স ইনডেক্সের সিনিয়র সূচক বিশ্লেষক হাওয়ার্ড সিলভারব্ল্যাটের মতে, ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পর থেকে বেঞ্চমার্ক সূচকের বাজারমূল্য ৩.৬৬ ট্রিলিয়ন ডলার কমেছে।

      এর আগে এপ্রিল মাসের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন শুল্ক নীতির ঘোষণা করে। এরপরই বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে বড়সড় ধস দেখা দেয়। প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের পর এই প্রথম এমন ভয়াবহ পতনের সাক্ষী হয়েছে মার্কিন বাজার।

      ২০২৪ সালের নভেম্বরে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্পের ব্যবসাবান্ধব নীতির প্রত্যাশায় শেয়ারবাজার এক সময় ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল। কিন্তু শুল্ক নীতিকে ঘিরে চলমান অনিশ্চয়তা এবং নীতিগত দ্বন্দ্ব শেয়ারবাজারে এক ধরনের ইতিহাসগড়া অস্থিরতা তৈরি করেছে।


      তথ্যসূত্র:

      1. The stock market’s worst first 100 days of any presidential term in more than 50 years
      -https://tinyurl.com/p7bpc2rm
      2. Trump’s first 100 days in office are worst for stock market in half a century
      https://tinyurl.com/5yzhtcsb
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভারত-নেপাল সীমান্তে ২০’র বেশি মসজিদ-মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার


        ভারতের উত্তর প্রদেশে নেপাল সীমান্ত ঘেঁষা জেলাগুলিতে চলছে মুসলিম স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে বুলডোজার অভিযান। গত কয়েক দিনে বাহরাইচ, শ্রাবস্তী, সিদ্ধার্থ নগর, মহারাজগঞ্জ, বলরামপুর এবং লখিমপুর খেরি জেলায় অন্তত ২০টি মসজিদ ও মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

        গত ৩০ এপ্রিল ভারতীয় গণমাধ্যম ক্লারিওন ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রশাসনের দাবি তারা ‘রাজস্ব কোডের ৬৭ ধারা’ অনুযায়ী অবৈধ দখল উচ্ছেদ করছে। কিন্তু মুসলিম নেতাদের অভিযোগ, এ অভিযানের লক্ষ্য আসলে মুসলিম সমাজকেই নিশানা করা। স্থানীয় মুসলিম মানবাধিকার কর্মী ইমরান খান বলেন, ‘এটা শুধু দখল উচ্ছেদের নামে হচ্ছে না, এটা মুসলিমদের পরিচয়ের উপর সরাসরি আঘাত। সরকার চাইলে নিয়মে এনে বৈধ করতেই পারত, কিন্তু তারা ধ্বংসের পথ বেছে নিয়েছে।’

        শুধু শ্রাবস্তী জেলাতেই ১৭টি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেগুলোর বেশিরভাগই দরিদ্র শিশুদের জন্য শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা মুহাম্মদ সেলিম আক্ষেপ করে বলেন, ‘এসব মাদ্রাসা গরিব ছেলেমেয়েদের বিনা পয়সায় শিক্ষা দিত। সরকারি কাগজপত্রের ঝামেলা মেটানোর মতো টাকা তাদের ছিল না, কিন্তু বছরের পর বছর তারা সমাজের সেবা করে যাচ্ছিল। আজ সব গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

        সিদ্ধার্থ নগর থেকে লক্ষ্মীপুর খেরি—সর্বত্র একই চিত্র। সরকারি নথিতে এগুলোকে ‘অবৈধ’ বলা হলেও বাস্তবে মসজিদ-মাদ্রাসাই মূল টার্গেট হয়েছে। মাওলানা আরশাদ হুসেন প্রশ্ন তুলেছেন, ‘যদি কোনো মন্দির অবৈধ হয়, সেখানে কি বুলডোজার যায়? তাহলে শুধু মুসলিম স্থাপনাগুলোকেই কেন ভাঙা হচ্ছে?’

        অভিযান থেমে নেই। মহারাজগঞ্জে এখনও মামলাগুলি আদালতে বিচারাধীন, তবুও বুলডোজার চলছে। বলরামপুরে ৭টি স্থাপনার মধ্যে কিছু জায়গা লোকজন নিজেরাই ছেড়ে দিয়েছে, আর বাকিগুলো জোর করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

        এই ঘটনা ভারতীয় মুসলিমদের মনে গভীর ক্ষোভ ও আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে। সিনিয়র সাংবাদিক আনোয়ার আলম বলেছেন, ‘আজ বুলডোজার হয়ে উঠেছে মুসলিম নিপীড়নের প্রতীক। এভাবে ভয় দেখিয়ে আমাদের স্তব্ধ করার চেষ্টা চলছে।’

        শিক্ষক শায়েস্তা পারভীন বলেন, ‘আমাদের মসজিদ, মাদ্রাসা, এমনকি ঘরবাড়িও আর নিরাপদ নয়। আমাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বানিয়ে রাখা হয়েছে।’

        অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এই পদক্ষেপকে সংবিধান লঙ্ঘন বলে চিহ্নিত করেছে এবং ধ্বংস হওয়া স্থাপনাগুলোর পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ল নেটওয়ার্কের আইনজীবী দীপা কৌলও বলেছেন, ‘এটা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্পষ্ট উদাহরণ। বিশ্ব সম্প্রদায়কে এ নিয়ে সরব হতে হবে।’

        শ্রাবস্তীর মাওলানা আব্দুল মালিক বলেছেন, ‘ওরা আমাদের মসজিদ ভাঙতে পারবে, ঈমান ভাঙতে পারবে না। আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করেই দাঁড়াবো।’

        সীমান্তবর্তী মুসলিম পরিবারগুলো এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। বাহরাইচের বৃদ্ধ আব্দুল রহমানের বেদনা জড়ানো কণ্ঠে কথাগুলো যেন গোটা মুসলিম সমাজের ক্ষতচিহ্নই তুলে ধরে: ‘এটা শুধু মসজিদ-মাদ্রাসা নয়, আমাদের ওপর আস্থার ভিত্তিটাই গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ওরা।’


        তথ্যসূত্র:
        1. 20 Mosques, Madrasas Targeted in UP Demolition Drive Near Nepal Border
        https://tinyurl.com/4w5j37y2
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          স্বৈরাচার হাসিনার আমলের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীরই মুক্তিযোদ্ধা সনদ ‘ভুয়া’



          ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনার সরকার। স্বৈরাচার ওই সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ছিল আ ক ম মোজাম্মেল হক। মুক্তিযোদ্ধার তালিকা বৃদ্ধি, যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রকাশ না করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত ছিল সে। তবে এবার জানা গেল সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীই ছিল ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’।

          মোজাম্মেল হকসহ বিগত সরকারের সাত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’র অভিযোগ তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই তালিকায় আওয়ামী লীগের দুই সংসদ সদস্য, একজন বিচারপতি, সাবেক সচিব, আইজিপি, সেনা কর্মকর্তাসহ আরো ১৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযোদ্ধার তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই শুরু করেছে তথ্য যাচাই-বাছাইকারী প্রতিষ্ঠান জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এসব প্রভাবশালী ব্যক্তির মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেট বাতিল হবে।

          গত ১৩ এপ্রিল জামুকার চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজমের সভাপতিত্বে জামুকার ৯৫তম সভা হয়।

          ওই সভা সূত্রে জানা গেছে, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ দেশের বিশিষ্ট ২২ ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এই ২২ জনের এসংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করতে তাদের তথ্য-প্রমাণাদি যেমন—আবেদন, তদন্ত প্রতিবেদন, সভার কার্যবিবরণী, গেজেট ও অন্যান্য প্রামাণিক তথ্য সংগ্রহ করে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

          যাদের মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেটসংক্রান্ত নথিপত্র তদন্ত করা হবে, তারা হলেন শেখ হাসিনার সরকারের তিন মেয়াদের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান ও টিপু মুনশি এবং সাবেক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোজাম্মেল হোসেন।

          জানা গেছে, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক কোথায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং কোথায় যুদ্ধ করেছেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এ নিয়ে সে নিজেও মুখ খোলেনি।

          বিতর্কটি শুরু হয় ১৯৯৬ সালে। তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধা গেজেট প্রকাশ করে। সেখানে আ ক ম মোজাম্মেল হকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয় খোদ জাতীয় সংসদেও। ২০২৩ সালে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেন জামুকার সদস্য ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব খ ম আমীর আলী। মামলা নম্বর ১৫১৪২। রিট মামলায় তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদসচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জামুকার চেয়ারম্যানসহ (সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক) মোট সাতজনকে আসামি করা হয়।

          আদালতে মামলার আবেদনপত্র বিশ্লেষণ এবং বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুসন্ধান করে জানা যায়, ভারতে প্রশিক্ষণ নেওয়া ৫১ হাজার মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম নেই আ ক ম মোজাম্মেল হকের। জাতীয় জাদুঘরে রাখা ১৯৮৬ সালে তৈরি লাল মুক্তিবার্তার ভলিউম ঘষামাজা করে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে।


          তথ্যসূত্র:
          ১. সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীরই মুক্তিযোদ্ধা সনদ ‘ভুয়া’, তালিকায় আরো যারা
          https://tinyurl.com/5xy7dhed
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            এবার ভারতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামল পাকিস্তানের হিন্দু সম্প্রদায়




            ভারতের ‘ভিত্তিহীন’ অভিযোগের প্রতিবাদে বেলুচিস্তানের কোয়েটায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছে পাকিস্তানের লাখ লাখ হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা।

            কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা নিয়ে ভারতের করা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বুধবার ৩০ এপ্রিল, বুধবার তারা এই কর্মসূচি পালন করে।

            বিক্ষোভের আয়োজন করে বেলুচিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-র সংখ্যালঘু সদস্য সঞ্জয় কুমার। তার নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বিক্ষোভকারীরা কোয়েটা প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হয়। এ সময় তাদের হাতে ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভারতবিরোধী নানা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড।

            সমাবেশে বক্তারা ভারতের অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত’ ও ‘ভিত্তিহীন’ আখ্যা দিয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এ সময় পেহেলগাম হামলায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার দাবি সরাসরি নাকচ করে দেওয়া হয়।

            প্রধান বক্তা সঞ্জয় কুমার বলেছে, ‘পাকিস্তানের হিন্দু সম্প্রদায় দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে একতাবদ্ধ। যদি ভারত আগ্রাসনের চেষ্টা করে, তবে পাকিস্তানের এক কোটি হিন্দু সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়াবে।’

            সে আরও বলেছে, ‘আমরা বারবার বলেছি, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করে না। বরং এ ধরনের হামলার মাধ্যমে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে ভারত।’

            বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বক্তারা ভারতের সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তেরও তীব্র সমালোচনা করে। তারা বলে, আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করে পানি সরবরাহ বন্ধ করাও এক ধরনের আগ্রাসন। এই সিদ্ধান্ত মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করে বক্তারা। আয়োজকরা জানায়, ভবিষ্যতেও ভারতের ‘অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ প্রচারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।


            তথ্যসূত্র:

            1. Hindus in Quetta protest Indian accusations over Pahalgam attack
            https://tinyurl.com/2u9k8nun
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ৪ রোহিঙ্গা জেলেকে অপহরণ করলো আরাকান আর্মি




              কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের নাফ নদী থেকে চারজন রোহিঙ্গা জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মি। ১ মে সকাল ৯টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

              অপহৃত ওই চারজন হলেন টেকনাফের ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো. ইসমাঈলের ছেলে আরাফাত উল্লাহ, ছৈয়দ আলমের ছেলে মো. আনিস উল্লাহ, মো. জাবের ও মো. হাসানের ছেলে মো. আনোয়ার সাদেক।

              রোহিঙ্গা মাঝি বদরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সকালে জাদিমুড়া ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারজন জেলে নাফ নদীতে মাছ ধরতে যান। ঘণ্টাখানেক পর মিয়ানমার সীমান্ত থেকে আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে থাকা নৌকাটিও নিয়ে গেছে তারা।

              টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, আরাকান আর্মির সদস্যরা নাফ নদী থেকে চার জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবরটি শুনেছি। বিস্তারিত তথ্য নিয়ে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিজিবিকে জানানো হয়েছে।


              তথ্যসূত্র:
              1. এবার ৪ রোহিঙ্গা জেলেকে অপহরণ করলো আরাকান আর্মি
              https://tinyurl.com/ywt8adrr
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ‘সম্পূর্ণ অবরোধের’ ৬০তম দিন পার করল ফিলিস্তিনিরা





                অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের ‘সর্বাত্মক অবরোধের’ ৬০ দিন পেরিয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এ ভূখণ্ডে দীর্ঘ দুই মাস ধরে কোনো ধরনের খাবার, পানি, জ্বালানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় কোনো সরঞ্জাম প্রবেশ করতে দেয়নি ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল। এর জেরে তীব্র খাদ্যসংকটের মুখে পড়েছেন স্থানীয় ফিলিস্তিনিরা। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে ‘যেখানে যা পাচ্ছেন তা-ই খেতে’ বাধ্য হচ্ছেন তারা। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সাহায্যকারী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজা থেকে অবরোধ অবশ্যই তুলে নেওয়া উচিত। বর্তমানে এখানে মানবিক বিপর্যয় চলছে।

                জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম গত শুক্রবার সামাজিক মাধ্যম এক্সে লিখেছে, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের টানা ত্রাণ অবরোধের কারণে গাজায় তাদের খাদ্য মজুত পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় সেখানে পুনরায় ত্রাণসহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া জরুরি।

                জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় অফিসের (OCHA) একটি প্রতিবেদন অনুসারে, জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতির সময় সংরক্ষিত খাদ্য সরবরাহ এবং জরুরি মজুত ছেড়েই বহু মানুষকে বাধ্য হয়ে বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে। ফলে তাদের কাছে কোনো ধরনের খাবারই মজুত নেই। জাতিসংঘের অস্থায়ী বেকারি থেকে আর কোনো রুটি সরবরাহ করা যাচ্ছে না স্থানীয়দের। এর সঙ্গে রয়েছে গমের আটা এবং রান্নার জ্বালানি সংকট। ফলে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোতে এক বেলার খাবার জোগাড় করাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

                এদিকে গাজার মানবিক বিপর্যয় ‘অকল্পনীয় পর্যায়ে’ পৌঁছাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার টার্ক। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে সেখানে দ্রুত ত্রাণসহায়তা পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ইসরাইল ২ মার্চ থেকে গাজায় মানবিক অবরোধ আরোপ করে। এ অঞ্চলে বসবাসকারী ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনির খাদ্য, চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহ এবং অন্যান্য সহায়তা বন্ধ করে দেয় তারা।

                এদিকে, নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গত সোমবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে ইসরায়েলের গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহে বাধ্যবাধকতার বিষয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

                অন্যদিকে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে গাজাবাসী আরো ভয়াবহ মানবিক সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘে নিযুক্ত ডেনমার্ক এবং নরওয়ের স্থায়ী প্রতিনিধিরা। একই সঙ্গে মানবিক কর্মী, চিকিৎসা কর্মী এবং স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার ওপর আক্রমণের নিন্দা জানিয়েছে তারা।


                তথ্যসূত্র:

                1. Israel’s blockade of Gaza passes 60th day; US defends UNRWA ban at ICJ
                https://tinyurl.com/3a2edbtu
                2. Israel bombs Syria, continues renewed siege of Gaza into day 60
                https://tinyurl.com/mr3fdp57
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫



                  গাজায় রাতভর বর্বর ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ একদিনে ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, বুধবার ভোর থেকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

                  আর গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ৩০ এপ্রিল, বুধবার দখলদার ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৩৫ জন নিহত এবং ১০৯ জন আহত হয়েছেন।

                  ২০২৩ সালের অক্টোবরে গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অবরুদ্ধ অঞ্চলে দখলদার ইসরায়েলের হামলায় মৃতের সংখ্যা এখন ৫২ হাজার ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়ে২৩ সালের অক্টোবরে গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অবরুদ্ধ অঞ্চলে দখলদার ইসরায়েলের হামলায় মৃতের সংখ্যা এখন ৫২ছে ১ লাখ ১৮ হাজার ১৪ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

                  বর্বর ইসায়েলি বোমাবর্ষণ এবং অবরোধের ফলে বেসামরিক নাগরিকরা ব্যাপক অনাহারের মুখোমুখি হচ্ছে বলে অভিযোগের মধ্যে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের বিষয়ে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। সংস্থাটির মুখপাত্র বলেছে, ক্রসিং বন্ধ থাকায় আমরা অপুষ্টির কারণে মৃত্যুর ঘটনা দেখতে পাচ্ছি। গাজা উপত্যকায় পরিস্থিতি খুবই কঠিন এবং আমাদের মজুদ ফুরিয়ে আসছে।


                  তথ্যসূত্র:

                  1. At least 35 Palestinians killed in Israeli strikes across Gaza
                  -https://tinyurl.com/435psxtp
                  2. Updates: ‘Earthquake’ as Israeli bombs shake Gaza, US defends Israel at ICJ
                  https://tinyurl.com/39bx9zav
                  নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                  Comment

                  Working...
                  X