Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২০ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ১৯ মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২০ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ১৯ মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

    ভারতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্যের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম অধ্যাপক গ্রেফতার




    ভারতে সরকারবিরোধী বক্তব্য বা নিজ সম্প্রদায়ের পক্ষ নেওয়া যেন এখন সবচেয়ে বড় অপরাধ। বিশেষ করে মুসলিমরা যদি ন্যায়বিচার, বৈষম্য কিংবা রাষ্ট্রীয় প্রচারণার বিরুদ্ধে কোনো প্রশ্ন তোলেন, তবে তাদের ঠাঁই হয় জেলখানায়। এই দমননীতির সর্বশেষ শিকার হলেন অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলি খান মাহমুদাবাদ।

    গত ১৮ মে ভারতীয় গণমাধ্যম মাকতুম মিডিয়া জানায়, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু মন্তব্য করার অভিযোগে দিল্লি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিজেপি যুব মোর্চার নেতা গৌরব রানা এবং হরিয়ানা রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেনু ভাটিয়া।

    অধ্যাপক মাহমুদাবাদ তার এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে বলেছিলেন, অনেক ডানপন্থি সমর্থক কর্নেল সোফিয়া কুরেশির প্রশংসা করছেন। এটা ভালো। তবে তারা যদি একইরকম জোরালোভাবে গণপিটুনি, বুলডোজার অভিযান ও ঘৃণার রাজনীতির শিকার নাগরিকদেরও রক্ষা করার দাবি তোলেন, তাহলে সেটাই হবে প্রকৃত দেশপ্রেম।

    তিনি আরও বলেন, কর্নেল কুরেশির সংবাদ সম্মেলনসহ অপারেশন সিন্দুরের বিভিন্ন উপস্থাপনাকে ‘অপটিক্স’ বা ‘লোক দেখানো’ বলে মনে হয়। এটি যদি বাস্তবতার প্রতিফলন না হয়, তাহলে তা কেবলই ‘ভণ্ডামি’ ছাড়া আর কিছু নয়।

    তার এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের পর হরিয়ানা রাজ্য মহিলা কমিশনের দাবি করে, মাহমুদাবাদের মন্তব্য ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর নারী কর্মকর্তাদের অপমান করেছে এবং সাম্প্রদায়িক বিভেদ উসকে দিয়েছে।

    মাহমুদাবাদ দাবি করেন, তার পোস্টের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে ও তিনি সংবিধানপ্রদত্ত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রয়োগ করে শান্তি ও ঐক্যের বার্তা দিতে চেয়েছেন।

    অন্যদিকে, ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া কর্নেল সোফিয়া কুরেশির ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে প্রকাশ্যে কটাক্ষ করেছিল মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী কল্যাণমন্ত্রী বিজয় শাহ। তা সত্ত্বেও, এখনো পর্যন্ত ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অথচ শুধুমাত্র হিন্দুত্ববাদীদের কথিত অভিযোগের ভিত্তিতে মুসলিম অধ্যাপক আলি খান মাহমুদাবাদকে দ্রুত গ্রেফতার করা হয়েছে।

    গ্রেফতারের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাহমুদাবাদের সমর্থনে ঝড় উঠেছে। বহু বিশিষ্টজন এটিকে ‘বাকস্বাধীনতার বিরুদ্ধে আঘাত’ এবং মুসলিম বিদ্বেষের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ বলে উল্লেখ করছেন। একাধিক ছাত্র সংগঠন ও মানবাধিকার কর্মী বলছেন, ‘ভারতে আজ মুসলিম হিসেবে কথা বলা মানেই অপরাধ করা।’


    তথ্যসূত্র:
    1. Ashoka University professor Ali Khan Mahmudabad arrested on BJP leader’s complaint for remarks on Operation Sindoor
    https://tinyurl.com/yjnx63bz
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ছাত্র জনতার উপর গুলির নির্দেশদাতা ৩৯ ম্যাজিস্ট্রেট বহাল তবিয়তে; বেশিরভাগই হিন্দু






    কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত বছরের জুলাইয়ে রাস্তায় নেমে আসে কোটি কোটি ছাত্র-জনতা। কোটা আন্দোলন রূপ নেয় স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় প্রায় দুই সহস্রাধিক ছাত্র-জনতা। এই ছাত্র-জনতার ওপর গুলির নির্দেশ দিতে নিয়োগ দেয়া হয় ৩৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এই ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশেই মূলত গুলি চালানো হয় নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর। এই ঘটনায় শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে তার আস্থাভাজন এই ম্যাজিস্ট্রেটরা। তাদের মধ্যে অনেকেই এখন ভোল পাল্টে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার একান্ত সচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে বহাল রয়েছে।

    জনপ্রশাসনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত বছরের জুলাই মাসের প্রথম দিকে কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন দমন করতে সারা দেশে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাদের ওপর ক্র্যাকডাউন চালানো হয়। বিভিন্ন বাহিনীতে থাকা সরকারের অনুগত লোকদের নামিয়ে দেয়া হয় রাস্তায়। অহিংস এই আন্দোলন ক্রমান্বয়ে সহিংস রূপ নেয় ১৫ জুলাই থেকে।

    শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রতিহত করতে তাদের ওপর গুলি চালাতে পুলিশের সাথে ২০ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়। গত ২০ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-২ শাখার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশব্যাপী চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের ফলে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতি থেকে জনগণের জানমাল, সরকারি সম্পত্তি ও স্থাপনার নিরাপত্তা বিধান এবং শান্তিশৃঙ্খলা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা জেলা ও মহানগর এলাকায় ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার এর আওতায় সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তৎপ্রেক্ষিতে, সশস্ত্রবাহিনীর কার্যক্রম পরিচালনাকালে আইনগত দিকনির্দেশনা প্রদান ও দায়িত্ব পালনের জন্য নিম্ন ছকে বর্ণিত বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২০ কর্মকর্তা দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৯৮ এর ১০(৫) ধারা অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর ৫ ধারা মোতাবেক তাদের নামের বর্ণিত অধিক্ষেত্রে, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর তফসিলভুক্ত আইনসমূহে এবং নিম্নবর্ণিত শর্তে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা অর্পণসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকাতে সংযুক্ত করা হলো। এইভাবে ৩০ জুলাই আরেকটি প্রজ্ঞাপনে ১৯ জনকে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সহিংস পরিস্থিতিতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিল অথবা আওয়ামী পরিবারের সদস্য এমন কর্মকর্তাদের প্রধান্য দেয়া হয়। সম্ভাব্য কর্মকর্তাদের বিষয়ে নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন সংগ্রহ করা হয়। প্রশাসন ক্যাডারের ৩০, ৩১ এবং ৩৩ ব্যাচের ৭৮৩ জন কর্মকর্তার মধ্যে স্বৈরাচারী সরকারের আস্থাভাজন এমন ৩৯ জনকে বাছাই করে নিয়োগ দেয়া হয়। এর মধ্যে ৩০তম ব্যাচের ১৬ জন, ৩১তম ব্যাচের ১৬ জন এবং ৩৩তম ব্যাচের ৭ জন কর্মকর্তা রয়েছে। যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে আওয়ামী শাসনামলের ২০১২, ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে।

    ছাত্র-জনতার ওপর গুলির নির্দেশ দেয়া এই ৩৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে ভোল পাল্টে নিজেদের বঞ্চিতও দাবি করছে।

    জনপ্রশাসনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পান অধ্যাপক ডা: বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। এই কর্মকর্তার একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ২০ জুলাইয়ে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ পাওয়া তালিকার ৬ নম্বরে থাকা সত্যজিত রায় দাশ। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৩০ ব্যাচের এই কর্মকর্তার ভাই বিশ্বজিত রায় দাশ খাগড়াছড়ি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

    এই ব্যাচের আরো যারা বহাল তবিয়তে রয়েছে তারা হল, স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সুজিৎ দেবনাথ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব এবং বর্তমানে নদী রক্ষা কমিশনের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল জাকী। এই কর্মকর্তা এর আগে নরসিংদীর এডিসি, গাজীপুর সদনের ইউএনও এবং নারায়ণগঞ্জ সদরের এসিল্যান্ড হিসেবে কাজ করেছে।

    গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব রুবায়েত হায়াত শিপলু। এই কর্মকর্তা ২০১৮ সালের বিতর্কিত ভোটে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে কাজ করেছে। এ ছাড়াও নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এবং সোনারগাঁও উপজেলার এসিল্যান্ড হিসেবে কাজ করেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব নিকারুজ্জামান কাজ করেছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব হিসেবে। ২০১৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছে এই কর্মকর্তা।

    ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব এবং বর্তমানে নড়াইল জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান। এই কর্মকর্তার আগে কেরানিগঞ্জের এসিল্যান্ড, বিতর্কিত ২০১৮ সালের নির্বাচনে টাঙ্গাইল সদরের সহকারী রিটার্নিং অফিসার, সাভারের ইউএনও এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কাজ করেছে।

    অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব মো: হুমায়ুন কবির। এই কর্মকর্তা গাজীপুরের এডিসি, বিতর্কিত ২০১৮ সালের নির্বাচনে নরসিংদীর শিবপুরের সহকারী রিটার্নিং অফিসার, মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের ইউএনও, নরসিংদীর রায়পুরার এসিল্যান্ড এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কাজ করেছে।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব এবং বর্তমানে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মাহফুজুর রহমান। এর আগে এই কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জের এডিসি, বিতর্কিত ২০১৮ সালের নির্বাচনে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার ইউএনও, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এসিল্যান্ড হিসেবে কাজ করেছে।

    প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শিমুল কুমার সাহা কাজ করেছে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে। বিতর্কিত ২০১৮ সালের নির্বাচনে খুলনার কয়রা উপজেলার ইউএনও, এর আগে নড়াইল সদর উপজেলার এসিল্যান্ড হিসেব কাজ করেছে সে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সেহ্নাশীষ দাশ এর আগে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে কাজ করেছে। এর আগে সে চাঁদপুরের মতলব ও কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কাজ করেছে।

    জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব ও বর্তমানে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম। এই কর্মকর্তা আগে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং ২০১৮ এর বির্তকিত নির্বাচনে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন সারোয়ার এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। এর আগে সে রাষ্ট্রপতির প্রটোকল অফিসার, চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কাজ করেছ।

    র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের আইন কর্মকর্তা ও বর্তমানে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো: মাজহারুল ইসলাম। এই কর্মকর্তা র‌্যাবের আইন কর্মকর্তা হিসেবে চার বছর থাকাকালে র‌্যাবের বিভিন্ন অপকর্মের বৈধতা দিয়েছে।

    জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব বিকাশ বিশ্বাস। চার বছরের বেশি সময় ধরে একই বিভাগে কর্মরত আছে সে। ধনঞ্জয় কুমার দাশের বিশ্বস্ত এ কর্মকর্তা ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি এই পদে যোগ দেয়। ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে এই কর্মকর্তার অর্ডার হলেও জননিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকায় তার যোগদান করতে হয়নি।

    অর্থ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব দেবাংশু কুমার সিংহ মাঠ প্রশাসনে সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার ও সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।

    বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব এবং বর্তমানে গোপালগঞ্জের জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ। বরিশালের সাবেক সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের ভাগ্নে পরিচয়ে দাপটের সাথে চাকরি করেছে। ছিল ঢাকার লালবাগ সার্কেল এবং নরসিংদীর পলাশ উপজেলার এসিল্যান্ড। ইউএনও হিসেবে চাকরি করেছে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এবং টাঙ্গাইলের কালীহাতি উপজেলায়। রাজউকের উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মতো লোভনীয় জায়গায় কাজ করেছে এই কর্মকর্তা।

    ৩১ ব্যাচের কর্মকর্তারা হল, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক লিটন সরকার, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব প্রত্যয় হাসান, বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব ও বর্তমানে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক বি এম রুহুল আমিন রিমন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম সালাউদ্দীন মনজু, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এবং হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন হওয়া আতিকুল ইসলাম, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তুষার আহমেদ, জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব বর্তমানে ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর সার্টিফিকেট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সহকারী নিয়ন্ত্রক শরীফুল ইসলাম তানভীর, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক উপপরিচালক বর্তমানে অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের উপব্যবস্থাপক এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সৈয়দ আশরাফুজ্জামান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মেহেদী হাসান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব কবীর হোসেন, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পরিচালক বিপুল চন্দ্র দাস, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এস এম মুনিম লিংকন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহা: আবু তাহির। প্রায় দুই বছর ধরে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত থাকা আমিনুল ইসলামকে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হলেও জননিরাপত্তা বিভাগে পদায়ন থাকায় তাকে যোগদান করতে হয়নি।

    এ ছাড়াও ৩৩তম ব্যাচের ৭ কর্মকর্তা হল, রাজউকের সাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং বর্তমানে কুড়িগ্রাম সদর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের সাবেক উপব্যবস্থাপক ও বর্তমানে নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: ইয়াসিন, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির সাবেক উপপরিচালক ও বর্তমানে খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নুরুল হাই মো: আনাছ, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব খন্দকার রবিউল ইসলাম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো: আব্দুল আউয়াল।

    গুলি চালানোর নির্দেশদাতা এসব ম্যাজিস্ট্রেটের প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষরকারী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জোতী প্রু এখনো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছে।


    তথ্যসূত্র:
    ১. ছাত্র-জনতার ওপর গুলির নির্দেশদাতা ৩৯ ম্যাজিস্ট্রেট বহাল তবিয়তে
    https://tinyurl.com/yrx37tzn
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      হত্যা মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা থেকে প্রশাসন ক্যাডার; অবৈধভাবে ০৫ কোটি টাকার জমি দখল




      জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আলোচিত জুবায়ের হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি নাজমুল হুসেইন প্লাবন রাজনৈতিক বিবেচনায় হয়েছিল বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।

      ঢাকার ডেমরা সার্কেলের এসিল্যান্ডের লোভনীয় পদেও ছিল দেড় বছর। বর্তমানে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখায় সিনিয়র সহকারী সচিব পদে কর্মরত আছে সে।

      গাইবান্ধার আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে নাজমুল ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী ও শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে খিলগাঁও ত্রিমোহনী এলাকায় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের ১৮ শতাংশ জমি দখল করেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এ সম্পত্তি দখলে নিতে শাশুড়িসহ পিতা-মাতা, স্ত্রী ও নিকটাত্মীয়ের নামে একাধিক দলিল তৈরি করতে গিয়েও নাজমুল প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেবলে তারা দাবি করেন।

      আওয়ামী শাসনে যেসব হত্যাকাণ্ড দেশবাসীর মনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল তার মধ্যে জাবির মেধাবী ছাত্র জুবায়ের হত্যার ঘটনা অন্যতম। নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ নেতারা ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে জুবায়েরকে। দেশের আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর এ হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিল ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হুসেইন প্লাবন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত ও অনুসন্ধান শেষে প্লাবনসহ ছাত্রলীগের ১৩ নেতাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়।

      আদালত সূত্র জানায়, শুনানি ও যুক্তিতর্ক গ্রহণ শেষে ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করেন। রায়ে পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়। রায়ে মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত নাজমুল হুসেইন প্লাবনসহ দুই আসামি খালাস পেয়ে যায়। প্লাবনের খালাস পাওয়ার খবরে ওই সময় জাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয় বলে ওই সময়ের শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

      জমি দখলে জামাই-শাশুড়ির তেলেসমাতি

      ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি ঢাকার ডেমরা সার্কেলের এসিল্যান্ড হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকার নাজমুলকে পদায়ন করে। এলাকাবাসীর দাবি, দায়িত্ব নিয়ে ডেমরার দামি সম্পত্তির দিকে নজর দেয় প্লাবন। ভুয়া ও জাল দলিল এবং প্রতারণার মাধ্যমে শাশুড়ি শারমিন পারভীন যোগসাজশ করে প্রায় কোটি টাকার জমি নিজেদের নামে সাব কবলা দলিল করে নেয়।

      তাদের এ দলিলের চাঞ্চল্যকর কাহিনি ও এলাকার লোকজনের মুখে মুখে। জমির দলিল ও জামাই-শাশুড়ির প্রতারণা নিয়ে রাজধানীর সবুজবাগ থানার উত্তর বাসাবো এলাকার বাসিন্দা আজগর আলীর পুত্র মো. কামাল উদ্দিন প্রতিকার চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর একটি আবেদন দিলে মন্ত্রণালয় গত ২২ এপ্রিল তা গ্রহণ করে তদন্তের উদ্যোগ নেয়।

      নাজমুলের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ধরে আবেদনে বলা হয়েছে, কামাল উদ্দিনের পিতা আজগর আলী ও মাতা পিয়ার বানু ১৯৭৮ সালে জনৈক একেএম শামসুদ্দিনের কাছ থেকে ঢাকা জেলার খিলগাঁও থানার নন্দীপাড়া মৌজার সিএস ৭৪ নম্বর খতিয়ানের ১০৪ নম্বর এসএ ও আরএস ৬৪০ নম্বর খতিয়ানভুক্ত ১৮ শতাংশ জমি কেনেন। যার সিএস ও এসএ দাগ নম্বর ৮৪৯ ও আরএস দাগ নম্বর ১৪০৫ এবং মহানগর ৮৪২১, ৮৪২২ ও ৮৪২৩ নম্বর দাগের অংশ বিশেষ। কামাল উদ্দিনের বাবা-মা ১৯৮১ সাল পর্যন্ত এ জমির খাজনা পরিশোধ করেন বলে আবেদনে উল্লেখ করেন তিনি।

      কামাল উদ্দিনের আইনজীবী মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, নাজমুল হোসেইন প্রথমে তার নিকটাত্মীয় সানোয়ার হোসেনের নামে সাব কবলা করার ব্যবস্থা করে। কিছুদিনের মধ্যে সানোয়ার আরেকটি সাব কবলা দলিলের মাধ্যমে নাজমুল হোসেইনের শাশুড়ি শারমিন পারভীনের নামে রেজিস্ট্রি করে দেয়।

      রাজধানীর খিলগাঁও সাব রেজিস্ট্রি অফিস সূত্র জানিয়েছে, শারমিন পারভীন গত বছর ২ ডিসেম্বর আরেকটি দলিলের মাধ্যমে নাজমুল হোসেইন প্লাবন, প্লাবনের স্ত্রী মেহের জারীন চৌধুরী (দলিল দাতার মেয়ে), নাজমুলের পিতা এম হান্নান প্রধান ও নাজমুলের মা নাছিমা খাতুনের নামে জমিটি রেজিস্ট্রি করে দেয়।

      নাজমুলের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ধরে কামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করতে সে কোনো অপরাধই বাকি রাখেনি। আমাদের পুরো পরিবারটি আজ বিপর্যস্ত। আমি নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছি। কামাল উদ্দিন বলেন, নাজমুল হোসেইন নিজেও ছাত্রলীগ নেতা ছিল। পিতা এম হান্নান প্রধানও গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা থাকায় বিগত সরকারের সময় আমরা বহু চেষ্টা করেও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারিনি।

      হত্যা মামলার আসামি থেকে বিসিএস কর্মকর্তা

      জাবি ছাত্র জুবায়ের নিহত হন ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি। নির্মম এ হত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন প্লাবন। জাবি শিক্ষার্থীদের দাবি, বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আগে এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিল সে। ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রায় দেয়। রায়ে প্লাবন খালাস পেয়ে ২০১৬ সালের ১ জুন প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ লাভ কর।

      জাবির ওই সময়ের একাধিক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, আসামি প্লাবন জুবায়ের হত্যা মামলার অন্যতম চার্জশিটভুক্ত আসামি। সে এ মামলায় খালাস পেয়েছেন রাজনৈতিক বিবেচনায়।

      জুবায়ের হত্যায় প্লাবনের বিষয়ে দেওয়া বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের উচ্চ আদালতে আপিল করার যথেষ্ট উপাদান ছিল। কিন্তু দলীয় বিবেচনা থেকেই ওই সময় রাষ্ট্রপক্ষ তার খালাস আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা থেকে বিরত থাকে।


      তথ্যসূত্র:
      ১. পাঁচ কোটি টাকার জমি দখলের অভিযোগ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে
      https://tinyurl.com/mu82xx6k
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        নামাজে যাওয়ায় কর্মচারী নেয়ামতকে পেটালো হিন্দুত্ববাদী প্রধান শিক্ষক অখিল চন্দ্র দেবনাথ



        নামাজ আদায় করতে যাওয়ায় অপরাধে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে পেটালো স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

        রোববার চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার বলশিদ হাজী আকুব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

        জানা যায়, বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মো. নেয়ামত উল্লাহ জোহরের নামাজ আদায় করে ফিরে আসলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অখিল চন্দ্র দেবনাথ তাড়াতাড়ি মসজিদে যাওয়ার অপরাধে তাকে মারধর শুরু করে এক পর্যায়ে অফিসে থাকা অন্যান্য কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করে। এসময় নেয়ামত উল্লাহর মুখমণ্ডল রক্তে ভিজে যায়। তিনি দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা জন্য ছুটে আসেন।

        নেয়ামত উল্লাহ জানান, তিনি নামাজ আদায় করে অফিসে আসলে তাড়াতাড়ি মসজিদে যাওয়ার অভিযোগ তুলে তার মুখে এলোপাথাড়ি কিল ঘুসি মারতে থাকেন। আমি বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

        চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী শাহ্ আলম জানান, ঘটনার সময় আমি অফিসে ছিলাম না, ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে আমি আমার সহকর্মীর পাশে থাকার জন্য ছুটে আসি।

        উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আ. রহিম জানান, এ বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। আগামীকাল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোচনা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

        উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা জানান, আমি সারাদিন বাহিরে ছিলাম। এ বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

        বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অখিল চন্দ্র দেবনাথের মোবাইলে বারবার ফোন দেওয়া হলেও সে রিসিভ করেনি।

        উল্লেখ্য, অখিল চন্দ্র দেবনাথের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময় ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে সে বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে যেতে পারেনি। তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে সে পুনরায় স্বপদে বহাল হয়।


        তথ্যসূত্র:

        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতের আসামে ‘দেশবিরোধী’ অভিযোগে আরও তিন মুসলিম গ্রেফতার, মোট আটক ৬৮



          ভারতের আসামে কথিত ‘দেশবিরোধী কার্যকলাপের’ অভিযোগে নতুন করে আরও তিন মুসলিম নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর শুরু হওয়া অভিযানের ধারাবাহিকতায় রাজ্যটিতে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ জনে। এ অভিযানে মুসলিম সম্প্রদায়ের আরও একাধিক ব্যক্তি পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।

          টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে (১৮ মে) জানানো হয়, আসামের শ্রীভূমি এলাকা থেকে আব্দুল হুসেইন ও রশিদ আহমদ, এবং বারপেটা জেলা থেকে ইমরান হুসেইন নামের তিনজন মুসলিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, তারা সামাজিক মাধ্যমে পাকিস্তানপন্থী কনটেন্ট প্রচারসহ সন্দেহজনক কার্যকলাপে জড়িত ছিল।

          এদিকে, আসামের বিরোধী দল অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের বিধায়ক আমিনুল ইসলাম পাকিস্তানের পক্ষে মন্তব্য করার কথিত অভিযোগে প্রথমে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলায় গ্রেফতার হন। পরে জামিন পেলেও তাকে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএ)-এর আওতায় পুনরায় আটক করা হয়েছে।

          আসামের হিন্দুত্ববাদী মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা এক টুইটে বলেছে, ‘পাকিস্তানপন্থী দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। যারা ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’


          তথ্যসূত্র:
          1. Three more held in Assam over anti-national activities after Operation Sindoor; arrest count 68 | India News – The Times of India
          https://tinyurl.com/2djrrzne
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভারতে নারীকে উত্ত্যক্ত করতে বাধা দেওয়ায় সুদানের মুসলিম ছাত্রকে হত্যা করল হিন্দুত্ববাদীরা


            ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি (এলপিইউ) ক্যাম্পাসে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন সুদান থেকে আগত মুসলিম শিক্ষার্থী মুহাম্মাদ ওয়াদা। গত ১৬ মে ফজরের নামাজে যাওয়ার পথে নারী সহপাঠীদের রক্ষায় এগিয়ে গেলে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

            ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন ভোরে মুহাম্মাদ ওয়াদা, তার খালাতো ভাই মুহাম্মাদ নুর এবং তিনজন সুদানি নারী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মসজিদে নামাজ আদায়ে যাচ্ছিলেন। পথে মদ্যপ অবস্থায় থাকা বিকাশ বাওয়া, অভয় রাজসহ ৮ জন উগ্র হিন্দুত্ববাদী যুবক ওই নারীদের মোবাইল নম্বর চায় এবং অশালীন আচরণ শুরু করে। এ সময় মুহাম্মাদ ওয়াদা তাদেরকে বাধা দিলে তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয় এবং মুহাম্মাদ নুর গুরুতর জখম হন।

            এ ঘটনায় ফাগওয়ারা জেলার সিনিয়র পুলিশ সুপার জানায়, এ ঘটনায় জড়িত সকলেই লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে বিকাশ বাওয়া ও অভয় রাজ নামের দুইজনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।


            তথ্যসূত্র:
            1. In Jalandhar, Sudanese student objects to 6 men demanding number of female friends, murdered
            https://tinyurl.com/2sahxb54
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              গাজায় চলছে ‘জাতিগত নিধন’, ভোর থেকে ১২৫ ফিলিস্তিনি শহীদ




              গাজা উপত্যকায় ১৮ মে, রবিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান ও স্থল হামলায় অন্তত ১২৫ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

              আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বর্বর ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান আগ্রাসন হামাসের বিরুদ্ধে নয়, বরং ফিলিস্তিনের পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে এক জাতিগত নিধনযজ্ঞে রূপ নিয়েছে।

              বিশেষ করে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের পশ্চিমে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত আল-মাওয়াসি এলাকাটি এখন এক ভয়াবহ মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে।

              দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে পরিচিত হওয়ায় গৃহহীন ও সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা এখানে আশ্রয় নিয়েছিল। অথচ আল-মাওয়াসিতে রবিবার বর্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় শহীদ হয়েছেন অন্তত ৩৬ জন এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।

              ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভয়াবহ কিছু ভিডিওতে অনেক মৃতদেহ দেখা গেছে। কিছু মৃতদেহ আগুনে পুড়ে গেছে। শহীদ ও আহতদের নিকটবর্তী ফিল্ড হাসপাতাল এবং নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।

              গাজার চিকিৎসা সূত্র আল জাজিরা আরবিকে জানিয়েছে, রবিবার সকালে কমপক্ষে ১২৫ জন শহীদ হয়েছে, যার মধ্যে ৪২ জন গাজার উত্তরাঞ্চলে শহীদ হয়েছে। শহীদদের মধ্যে তিনজন সাংবাদিকও রয়েছেন।

              জাতিগত নিধন শুরুর পর টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সাম্প্রতিক হামলাকে ‘নৃশংস অপরাধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

              তারা জানায়, আশ্রয়প্রার্থী সাধারণ মানুষদের তাঁবুর ভেতর পুড়িয়ে মারা যুদ্ধাপরাধের শামিল, যা ইসরায়েলের সন্ত্রাসী নেতানিয়াহু সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণকে তুলে ধরে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং নীতিমালার এই চরম লঙ্ঘনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতা দায়ী।


              তথ্যসূত্র:
              1. Children among 125 Palestinians killed in Israeli barrage across Gaza
              https://tinyurl.com/mr2veftx
              2. LIVE BLOG: Over 100 Killed in Gaza since Dawn | Indonesian Hospital under Siege– Day 590
              https://tinyurl.com/yzd4stjy
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ভারতের আস্থা অর্জনে কলকাতা মিশনে কোরবানি বন্ধের নির্দেশ দিলো নতুন ডেপুটি হাইকমিশনার





                ভারতের আস্থা অর্জনের নামে বাংলাদেশ সরকারের কলকাতা মিশনে দীর্ঘদিনের কোরবানি প্রথা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন নতুন ডেপুটি হাইকমিশনার শাবাব বিন আহমেদ। দায়িত্ব গ্রহণের আগেই সে মিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কোরবানি বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছে। এই সিদ্ধান্ত জানাজানি হতেই মিশনের ভেতরে এবং কূটনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

                কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, কলকাতা মিশনে দীর্ঘ তিন দশক ধরে কোরবানির একটি রেওয়াজ চলে আসছে। প্রতি বছর কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পাঁচ থেকে সাতটি গরু ও ছাগল জবাই করা হয় এবং সেগুলোর গোশত এতিমখানা, দরিদ্র মুসলিম ও আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। মিশনের কর্মকর্তাদের মতে, এটা কেবল ধর্মীয় আচার নয়, একটি সামাজিক দায়িত্ব এবং স্থানীয় মুসলিমদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

                নতুন ডেপুটি হাইকমিশনার শাবাব বিন আহমেদ অবশ্য ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। সে বলেছে, মিশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ২৫ জনেরও বেশি কর্মী হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং তারা গরুকে পূজা করে। সেই গরু জবাই করলে তাদের মনের ওপর প্রভাব পড়ে। এমনকি সে দাবি করেছে, গত বছর মিশনে কোরবানি করার ফলে ভেতরের পরিবেশ নোংরা হয়েছিল এবং যেখানে-সেখানে পশু জবাই করা যাবে না এ মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ও রয়েছে।

                তবে এই বক্তব্য নিয়ে মিশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। একজন কূটনীতিক বলেন, এখনো দায়িত্ব নেননি, অথচ এমন স্পর্শকাতর সিদ্ধান্ত আগেভাগে জানিয়ে দেওয়া কূটনৈতিক রীতিনীতির পরিপন্থী। কোরবানি বন্ধের সিদ্ধান্ত হেডকোয়ার্টার কিংবা হাইকমিশনার নিতে পারেন, ডেপুটি নন। তিনি আরও বলেন, শাবাব বিন আহমেদের বক্তব্য আর আরএসএসের বক্তব্যের মধ্যে তফাৎ করা যাচ্ছে না।

                এদিকে স্থানীয় পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কলকাতার একাধিক হিন্দু সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী ফোন করে বাংলাদেশ মিশনের সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, কলকাতায় কোরবানি বন্ধ হলে সেটা রাজনৈতিক ইস্যুতে রূপ নেবে এবং বিজেপি ও আরএসএস একে নিজেদের পক্ষে ব্যবহার করবে। পশ্চিমবঙ্গের মমতা সরকার বরাবরই কোরবানিকে ধর্মীয় সহনশীলতার উদাহরণ হিসেবে দেখে, এমন অবস্থায় মিশনের এই সিদ্ধান্ত তারা ভালোভাবে নেবে না বলেই ধারণা।

                মিশনের ভেতরে শাবাব বিন আহমেদের আচরণ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকে। কর্মকর্তারা জানান, জানুয়ারি মাসে তার পোস্টিং হলেও জুনে দায়িত্ব নেওয়ার কথা রয়েছে। অথচ এখন থেকেই সে কোরবানি বন্ধে চিঠিপত্র ও মৌখিক নির্দেশ দিচ্ছে। কর্মকর্তারা বারবার তাকে বুঝিয়ে বলেছে, বিষয়টি স্পর্শকাতর এবং এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া তার এখতিয়ারে পড়ে না। তারা এমনকি তাকে অনুরোধও করেছেন যেন সে কোরবানির পর দায়িত্ব গ্রহণ করে, কিন্তু সে তা প্রত্যাখ্যান করে ২ জুন দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়ে কোরবানির যাবতীয় প্রস্তুতি বন্ধের নির্দেশ দেয়।

                পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কূটনীতিক বলেন, আমি বিস্মিত। দায়িত্ব না নিয়েই এমন সিদ্ধান্ত, আর এ ধরনের বক্তব্য, এটা রহস্যজনক ও বিপজ্জনক। এমনও হতে পারে, দিল্লি হাইকমিশনে কর্মরত অবস্থায় তিনি বিজেপির আদর্শে প্রভাবিত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এই সিদ্ধান্ত কেবল ধর্মীয় নয়, কূটনৈতিকভাবে একটি অস্বাভাবিক বার্তা বহন করে। এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে।

                এর মধ্যেই ভারতীয় প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে শাবাব বিন আহমেদের নিয়োগকে ঘিরে একটি বিশাল প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক যখন উত্তপ্ত, তখন কলকাতা মিশনে তার নিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেদনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র ধরে শাবাবকে প্রশংসিত করা হয় এবং বলা হয়, তিনি সংখ্যালঘু সুরক্ষা, সাম্প্রদায়িকতা ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ভূমিকা রাখবেন। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসব বার্তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কূটনীতিতে একটি অশুভ ইঙ্গিত বহন করে।

                সবশেষে বলা যায়, বাংলাদেশ মিশনে কোরবানি বন্ধ করা নিছক একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং তা ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষার প্রশ্নে এক গুরুত্বপূর্ণ বিপদসংকেত।


                তথ্যসূত্র:
                1. ভারতের আস্থা অর্জনে কলকাতা মিশনে কোরবানি বন্ধের নির্দেশ
                https://tinyurl.com/yudftvj9
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসে লাখো মানুষের অভূতপূর্ব বিক্ষোভ



                  গাজায় দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডস সরকারের কঠোর অবস্থান চেয়ে লক্ষাধিক মানুষ হেগ শহরে ১৮ মে, রবিবার অভূতপূর্ব এক বিক্ষোভ করেছে।

                  আয়োজকরা বলেছেন, শহরের মধ্য দিয়ে ১ লাখেরও বেশি মানুষ মিছিল করছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা এরকম আয়োজন দেখিনি। এখানে সমাজের সকল স্তরের মানুষ আছেন। তারা নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন শহর থেকে এসেছেন।

                  বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই লাল পোশাক পরে প্রতিবাদ জানায়। তারা চায়, ডাচ সরকার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তার অবস্থানে একটি ‘লাল রেখা’ টেনে দিক, যার অর্থ: বাণিজ্য এবং অস্ত্র আমদানি ও রপ্তানির মাধ্যমে সমর্থন বন্ধ করা।

                  মিছিলটি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের এলাকাও অতিক্রম করে। এই আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে একটি মামলার শুনানি চলছে।

                  সম্প্রতি নেদারল্যান্ডস সরকার ব্রাসেলসে একটি চিঠি পাঠিয়ে ইইউ-ইসরায়েল অ্যাসোসিয়েশন চুক্তি, অর্থাৎ ‘মুক্ত বাণিজ্য’ পর্যালোচনা করার অনুরোধ জানিয়েছে। কেননা তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকারী হিসেবে দেখছে।
                  কিন্তু এই বিক্ষোভকারীদের মতে, এটি অনেক দেরি হয়ে গেছে এবং সরকারের উচিত অবিলম্বে চুক্তি বন্ধ করা।


                  তথ্যসূত্র:
                  1. Huge crowd piles pressure on Dutch government to seek an end to Israel’s campaign in Gaza
                  https://tinyurl.com/543eav5n
                  নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    সীমান্তে নিজ রাইফেলের গুলিতে ভারতীয় সেনার মৃত্যু




                    ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছে। উপত্যকাটির আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী সাম্বা জেলায় একটি সেনা চৌকিতে ডিউটিরত অবস্থায় নিজের রাইফেলের গুলিতেই সে নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

                    ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে ১৮ মে, রবিবার রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

                    সংবাদমাধ্যমটি বলছে, জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তসংলগ্ন একটি সেনা চৌকিতে নিজের সার্ভিস রাইফেলের গুলিতে এক সেনাসদস্য মারা গেছে।

                    ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রবিবার বিকেলে ঘটেছে এই ঘটনাটি। নিহত ওই সেনার বয়স ২৮ বছর এবং সে তেলেঙ্গানা রাজ্যের বাসিন্দা ছিল। সাম্বা জেলার বর্ডার আউটপোস্ট সরোজ-এ প্রহরার দায়িত্বে ছিল সে। সেখানেই নিজের রাইফেল থেকে গুলি ছুটে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আত্মহত্যার ঘটনা।

                    প্রসঙ্গত, ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে মানসিক চাপ ও আত্মহত্যার ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে কঠোর ডিউটির কারণে অনেকে মানসিক অবসাদে ভোগে বলেও অভিমত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।


                    তথ্যসূত্র:
                    1. Soldier Dies Of Bullet Injury From Own Rifle In J&K’s Samba DIstrict
                    https://tinyurl.com/4pss65rr
                    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                    Comment

                    Working...
                    X