Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১৬ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ১৫ মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১৬ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ১৫ মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

    গাজায় আরও আগ্রাসী দখলদার ইসরায়েল, একদিনে শহীদ ৮৪



    গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি আলোচনা উপেক্ষা করে আবারও ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল। এতে আরও অন্তত ৮৪ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

    আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার ভোর থেকে গাজার উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরসহ বিভিন্ন এলাকায় চালানো নৃশংস ইসরায়েলি হামলায় শহীদ হয়েছেন অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি। দক্ষিণের খান ইউনিস শহরে শহীদ হয়েছেন আরও ১০ জন। বাকিরা শহীদ হয়েছেন গাজার অন্যান্য অঞ্চলে।

    উদ্ধারকাজ চালানো স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, জাবালিয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে শিশুদের মরদেহ বের করতে তারা মোবাইলের আলো ব্যবহার করছেন। কংক্রিটের ছাঁই সরিয়ে মরদেহ উদ্ধারের এই চিত্র আরও একবার গাজার ভয়াবহ বাস্তবতা তুলে ধরছে।

    ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে থাকা হাদি মকবেল নামের এক ব্যক্তি জানান, তার পরিবারের অনেকে শহীদ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তারা দুটি রকেট ছুড়েছে। আমার বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে ছুটে আসি। এসে দেখি আমার পরিবারের সদস্যদের মরদেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে আছে। আমার পরিবারের দুই মাস বয়সী শিশু মারা গেছে।’

    মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহ শহর থেকে আলজাজিরার সংবাদদাতা তারেক আবু আযুম জানান, দখলদার ইসরায়েল লক্ষ্যভেদী বিমান হামলা চালাচ্ছে এবং মূলত আবাসিক এলাকাকেই নিশানা করা হচ্ছে। তার মতে, সন্ত্রাসী ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে মানুষকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করছে যাতে তারা অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।

    গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে বর্বর ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫২ হাজার ৯০৮ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার অবকাঠামোর বড় একটি অংশ, বাস্তুচ্যুত হয়েছে জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ।


    তথ্যসূত্র:
    1. Israeli attacks on Gaza kill 84 as ceasefire talks continue
    https://tinyurl.com/5n8rncdv
    2.Israeli strikes across Gaza kill 80, hospitals and rescuers say
    https://tinyurl.com/3dk2sy97
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ইহুদিবাদী দখলদারদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের শক্ত জবাব



    ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনীগুলোর সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে। গাজা থেকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনীর আল-কুদস ব্রিগেডস ১৩ মে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলি দখলকৃত শহর ইসদুদ, আসকালান, সদেরোত এবং গাজা উপত্যকার আশেপাশের অবৈধ ইসরায়েলি বসতিগুলোতে রকেট হামলা চালিয়েছে। এই হামলা ইহুদিবাদী দখলদার বাহিনীর গণহত্যা ও নৃশংসতার জবাবে পরিচালিত হয়েছে বলে ব্রিগেডসের রকেট ইউনিট নিশ্চিত করেছে।

    ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজার নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর অবিরাম বর্বর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যার জবাবে আল-কুদস ব্রিগেডস তাদের রকেট হামলা তীব্র করেছে। এই হামলাগুলো ইসরায়েলের ভিতরে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। ইসরায়েলি মিডিয়াও স্বীকার করেছে যে বেশ কিছু রকেট সরাসরি ইসরায়েলি বসতি ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হেনেছে।

    এদিকে, আল-কাসসাম ব্রিগেডসের যোদ্ধারা গাজার পূর্ব শুজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের সাথে সরাসরি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। আল-কাসসাম ব্রিগেডস নিশ্চিত করেছে যে তাদের যোদ্ধারা একটি ইসরায়েলি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটের সাথে সংঘর্ষের সময় বাগার-টাইপ সামরিক যানের চালককে হত্যা করেছে।

    ইহুদিবাদী দেশটির সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সম্প্রতি কনেসেটে ঘোষণা দিয়েছেন যে তারা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান আরও তীব্র করবে। কিন্তু ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছে যে ইসরায়েলের সামরিক শক্তি তাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। আল-কুদস ব্রিগেডস এবং আল-কাসাম ব্রিগেডসের যৌথ প্রতিরোধ ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীকে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছে।


    1. Al-Quds Brigades targets Israeli settlements with rocket barrages
    https://tinyurl.com/34bcuc63
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভিডিও || ভারতের কর্ণাটকে কুরআন ও হাদিসের বই পুড়িয়ে দিলো অজ্ঞাত ব্যক্তিরা









      ভারতে হিন্দুত্ববাদী শক্তির ধারাবাহিক আক্রমণের শিকার হয়ে আসছে মুসলিম সম্প্রদায়। কখনও গোমাংসের গুজব, কখনও নামাজে বাধা, কখনও হিজাব নিষিদ্ধ- এ সবের মাঝেই এবার কর্ণাটকে আরও একটি চরম নিন্দনীয় ঘটনা ঘটেছে। কর্ণাটকের বেলগাভি এলাকার শান্তিবস্তিওয়াড়ি গ্রামে মসজিদ থেকে বেশকিছু পবিত্র কুরআন ও হাদিসের বই চুরি করে পাশেই পুড়িয়ে দিয়েছে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা।

      গত ১৪ মে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য অবজারভার জানায়, ১২ মে ভোরে নামাজের পর মুসল্লিরা প্রথম বুঝতে পারেন যে পবিত্র গ্রন্থগুলো মসজিদে নেই। পরে মসজিদের পাশের এলাকায় বইগুলো পোড়া অবস্থায় দেখতে পান তারা। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরই এলাকাজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

      স্থানীয় মুসলিমরা জানান, এটি চলতি বছরে তৃতীয়বারের মতো কুরআন অবমাননার ঘটনা, কিন্তু প্রশাসন আজও কোনো অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এই অব্যবস্থার প্রতিবাদে শান্তিবস্তিওয়াড়ি, পিরানওয়াড়ি ও মাচ্চে গ্রামের মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।

      তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার চেষ্টা করলে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার অজুহাতে তাদের বাধা দেওয়া হয়। ফলে বিক্ষোভকারীরা বেলগাভি-গোয়া হাইওয়ের বিশ্বেশ্বরায়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

      এদিকে, কর্ণাটকের গণপূর্ত মন্ত্রী সতীশ জারকিহোলি ঘটনাটির নিন্দা না করে বরং দায় এড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সে বলেছে, ‘মসজিদে সিসিটিভি থাকা উচিত ছিল,’ যা থেকে স্পষ্ট, সে নিরাপত্তা ঘাটতির অজুহাতে দায় মসজিদের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়। এরপর তার স্বভাবসুলভ বক্তব্য, ‘পুলিশ মামলা রুজু করেছে এবং তদন্ত চলছে।’

      বর্তমানে শান্তিবস্তিওয়াড়ি এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

      ভিডিওটি আর্কাইভ থেকে দেখুন:
      ভারতে হিন্দুত্ববাদী শক্তির ধারাবাহিক আক্রমণের শিকার হয়ে আসছে মুসলিম সম্প্রদায়। কখনও গোমাংসের গুজব, কখনও নামাজে বাধা, কখনও হিজাব নিষিদ্ধ- এ সবের মাঝেই এবার কর্ণাটকে আরও একটি চরম নিন্দনীয় ঘটনা ঘটেছে। কর্ণাটকের বেলগাভি এলাকার শান্তিবস্তিওয়াড়ি গ্রামে মসজিদ থেকে বেশকিছু পবিত্র কুরআন ও হাদিসের বই চুরি করে পাশেই পুড়িয়ে দিয়েছে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা।

      গত ১৪ মে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য অবজারভার জানায়, ১২ মে ভোরে নামাজের পর মুসল্লিরা প্রথম বুঝতে পারেন যে পবিত্র গ্রন্থগুলো মসজিদে নেই। পরে মসজিদের পাশের এলাকায় বইগুলো পোড়া অবস্থায় দেখতে পান তারা। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরই এলাকাজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

      স্থানীয় মুসলিমরা জানান, এটি চলতি বছরে তৃতীয়বারের মতো কুরআন অবমাননার ঘটনা, কিন্তু প্রশাসন আজও কোনো অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এই অব্যবস্থার প্রতিবাদে শান্তিবস্তিওয়াড়ি, পিরানওয়াড়ি ও মাচ্চে গ্রামের মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।

      তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার চেষ্টা করলে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার অজুহাতে তাদের বাধা দেওয়া হয়। ফলে বিক্ষোভকারীরা বেলগাভি-গোয়া হাইওয়ের বিশ্বেশ্বরায়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

      এদিকে, কর্ণাটকের গণপূর্ত মন্ত্রী সতীশ জারকিহোলি ঘটনাটির নিন্দা না করে বরং দায় এড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সে বলেছে, ‘মসজিদে সিসিটিভি থাকা উচিত ছিল,’ যা থেকে স্পষ্ট, সে নিরাপত্তা ঘাটতির অজুহাতে দায় মসজিদের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়। এরপর তার স্বভাবসুলভ বক্তব্য, ‘পুলিশ মামলা রুজু করেছে এবং তদন্ত চলছে।’

      বর্তমানে শান্তিবস্তিওয়াড়ি এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

      ভিডিওটি আর্কাইভ থেকে দেখুন:
      https://tinyurl.com/mrxkftcw


      তথ্যসূত্র:
      1. Unrest in K’taka’s Belgavi After Quran and Hadith Burned at Mosque, Protesters Demand Arrests
      https://tinyurl.com/mrxkftcw
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment

      Working...
      X