Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১৭ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ১৬ মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১৭ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ১৬ মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

    পেহেলগামে হামলার অজুহাতে দুই হাজারের বেশি কাশ্মীরি আটক



    ভারতের অবৈধ দখলে থাকা জম্মু ও কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ চিত্র আবারও তুলে ধরেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত আসিম ইফতিখার আহমদ। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক গুরুত্বপূর্ণ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, পেহেলগামে হামলার ঘটনাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে ভারত দুই হাজারের বেশি কাশ্মীরিকে আটক করেছে, যা সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক ও মানবাধিকার পরিপন্থী।

    তিনি বলেন, ভারত পরিকল্পিতভাবে কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে দমন করতে দীর্ঘদিন ধরে গণগ্রেফতার, জোরপূর্বক গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় কাশ্মীর উপত্যকাকে কার্যত এক বন্দিশিবিরে পরিণত করা হয়েছে।

    রাষ্ট্রদূত আসিম আরও জানান, গত কয়েক বছরে কাশ্মীরে হাজার হাজার অচিহ্নিত গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ভারতীয় বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জ্বলন্ত প্রমাণ। তদন্তে দেখা গেছে, ভারতীয় দখলদার বাহিনী সাধারণ নাগরিকদের অপহরণ করে, ভয়ংকর নির্যাতন চালায় এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়।

    তিনি নিখোঁজ ব্যক্তিদের সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিকভাবে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে জোর দিয়ে বলেন, এই ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে হলে আন্তর্জাতিক সমাজকে এখনই এগিয়ে এসে কাশ্মীর সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান ও সংঘাত প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।


    তথ্যসূত্র:
    1. ‘India used Pahalgam incident to detain over 2,000 Kashmiris’
    https://tinyurl.com/ym6de2h3
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    গাজার শেষ হাসপাতালটিও ধ্বংস করল দখলদার ইসরায়েল



    দিনে দিনে নৃশংসতার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। বেসামরিকদের লক্ষ্য করে প্রতিনিয়তই বাড়ছে হত্যাযজ্ঞ। গাজার বাড়িঘর থেকে শুরু করে শরণার্থী শিবির সবত্রই চলছে নারকীয় তাণ্ডব। এবার গাজার শেষ হাসপাতালটিও ধ্বংস করল সন্ত্রাসী ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলার পর গাজার ক্যান্সার এবং হৃদরোগের চিকিৎসা প্রদানকারী শেষ হাসপাতালটি বন্ধ বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস।

    জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান এক্স-এ এক বার্তায় বলেছে, বর্বর ইসরায়েলি হামলার ফলে খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতাল ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং চিকিৎসা সেবা প্রদানের অনুপযোগী’ হয়ে পড়েছে।

    এছাড়া সে বলেছে, এটি ‘এখন আর কার্যকরী নয়’, ডব্লিউএইচও’র একটি দল হামলার সময় কাজে নিয়োজিত জরুরি চিকিৎসা কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে। ‘মিশনের ঠিক আগে কাছাকাছি একটি হামলা হয়েছিল’, কর্মীদের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতালটি বন্ধের ফলে নিউরোসার্জারি, হৃদরোগের চিকিৎসা এবং ক্যান্সারের চিকিৎসাসহ গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, এসব পরিষেবাগুলো গাজার অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।

    ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) দাতব্য সংস্থাটিও বন্ধের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরেছে। তারা বলেছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে এখন নাসের হাসপাতালই একমাত্র কার্যকরী হাসপাতাল। এটি ছিল গাজার ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার অবশিষ্টগুলোর মধ্যে একটি। দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো গাজা ইউরোপীয় হাসপাতালের আঘাত করা হয়েছে।

    এই হাসপাতালটি বন্ধের ফলে চিকিৎসার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রর ভূমিকাও শেষ হয়ে যায়, যা চাপে থাকা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও চাপের মুখে ফেলে দিয়েছে। অঞ্চলটির অবশিষ্ট হাসপাতালগুলো ‘প্রায় সব গুলোই আংশিকভাবে কার্যকর। দখলদার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ উপত্যকাকে বসবাসের অযোগ্য করে তোলার ‘স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোতে বারবার হামলা চালাচ্ছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Gaza European Hospital is out of service due to ongoing shelling, says medical sources
    https://tinyurl.com/45v2rcyf
    2. Gaza’s European Hospital Faces Catastrophic Shutdown Due to Ongoing Airstrikes
    https://tinyurl.com/32z6dya8
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      আরও ৩ কাশ্মীরি যুবককে হত্যা করেছে ভারতের সেনারা



      উগ্র হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের নেতৃত্বাধীন ভারতের দখলদার সেনারা আরও তিন নিরপরাধ কাশ্মীরি যুবককে শহীদ করেছে। জম্মু-কাশ্মীরের পুলাওয়ামায় এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয় বলে জানিয়েছে কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিস।

      ১৫ মে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, পুলাওয়ামার নাদার লোরগাম এলাকায় ভারতের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর অভিযান চলাকালে তিন যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে তল্লাশির নামে পুরো গ্রাম অবরুদ্ধ করে ফেলা হয়। স্থানীয়দের ঘরবন্দি করে ভয়াবহ আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হয়।

      জানা যায়, পেহেলগামে সাজানো সন্ত্রাসী হামলার অজুহাতে ঘরে ঘরে অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় বাহিনী। তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কাশ্মীরি তরুণদের। মোবাইল ফোন, কাগজপত্রসহ ঘরের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও জব্দ করা হচ্ছে।

      ১৪ মে, বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী অভিযানে ভারতীয় সেনা, আধাসামরিক বাহিনী এবং পুলিশের যৌথ দল অংশ নিচ্ছে। পাহাড়ি ও বনাঞ্চল ঘেরা অঞ্চল হওয়ায় সার্বক্ষণিক নজরদারিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন।


      তথ্যসূত্র:
      1. Indian troops martyr three Kashmiri youth in Puwlama
      https://tinyurl.com/fysxvk7a
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভারতের উত্তর প্রদেশে প্রায় ৩০০ মসজিদ-মাদরাসা গুঁড়িয়ে দিলো হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন


        হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের নেতৃত্বে ভারতের উত্তর প্রদেশে রাজ্য প্রশাসন নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০০টি মুসলিম ধর্মীয় স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ২২৫টি মাদ্রাসা, ৩০টি মসজিদ, ২৫টি মাজার ও ৬টি ঈদগাহ। এই অভিযানকে আইনের নামে মুসলিমদের উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস হিসেবে দেখছেন মানবাধিকার সংগঠন ও মুসলিম নেতারা।

        উত্তর প্রদেশের মহারাজগঞ্জ, সিদ্ধার্থনগর, বালরামপুর, শ্রাবস্তী, বহরাইচ, লখিমপুর খেরি ও পিলিভীত জেলায় চলমান এই অভিযানে ১৪ মে, বুধবার একদিনেই মহারাজগঞ্জে দুটি মাদ্রাসা, শ্রাবস্তী ও বহরাইচে একটি করে ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করা হয়। প্রশাসনের দাবি, এসব স্থাপনা “অবৈধভাবে সরকারি ও বনভূমি দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে”। কিন্তু স্থানীয় মুসলিমরা বলছেন, এটি হিন্দুত্ববাদী সরকারের ইসলামবিদ্বেষী এজেন্ডার অংশ।

        শ্রাবস্তীর কালীমপুরওয়াতে একটি মাদ্রাসা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যেখানে দরিদ্র মুসলিম শিশুরা বিনামূল্যে শিক্ষা পেত। স্থানীয় বাসিন্দা মুহাম্মদ সেলিম বলেন, “এগুলো শুধু ইট-পাথরের স্থাপনা নয়, আমাদের ঈমান ও শিক্ষার কেন্দ্র। সরকার চাইলে বৈধ করত, কিন্তু তারা ধ্বংস করতে চায়”।

        প্রশাসনের বক্তব্য, ভারত-নেপাল সীমান্তের ১০ কিলোমিটার ভেতরে এসব স্থাপনা নির্মাণে অনুমতি নেই। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, হিন্দু মন্দির বা অন্যান্য ধর্মের স্থাপনা কি একইভাবে ভাঙা হচ্ছে? মাওলানা আরশাদ হুসেনের কথায়, “যদি কোনো মন্দির অবৈধ হয়, সেখানে কি বুলডোজার যায়? শুধু মুসলিম স্থাপনাই কেন লক্ষ্য?”।

        এই ঘটনা মোদি সরকারের মুসলিমবিরোধী নীতিরই প্রতিচ্ছবি। গত কয়েক বছরে নাগরিকত্ব আইন (CAA), হিজাব নিষেধাজ্ঞা, কুরআন পোড়ানোর ঘটনা এবং এখন মসজিদ-মাদ্রাসা ধ্বংস—সবই প্রমাণ করে, ভারতীয় মুসলিমদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বানানোর চক্রান্ত চলছে।

        অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এই পদক্ষেপকে সংবিধান লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে এবং ধ্বংস হওয়া স্থাপনাগুলোর পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ল নেটওয়ার্কের আইনজীবী দীপা কৌল বলেছে, “এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্পষ্ট উদাহরণ”।


        1. UP govt cracks down on illegal religious structures near Nepal border, 225 madrasas, 30 mosques demolished
        https://tinyurl.com/3j223c7k
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ইসরায়েলকে গণহত্যাকারী বলে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করল স্পেন




          গাজায় ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের চালানো নির্মম গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নিল স্পেন। ইসরায়েলকে ‘গণহত্যাকারী রাষ্ট্র’ অভিহিত করে দখলদার দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে স্পেন। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছে, “একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, ইসরায়েল একটি গণহত্যাকারী রাষ্ট্র। এর সঙ্গে আমরা আর বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখছি না। (ইসরায়েলের সঙ্গে) কোনও বাণিজ্য হবে না।”

          ১৪ মে, বুধবার রাজধানী মাদ্রিদে স্পেনের পার্লামেন্টে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে কাতালান পার্লামেন্ট সদস্য গ্যাব্রিয়েল রুফিয়ানের সমালোচনার জবাবে এই তথ্য জানায় সানচেজ।

          গাজা যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে আগে থেকেই ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরোধিতা করে আসছিল সে। তবে এটিই তার সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ ও সরাসরি বক্তব্য।

          কাতালান পার্লামেন্ট সদস্য রুফিয়ান অভিযোগ করেছিল, গাজা যুদ্ধের মধ্যেও স্পেন ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।

          জবাবে প্রধানমন্ত্রী সানচেজ বলেছে, “আমি এখানে একটি বিষয় পরিষ্কার করে বলতে চাই, জনাব রুফিয়ান। সেটি হলো, আমরা কোনও গণহত্যাকারী রাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা করি না, একেবারেই না।”

          স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এটি ছিল সানচেজের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে প্রথমবার ইসরায়েলকে ‘গণহত্যাকারী রাষ্ট্র’ হিসেবে উল্লেখ করা। যদিও তার জোটসঙ্গী ‘সুমার’ এই শব্দটি বহুবার ব্যবহার করেছে।

          স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য স্পেনের পররাষ্ট্রনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে বিভাজনের প্রেক্ষাপটে এটি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে ইতিমধ্যেই বিভক্তি স্পষ্ট। স্পেনের এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন দেয়া দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। বিশেষত, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মতো দেশগুলো গাজায় ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অপরাধগুলোকে নির্বিচারে সমর্থন করে আসছে।


          1. Spanish premier calls Israel ‘genocidal state,’ says Spain ‘does not do business’ with it
          https://tinyurl.com/bdfhsr4z
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            নাকবা দিবসে গাজায় নৃশংস হামলা, নিহত ১১৫




            ১৫ মে ছিল নাকবা বা মহাবিপর্যয় দিবস। ৭৭ বছর আগে ফিলিস্তিনিদের ওপর নেমে আসা মহাবিপর্যয় ও তাদের ঘর হারানোর দিন এটা। সেই দুঃসহ স্মৃতি আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। নাকবা দিবসের ৭৭তম বর্ষপূর্তিরতে ১৫ মে, বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাজুড়ে নৃশংস হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১১৫ জন।

            আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ হামলায় ১১৫ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। গত ১৯ মাস ধরে চলা নিরবচ্ছিন্ন বোমা হামলার ফলে এই মৃত্যুর সংখ্যা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

            গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, উপত্যকাটিতে বর্বর ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৩ হাজার ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৯১৯ জন।

            স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে রাতভর এবং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলা হামলায় কমপক্ষে ৫৯ জন নিহত হয়েছেন। নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে অনেকেই শিশু। এছাড়া উত্তর গাজার গাজা সিটি এবং জাবালিয়াতেও ইসরায়েলি হামলা চালানো হয়েছে।

            আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজ্জুম দেইর এল-বালাহ থেকে জানিয়েছেন, গাজায় এটি ‘আরেকটি রক্তাক্ত দিন’। তিনি বলেন, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান খান ইউনিস শহরে কোনো সতর্কতা ছাড়াই নয়টি বাড়ি সরাসরি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি পরিবার সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

            এই হামলার সময় ফিলিস্তিনিরা নাকবার ৭৭তম বার্ষিকী পালন করছিল। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের সময় জায়নবাদী সামরিক গোষ্ঠীগুলোর হাতে ৭ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি জোরপূর্বক উচ্ছেদ হয়েছিল, যা নাকবা বা ‘মহাবিপর্যয়’ নামে পরিচিত।

            নাকবা দিবস (আরবি : يوم النكبة, ইওম আন-নাকবা, অর্থ ‘বিপর্যয়ের দিন’) প্রতি বছর ১৫ মে পালিত হয়। এদিন ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় ফিলিস্তিনি আরবদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, জাতিগত নির্মূল এবং তাদের সমাজ, সংস্কৃতি ও পরিচয়ের ধ্বংসের স্মরণে পালন করা হয়। এই ঘটনাকে ফিলিস্তিনিরা ‘নাকবা’ বা ‘বিপর্যয়’ হিসেবে অভিহিত করে।

            ১৯৪৮ সালের এই ১৪ মে জন্ম হয় ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠ অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের। এর পরদিন ১৫ মে থেকে ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য হত্যা-ধর্ষণ-লুট-অগ্নিসংযোগ শুরু হয়। প্রাণভয়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি বাড়িঘর, সহায়-সম্পত্তি ছেড়ে পালাতে থাকে। সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনি জর্ডান, লেবানন ও সিরিয়ায় গিয়ে উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় নেন।

            ১৯৪৭-১৯৪৯ সাল পর্যন্ত দুই বছর সময়ের মধ্যে ফিলিস্তিনের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে ইহুদিরা ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের ৭৮ ভাগ জায়গা দখল করে নেন। ফিলিস্তিনের ৫৩০টি গ্রাম ধ্বংস করে দেওয়া হয়। ধারাবাহিক হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে ১৫ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে ৭০টি ছিল গণহত্যা।

            এরপর থেকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতি আর বন্ধ হয়নি কখনোই। ১৯৪৮-এ শুরু হওয়া এই মহাবিপর্যয় এখনো অব্যহত আছে। সর্বশেষ পশ্চিম তীরকে যুক্ত করার এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করার ইসরায়েলি প্রত্যয় মহাবিপর্যয়কে আরও ঘনীভূত করেছে।


            1. Israel kills over 100 in Gaza as Palestinians mark 77 years since the Nakba
            https://tinyurl.com/4j44uat4
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment

            Working...
            X