কোন সামরিক ঘাঁটি নয়, পাকিস্তানের মসজিদে হামলা চালিয়েছে ভারত

গত ৬ মে দিবাগত রাতে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে অভিযান চালায় ভারত। হামলার পর দিল্লি দাবি করেছিল, তারা ২২ এপ্রিল পেহেলগামের হামলাকারীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করেই এই হামলা করেছে। তবে পাকিস্তান বলছে, ভারতীয় বাহিনী বেছে বেছে মসজিদগুলোতে হামলা করেছে।
আল-জাজিরার তদন্ত প্রতিবেদনেও পাকিস্তানের এই দাবি উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের হামলায় পাকিস্তানের মুরিদ শহরের একটি মসজিদও লক্ষ্যবস্তু হয়েছে, সেটির প্রথম তলা ধসে পড়েছে এবং ছাদের মাঝখানে একটি বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। গত ৯ মে মসজিদের ধ্বংসস্তূপ থেকে সরাসরি প্রতিবেদন করে বিষয়টি তুলে ধরে আল-জাজিরা।
ভারতের পক্ষ থেকে একে ‘সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণ শিবির’ বলে দাবি করা হলেও স্থানীয় বাসিন্দারা তা ঘোরতরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের ভাষ্য, গত সাত বছর ধরে এই এলাকা সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা বলছেন, এখানে স্কুল, মাদ্রাসা ও একটি হাসপাতাল রয়েছে।
স্থানীয়রা আরও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভারতের এই স্পষ্ট আগ্রাসনের পরও বিশ্ব শক্তিগুলো নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের গভীরভাবে হতাশ করেছে।
স্থানীয়দের দাবি, এটি ছিল শুধুই একটি মসজিদ, কোনো সন্ত্রাসী ক্যাম্প নয়। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ভারতের এই আগ্রাসনের পর বিশ্ব নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে, যা তাদের হতাশ করেছে।
তথ্যসূত্র:
1. Locals dispute Indian claim Muridke mosque was ‘terror training camp’
– https://tinyurl.com/mr9567vp
Comment