আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তি করায় রাখাল রাহার বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ করলো আদালত; বাদ দিয়েছে ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত সকল আইন

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ও তাহাজ্জুদকে নিয়ে নোংরা ভাষায় কটূক্তি করায় রাখাল রাহার বিরুদ্ধে সাইবার সিকিউরিটি আ্যক্টে করা মামলা খারিজ করে দিয়েছে ঢাকার সাইবার সিকিউরিটি আদালত। বৃহস্পতিবারর (২২ মে) মামলার শুনানির দিনে কোনও শুনানি ছাড়াই মামলাটি খারিজ করা হয়।
এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদুর রহমানের বিরুদ্ধে সাইবার সিকিউরিটি আইনে মামলা দায়ের করেন মোহাম্মাদ সাজ্জাদ শেখ নামের এক যুবক।
বৃহস্পতিবার মামলা খারিজের পর আদালত চত্বর থেকে ফেসবুক এক লাইভের মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন মামলা দায়ের-কারী মোহাম্মাদ সাজ্জাদ শেখ।
ওই লাইভে মামলাকারী সাজ্জাদ শেখকে অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে দেখা যায় ‘গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদুর রহমান ধৃষ্টতার প্রদর্শন করে আল্লাহ তায়ালা ও তাহাজ্জুদকে নিয়ে বিশ্রী ভাষায় ব্যঙ্গ করে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়। তার ওই পোস্ট দেশের সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে। সেই প্রেক্ষিতে আমি সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেছিলাম। আজকে বৃহস্পতিবার (২২ মে) সেই মামলার প্রথম শুনানি ছিল। কিন্তু মামলার শুনানির আগেই মামলাটি খারিজ হয়ে গেল।’
মামলা খারিজের কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মামলা খারিজ হওয়ার কারণ হিসেবে আদালত আমাদেরকে জানিয়েছে, আমরা যেই ধারায় মামলা করেছি (সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০২৩), ওই অধ্যাদেশে থাকা ধর্ম-অবমাননা বিষয়ক আইনগুলো (সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫) দ্বারা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন থেকে সমগ্র বাংলাদেশের যেকোনো স্থান থেকে আল্লাহ তায়ালাকে নিয়ে ও আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটূক্তি করলে, গালি-গালাজ ও অশ্লীল মন্তব্য করলে রাষ্ট্রীয়ভাবে এর কোনও বিচার আমরা পাবো না।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ও তাহাজ্জুদকে ব্যঙ্গ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করে চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন করে রাখাল রাহা। তারা ওই পোস্টের প্রতিবাদে অনলাইন ও অফলাইনে তীব্র প্রতিবাদ জানায় ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।
কিন্তু কোটি মুসলিমের অন্তরে আঘাত ও ধর্ম অবমাননার দায়ে রাখাল রাহার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি সরকার। বরং, তাকে রাষ্ট্রীয় ছায়ায় নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে। সময়ে সময়ে দেশের ক্রান্তিকালে মুসলিমরা রক্ত দিয়ে দেশ ও জাতির জান-মাল রক্ষা করেছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় রাষ্ট্র সবসময় সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের উপেক্ষা করেছে। রাষ্ট্র মুসলিমদের জান, মাল ও বিশ্বাসের নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থাই করেনি। বরং, প্রতিবারই ইসলাম ও মুসলিম বিরোধীদের বাক স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছে।
তথ্যসূত্র:
১. https://tinyurl.com/dphyjn8w
Comment