Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ০৩ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ০২ মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ০৩ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ০২ মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

    কাশ্মীরে ভারতের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে এপ্রিল মাসে নিহত ৯, আটক প্রায় আড়াই হাজার




    ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস এবং ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী বাহিনীর অব্যাহত দমন-পীড়নে এপ্রিল মাসে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯ জন কাশ্মীরি। কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের (KMS) গবেষণা বিভাগের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে ৩ জনকে ভুয়া সংঘর্ষ ও পুলিশ হেফাজতে হত্যা করা হয়েছে।

    শুধু প্রাণহানিই নয়, পুরো এপ্রিল মাস জুড়ে কাশ্মীরজুড়ে চালানো হয়েছে ৩২২টি কর্ডন-অ্যান্ড-সার্চ অভিযান। এসব অভিযানে হিন্দুত্ববাদী বাহিনী ৩৬টি বসতবাড়ি ধ্বংস করেছে।

    এছাড়াও, সেনা, রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, সিআরপিএফ, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যৌথ অভিযানের নামে মোট ২৪৮০ জন বেসামরিক নাগরিককে আটক করেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন রাজনৈতিক কর্মী, তরুণ, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা। অনেককে ‘কালো আইন’ হিসাবে পরিচিত ইউএপিএ (UAPA) এবং পাবলিক সেফটি অ্যাক্ট (PSA)-এর আওতায় আটক করা হয়েছে।

    সম্প্রতি অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় প্রশাসনের ‘ঔপনিবেশিক দমননীতি’ আরও তীব্র হয়েছে। এলজি মনোজ সিনহার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন এপ্রিল মাসে কাশ্মীরে অবৈধভাবে ৩১টি সম্পত্তি জব্দ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বাসগৃহ, দোকান ও কৃষিজমি। বিশ্লেষকদের মতে, এসব পদক্ষেপ কাশ্মীরিদের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করে তাদের দাবি ও রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষাকে দমন করতেই নেওয়া হয়েছে।


    তথ্যসূত্র:

    1. Indian troops martyr 9 Kashmiris in April in IIOJK
    https://tinyurl.com/4hhr9pbp

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    কাশ্মীরে তিন দশকে ৯৬ হাজার মুসলিমকে হত্যা করেছে ভারতীয় বাহিনী




    ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের মুসলিম জনগণ ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর থেকেই দখলদার বাহিনীর নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছে। নিজেদের ধর্ম, ভাষা আর সংস্কৃতি রক্ষার চেষ্টাই তাদের বারবার ঠেলে দিয়েছে দমন-পীড়ন আর সহিংসতার মুখে। মানবাধিকার লঙ্ঘন এখানে প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। সময়ের সাথে সেই নিপীড়নের মাত্রা শুধু বেড়েই চলেছে।

    কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর হাতে গণহত্যা ও নির্যাতনের সূচনা মূলত ১৯৮৮-৮৯ সাল থেকে, যখন স্থানীয় জনগণ দখলদার শক্তির বিরুদ্ধে স্বাধীনতার দাবিতে সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু করে। সেই থেকে আজ তিন দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও, ভারতের সেনারা ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের’ নামে দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে।

    ভারতের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কাশ্মীরে নিহত হয়েছেন ২৩,৮৪৮ জন। বছরে গড়ে ৬৬০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের প্রায় সবাইকেই ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে এই হত্যাযজ্ঞ বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করে ভারত।

    কিন্তু কাশ্মীরের সংবাদ সংস্থা কেএমএস-এর তথ্য আরও ভয়াবহ। তাদের হিসেব অনুযায়ী, ১৯৮৯ থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত ভারতীয় বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন মোট ৯৬,৪২৩ জন কাশ্মীরী মুসলিম। গড়ে প্রতি বছর প্রাণ গেছে ২,৬৭৮ জনের, যা সরকারি সংখ্যার প্রায় চারগুণ।

    এই নৃশংসতা শুধু হত্যায় থেমে নেই। কেএমএস-এর নথি বলছে, রাষ্ট্রীয় হেফাজতে প্রাণ গেছে ৭,৩৭৯ জনের, বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে ১,৭৩,৪৫৬ জন নিরীহ কাশ্মীরীকে। এই দমননীতির শিকার হয়ে বিধবা হয়েছেন ২২,৯৮১ নারী, এতিম হয়েছেন ১,০৭,৯৭৭ শিশু। শুধু তাই নয়, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১১,২৬৭ কাশ্মীরী নারী। এই সংখ্যা শুধু পরিসংখ্যান নয়, বরং এক জনগোষ্ঠীর উপর যুগপৎ সামরিক, সামাজিক ও মানসিক নিপীড়নের নথি।

    তবে এই সব নিপীড়নের মধ্যেও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের মনোবল ভাঙেনি। বরং প্রতিটি রক্তাক্ত ঘটনা আরও গভীর করে তুলেছে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের আকাঙ্ক্ষা। সেনা অভিযান, গুম, ঘরবাড়ি ধ্বংস কিছুই তাদের স্বাধীনতার দাবিকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।


    তথ্যসূত্র:
    1. India’s state terrorism in Kashmir is ongoing
    https://tinyurl.com/3vuabp4y
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় আরো ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত




      গাজা উপত্যকায় নৃশংস গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী। যার ফলে ১মে, বৃহস্পতিবার নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো অর্ধশতাধিক।

      এতে করে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫২ হাজার ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

      প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দিনজুড়ে গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া শুক্রবার ভোরেও ভূখণ্ডটির একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বোমার আঘাতে ৬ জন প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে বলে চিকিৎসাসূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে।

      এদিকে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে যে, দখলদার ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজায় কোনো ত্রাণ পৌঁছাতে পারছে না। গাজায় ত্রাণ সরবরাহের জন্য প্রস্তুত ৩ হাজার ট্রাক উপত্যকায় প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

      বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাইকেল রায়ান এই পরিস্থিতিকে ‘একটি জঘন্য’ বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে যে গাজায় শিশুরা অনাহারে রয়েছে।

      গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গাজায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছে এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন যে, ৯২ শতাংশ শিশু এবং গর্ভবতী নারী এখন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছেন। গাজায় আল জাজিরার সংবাদদাতা দখলদার ইসরায়েলের ৬০ দিনের অবরোধকে বেসামরিক জনগণকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে শ্বাসরোধ’ করা হিসাবে বর্ণনা করেছেন।


      তথ্যসূত্র:

      1. Live: Israel kills at least 31 in Gaza as aid blockade starves children
      https://tinyurl.com/3wnfuyve
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        হিজাব পরলেই হেনস্তার শিকার, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯২% মুসলিম শিক্ষার্থী নিরাপত্তাহীন



        গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রেও এই বিক্ষোভের ঢেউ পৌঁছেছে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে। দেশটির বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়েও গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে ওঠে।

        ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামবিদ্বেষ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত দুটি টাস্কফোর্সের সাম্প্রতিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে।

        সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস যখন বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে, তখনই ওই টাস্কফোর্স দুটি গঠন করা হয়। মঙ্গলবার এ দুটি দল নিজেদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে আলাদা আলাদা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যাতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমাজের ভেতরে বিদ্যমান বৈষম্য, ভয়ের পরিবেশ এবং পারস্পরিক সহানুভূতির অভাব স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।

        প্রতিবেদনে দেখা গেছে, হার্ভার্ডের ৯২ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থী মনে করছেন, গাজা সংকটে মত প্রকাশ করলে তারা শিক্ষা ও কর্মজীবনে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। এছাড়া প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী মনে করেন, ক্যাম্পাসে তাদের ওপর যেকোনো সময় সহিংস হামলা হতে পারে।

        এক মুসলিম শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। ক্যাম্পাসে কিছু ট্রাক ঘুরে বেড়াচ্ছে যেখানে মুসলিম শিক্ষার্থীদের ছবি দেখানো হচ্ছে, যারা ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং এরপর চাকরি হারিয়েছেন।’ তিনি অভিযোগ করেন, যদি একই ঘটনা ইহুদীবিদ্বেষ নিয়ে ঘটত, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনেক বেশি কঠোর ব্যবস্থা নিত।

        প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনে সরাসরি সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীরা তো বটেই, যেসব মুসলিম শিক্ষার্থী অতটা সরব নন, তারাও হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। হিজাব পরেন এমন শিক্ষার্থীদেরও মৌখিক হেনস্তার শিকার হতে হয়। তাদেরকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে ডাকা হয়।

        প্রতিবেদনে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে ‘ডক্সিং’ (ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে ফাঁস করে দেওয়া)। শুধু শারীরিক নিরাপত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, বরং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের জন্যও ডক্সিং হুমকিস্বরূপ। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিশেষভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।


        তথ্যসূত্র:

        1. Harvard antisemitism and Islamophobia task forces find widespread fear, bigotry
        https://tinyurl.com/yc2s7fny
        2. Harvard reports find students face anti-Muslim and anti-Jewish bias
        -https://tinyurl.com/uydfjf7v
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          নদীতে বাঁধ নির্মাণে বিএসএফের বাধায় অরক্ষিত অর্ধশতাধিক বাঁধ; বন্যা আতঙ্কে এলাকাবাসী



          ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের বাধায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের জকিগঞ্জে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ (ডাইক) মেরামত করতে পারছে না। ফলে অর্ধশতাধিক স্থানের বাঁধ অরক্ষিত। গত বছরের কয়েক দফা বন্যার ধকল কাটাতে না কাটাতেই চলতি বছর আবারও বন্যার আতঙ্কে এলাকাবাসী।

          বিএসএফের বাধায় ডাইকের কাজ বন্ধ রয়েছে। বর্ষার আগে ভারতীয় বাধা উপেক্ষা করে ডাইক মেরামত করতে না পারলে বানের পানিতে ডুববে জকিগঞ্জ। গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় সুরমা-কুশিয়ারার বেড়িবাঁধের (ডাইকের) অন্তত ৪৫-৫০টি স্থান ভেঙে পানি ঢুকে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘরবাড়ি ফসলি জমিসহ রাস্তাঘাট। সেই ক্ষতচিহ্ন এখনো রয়েছে গ্রামগঞ্জে।

          বন্যা-পরবর্তী সময়ে বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেয় পাউবো। দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদারও নিয়োগ দিয়ে বাঁধে মাটি ফেলার কাজ শুরু হলে বাধা দেয় বিএসএফ। এলাকাবাসী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিগত বন্যার পরে শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি কমে যাওয়ার পর নতুন করে জকিগঞ্জ পৌরসভার মাইজকান্দি, সদর ইউপির ছবড়িয়া, বাখরশাল, শষ্যকুঁড়ি, মানিকপুর, লালোগ্রাম, ফেউয়াসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ডাইকের আশপাশের মাটি ধসে পড়ছে নদীতে।

          উপজেলার অর্ধশতাধিক স্থানের ডাইক মারাত্মক ঝুঁকিতে। অনেক জায়গায় অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। বিশেষ করে গত বছরের বন্যায় যেসব এলাকার ডাইক ভেঙে কয়েক দফায় বন্যা সৃষ্টি হয়েছিল সেই ডাইকগুলো মেরামত করা হয়নি। এরই মাঝে বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে ভাঙন দেখা দেওয়ায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অথচ এই ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

          এদিকে কয়েক বছরে নদীভাঙনের কবলে পড়ে হাজারো পরিবার বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এরই মধ্যে বহু হাটবাজার, ঘরবাড়ি, গাছপালা, জায়গাজমি, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে সুরমা-কুশিয়ারা নদীতে।

          পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর ডান তীরে ৪১ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ভাঙন চলছে।

          জকিগঞ্জ উপজেলায় ‘সীমান্ত নদীর তীর সংরক্ষণ ও উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চারটি প্যাকেজে সুপ্রাকান্দি, মানিকপুর, রারাই সেনাপতির চক, বড়চালিয়া ও রহিমপুর নামক স্থানে ১ দশমিক ৮০০ কিমি নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের মধ্যে দুটি প্যাকেজের কাজ শেষ হয়েছে। অপরটি চলমান।

          এ ছাড়া ‘বন্যা ব্যবস্থাপনা পুনর্গঠন জরুরি সহায়তা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জকিগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ার নদীর ডান তীরে ৪১ কিমি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পুনর্বাসন কাজ ও অতি ভাঙনপ্রবণ এলাকায় নদীর তীর প্রতিরক্ষা কাজের জন্য এরই মধ্যে ৪৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের অপেক্ষায়।

          ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে এখন কুশিয়ারা নদীর ছয় কিলোমিটার এলাকায় বাঁধ বসাতে হবে। এর জন্য ৩০০ কোটি টাকার প্রয়োজন। গত বছরের বন্যার পর নতুন করে কয়েক কিলোমিটার জায়গা সুরমা-কুশিয়ারা নদীতে বিলীন হয়েছে। পাউবোর ওই সূত্র আরো জানায়, কুশিয়ারার ৪১ কিলোমিটার ও সুরমার ২৫ কিলোমিটার আন্তঃসীমান্ত নদী।

          জকিগঞ্জ সদর ইউপির ছবড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, গত বছরে ছবড়িয়া গ্রামের ডাইক ভেঙে ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি হয়েছিল টানা চারবার। এক বছর গড়িয়ে গেলেও এখনো সেই ডাইক মেরামত করা হয়নি। বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে বাঁধ নির্মাণ সম্পন্ন করতে না পারলে আবারও পানি ঢুকে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। লোকজন কোনো ত্রাণ চায় না, দ্রুত টেকসই ডাইক চায়।

          ছবড়িয়া গ্রামের বহু পরিবারের জায়গা কয়েক বছরের ভাঙনে ভারতে চলে গেছে। বসত ভিটাহীন মানুষজন এখন অন্যত্র বসবাস করছেন। শষ্যকুঁড়ি গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা সিরাজ উদ্দিন জানান, গত বছরের বন্যার চিহ্ন এখনো রয়ে গেছে। এবার বন্যা হলে মানুষজনের পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

          কুশিয়ারা নদীর ছবড়িয়া, ছয়লেন, মাইজকান্দি, শষ্যকুঁড়ি, বাখরশাল, মানিকপুর, রারাই এবং সুরমা নদীর বাল্লা, শরীফাবাদ ও হাজীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ গত বছরের বন্যার সময় ভেঙে ছিল।

          সেই বাঁধগুলো বিএসএফের বাধার কারণে মেরামত করতে না পারলে আগামী বর্ষায় বিনা বাধায় পানি ঢুকবে বিভিন্ন এলাকা দিয়ে। এতে উপজেলাজুড়ে ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, বিএসএফের বাধায় সুরমা ও কুশিয়ারার অন্তত ৩০টি স্থানে বাঁধ নির্মাণের কাজ করা যাচ্ছে না।


          তথ্যসূত্র:
          ১. বিএসএফের বাধায় জকিগঞ্জে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামত ভণ্ডুল
          https://tinyurl.com/3zua7mzy
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত নিরীহ বাংলাদেশি কৃষক




            ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কৃষক আহত হয়েছেন।

            বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে পিপুলবাড়িয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

            আহত কৃষকের নাম রিয়াজ (২০)। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

            রিয়াজ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম শফিকুল ইসলাম।

            আহতের পরিবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে হালকা বৃষ্টিতে মাঠে পানি জমে যায়। পানি নিষ্কাশনের জন্য রিয়াজ জমিতে যান। জমিটি আন্তর্জাতিক সীমানার কাছাকাছি। তিনি জমিতে কাজ করার সময় ওপার থেকে ভারতীয় কুসুমপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা গুলি চালায়। একপর্যায়ে একটি গুলি তার শরীরে বিদ্ধ হয়। তখন স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।


            তথ্যসূত্র:
            ১. সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
            https://tinyurl.com/2p9mrsmz
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ; প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে আনল গ্রামবাসী




              দিনাজপুরের বিরলের সীমান্ত থেকে দুই বাংলাদেশি কৃষককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ ঘটনার জেরে দুই ভারতীয় নাগরিককে ধরে এনে আটকে রেখেছে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।

              শুক্রবার (০২ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মজৈন সীমান্তের ৩২০ মেইন পিলারের সাবপিলার ১০-এর কাছে এ ঘটনা ঘটে।

              বিএসএফ কর্তৃক ধরে নেওয়া বাংলাদেশিরা হলেন- মাসুদ ও এনামুল। তারা ধর্মপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

              ধর্মপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ‘দুপুরে সীমান্ত থেকে দুজনকে বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়। পরে গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে দুজন ভারতীয়কে ধরে আনে। বিষয়টি নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কথা হচ্ছে।’


              তথ্যসূত্র:
              ১. দুই কৃষককে নিয়ে গেল বিএসএফ, প্রতিক্রিয়ায় ২ ভারতীয়কে ধরে আনল গ্রামবাসী
              -https://tinyurl.com/3thfunxh
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment

              Working...
              X