Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১৪ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ১৩ মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১৪ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ১৩ মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

    গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় শহীদ আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি






    দখলদার ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১০০ জন। এ নিয়ে শহীদের মোট সংখ্যা ৫২ হাজার ৮৬০ ছাড়িয়ে গেছে। ১৩ মে, মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

    আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে এবং ১২ মে, সোমবার বর্বর হামলায় উপত্যকাজুড়ে কমপক্ষে ৩৯ জন শহীদ হয়েছেন। পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু বলছে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া বর্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭৪৯ ফিলিস্তিনি শহীদ এবং আরও ৭ হাজার ৬০০ জন আহত হয়েছেন। দখলদার ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।

    গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সন্ত্রাসী ইসরায়েলের চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫২ হাজার ৮৬২ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এ ছাড়া এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত এক লাখ ১৯ হাজার ৬৪৮ জন। অন্যদিকে সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, শহীদের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা হাজারো মানুষ নিখোঁজ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    জাতিসংঘ-সমর্থিত বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল সতর্ক করে বলেছে, গাজার সমগ্র জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে। উপত্যকায় ৫ লাখ মানুষ অনাহারের মুখোমুখি হচ্ছে। পরিবারগুলো তাদের সদস্যদের জন্য খাবার নিশ্চিত করতে পারছেন না। তারা বলছেন, তাদের সন্তানদের খাবার দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাদের সন্তানরা দিনপার করছে ক্ষুধার্ত অবস্থায়।


    1. Israeli forces bomb the Nasser Medical Complex in Khan Younis, assassinating journalist Hassan Eslaih, a day after killing at least 39 people in attacks across the Strip.
    https://tinyurl.com/bdfjr32r
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় আরও এক সাংবাদিক নিহত



    দিনে দিনে নৃশংসতার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। বেসামরিকদের লক্ষ্য করে প্রতিনিয়তই বাড়ছে হত্যাযজ্ঞ। গাজার বাড়িঘর থেকে শুরু করে শরণার্থী শিবির, হাসপাতাল সবত্রই চলছে নারকীয় তাণ্ডব। খান ইউনিসে অবস্থিত নাসের মেডিক্যাল কমপ্লেক্সের বার্ন ইউনিটে দখলদার বাহিনীর বোমা হামলায় হাসান এসলাইহ নামে আরো এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

    আল জাজিরার তথ্যমতে, হাসান ফিলিস্তিনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আলাম২৪ নিউজ এজেন্সিতে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকেও হামাস-ইসরায়েল সংঘাতসংক্রান্ত খবর সরবরাহ করতেন তিনি। এর আগেও একবার ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিলেন তিনি। গত মাসে নাসের হাসপাতালের বাইরে সাংবাদিকদের তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসা নিতেই নাসের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

    এদিকে, হাসানকে একাধিকবার হামাসের সদস্য বলে অভিযুক্ত করেছে দখলদার ইসরায়েল। এই অভিযোগ অস্বীকার করে হাসান বলেছিলেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ তুলে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের হামাস বা অন্যান্য দলের সদস্য হিসেবে দেখিয়ে বহির্বিশ্বে তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে ইসরায়েল।’ সে সময় তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন, হামাস বা অন্য কোনো রাজনৈতিক বা সশস্ত্র দলের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই।

    হাসান ইসলাহের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকারের মিডিয়া অফিস। সাংবাদিকদের হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানোর তীব্র নিন্দা করে এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘গাজার সাংবাদিকদের পরিকল্পিতভাবে লক্ষ করে হত্যা ও গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী একা নয়, এই জঘন্য অপরাধের দায় মার্কিন প্রশাসনসহ গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী অন্য দেশগুলো—যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্স।’

    ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত বর্বর ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত হয়েছেন ২৩২ সাংবাদিক। এর আগে, গত মাসে সাংবাদিক ও লেখক অ্যান্টনি লোয়েনস্টাইন আল–জাজিরাকে বলেন, গাজায় যত সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, তা গত ১০০ বছরে বিশ্বের সব যুদ্ধ মিলিয়ে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে। তিনি এই তথ্যের উৎস হিসেবে ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ‘কস্ট অব ওয়ার’ প্রকল্পের একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করেন।


    1. LIVE: Israeli forces bomb Gaza’s Nasser Hospital, killing a journalist
    https://tinyurl.com/3h6ucfay
    2. killing journalist Hassan Eslaih, a day after they killed at least 39 people in attacks across the Strip.
    https://tinyurl.com/5dz8w98c
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতে দোকানের নাম করাচি হওয়ায় ভাঙচুর চালালো হিন্দুত্ববাদীরা




      ভারতে তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দারাবাদে ‘করাচি বেকারি’ নামের একটি জনপ্রিয় বেকারির দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি কর্মীরা। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক উত্তেজনার পটভূমিতে এ হামলা হয় বলে জানা গেছে।

      গত ১২ মে ‘মুসলিম মিরর’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১০ মে বিকেল ৩টার দিকে শামশাবাদের আরজিআই বিমানবন্দর থানার অধীনে অবস্থিত করাচি বেকারির একটি শাখায় হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে হাজির হয়ে বিজেপি কর্মীরা সাইনবোর্ডের ওপর লাঠি দিয়ে আঘাত করে। তারা পাকিস্তানবিরোধী স্লোগান দেয় এবং পাকিস্তানি পতাকা মাটিতে ফেলে পদদলিত করে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।

      স্থানীয় থানার পরিদর্শক কে. বালারাজু জানায়, ‘ঘটনার সময় পুলিশ উপস্থিত হয়ে তাদের আটক করে। তবে করাচি বেকারি কোনো অভিযোগ না করায় পরবর্তীতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’ পুলিশ জানায়, ‘বিজেপি কর্মীরা দোকানের নাম নিয়ে আপত্তি জানায় এবং সাইনবোর্ড ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করে।’

      হায়দারাবাদের করাচি বেকারি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৩ সালে। ভারতের স্বাধীনতার আগের করাচি শহরের সঙ্গে প্রতিষ্ঠাতার শিকড় জড়িত থাকায় বেকারিটির এমন নাম। নামটি ঘিরে আগেও বহুবার হামলা হয়েছে, কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের ঐতিহাসিক নাম বদলায়নি।


      তথ্যসূত্র:
      1. Karachi Bakery in Hyderabad vandalised by BJP workers demanding name change
      https://tinyurl.com/5e4ujvjv
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        বুরকিনার দেদুগু ও কোলবেলোগো রাজ্যে মুজাহিদদের সফল অভিযান: অন্তত ৬১ শত্রু সেনা নিহত


        পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর কোলবেলোগো ও দেদুগু রাজ্যে সম্প্রতি ৩টি পৃথক অপারেশন পরিচালনা করছেন আল-কায়দা সংশ্লিষ্ট ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা। এতে দেশটির জান্তা বাহিনীর অন্তত ৬১ শত্রু সেনা নিহত এবং আরও কয়েক ডজন শত্রু সৈন্য হতাহত হয়েছে।

        আয-যাল্লাকার রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা গত ৭মে মঙ্গলবার, বুরকিনা ফাসোর দেদুগু রাজ্যে ২টি এবং কোলবেলোগো রাজ্যে ১টি সফল অভিযান পরিচালনা করছেন। এরমধ্যে মুজাহিদিনরা তাদের সবচেয়ে সফল অভিযানটি পরিচালনা করছেন দেদুগু রাজ্যের ল্যানফিরা এলাকায়। অভিযানটি উক্ত এলাকায় নির্মাণাধীন জান্তা বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ বড় সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।

        ‘জেএনআইএম’ এর শতাধিক মুজাহিদ ঘাঁটিটি ঘিরে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করলে জান্তা সদস্যরা দ্রুত ঘাঁটি ছেড়ে পালাতে শুরু করে। ফলে মুজাহিদিনরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হন। এসময় মুজাহিদদের তীব্র আক্রমণে জান্তা বাহিনীর অন্তত ৪৫ সেনা সদস্য নিহত এবং আরও অসংখ্য সৈন্য আহত হয়। সেই সাথে ঘাঁটিটি শক্তিশালী করতে ও ভারী নির্মাণকাজ চালানোর জন্য জান্তা বাহিনীর নিয়ে আসা ৮টি ভারী যানবাহন মুজাহিদিনরা ধ্বংস করেন।

        আয-যাল্লাকার রিপোর্ট অনুযায়ী, ল্যানফিরা সামরিক ঘাঁটিতে মুজাহিদদের অতর্কিত আক্রমণে কয়েক ডজন শত্রু সৈন্য নিহতের পর মুজাহিদিনরা ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হন। এসময় মুজাহিদিনরা গনিমত হিসাবে অর্জন করেন ৪টি সামরিক যানবাহন, ২টি দুশকা মেশিনগান, ১টি মর্টার, ৭টি আরপিজি, ৮টি পিকা, ৩৪টি ক্লাশিনকোভ, ৭টি গোলাবারুদ বাক্স, ১টি ড্রোন এবং অন্যান্য বহু সামরিক সরঞ্জাম।

        দেদুগু রাজ্যে মুজাহিদিনরা তাদের দ্বিতীয় অভিযানটি পরিচালনা করেন রাজ্যের সানফোফো এলাকায়, যা জান্তা বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয়। সামরিক ঘাঁটিতে মুজাহিদদের তীব্র আক্রমণে জান্তা বাহিনীর ১৩ সৈন্য নিহত হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। এসময় মুজাহিদিনরা ঘাঁটি থেকে ১৩টি ক্লাশিনকোভ এবং অন্যান্য বহু সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেন।

        মুজাহিদিনরা এদিন তাদের তৃতীয় সফল অভিযানটি পরিচালনা করেন কোলবেলোগো রাজ্যের সোলোগওয়া এলাকায়। মুজাহিদিনরা এই এলাকায় জান্তা বাহিনীর একটি সামরিক চৌকি লক্ষ্য করে হামলাটি পরিচালনা করেন। এতে বুরকিনান জান্তা বাহিনীর ৩ সদস্য নিহত হয়। এসময় মুজাহিদিনরা সামরিক চৌকি থেকে ১টি পিকা অস্ত্র, ১টি আরপিজি, ৪টি ক্লাশিনকোভ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম গনিমত হিসাবে জব্দ করেন।


        তথ্যসূত্র:
        https://tinyurl.com/3tdv3vkr
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          আন্তর্জাতিক জ্বালানি সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান



          পঞ্চম আন্তর্জাতিক জ্বালানি সম্মেলনে অংশ নিতে উজবেকিস্তানের রাজধানী তাশখন্দ পৌঁছেছে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের একটি প্রতিনিধি দল। ১৩ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘টেকসই শক্তির জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা।’ প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন ইমারতে ইসলামিয়ার পানি ও জ্বালানি মন্ত্রী মাওলানা আবদুল লতিফ মনসুর হাফিযাহুল্লাহ।

          ইমারতে ইসলামিয়ার পানি ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আফগান প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে পানি ও বিদ্যুৎ প্রকল্পে উজবেকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। একইসঙ্গে, শক্তি ব্যবস্থাপনায় আঞ্চলিক দেশগুলোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো এবং আফগানিস্তানের জ্বালানি খাতে বিদেশি বিনিয়োগ সহজতর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

          এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো—শক্তি খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতার কৌশল নিয়ে আলোচনা করা, একটি সমন্বিত ও শক্তিশালী শক্তি বাজার গড়ে তোলা এবং আরও পরিবেশবান্ধব অর্থনীতির পথে এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম করা।

          উল্লেখ্য, এই সম্মেলনে উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান, রাশিয়া এবং অন্যান্য আঞ্চলিক দেশের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা এবং বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।


          তথ্যসূত্র:
          1. افغان پلاوی د انرژي پنځم نړېوال کنفرانس کې د ګډون لپاره ازبکستان ته لاړ
          https://tinyurl.com/3wzwnuxb
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ঘুমন্ত অবস্থায় আফগান নাগরিকদের হত্যা করত ব্রিটিশ সেনাগণ: সাবেক ব্রিটিশ সেনার স্বীকারোক্তি



            আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি’র এক সাক্ষাতকারে আফগান ভূমিতে ব্রিটিশ সেনাদের যুদ্ধাপরাধ স্বীকার করেছে ব্রিটিশ বিশেষ বাহিনীর প্রাক্তন কয়েকজন সেনাসদস্য। তাদের সহকর্মীগণ নিরীহ আফগানদের ঘুমন্ত অবস্থায় গুলি করত বলে তারা সত্য উপস্থাপন করেছে।

            দীর্ঘ বছরের নীরবতা ভেঙ্গে ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধাপরাধের কথা প্রকাশ করেছে সাবেক এই সেনাসদস্যগণ। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, বিট্রিশ সেনারা আফগান শিশুদের চোখ বেঁধে নির্যাতন করত, অতঃপর তাদেরকে হত্যা করত।

            একজন সৈনিক জানায়, বেসামরিক আফগান নাগরিকদের হত্যা করা বিট্রিশ বাহিনীর নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার ছিল। তারা নিরীহ আফগানদের আটক করে বেঁধে রাখত, তাদেরকে অকাতরে হত্যা করত। অতঃপর নিহত আফগানদের পাশে অস্ত্র সাজিয়ে মিডিয়ায় তাদের অস্ত্রধারী হিসেবে উপস্থাপন করা হত।

            তারা আরও স্বীকার করে যে, আফগানিস্তানে বিট্রিশ সেনারা কোনও সামরিক অভিযান পরিচালনার সময় আশেপাশের সকল ব্যক্তিকে নির্বিচারে হত্যা করত। এমনকি তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করতে পুনরায় তদারকি করা হত।

            উল্লেখ্য যে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মিথ্যা অজুহাতে বিগত দশকগুলোতে আফগানিস্তানে অবৈধ সামরিক আগ্রাসন চালিয়েছে বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলো। যুদ্ধাপরাধের অসংখ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও অপরাধী জাতিগুলোর বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি তথাকথিত আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ, যা চলমান আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার অসাড়তাকে বারংবার সুস্পষ্ট করছে।


            তথ্যসূত্র:
            1. British forces murdered innocent sleeping civilians in Afghanistan
            https://tinyurl.com/6etcfk2e
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              যুদ্ধবিরতির পর কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর অভিযান, নিহত ৩


              ভারত-পাকিস্তানের ঘোষিত যুদ্ধবিরতির পর অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ানে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর যৌথ অভিযানে তিন কাশ্মীরি যুবক নিহত হয়েছেন। যদিও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ একে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বলে দাবি করেছে, তবে স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী এটি একটি ‘ভুয়া এনকাউন্টার’।

              ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৩ মে সকালে প্রথমে কুলগাম জেলায় সংঘর্ষ শুরু হয়, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে শোপিয়ানের শোকাল কেলার এলাকার একটি জঙ্গলে।

              সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করে, নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে স্বাধীনতাকামীদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা অভিযান চালায়। অভিযানের সময় স্বাধীনতাকামীরা গুলি ছোড়ে বলে দাবি করা হয়, যা থেকে দু’পক্ষের মধ্যে দুই ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন নিহত হয়।

              তবে স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানান, ভারতীয় সেনারা ওই যুবকদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় এবং পরে তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যার জন্য ভুয়া এনকাউন্টারের নাটক সাজানো হয়।


              তথ্যসূত্র:
              1. 3 Terrorists Killed In Encounter In Jammu And Kashmir’s Shopian
              https://tinyurl.com/2ubkday5
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                বাংলাদেশে ‘পাকিস্তানপন্থা’ বলে কিছু নেই, এটি ‘ইন্ডিয়ান রেটরিক’: হেফাজতে ইসলাম



                বাংলাদেশে ‘পাকিস্তানপন্থা’ বলে কিছু নেই এমন মন্তব্য করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী আজ সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে ইন্ডিয়ান রেটোরিক জুলাই ঐক্যে নতুন বিভেদ উস্কে দিবে বলে সতর্ক করেন তিনি।

                বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইন্ডিয়ান মিডিয়া হরহামেশা বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী ছাত্র-জনতাকে ‘পাকিস্তানপন্থী’ বলে ফ্রেমিং করে। এইমুহূর্তে ভিন্নমতাবলম্বীদের ‘পাকিস্তানপন্থী’ ট্যাগ দেয়ার মানে ইন্ডিয়ান ন্যারেটিভ এদেশে পুনরুজ্জীবিত করার নামান্তর। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনামলে এ ধরনের ইন্ডিয়ান রেটোরিক ঢালাও ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে দমন ও হত্যা করতে আমরা দেখেছি। আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ-উত্তর বাংলাদেশে আবারও সেই আত্মঘাতী পশ্চাদমুখী রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আমরা ফিরতে চাই না। এখন যেকোনো ইন্ডিয়ান রেটোরিকের চর্চা জুলাই ঐক্যে নতুন বিভেদ উস্কে দিয়ে ইন্ডিয়ান আধিপত্যবাদকে সুযোগ করে দিতে পারে। আমরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান করছি।

                তিনি আরো বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে এদেশের আলেম-ওলামা ও মুসলমান সবসময়ই জুলুম ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বঞ্চিত মুসলমানের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষার্থে সাতচল্লিশ ঘটেছিল। এরপর পাক সামরিক জান্তার জুলুম ও স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে একাত্তরের জনযুদ্ধ সংঘটিত হয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। সেই ধারাবাহিকতায় চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে এদেশে ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের পতন ঘটে। সাতচল্লিশ, একাত্তর ও চব্বিশ প্রতিটিই আমাদের সংগ্রামী ইতিহাস ও জাতীয় আত্মপরিচয় নির্মাণের অনিবার্য ভিত্তি। এর প্রতিটি নিয়েই ইন্ডিয়ার মুসলিমবিদ্বেষী ন্যারেটিভ হাজির রয়েছে, যা আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। কোনটিকে অস্বীকার নয়, বরং ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের ইতিহাস ও রাষ্ট্র পুনর্নির্মাণে প্রতিটিকে ধারণ করতে হবে।

                তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী আমলে ইন্ডিয়ান রেটোরিক ও ন্যারেটিভ ব্যবহার করে এদেশের শীর্ষ ইসলামপন্থীদের ওপর বিচারিক হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল। এর পুনরাবৃত্তি আর কখনো হতে দেয়া যাবে না। এদেশে ‘পাকিস্তানপন্থা’ বলে কিছু আছে বলে আমরা মনে করি না। বাংলাদেশপন্থী শক্তিশালী রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী সব পক্ষকে সাতচল্লিশ, একাত্তর ও চব্বিশ প্রশ্নে একতাবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই।


                তথ্যসূত্র:
                ১. বাংলাদেশে ‘পাকিস্তানপন্থা’ বলে কিছু নেই: হেফাজতে ইসলাম
                -https://tinyurl.com/5aphpwwt
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  ভারতে বৃদ্ধ মুসলিমকে পিটিয়ে জয় শ্রী রাম বলতে বাধ্য করলো হিন্দুত্ববাদীরা


                  ভারতের উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দে ভয়াবহ ধর্মীয় বিদ্বেষের শিকার হয়েছেন ৮০ বছর বয়সী এক মুসলিম কৃষক। জমিতে সেচ দেওয়ার সময় তাকে মারধর করে জোরপূর্বক ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে বাধ্য করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।

                  ১৩ মে প্রকাশিত মুসলিম মিররের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ১১ মে উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দ শহরের অমরপুর গড়ি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। ৮০ বছর বয়সী প্রবীণ কৃষক মুহাম্মদ ইসরাইল সেদিন নিজ জমিতে কাজ করছিলেন। এমন সময় আকাশ ও অভি নামের দুই হিন্দু যুবক সেখানে এসে তার নাম জানতে চায়। মুসলিম পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তারা তাকে জোরপূর্বক হিন্দু ধর্মীয় স্লোগান ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে বাধ্য করার চেষ্টা করে।

                  ইসরাইল এতে আপত্তি করলে, যুবকরা তার ওপর লাঠি ও কোদাল দিয়ে হামলা চালায়, এতে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

                  পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত দুই হিন্দু যুবককে গ্রেফতার করে। তদন্তে জানা যায়, ভুক্তভোগী ও হামলাকারীদের মধ্যে পূর্বে কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। সম্পূর্ণ ধর্মীয় বিদ্বেষ থেকেই এই ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়।


                  তথ্যসূত্র:
                  1. Elderly Muslim farmer assaulted, forced to chant Jai Shri Ram in UP; two arrested
                  https://tinyurl.com/5f55fu58
                  নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    ইবিতে গ্রেফতার নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা




                    ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রসাী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কৃষিশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সায়মুম খানকে আটক করেছে শিক্ষার্থীরা। তার বিরুদ্ধে জুনিয়র শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

                    সোমবার (১২ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট থেকে তাকে আটক করে ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী খায়রুল ও তার বন্ধুরা। পরবর্তীতে তাকে নিকটস্থ ইবি থানায় সোপর্দ করা হয়।

                    অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সায়মুম গতবছরের ৫ জুন আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টা ১৩ মিনিটে ট্যুরিজম বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিফাত সিদ্দিকের মাধ্যমে কল দিয়ে শেখ রাসেল হল (বর্তমানে শহীদ আনাস হলে) ৪০৩ নাম্বার রুমে নিয়ে যায়। কথাবার্তার একপর্যায়ে সায়মুম ভুক্তভোগী খায়রুলকে ছাদে নিয়ে যায় এবং ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে সে খায়রুলকে বেপরোয়াভাবে মারধর করে এবং ধাক্কা দিয়ে সিঁড়িতে ফেলে দেয়। এসময় খায়রুল হাতে পায়ে ব্যথা পায় এবং তার শরীরের বিভিন্নস্থানে রক্তক্ষরণ হয়।


                    তথ্যসূত্র:
                    ১. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা আটক
                    https://tinyurl.com/vwe2av9e
                    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      উত্তর প্রদেশে আরও ৩৫০টি মুসলিম স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উগ্রবাদী যোগী সরকার




                      ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার কর্তৃক শাসিত উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরকার রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ‘অবৈধ স্থাপনা’র অভিযোগ তুলে ৩৫০ টি স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই অভিযানে রাজ্যের মাদ্রাসা, মসজিদ, মাজার, ঈদগাহ সহ মুসলিমদের স্থাপনাগুলোকে প্রধান লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।

                      রাজ্যের বিভিন্ন জেলা জুড়ে ‘অবৈধ স্থাপনা’ গুড়িয়ে দেওয়ার নামে অভিযান পরিচালনা করছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকার। পিলিভিট, শ্রাবস্তী, বলরামপুর, বাহরাইচ, সিদ্ধার্থনগর এবং মহারাজগঞ্জের মতো জেলাগুলোতে কর্তৃপক্ষ উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে।

                      এই অভিযানের অংশ হিসেবে কেবলমাত্র উত্তর প্রদেশের শ্রাবস্তী জেলায় ‘অবৈধ স্থাপনা’ র অভিযোগ তুলে ১০০ টির ও বেশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সিল-গালা করেছে। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সিল-গালা করার পাশাপাশি অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সিলগালা করা ও গুড়িয়ে দেওয়া বেশিরভাগ স্থাপনগুলোই মুসলিম আমলে নির্মিত স্থাপনা।


                      তথ্যসূত্র:
                      1.Yogi Government Targets Over 350 ‘Unauthorized’ Religious Sites Across Uttar Pradesh
                      https://tinyurl.com/muu44d82
                      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        অপারেশন সিঁদুর শেষ হয়নি, স্থগিত রাখা হয়েছে: মোদি




                        অপারেশন সিঁদুর শেষ হয়নি, এটি কেবল স্থগিত রাখা হয়েছে বলে হুঁশিয়ারি(!) উচ্চারণ করেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ১২ মে ভারত জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এই হুমকি দেয় সে।

                        গত ১৩ মে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। খবরে বলা হয়, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির পর পাকিস্তানে ভারতের অপারেশন সিঁদুর নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয় মোদি।

                        পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফের সামরিক অভিযানের হুমকি দিয়ে মোদি বলেছে, ‘পাকিস্তানের জানা উচিত, হামলা এখনও শেষ হয়নি। সন্ত্রাসবাদী স্থাপনার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেই এগুলো কেবল স্থগিত করা হয়েছে।’

                        সে আরও বলেছে, ‘আগামী দিনগুলোতে আমরা পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপ এই মানদণ্ডে পরিমাপ করব যে পাকিস্তান ভবিষ্যতে কী ধরনের মনোভাব গ্রহণ করবে। যদি পাকিস্তান পিছু হটে বা বিভ্রান্ত করে, আমি আবারও বলছি, আমরা কেবল আমাদের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ স্থগিত করেছি।’


                        তথ্যসূত্র:
                        1. Op Sindoor Is India’s New Normal: PM Modi’s Sharp Message To Pak
                        https://tinyurl.com/5527yzxe
                        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          চরম খাদ্য সংকটে গাজা, অনাহারে পাঁচ লাখ মানুষ




                          যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা চরম খাদ্য সংকটে। প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ অনাহারের মুখোমুখি হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ-সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন বিষয়ক সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি)। ইসরায়েলের অব্যাহত অবরোধের মুখে ত্রাণ ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা ঢুকতে না পারার কারণে সেখানকার বাসিন্দারা ‘চরম খাদ্য সংকটের’ মুখোমুখি হচ্ছেন।

                          ১২ মে, সোমবার প্রকাশিত আইপিসির সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে পর থেকেই গাজার খাদ্য পরিস্থিতিতে “বড় ধরনের অবনতি” ঘটেছে। বর্তমানে সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু না হলেও পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।

                          ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন বা আইপিসি মূলত জাতিসংঘ, দাতা সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশের সরকারের সমন্বয়ে পরিচালিত একটি সংস্থা, যাদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহল একটি এলাকায় দুর্ভিক্ষ হতে যাচ্ছে কি-না, সেটির প্রাথমিক মূল্যায়ন করে থাকে। আইপিসি জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় বসবাসরত মানুষের মধ্যে খাবারের জন্য হাহাকার চলছে। সেখানে বসবাসরত প্রায় ২১ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের ‘গুরুতর ঝুঁকিতে’ রয়েছে। বিশেষ করে, গত মার্চের শুরু থেকে মানবিক সহায়তা প্রবেশে ইসরায়েলের অব্যাহত বাধা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে।

                          বর্তমানে গাজার প্রায় দুই লাখ ৪৪ হাজার মানুষ ‘তীব্র’ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হচ্ছে জানিয়ে প্রতিবেদনে এ অবস্থায় দুর্ভিক্ষের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে আইপিসি। গাজার প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন, অর্থাৎ প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ অনাহারের মুখোমুখি হচ্ছে। ২০২৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ১১ মাসে সেখানকার পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ৭১ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


                          1. Famine stalking across Gaza, 500,000 face starvation: Analysis
                          https://tinyurl.com/mux4mbxj
                          2. Gaza population faces critical risk of famine, global hunger monitor says
                          https://tinyurl.com/mwjk9hsz
                          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                          Comment

                          Working...
                          X