Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১৫ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ১৪ মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১৫ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ১৪ মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

    এনসিপির রাজনীতিতে ফ্যাসিবাদের সুর



    ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় ভারতীয় বিশ্বস্ত এজেন্ট আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা। পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তাদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবি চলতে থাকে। কিন্তু নানা অজুহাতে সেই দাবিকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। সর্বশেষে ফ্যাসিবাদের দোসর, সাবেক রাষ্ট্রপতি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে সরব হয় সকল মত ও পেশার মানুষ।

    কতিপয় রাজনৈতিক দল ও আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফ্রন্টগুলো বাদে সকল মত ও পেশার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। পুনরায় তৈরি হয় জুলাইয়ের মতো ঐক্য। জনগণের দাবির মুখে অবশেষে আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং বিচারিক কার্যক্রম শেষে দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ১৩ মে এ-সংক্রান্ত একটি গেজেট জারি করা হয়।

    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পর থেকেই নোংরা এক খেলায় মেতে ওঠে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ছাত্র উপদেষ্টারা এবং নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা।

    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জড়ো হওয়া সমাবেশে ‘জাতীয় সংগীত’ অবমাননার অভিযোগ তুলে সর্বপ্রথম আওয়ামী বয়ানে ‘পাকিস্তানপন্থী’ সম্বোধন করে ফেসবুকে পোস্ট দেন ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এরপর থেকে ছাত্রদের নতুন দল এনসিপির নেতারা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কায়দায় মুসলিমদের লক্ষ্য করে বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য করতে থাকে। তাদের এই উস্কানি নতুন করে বিভাজনের দ্বার খুলে দেয়।

    ছাত্রদের গঠিত দল এনসিপি একটি দলীয় বিবৃতির মাধ্যমে এই বিরোধে আরও ঘি ঢেলে দেয়। জাতীয় সংগীত ইস্যু ও একাত্তরের মুজিববাদী বয়ানকে সমর্থনে ৫০ বছর পূর্বে মীমাংসিত ঘটনাকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে সামনে নিয়ে আসে।

    এই ঘটনায় পরবর্তীতে এনসিপির ভাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মিলিত কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের ‘জাতীয় সংগীত’ গায় এবং আওয়ামীবাদী কায়দায় ‘একাত্তরের দালালরা হুঁশিয়ার, সাবধান’, ‘তোরা যারা রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘একাত্তরের প্রেতাত্মারা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি নানা স্লোগান দেয়।

    হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের মূল ভিত্তি ছিল ‘একাত্তরের চেতনা’। এই চেতনার উপর ভর করেই সে ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছিল। সকল অপকর্ম থেকে মুক্তির একমাত্র কষ্টিপাথর ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। তার এই মুজিববাদী বয়ানের ভিত্তিতে অসংখ্য মুসলিমকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠনের সকল কাজের বৈধতাও পেয়েছিল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামেই।

    জুলাই অভ্যুত্থানে ‘ডাইনি হাসিনা’ ও তার প্রতিষ্ঠিত সকল বয়ানের অবসান ঘটে। যৌক্তিক কোটার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের নাতি’ বলে সম্বোধন করেছিল সে। পরবর্তীতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের স্লোগানের কাছে ভেঙে পড়ে তার সেই রেটোরিক।

    জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের অন্যতম স্লোগান ছিল—‘তুমি কে, আমি কে, রাজাকার, রাজাকার’, ‘কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কী তোর বাপ-দাদার’ সহ আরও অনেক আওয়ামীবাদ বিরোধী স্লোগান।

    কিন্তু প্রশ্ন জাগে—আওয়ামী লীগ চলে যাওয়ার পর পুনরায় এই বয়ানকে জাগ্রত করার চেষ্টা কেন? কে বা কারা এই চেতনার পুনর্জাগরণ ঘটাতে চাইছে? কী উদ্দেশ্য নিয়েই বা তারা এই বয়ান প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে?

    আওয়ামী লীগ আমলে মুক্তিযুদ্ধের বয়ান দিয়ে সবচেয়ে বেশি স্বার্থ হাসিল করেছে ভারত। মুসলিমদের উপর নির্যাতন বৈধ ধরে নেওয়া হতো ওই বয়ানের মাধ্যমে। একাত্তরের চেতনা জারি রাখতে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি নানা কথিত সাংস্কৃতিক ফ্রন্ট খোলা হয়েছিল। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে পুরো মিডিয়া জুড়ে বহাল তবিয়তে প্রতিষ্ঠিত ছিল চেতনার সেই বয়ান।

    আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালালেও বহাল তবিয়তে রয়েছে তার সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো ও মিডিয়া। তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ইস্যুতে সেই বয়ান প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।

    নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির লক্ষ্য ক্ষমতা। তাই ক্ষমতার স্বাদ পেতেই কি তারা পুনরায় একাত্তরের চেতনা জাগ্রত করে ভারতের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছে? তারা কি হাসিনার প্রতিষ্ঠিত চেতনাধারী মিডিয়া ও ফ্যাসিবাদের সহযোগী সাংস্কৃতিক সংগঠনের কোলে উঠার চেষ্টা করছে? এই প্রশ্নগুলো রয়েই যায়!


    তথ্যসূত্র:
    ১. সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি
    -https://tinyurl.com/h4u3w7r2
    ২. আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
    -https://tinyurl.com/rzuuj7ue
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    নারী-শিশুসহ ৪৩ রোহিঙ্গাকে সাগরে নিক্ষেপ করলো ভারতীয় কর্তৃপক্ষ




    ভারতীয় নৌ বাহিনীর বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ মোট ৪৩ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে অমানবিকভাবে আন্দামান সাগরে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই সময় তাদের বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বন হিসেবে লাইফ জ্যাকেট দেওয়া হয়। কোনমতে বেঁচে উপকূলে পৌঁছে তারা মায়ানমারে ফিরে যান।

    গত ৮ মে এই ঘটনা ঘটে। মায়ানমারে ফেরত যাওয়ার পর ভারতীয় নৌ বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন শরণার্থীরা।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, শরণার্থীদের চোখ বাঁধা এবং হাত বেঁধে একটি নৌবাহিনীর জাহাজে করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে সাগরে ফেলে দেওয়া হয় এবং সাঁতরে উপকূলে পৌঁছাতে বাধ্য করা হয়। অনেকেই অসুস্থ ছিলেন, কেউ কেউ ক্যান্সার বা অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

    এই রোহিঙ্গা শরণার্থীরা জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এর ভারত শাখার কাছে নিবন্ধিত ছিলেন। তাদের দিল্লির উত্তম নগর এলাকা থেকে ‘বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ’-এর অজুহাতে আটক করা হয়েছিল।

    ৮ মে ভারতের সলিসিটার জেনারেল সুপ্রিম কোর্টে বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ‘আইন অনুযায়ী নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসারে’ হবে। অথচ একই দিনে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে।

    রোহিঙ্গা প্রতিনিধি ডেভিড নাজির জানান, তার বাবা-মা সহ অনেককে প্রথমে দিল্লি থেকে পোর্ট ব্লেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়, এরপর জাহাজে উঠিয়ে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়।

    একটি পিটিশনে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করা হয়েছে যেন অবিলম্বে এই রোহিঙ্গাদের ভারতে ফিরিয়ে আনা এবং মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি ঘিরে দেশ-বিদেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. India pushed out Rohingya refugees to intense battlefield, NUG extends protection
    https://tinyurl.com/ycyhf6ne
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতের ১০ বছর বয়সী মুসলিম মেয়েকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করলো হিন্দু ব্যক্তি



      ভারতের উত্তরপ্রদেশে আবারও এক মর্মান্তিক ও বীভৎস অপরাধের শিকার হল একটি মুসলিম শিশু। সাহারানপুর এলাকায় মাত্র ১০ বছর বয়সী এক মুসলিম মেয়েশিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এক হিন্দু প্রতিবেশী।

      জানা গেছে, গত ৯ মে সন্ধ্যায় শিশুটি বাড়ির বাইরে খেলছিল। সেই সুযোগে অভিযুক্ত ৫০ বছর বয়সী বেদপ্রকাশ ধীমান তাকে অপহরণ করে এবং ধর্ষণ করে। পরে ধরা পড়ার ভয়ে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং লাশ নিজের বাড়ি থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে একটি ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে রাখে।

      এ ঘটনায় পুলিশ বেদপ্রকাশ ধীমানকে গ্রেপ্তার করেছে।

      উল্লেখ্য যে, উত্তরপ্রদেশে এর আগেও মুসলিম নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও হত্যার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রতিবারই দেখা গেছে, এমন জঘন্য অপরাধের পরও অপরাধীরা কোনো ধরনের বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি।


      তথ্যসূত্র:
      1. A 7-year-old Muslim girl was raped and strangled to death
      https://tinyurl.com/3upvxefs
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        গাজীপুরে ৮০ বছরের মুসলিম বৃদ্ধের কব্জি কেটে দিলো হিন্দু পুলিশ সদস্য



        গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের তাতীসুতা গ্রামে গত ১৩ মে দুপুরে ঘটে এক নৃশংস ও হৃদয়বিদারক ঘটনা। স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা গেছে, অমৃত নামের এক হিন্দু পুলিশ সদস্য ৮০ বছর বয়সী এক মুসলিম বৃদ্ধের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে তার হাতের কব্জি কেটে দিয়েছে। এই ভয়াবহ ঘটনায় পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

        জানা যায়, অভিযুক্ত অমৃত সম্প্রতি বনের একটি জমি দখল করতে গেলে বৃদ্ধ প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অমৃত তার উপর হামলা চালায় এবং নির্মমভাবে তার হাত কেটে দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

        ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন এবং এমন অমানবিক ও বর্বরোচিত অপরাধের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

        এ ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তারা এক বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য যদি এমন অপরাধে জড়িত থাকেন, তবে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’ তাদের মতে, বিচারহীনতা চলতে থাকলে সমাজে সহিংসতা ও অস্থিরতা আরও বাড়বে।

        এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলেও অধিকাংশ গ্রামবাসী শান্তিপূর্ণ অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, প্রতিশোধ নয়, তারা চান ন্যায়বিচার হোক আইনের মাধ্যমে। বাংলাদেশের মুসলিম সমাজ বরাবরই ধর্মীয় সহনশীলতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে থাকলেও, এমন ধারাবাহিক সহিংসতা সেই সহনশীলতার ভিতকে দুর্বল করে দিচ্ছে।

        ঘটনার বিষয়ে এখনো পর্যন্ত পুলিশের কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


        তথ্যসূত্র:
        1. গাজীপুরে মুসলিম বৃদ্ধের হাত কেটে নিলো কথিত সংখ্যালঘু উগ্রবাদী হিন্দু পুলিশ সদস্য
        https://tinyurl.com/yvpu26ce
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          চাঁদা না দেওয়ায় দলীয় নেতাকর্মী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী এমনকি ১১ বছরের শিশুর বিরুদ্ধেও মামলা দিয়েছে বিএনপি নেতা



          জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে রমরমা মামলা বাণিজ্য করছে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস জিয়াউল হক স্বপন। অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় আক্রন্তদের খুঁজে বের করতো সে। পরে তাদের পরিবারের সদস্যদের দিয়ে থানায় কিংবা আদালতে মামলা করার জন্য আবেদন তৈরি করে।

          ওই আবেদনের খসড়া তালিকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাশাপাশি টার্গেট করা হয় স্থানীয় ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও বাড়ির মালিকদের। এভাবে সে সাধারণ মানুষ তো আছেই, বিএনপি নেতাদেরও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। আর এসব মামলার বাদীরা আসামিদের চিনে না।

          পরে ওই মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে সে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। যারা টাকা দিয়েছে, তাদের নাম বাদ দিয়ে অন্যদের নামে মামলা করিয়েছে।

          ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে স্বপনের বিরুদ্ধে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর ভোল পাল্টে সে নতুনভাবে জেগে উঠে। বর্তমানে দলীয় পদ না থাকলেও বিএনপির সাবেক নেতার পরিচয় দিয়েই করে যাচ্ছে চাঁদাবাজি।

          স্থানীয় সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ শাসনামলে স্বপন পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি পরিচয়ে চাঁদাবাজি করত। বেনজীরের সঙ্গে তার একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া যায়। এছাড়া তাকে প্রায়ই দেখা যেত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের বাসায়।

          আইফোন না পাওয়ায় আসামি ঠিকাদার : টঙ্গীর দত্তপাড়া হাসান লেনের বাসিন্দা ঠিকাদার কবির হোসেন অভিযোগ করেন, ৫ জুলাই স্থানীয় এক ব্যক্তির মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কৌশলে তার আইফোন ও নগদ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় স্বপন। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় লিখিত অভিযোগ করে কবির। পরে বাধ্য হয়ে শুধু আইফোন ফেরত দেন স্বপন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে কবিরকে ফোন করে স্বপন। আগের ঘটনার জেরে হুমকি দিয়ে নতুন একটি আইফোন কিনে দিতে বলে। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে মামলায় আসামি করা হয়। এ ঘটনায় মোবাইল ফোনের কথোপকথনের অডিও রেকর্ডেও স্বপনকে হুমকি দিতে শোনা গেছে।

          কবির হোসেন বলেন, বাদী তাকে চেনে না। স্বপনকে আইফোন কিনে না দেওয়ায় সে কৌশলে মামলায় নাম দিয়েছে।

          ১১ বছরের শিশুও আসামি : কবিরের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও টাকা নেওয়ার পর স্থানীয়ভাবে মীমাংসা বৈঠক হয়েছিল।

          পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র গণমাধ্যমকে, দত্তপাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. হামিদ মোল্লা ওই বৈঠকে স্বপনকে ‘চোর’ আখ্যা দিয়েছিল। এর জেরে গত ১০ আগস্ট স্বপন লোকজন নিয়ে হামিদের বাড়িতে হামলা চালায়। ৩০ আগস্ট টঙ্গী পূর্ব থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে হামিদের মেয়ে তাবাসসুম।

          হামিদ জানান, বিচারে চোর বলায় এবং চাহিদামাফিক চাঁদা না দেওয়ায় স্বপন তাদের ওপর অত্যাচার শুরু করে। পরে থানায় জিডি করলে সে, তার সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ১১ বছরের ছেলে সাদ মোল্লা ও জামাতার নাম মামলার তালিকায় ঢুকিয়ে দিয়েছে স্বপন।

          চাঁদা না দেওয়ায় আসামি স্কুল-কলেজ শিক্ষকরা : টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের প্রভাষক হানিফ উদ্দিন, প্রভাষক আবু জাফর আহম্মেদ, টঙ্গীর সিরাজউদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান, সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান, সহকারী প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, ক্রীড়া শিক্ষক মোস্তফা কামাল, গাছা বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ মনির হোসেন অভিযোগ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করিয়েছে স্বপন।


          তথ্যসূত্র:
          ১. চাঁদা না দেওয়ায় দলীয় নেতাদেরও মামলায় ফাঁসিয়েছেন বিএনপি নেতা!
          https://tinyurl.com/2wr84k5n
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধে উদ্বিগ্ন ভারত




            বাংলাদেশে জনগণের গণআন্দোলনের মুখে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। তবে এই উদ্বেগ শুধু একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের জন্য নয়, বরং এটি আবারও প্রমাণ করছে যে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারত তার প্রভাব খাটাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

            গত ১৩ মে সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছে, ‘আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটি উদ্বেগজনক ঘটনা।’ এই মন্তব্যের মাধ্যমে কার্যত বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা, সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল দিল্লি।

            রণধীর জয়সওয়াল বলেছে, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে এবং রাজনৈতিক পরিসর সংকুচিত হয়ে আসছে, এতে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত উদ্বিগ্ন।’ কিন্তু অনেকের প্রশ্ন, যে ভারত নিজেই কাশ্মীর ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিমদের কণ্ঠরোধ, দমন-পীড়ন ও অধিকার হরণের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে প্রতিনিয়ত কণ্ঠরোধ করে আসছে, সেই ভারত কীভাবে অন্য দেশের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার রাখে?

            ভারতের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে যেন দ্রুত একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হয়, সে দাবি তারা জোরালোভাবে জানিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের এই আহ্বান প্রকৃতপক্ষে একচেটিয়া স্বার্থ সংরক্ষণের রাজনৈতিক কৌশল, যেখানে তারা তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফেরাতে চায়।

            প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে ভারত একের পর এক বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছে, যা সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপেরই শামিল।


            তথ্যসূত্র:
            1. The ban on the Awami League (in Bangladesh) without due process is a concerning development
            https://tinyurl.com/yr45mhk3
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ভুয়া খবর ছড়ানোর বিষয় স্বীকার করল ভারতের গণমাধ্যম ‘দ্যা হিন্দু’-এর সম্পাদক




              পাকিস্তানে ভারতের হামলার ভুয়া ভিডিও ছড়িয়ে অবশেষে সত্য স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে ভারতের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক দ্যা হিন্দু-এর সম্পাদক স্ট্যানলি জনি। সে নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) জানিয়েছে, যে ভিডিওটি সে শেয়ার করেছিল তা ভুল তথ্য ছিল। এই ভুয়া প্রচারণার দায় নিয়ে সে ক্ষমাও চেয়েছে।

              গত ১২ মে এক্সে দেওয়া পোস্টে স্ট্যানলি জনি লিখেছে, ‘চারপাশে ঘন কুয়াশার মতো ছড়িয়ে আছে প্রচার-প্রোপাগান্ডা। আমি সবসময় যাচাইকৃত তথ্য নিয়েই টুইট করতে চাই, ষড়যন্ত্রতত্ত্ব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু কখনো কখনো রিটুইট করার সময় ধরে নিই, যেটা অন্য প্ল্যাটফর্মে এসেছে সেটা হয়তো সত্য। করাচি হামলার ভিডিওটি ভুল তথ্য ছিল। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।’

              মূলত ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে জনি এমন একটি ভিডিও রিটুইট করে, যেখানে দাবি করা হয়েছিল—ভারতীয় নৌবাহিনী পাকিস্তানের করাচি বন্দরে হামলা চালিয়েছে। ভিডিওটি অনেকেই বাস্তব মনে করে বিশ্বাস করতে শুরু করেন। কিন্তু পরে তা যে একেবারেই ভিত্তিহীন ও মিথ্যা, সেটি পরিষ্কার হয়ে যায়।

              বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভিডিওটি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রোপাগান্ডা। আর সেটি ছড়িয়ে দিলেন এমন একজন, যিনি ভারতের অন্যতম প্রধান সংবাদপত্রের পররাষ্ট্র সম্পাদক। এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে ভারতের তথাকথিত ‘গণমাধ্যম স্বাধীনতা’ এবং সাংবাদিকদের ন্যূনতম পেশাগত সততা নিয়ে।

              এই ঘটনার মধ্য দিয়ে এটি স্পষ্ট হয়েছে যে, ভারতের মূলধারার মিডিয়া শুধু ভুল তথ্য নয়, ইচ্ছাকৃতভাবে গুজবও ছড়ায় এবং তা আবার যুদ্ধকালীন পরিবেশে। জনির মতো একজন দায়িত্বশীল ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকের কাছ থেকে এমন কাজ শুধু ‘ভুল’ নয়, বরং এটি ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রচারযন্ত্রের অংশ হিসেবেও দেখা হচ্ছে।


              তথ্যসূত্র:
              1. fake news
              https://tinyurl.com/3mauxkhs
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                গাজায় হাসপাতালে নৃশংস ইসরায়েলি হামলা, এক রাতে শহীদ ৮১





                ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলায় এক দিনে আরও অন্তত ৮১ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এর মধ্যে দক্ষিণ গাজার দুটি হাসপাতালের কাছে চালানো বোমা হামলায় শহীদ হয়েছেন ৩০ জন। আর উত্তর গাজায় মধ্যরাতের পর শুরু হওয়া একাধিক হামলায় শহীদ হয়েছেন কমপক্ষে ৫১ জন।

                ১৪ মে, বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

                প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী গাজাজুড়ে হামলা আরও বাড়িয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বরাতে জানানো হয়, শুধুমাত্র মধ্যরাত থেকে উত্তর গাজায় শহীদ হয়েছেন কমপক্ষে ৪৫ জন। এ ছাড়া অন্যান্য এলাকায় শহীদ হয়েছেন আরও ছয়জন।

                এর আগে দক্ষিণ গাজার ইউরোপীয় ও নাসের হাসপাতালের আশপাশে চালানো বিমান হামলায় শহীদ হন অন্তত ৩০ জন। নিহতদের মধ্যে চিকিৎসা নিতে আসা একজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিকও ছিলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

                এদিকে, গাজায় সন্ত্রাসী ইসরায়েলের গণহত্যামূলক অভিযানে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত শহীদ হয়েছেন অন্তত ৫২ হাজার ৯০৮ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৯ হাজার ৭২১ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

                সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলের নতুন দফার হামলায় এখন পর্যন্ত শহীদ হয়েছেন ২ হাজার ৭৮০ জন, আহত হয়েছেন প্রায় ৭ হাজার ৭০০ জন। জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেই এ হামলা শুরু করে ইসরায়েল।


                1. LIVE: Israel kills 60 in Gaza; Russia, China, UK reject US-Israeli aid plan
                https://tinyurl.com/2s4hcaht
                2. Death toll from Israel’s attacks on Gaza rises again
                https://tinyurl.com/bdhdjk7u
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  ভারতের হামলায় নারী-শিশুসহ ৫১ নিহতের তথ্য জানাল পাকিস্তান


                  পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত পাকিস্তানের ওপর ভারতীয় সামরিক বাহিনীর আগ্রাসনে সামরিক বাহিনীর ১১ সদস্য ও ৪০ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। গত ১৩ মে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

                  এতে বলা হয়, গত ৬ মে রাতে কোনো ধরনের উস্কানি ছাড়াই ভারতীয় সামরিক বাহিনী পাকিস্তানের ওপর হামলা শুরু করে। ভারতের হামলায় পাকিস্তানে মোট ৪০ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। এর মধ্যে সাতজন নারী ও ১৫ জন শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ১২১ জন, যাদের মধ্যে ১০ জন নারী ও ২৭ জন শিশু।

                  বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতীয় সামরিক বাহিনীর আগ্রাসন রুখতে গিয়ে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর ১১ সদস্য নিহত ও ৭৮ জন আহত হয়েছেন।’ এতে আরো বলা হয়, ‘পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে কখনো যদি চ্যালেঞ্জের চেষ্টা করা হয়, তবে তার তাৎক্ষণিক, পূর্ণমাত্রার সিদ্ধান্তমূলক জবাব দেওয়া হবে।’

                  এর আগে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাকিস্তানের হামলায় দেশটিতে ১৫ বেসামরিক লোক ও পাঁচ সেনা নিহত হয়েছেন।


                  তথ্যসূত্র:
                  1. 11 soldiers martyred, 78 wounded while defending Pakistan in Indian attack: ISPR
                  https://tinyurl.com/29fnfv7v


                  নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                  Comment

                  Working...
                  X