Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২৫ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ২৪ মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২৫ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ২৪ মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

    গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় এক চিকিৎসকের ১০ শিশুর ৯ জনই শহীদ



    ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এক চিকিৎসকের বাড়িতে বর্বর হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। এতে ওই নারী চিকিৎসকের ১০ সন্তানের ৯ জনই শহীদ হয়েছে। এছাড়া তার আরেক সন্তান ও স্বামী গুরুতর আহত হয়েছেন।

    ২৩ মে, শুক্রবার গাজার খান ইউনিসে এই ভয়াবহ হামলা চালায় দখলদাররা। আলা আল-নাজ্জার নামে এ চিকিৎসক নাসের হাসপাতালে কাজ করতেন।

    নাসের হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় চিকিৎসক আলা আল-নাজ্জারের ১০ সন্তানের ৯ জনই শহীদ হয়েছে। শুধুমাত্র তার স্বামী ও এক সন্তান বেঁচে গেছেন। তবে তারাও আহত হয়েছেন। ওই হাসপাতালে কাজ করা ব্রিটিশ চিকিৎসক গ্রেইম গ্রুম বলেন, তিনি ওই নারী চিকিৎসকের বেঁচে যাওয়া ১১ বছর বয়সী এক ছেলের অস্ত্রোপচার করেছেন।

    ইসরায়েলি বিমান হামলার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিবিসির পক্ষ থেকে ওই ভিডিও ভেরিফাই করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, শুক্রবার হামলা চালানোর স্থান থেকে পুড়ে যাওয়া দেহগুলো বের করা হচ্ছে।

    গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এএফপিকে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় শুক্রবার ৭০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে। এছাড়া শনিবার শহীদ হয়েছে আরও ছয় জন।

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ডা. মুনীর আলবুর্স এক্স পোস্টে বলেছেন, চিকিৎসক আল নাজ্জারের স্বামী হামদি স্ত্রীকে গাড়িতে করে কাজের জন্য হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাদের বাড়িতে হামলা চালায় সন্ত্রাসী ইসরায়েল।

    তিনি আরও বলেন, চিকিৎসক আল নাজ্জারের বড় সন্তানের বয়স ছিল ১২ বছর।

    গ্রুম বলেন, হামলায় শিশুদের বাবা ভয়াবহ আহত হয়েছেন। নাসের হাসপাতালে কাজ করা আরেক জন ব্রিটিশ চিকিৎসক ভিক্টোরিয়া রোজ ইনস্টাগ্রামে শিশুদের বাবার আহত হওয়ার ভিডিও শেয়ার করেছে।

    সে বলেছে, আমি শিশুটির বাবাকে জিজ্ঞাসা করেছি রাজনীতি এবং সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই এমনকি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত কোনো ব্যক্তিও নন।


    তথ্যসূত্র:
    1.Gaza doctor receives charred bodies of her nine children while on duty
    https://tinyurl.com/2zajchwk
    2. Nine of Gazan doctor’s 10 children killed in Israeli strike on Khan Younis
    https://tinyurl.com/ym5s2a78
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ব্যবসায়ীদের লাঠি মিছিল; প্রশাসনের স্পষ্ট ব্যর্থতা


    নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে লাঠি মিছিল করেছেন হোসিয়ারি পল্লীর ব্যবসায়ীরা।

    শনিবার (২৪ মে) দুপুরে শহরের নয়ামাটি, করিম মার্কেট ও গুলশান হল এলাকায় লাঠি হাতে ও বাঁশি বাজিয়ে মিছিল করেন তারা। পরে পথসভার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।

    বাংলাদেশ হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বদিউজ্জামান বদু গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, আমরা চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ব্যবসায়ীদের একত্রিত করে মিছিল করেছি। কিছু দুষ্কৃতকারী, চাঁদাবাজ মার্কেটে এসে মালিকদের কাছে জোর করে চাঁদা দাবি করে। আমরা আইনকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

    তিনি আরও বলেন, আমরা লাঠি মিছিল করে বুঝিয়ে দিলাম আমরাও চাঁদাবাজদের প্রতিহত করতে পারি। কিন্তু আমরা আইন হাতে তুলে নিলাম না। শুধু সন্ত্রাসীদের বুঝিয়ে দিলাম সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজি করলে আমরা প্রতিহত করতে প্রস্তুত।


    তথ্যসূত্র:
    ১. নারায়ণগঞ্জে ‘চাঁদাবাজিতে’ অতিষ্ঠ হয়ে ব্যবসায়ীদের লাঠি মিছিল
    https://tinyurl.com/mudp5aub
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গাজার ৯৪% হাসপাতাল ধ্বংস করেছে দখলদার ইসরায়েল



      গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে স্বাস্থ্য খাত প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। গাজার অন্তত ৯৪% হাসপাতাল আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি বর্তমানে সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর। ২৩ মে, শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ।

      দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর সাম্প্রতিক আগ্রাসনে গাজার ইতিমধ্যেই ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এখন চরম সংকটে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ও জাতিসংঘ জানায়, অব্যাহত হামলা, মানবিক সহায়তার ঘাটতি, খাদ্য ও জ্বালানির অভাবে গাজার হাসপাতালগুলো একে একে অকার্যকর হয়ে পড়ছে।

      গাজা উপত্যকার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে বর্তমানে মাত্র ১৯টি কিছুটা কার্যকর অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে ১২টি হাসপাতাল বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দিলেও বাকি সাতটি কেবল জরুরি চিকিৎসা দিতে পারছে। বর্তমানে পুরো গাজার ২০ লাখের বেশি মানুষের জন্য মাত্র ২০০০টি হাসপাতাল বেড বিদ্যমান, যা প্রয়োজনের তুলনায় ভয়াবহভাবে অপ্রতুল। নতুন করে ঘোষিত নিরাপদ অঞ্চল ও নিরাপত্তা সংকটের কারণে এই বেডেরও ৮৫০টি হারিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

      সাম্প্রতিক সাতদিনে গাজায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওপর ২৮টি হামলার রেকর্ড করেছে WHO। গত সপ্তাহে চারটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল— কামাল আদওয়ান, ইন্দোনেশিয়া হাসপাতাল, হামাদ হাসপাতাল ফর রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড প্রোস্টেটিকস এবং ইউরোপিয়ান গাজা হাসপাতাল— বর্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় সম্পূর্ণভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।

      উত্তর গাজায় এখন কার্যত কোনো হাসপাতাল নেই। কেবলমাত্র আল-আওদা হাসপাতাল আংশিকভাবে চালু রয়েছে, যা বর্তমানে একটি ট্রমা স্ট্যাবিলাইজেশন পয়েন্ট হিসেবে কাজ করছে। তবে এ হাসপাতালকেও গত কয়েকদিনে দুইবার আক্রমণ করা হয়েছে।

      ২১ মে, বুধবার হাসপাতালের তৃতীয় তলায় গোলাবর্ষণে একজন কর্মী আহত হন। ২৩ মে, শুক্রবার হামলায় তৃতীয় ও চতুর্থ তলা আবারো ক্ষতিগ্রস্থ হয়, এতে আরও দুই স্বাস্থ্যকর্মী আহত হন এবং ট্রায়াজ টেন্টে আগুন ধরে যায় ধ্বংস হয় ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং অ্যাম্বুলেন্স।

      দক্ষিণ গাজার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স, আল-আমাল এবং আল-আকসা হাসপাতালগুলো আহত ও বাস্তুচ্যুত মানুষের অতিরিক্ত চাপে পড়েছে। ইউরোপিয়ান গাজা হাসপাতাল ১৩ মে’র হামলার পর থেকে বন্ধ রয়েছে, ফলে গাজায় স্নায়ু, হৃদরোগ ও ক্যান্সার চিকিৎসা এখন পুরোপুরি বন্ধ।

      গাজায় স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিপর্যয় আজ কেবল একটি মানবিক সংকট নয়, বরং এক গভীর নৈতিক ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। গাজায় বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা শুধু একটি যুদ্ধ নয়, এটি এক নিঃশব্দ গণহত্যা। এই সংকট কেবল একটি ভূখণ্ডের নয়, এটি গোটা মানবতার বিবেকের প্রশ্ন। যুদ্ধবিরতি, নির্বিঘ্নে সহায়তা পৌঁছানো এবং স্বাস্থ্যসেবা রক্ষা এখন সময়ের দাবি।


      তথ্যসূত্র:
      1.At least 94% of hospitals in Gaza damaged or destroyed: UN
      https://tinyurl.com/n6k9e8c6
      2. Health system at breaking point as hostilities further intensify in Gaza, WHO warns
      https://tinyurl.com/ype5wtzm
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভিডিও || ভারতে মুসলিম পরিচয়ের কারণে ফল বিক্রেতাদের লাঞ্ছিত করলো হিন্দুত্ববাদীরা




        ভারতের উত্তর প্রদেশের বারাণসীর ব্রজ ঘাটে এক ভয়াবহ ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক ঘটনা ঘটেছে। মুসলিম পরিচয় প্রকাশ করায় কয়েকজন ফল বিক্রেতাকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করেছে এক কট্টর হিন্দুত্ববাদী ব্যক্তি। সে মুসলিমদের উদ্দেশে ‘মুল্লে’ বলে গালি ছুঁড়ে দেয় এবং হুমকি দেয়, মুসলিম বিক্রেতারা যদি ওই এলাকায় আবার কখনো যায়, তবে তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। এখানেই থেমে না গিয়ে, সে এক বিক্রেতাকে বলেছে: ‘তোমার ঠেলাগাড়িতে লিখে দাও, তুমি মুল্লে।’ অর্থাৎ প্রকাশ্যে মুসলিম পরিচয় লিখে রাখতে হবে।

        গত ২৩ মে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও সহিংসতা পর্যবেক্ষণকারী প্ল্যাটফর্ম ‘হিন্দুত্ব ওয়াচ’। প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ৩০ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটে। যার ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

        এই ঘটনা নিছক অপমান নয়, বরং ভারতের মুসলিমদের প্রতি দিন দিন বেড়ে চলা ঘৃণা ও নিপীড়নের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ। আজকের ভারতে মুসলিমদের জন্য শুধুমাত্র ধর্মীয় পরিচয়ই হয়ে উঠছে একটি ‘অপরাধ।’ যেকোন তুচ্ছ অজুহাতে মুসলিমদের উপর হামলে পড়ছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। কাজের জায়গা, রাস্তাঘাট, এমনকি ছোট ছোট জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রেও তারা প্রতিনিয়ত অপমানিত, বর্জিত ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

        বারাণসীর এই ঘটনার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপের খবর মেলেনি।

        ঘটনার ভিডিওটি আর্কাইভ থেকে দেখুন:



        ভিডিও লিংক:
        https://archive.org/details/a-far-ri...dor-24-05-2025


        তথ্যসূত্র:
        1. A far-right man harassed Muslim fruit vendors
        https://tinyurl.com/2zesfavf
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment

        Working...
        X