উম্মাহ নিউজ || ২৭ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ২৬ মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

[Al-Firdaws]

গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা এখন ২২০

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় দীর্ঘ ১৯ মাসে ধরে অব্যাহত বর্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামলায় এখন পর্যন্ত মোট ২২০ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গাজার জনসংযোগ কার্যালয় এ তথ্য দিয়েছে।

নিহত এই ২২০ জন সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন আশরাফ আবু নার নামের একজন। ২৫ মে, রবিবার সন্ত্রাসী ইসরায়েলি হামলায় তিনি নিহত হন।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। দুই মাসের যুদ্ধবিরতির সময় ছাড়া উপত্যকাটিতে নির্বিচারে চলছে মানুষ হত্যা। রবিবারও গাজায় অন্তত ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ দিন গাজার দক্ষিণের খান ইউনিস, উত্তরের জাবালিয়া ও মধ্য গাজার নুসেইরাতে হামলা হয়েছে।

গাজার জনসংযোগ কার্যালয়ের হিসাবে, গাজায় ১৯ মাস ধরে চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত ২২০ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে সংঘাত শুরুর পর থেকে উপত্যকাটিতে প্রায় ৫৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুই বেশি। এ সময় আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষ।

উদ্ধার সরঞ্জামের অভাবে গাজায় হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মারা যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে উপত্যকাটির সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ। সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আল-মুগাইর বলেন, ‘আমাদের তথ্য অনুযায়ী আমরা সহায়তা করতে না পারার কারণে ৯ হাজার ৭০০ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।’

---

তথ্যসূত্র:
1.Israeli strike kills another Palestinian journalist in Gaza, death toll rises to 220
– https://tinyurl.com/ykhpae6e
2. Israeli strike kills another Palestinian journalist in Gaza, death toll rises to 220
– https://tinyurl.com/4tvjtk7h

[Al-Firdaws]

গাজায় স্কুলে বর্বর ইসরায়েলি বোমা হামলা, শিশু ও সাংবাদিকসহ নিহত ২৫

২৫ মে, রবিবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় একটি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল। এতে দুজন রেড ক্রস কর্মী ও এক সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। হামলার শিকার ফাহমী-আল-জারজাভী স্কুলটি একটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল এবং সেখানে বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ২৬ মে, সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী আবারও ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। উপত্যকাটির একটি স্কুলে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। স্কুলটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুজন রেড ক্রস কর্মী, এক সাংবাদিক এবং একাধিক শিশু। নিহতদের মধ্যে মাত্র ১১ বছর বয়সি গাজার কনিষ্ঠতম স্থানীয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ইয়াকিন হাম্মাদও রয়েছে।

পৃথক প্রতিবেদনে আলজাজিরা বলছে, ২৫ মে, রবিবার গাজায় বর্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১২ জনের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর পাশাপাশি হাজার হাজার শিশু চরম অপুষ্টির শিকার হয়ে মৃত্যু ঝুঁকিতে আছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, বর্তমানে গাজায় ৭০ হাজারেরও বেশি শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।

এর আগে রবিবার গাজায় মোহাম্মদ ইয়াসিন নামে চার বছর বয়সী এক শিশু না খেতে পেয়ে মারা যায়। গাজায় সম্প্রতি অনাহারে মারা যাওয়া অসংখ্য শিশুর মধ্যে সর্বশেষ মৃত্যুবরণ করল এই শিশুটি।

এদিকে বোমাবর্ষণ ও স্থল আগ্রাসন আরও বাড়িয়েছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। এতে মাত্র এক সপ্তাহেই প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৬০০ জন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে একটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত তাঁবুতে হামলায় এক মা ও তার সন্তানরা নিহত হয়েছেন।

এছাড়া খান ইউনিসের পূর্বে বানি সুহেইলায় আরেক শিশুর মৃত্যুর খবর জানিয়েছে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা; ওই শিশুর পরিবারকে লক্ষ্য করে চালানো হয় ড্রোন হামলা। উত্তর গাজার জাবালিয়ায় আরেকটি হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন দুই নারী ও এক শিশু। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এছাড়া আলাদা হামলায় নিহত হয়েছে ইয়াকিন হাম্মাদ। তিনি ১১ বছর বয়সেই গাজার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয় ছিলেন। একইসঙ্গে নিহত হয়েছেন ডাক্তার আলা আমির আল-নাজ্জারের ১০ সন্তানের মধ্যে ৯ জনই। একমাত্র জীবিত সন্তান ১১ বছর বয়সী আদম এখনও আইসিইউতে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সন্ত্রাসী ইসরায়েলের ১৯ মাসের হামলায় এখন পর্যন্ত যত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৩১ শতাংশই শিশু। উল্লেখ্য, এ হিসাব শুধু শনাক্তকৃত মৃতদের নিয়ে; বহু মৃত্যুর তথ্য এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। ফলে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

---

তথ্যসূত্র:
1.LIVE: Israel bombs Gaza school, kills 25; EU, Arab nations urge end to war
– https://tinyurl.com/4438f6tu
2.Israeli strikes kill 30 in Gaza, including rescue service official and local journalist
– https://tinyurl.com/5ucu4v8d

[Al-Firdaws]

কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনী তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে

ভারতীয় বাহিনী আবারও কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ঘেরাও ও তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।

গত ২৪ মে কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় সেনাবাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী, বিশেষ অভিযান গোষ্ঠী এবং রাজ্য তদন্ত সংস্থার যৌথ দল কিশতওয়ার, রাজৌরি, পুঞ্চ, উধমপুর ও রামবান জেলায় হঠাৎ বাড়ি বাড়ি অভিযান চালায়। এই অভিযানগুলোর ফলে স্থানীয় মুসলিম জনগণকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ, আটক এবং মানসিক নিপীড়নের শিকার হতে হচ্ছে, যা তাদের মধ্যে আতঙ্ক এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

বিশেষ করে কিশতওয়ারের সিংপোরা-চাতরু এলাকায় গত তিন দিন ধরে অভিযান চলমান রয়েছে। সেখানে ড্রোন, হেলিকপ্টার এবং প্যারা-কমান্ডো মোতায়েন করা হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। এই অভিযানটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ায়, শিশু ও নারীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

---

তথ্যসূত্র:
1. Indian forces continue CASOs across IIOJK
– https://tinyurl.com/bdzj6w6e

[Al-Firdaws]

ভারতের হরিয়ানায় মাথায় টুপি থাকায় মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা

ভারতের হরিয়ানায় মুসলিম পরিচয়ের কারণে এক যুবককে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিহারের কিশনগঞ্জ জেলার বাসিন্দা ফিরদৌস আলম ওরফে আসজাদ বাবু, যিনি মাথায় টুপি পরার কারণে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

২৬ মে ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ মে সন্ধ্যায় আসজাদ বাবু তার এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। এ সময় এক হিন্দুত্ববাদী ব্যক্তি তার মাথায় টুপি দেখে পথ রুখে দাঁড়ায় এবং টুপিটি তার মাথা থেকে খুলে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। আসজাদ টুপিটি কুড়িয়ে নিতে গেলে ওই ব্যক্তি লাঠি দিয়ে তার মাথায় সজোরে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং পরবর্তীতে হাসপাতালে নেওয়ার পর গত ২৫ মে তিনি মারা যান।

এ ঘটনার পর, হিন্দুত্ববাদীদের ভয়ে আসজাদ পরিবারের সদস্যরা প্রথমে আইনি পদক্ষেপ নিতে দ্বিধায় ছিলেন। তবে সাবেক বিধায়ক ও মুসলিম রাজনীতিবিদ মুজাহিদ আলমের সহায়তায় তারা মামলা দায়ের করতে রাজি হন এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় অভিযুক্ত হিন্দু ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

---

তথ্যসূত্র:
1. Asjad Babu, a Youth from Bihar, Lynched in Haryana for Wearing a Skull Cap
– https://tinyurl.com/mvcy7dd3

[Al-Firdaws]

নিকাব পরিধান করায় স্কুল শিক্ষিকাকে ক্লাসে যেতে নিষেধ করেছে হিন্দু প্রধান শিক্ষক

ঢাকার কেরানিগঞ্জে শরয়ী পর্দা রক্ষা করে শিক্ষকতা করায় মুসলিম নারী শিক্ষিকাকে ক্লাস নিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হিন্দু প্রধান শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে কেরানিগঞ্জের অন্তর্গত ব্রাক্ষ্মনকিত্তা অগ্রনী স্কুলে। রবিবার (২৫ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী শিক্ষিকা রেবেকা সুলতানা।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই নারী শিক্ষিকা বলেন, ‘আমি মুসাম্মাৎ রেবেকা সুলতানা। আমি দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ কেরানিগঞ্জের কালিন্দী ইউনিয়নের অন্তর্গত ব্রাক্ষ্মনকিত্তা অগ্রনী স্কুলে শিক্ষকতা করে আসছি। এই দীর্ঘ সময়ে আমি শরয়ী পর্দা (বোরখা, হিজাব নিকাব) মেইন্টইন করে ক্লাস করে আসছি অর্থাৎ বোরখা, হিজাব ও নিকাব পরে চাকুরি করে আসছি কখনও কোনো বাধার সম্মুখীন হইনি। কিন্তু সম্প্রতি শোভন মিত্র নামের একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পায়। তিনি নিয়োগ পাওয়ার প্রায় তিন বছর হতে চললো।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত বুধবার (২১ মে) প্রধান শিক্ষক শোভন মিত্র (স্যার) আমাকে আলাদা ডেকে নিয়ে বললেন, আপনি নিকাব পড়ে ক্লাস নিতে পারবেন না। অথচ প্রতিটি ক্লাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা রয়েছে। আমি যদি ক্লাসে নিকাব না পরি তাহলে সিসি ক্যামেরার জন্য আমার পর্দা লঙ্ঘন হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি নিকাবের উপর এই নিষেধাজ্ঞা কেবলমাত্র আমার উপর নিষেধাজ্ঞা নয় বরং গোটা উম্মাহর উপর পর্দার নিষেধাজ্ঞা।’

সংবাদ সম্মেলনে অত্যন্ত দুঃখের সাথে তিনি বলেন, ‘তবে কী ৯০% মুসলমানের দেশ মুসলিম নারীরা পর্দা করে চাকুরি করতে পারবে না। এইটা তো নারীরা পোশাকের স্বাধীনতায় স্পষ্ট হস্তক্ষেপ। এইটা এখন আমার একার ইস্যু নয় বরং গোটা উম্মাহর ইস্যু।’

দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মক্ষেত্রে পর্দানিশীন মুসলিম নারীরা হেনস্তার শিকার হচ্ছেন বলে জানান ভুক্তভোগী ওই মুসলিম নারী। এই কথা উল্লেখ করে তিনি দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন করেন, ‘এইটা কী তবে হিন্দুত্ববাদের কবলে পড়া একটা ব্যপার?, এই দেশে কী মুসলিম নারীদের পর্দা করতে হিন্দুদের কাছে থেকে অনুমতি লাগবে?’

সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে কর্মক্ষেত্রে হিজাব নিষেধজ্ঞার প্রতিবাদে পুরো দেশেবাসীর প্রতি এগিয়ে আসার আহ্বান করেন। দেশবাসী ইসলাম বিদ্বেষী পর্দা বিরোধী শক্তির মোকাবেলায় তার ডাকে সাড়া দিবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য অমুসলিম নারীরা যদি বেপর্দা অবস্থায় শিক্ষকতা ও কর্মক্ষেত্রে বাধাগ্রস্থ না হয়, তবে ৯০% মুসলিমের দেশে আমার কেন নিকাব পড়ে চাকুরি করার স্বাধীনতা ও অধিকার থাকবে না?’

সংবাদ সম্মেলনের শেষে বাংলাদেশে উদীয়মান হিন্দুত্ববাদী শক্তির মোকাবেলায় দেশ ও জাতিকে সচেতন থাকার এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহন করার আহ্বান জানান তিনি।

---

তথ্যসূত্র:
১. https://tinyurl.com/536fju7t

[Al-Firdaws]

গাজায় অনাহারে মারা গেল ৪ বছরের শিশু, মৃত্যুঝুঁকিতে ৭০ হাজার শিশু

গাজা উপত্যকায় অনাহারে ভুগে চার বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মোহাম্মদ ইয়াসিন। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। এর মাধ্যমে গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ শুরুর পর থেকে অনাহারে মৃত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ৫৮-তে দাঁড়াল। গাজার চিকিৎসক ইজ্জেদিন শাহিন বলেন, এখন উপত্যকাটির সুস্থ শিশুদের ওপরও খাদ্যাভাবের প্রভাব পড়ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘দুর্ভিক্ষে মৃত্যুর প্রবণতা এক নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগে দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় ভোগা বা বিশেষ যত্ন প্রয়োজন এমন শিশুদের ক্ষেত্রে দুর্ভিক্ষজনিত মৃত্যুর ঘটনা দেখা যেত। তবে এখন এমন শিশুদের ওপরও দুর্ভিক্ষের প্রভাব পড়ছে, যারা আগে প্রায় সুস্থই ছিল—অপুষ্টি ছাড়া যাদের কোনো পূর্ববর্তী শারীরিক সমস্যা ছিল না।’

আল জাজিরাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধের ফলে খাদ্য, পানি ও মানবিক সহায়তা গাজার বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছাতে না পারায় এই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

মাহমুদ বাসাল আরও বলেন, এটা গাজায় ক্ষুধায় প্রথম শিশু মৃত্যুর ঘটনা নয়। খাদ্য ও পানি প্রবেশ করতে না পারলে, সামনে আরও অনেক শিশুর মৃত্যু আমরা দেখতে পাবো। এই দুঃসহ পরিস্থিতির অবসানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করে বলেছে, গাজায় ৭০ হাজারের বেশি শিশু তীব্র মাত্রার অপুষ্টিতে ভুগছে। গাজার কর্মকর্তারা বলছেন, নিরপরাধ শিশুদের হত্যা এখন সন্ত্রাসী ইসরায়েলি সেনাদের জন্য যেন একটি বিনোদনের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, উপত্যকাটিতে চলমান বর্বর ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৩ হাজার ৯০১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় আহত হয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৫৯৩ জন। আর গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। এ হিসাবের ক্ষেত্রে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে নিখোঁজ থাকা মানুষদের মৃত বলে ধরে নেয়া হয়েছে।

---

তথ্যসূত্র:
1.
Four-year-old boy dies of starvation in Gaza due to Israeli blockade
– https://tinyurl.com/yx3e4jna
2.Malnutrition claims life of 4-year-old in Gaza as death toll from hunger rises to 58
– https://tinyurl.com/ya5wfuwh

[Al-Firdaws]

মাদককারবারিদের নিয়ে হোয়াটসআ্যপ গ্রুপ খুলেছে ওসি; প্রতি মামলায় ঘুস নেয় ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ

আশুগঞ্জ থানার ওসি মোহা. বিল্লাল হোসেন, তার নিয়ন্ত্রণে চলছে মাদক ব্যবসা। সে মাদককারবারিদের নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলেছে। অভিযোগ রয়েছে, মাদককারবারিদের তার সাহায্য করার বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাত ১২টার পর থেকে রাতভর মাদককারবারিসহ বিভিন্ন স্থানে মদের আড্ডায় সময় কাটায় ওসি।

অবৈধ মাদক ও ভারতীয় পণ্য চোরাচালানের নিরাপদ রুটে পরিণত হয়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের সহযোগিতায় এবং মাসোহারার মাধ্যমে নিয়মিত ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজাসহ অবৈধ পণ্য রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বাধাহীনভাবে পৌঁছে যাচ্ছে।

আশুগঞ্জে হাত বাড়ালেই মিলছে ইয়াবা, ফেনসিডিল আর গাঁজা। টাকা ছাড়া কোনো মামলা হচ্ছে না থানায়। এসব অপকীর্তির পেছনে রয়েছে আশুগঞ্জ থানার ওসি মোহা. বিল্লাল হোসেন। ৪ অক্টোবর যোগদানের পর থেকেই সে দুহাতে টাকা কামাতে মাদক ব্যবসাকে পুঁজি করে। মাদককারবারিদের নিয়ে খুলেছে নিজস্ব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ।

গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি ১০ হাজার ইয়াবাসহ বিজয়নগরের দুই মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ার ও রফিকুলকে আটক করে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে ৩০০ ইয়াবা দিয়ে তাদের চালান দেওয়া হয়। বাকি ইয়াবা পুলিশের এক সোর্স পাখি জসিম ও বিজয়নগরের আরেক মাদক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের জীবন মিয়ার কাছে বিক্রি করা হয়। প্রতিনিয়তই এমন ঘটনা ঘটছে। বিপুল পরিমাণ মাদক আটক করে আবার সেই মাদকই অন্য মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়।

গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, বিজয়নগরের বিষ্ণুপুর গ্রামের চিহ্নিত চোরাকারবারি হানিফ মেম্বার, জালাল, সিঙ্গারবিল গ্রামের জহির, সেতু, জসিম, চান্দুরা ইউনিয়নের আলাদাউদপুরের রহিম, শাহ আলম, জালালপুরের ফজলুর রহমান প্রকাশ বজলু, আকতার হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মাসুক এবং ভৈরবের স্বপন দাদা, ঢাকার সাইফুল চাচাসহ এমন বহু চিহ্নিত মাদক ও চোরাকারবারি এখন আশুগঞ্জ পুলিশের সঙ্গে সমঝোতায় অবৈধ পণ্য পাচার করছে।

অভিযোগ রয়েছে, আশুগঞ্জের প্রতিটি মাদকের স্পট থেকে ওসির নামে টাকা নেওয়া হয়। সে কারণে স্থানীয় কোনো মাদক ব্যবসায়ীকে আটক বা মাদক উদ্ধার করা হয় না। যা আটক করা হয় মহাসড়ক দিয়ে আশুগঞ্জ হয়ে ঢাকা বা দেশের অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার সময়। ওসি বা পুলিশের সঙ্গে যাদের সখ্য বা চুক্তি নেই তারাই ধরা পড়ছে এখানে। ভারতীয় জিরা ও চিনি পাচারের জন্য ট্রাকপ্রতি টাকা নেয় ওসি। মাদক ব্যবসায়ী ও পাচারকারীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আশুগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার সখ্যতার বিষয়টি ওপেন সিক্রেট। রাত ১২টার পর থেকে রাতভর মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্থানে মদের আড্ডায় সময় কাটান ওসি।

এ ছাড়াও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির মুন্সি ও উপজেলা বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক ফয়সালকে ১ মার্চ মারধর করা হয়। সেই মামলা নিতে ফয়সালের কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করে ওসি। টাকা না দেওয়ায় মামলা নেওয়া হয়নি।

আশুগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য সচিব শাহিন আলম বকশির কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়েছে ওসি। গ্রেফতার করা হবে না বলে কৃষক লীগের বর্তমান সভাপতি নজরুল ইসলাম বকুলের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নেয়। যুবলীগ নেতা শাহীন মুন্সির কাছ থেকেও ওসি ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে। মোট কথা ৫০ হাজার থেকে ২ লাখের নিচে কোনো মামলা রেকর্ড করে না ওসি। মামলা হলেও আসামিদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মামলার আসামি গ্রেফতার করে না।

---

তথ্যসূত্র:
১. মাদককারবারিদের নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ওসির
– https://tinyurl.com/68zpdjkn

[Al-Firdaws]

চরম অপুষ্টিতে ভুগছে গাজার ৭১ হাজার শিশু ও ১৭ হাজার মা

গাজায় দখলদার ইসরায়েল সব ধরনের সাহায্য প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়ায় তীব্রতর হয়েছে ক্ষুধা ও অপুষ্টি। ব্যাপক দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে গাজার বাসিন্দারা। বর্তমানে উপত্যকাটির ৭১ হাজার শিশু এবং ১৭ হাজারেরও বেশি মা তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল গত ২ মার্চ থেকে গাজায় সাহায্য প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। যার কারণে ক্ষুধা ও অপুষ্টি ভয়াবহভাবে বেড়েছে, এবং আগের যুদ্ধবিরতির সময় সহায়তার মাধ্যমে যে অগ্রগতি হয়েছিল, তা একেবারে স্থবির হয়ে গেছে।

জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের ১২ মে প্রকাশিত ‘ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্ল্যাসিফিকেশন’ (আইপিসি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার অন্তত ৪ লাখ ৭০ হাজার মানুষ এখন চরম খাদ্য সংকটে রয়েছে। গাজাবাসীর পুরো জনগোষ্ঠীই এখন মারাত্মক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৭১ হাজার শিশু এবং ১৭ হাজারেরও বেশি মা বর্তমানে তীব্র অপুষ্টির শিকার। তাদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা প্রয়োজন। অথচ বছরের শুরুতে এই সংখ্যা অনুমান করা হয়েছিল ৬০ হাজারে, যা ইতোমধ্যে ছাড়িয়ে গেছে।

নতুন সামরিক আগ্রাসনের ফলে এবং দীর্ঘ সময় ধরে চলা অবরোধের কারণে আগামী মাসগুলোতে খাদ্য সংকট আরও তীব্র হবে। মৃত্যুহারও বাড়তে পারে। গাজা, উত্তর গাজা ও রাফা গভর্নরেট এলাকায় অপুষ্টি ও মৃত্যুর হার দুর্ভিক্ষের সীমা ছুঁতে পারে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল সতর্ক করে বলেছে, দুর্ভিক্ষ হঠাৎ আসে না। এটি তখনই দেখা দেয়, যখন মানুষের খাদ্যে প্রবেশাধিকার থাকে না, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ে এবং শিশুরা মৌলিক চাহিদা থেকেও বঞ্চিত হয়।

গাজায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে সীমান্ত বন্ধ থাকায়, খাদ্যের দাম আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছে, যা বেশির ভাগ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। অথচ, ১ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি খাদ্য সহায়তা সীমান্তে পড়ে আছে যা ১০ লাখ মানুষকে চার মাস খাবার দিতে যথেষ্ট। একইসঙ্গে শত শত প্যালেটভর্তি পুষ্টিকর ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী আটকে আছে।

এমন পরিস্থিতিতে ডব্লিউএফপি এবং ইউনিসেফ সহায়তা পৌঁছাতে প্রস্তুত, কিন্তু সহায়তার করিডোরগুলো বন্ধ থাকায় তারা অচল হয়ে পড়েছে। গত ২৫ এপ্রিল ডব্লিউএফপি তাদের সর্বশেষ খাবার মজুত শেষ করেছে। এক মাস আগে তাদের সব বেকারি বন্ধ হয়ে যায়, কারণ গমের আটা ও জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে। ইউনিসেফ এখনো পানি ও পুষ্টি সরবরাহ চালিয়ে যাচ্ছে, তবে থেরাপিউটিক খাদ্যের মজুতও প্রায় শেষ।

---

তথ্যসূত্র:
1.71,000 children and 17,000 mothers in Gaza suffer from severe malnutrition
– https://tinyurl.com/2ufcu9nx

[Al-Firdaws]

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত দুই বাংলাদেশি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়েছে। শনিবার (২৪ মে) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের খাদলা সীমান্তের শ্যামনগর সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হল, শ্যামপুর এলাকার শের আলীর ছেলে মো. রবিউল ইসলাম (২৮) ও একই এলাকার মো. আজাদ হোসেন (২৬)।

গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, রাত দেড়টার দিকে স্থানীয় ছয় ব্যক্তি ভারত সীমান্তের অন্তত দেড়শ গজের বেশি ভেতরে ঢুকে পড়ে। তখন বিএসএফ তাদের উদ্দেশ্য করে গুলি ছোড়ে। পরে তাদের মধ্যে দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় এলাকাবাসী।

---

তথ্যসূত্র:
১. কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত দুই বাংলাদেশি
– https://tinyurl.com/5a5yb6su

[Al-Firdaws]

আওয়ামী দোসর সাংবাদিক মুন্নি সাহার ৪৬ ব্যাংক একাউন্টে ১৮৬ কোটি টাকা লেনদেন; জব্দ ১৮ কোটি

সাংবাদিক মুন্নি সাহা ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ৩৫টি ব্যাংক হিসাবের মোট ১৮ কোটি টাকা জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শনিবার (২৪ মে) বিকালে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সাংবাদিক মুন্নি সাহা ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। এতে স্থিতি রয়েছে মোট ১৮ কোটি ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩৯ টাকা।

সিআইডি জানায়, মুন্নি সাহা ও তার স্বামী কবির হোসেন সাংবাদিকতা পেশাকে ব্যবহার করে বিধিবহির্ভূতভাবে প্রভাব খাটিয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে। তারা অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ নিজ এবং স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন করে আসছে বলে সিআইডির কাছে অভিযোগ আসে।

এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা-২০১৯ মোতাবেক সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং অনুসন্ধান শুরু করে।

সিআইডির পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন আরও বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মুন্নি সাহা ও তার স্বামী কবির হোসেন এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের তথ্য পর্যালোচনা দেখতে পায়, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৪৬টি ব্যাংক হিসাবে খোলা হয়েছে। যার মধ্যে বর্তমানে ৩৫টি ব্যাংক হিসাব চালু রয়েছে। হিসাব খোলার তারিখ থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক হিসাবগুলোতে সন্দেহজনকভাবে মোট ১৮৬ কোটি ৫৬ লাখ ৯১ হাজার ৮ টাকা লেনদেন করা হয়েছে এবং বর্তমানে ১৮ কোটি ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩৯ টাকা স্থিতি রয়েছে।

---

তথ্যসূত্র:
১. সাংবাদিক মুন্নি সাহা ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্টদের ১৮ কোটি টাকা জব্দ
-https://tinyurl.com/3myt2s5n

[Al-Firdaws]

নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের দুই নেতা এখন কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বারো আউলিয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

শনিবার (২৪ মে) বেলা ১১টায় উপজেলার একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে নবগঠিত বারো আউলিয়া কলেজ ছাত্রদলের বিতর্কিত কমিটি বিলুপ্ত করতে এক সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

লিখিত বক্তব্যে তারা বলে, নবগঠিত বারো আউলিয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা ও বিবাহিত মো. মিনহাকে সভাপতি ও ছাত্রলীগনেতা রায়হান উদ্দিন মুন্নাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

---

তথ্যসূত্র:
১. ছাত্রলীগের দুই নেতা এখন ছাত্রদলের সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক
-https://tinyurl.com/4636cv35

[Al-Firdaws]

রাজধানীতে প্রকাশ্য দিবালোকে ছিনতাই

রাজধানীর মগবাজারে চাপাতি হাতে প্রকাশ্য দিবালোকে ছিনতায়ের ঘটনা ঘটেছে। মগবাজারের গ্রিনওয়ে গলিতে ১৮ মে বিকালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি আমলে নেয় পুলিশ।

পুলিশ বলছে, ছিনতাইয়ের শিকার তরুণের নাম আব্দুল্লাহ। তার বাড়ি কুমিল্লায়। ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর ছিনতাইয়ের এ ঘটনায় রোববার (২৬ মে) রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় অজ্ঞাতপরিচয়ের তিন ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন আব্দুল্লাহ।

সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, ১৮ মে বিকাল ৫টা ২২ মিনিটের দিকে পুরো ঘটনা ঘটেছে মাত্র এক মিনিটের মধ্যে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণ নিজেকে বাঁচাতে বাইকের সামনে চাকা ধরে অনুরোধ করলেও, ছিনতাইকারীরা চাপাতি দিয়ে তাকে আবারও ধাক্কা দেয় ও মারধর করে।

ফুটেজে দেখা যায়, ছিনতাইকারীরা সবাই হেলমেট পরে ছিল, ফলে সরাসরি তাদের চেহারা শনাক্ত করা যায়নি।

---

তথ্যসূত্র:
১. রাজধানীতে দিনের আলোতে ছিনতাই, ভিডিও ভাইরাল
– https://tinyurl.com/ycfua2uf

[Al-Firdaws]

গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে প্যারিসে বিশাল সমাবেশ

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের ঐতিহাসিক রিপাবলিক চত্বরে গাজায় ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের নির্মম গণহত্যা ও মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন হাজারো মানুষ। ২৫ মে, রবিবার বিকালে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভে ফিলিস্তিনের পতাকা, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে তরুণ-বৃদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষ একত্রিত হন। তাদের মূল দাবি—অবিলম্বে ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধ করা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।

একটি প্ল্যাকার্ডে ফরাসি ভাষায় লেখা ছিল, “Attendez-vous qu’il n’y ait plus de Palestiniens pour reconnaître l’État de Palestine?”—যার বাংলা অর্থ, “আপনারা কি অপেক্ষা করছেন, সব ফিলিস্তিনি নিধন হলে তবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবেন?” এই প্রশ্নটি পাশ্চাত্য দেশগুলোর মুখোশ উন্মোচন করেছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অন্যায় দখলদারিত্বকে সমর্থন দিয়ে আসছে।

বিক্ষোভের অন্যতম প্রধান স্লোগান ছিল, “Ce n’est pas une guerre, c’est un génocide” (এটি যুদ্ধ নয়, গণহত্যা)। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নিষ্ঠুর হামলা কোনো যুদ্ধ নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত জাতিগত নির্মূল অভিযান—এ কথাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে সমাবেশে। অংশগ্রহণকারীরা জানান, এটি কেবল একটি প্রতিবাদ নয়, বরং “মানবতার পক্ষে ক্রমাগত আওয়াজ”।

একজন বিক্ষোভকারী বলেন, “আমরা চাই বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হোক। প্রতিটি মানুষের প্রাণের মূল্য আছে, ফিলিস্তিনিদেরও। কিন্তু ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল ও তাদের পাশ্চাত্য মিত্ররা ফিলিস্তিনিদের মানুষ মনে করে না।”

সমাবেশে ফিলিস্তিনের পতাকায় ঢেকে যায় পুরো রিপাবলিক চত্বর। ফিলিস্তিনের মাটি কেবল একটি ভূখণ্ড নয়, বরং ইসলামি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইসরায়েলের দখলদারিত্ব কেবল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধেই নয়, বরং সমগ্র মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে এক চ্যালেঞ্জ।

পাশ্চাত্য দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইসরায়েলকে অস্ত্র, অর্থ ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে চলেছে। অন্যদিকে, গাজায় শিশু, নারী ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের বর্বর বোমাবর্ষণকে তারা “আত্মরক্ষার অধিকার” বলে প্রচার করছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এটি একটি “স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ ও ইসলামবিদ্বেষী নীলনকশা”।

প্যারিসের এই বিক্ষোভ প্রমাণ করে, বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষ ইসরায়েলের নৃশংসতার বিরুদ্ধে সচেতন হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো—কবে নিষ্ক্রিয় হবে পাশ্চাত্যের ইসলামবিদ্বেষী শক্তিগুলো? কবে থামবে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের রক্তপিপাসু হামলা? ফিলিস্তিনি শিশুদের রক্তে রঞ্জিত গাজার মাটি আজও চিৎকার করছে—”আমরা বাঁচতে চাই, আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দাও!”

---

তথ্যসূত্র:
1. France: Massive demonstration in Paris in support of Gaza
– https://tinyurl.com/yc5t2jv2

[Al-Firdaws]

চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফের ইউনিফর্ম তৈরিকালে গ্রেফতার ০৩; জব্দ ২০ হাজার পিস পোশাক

পাহাড়ের সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ২০ হাজার ৩০০ পিস পোশাক (ইউনিফর্ম) চট্টগ্রাম নগরের একটি পোশাক কারখানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আটদিন আগে বায়েজিদ বোস্তামী থানার নয়ারহাট এলাকার রিংভো অ্যাপারেলস নামক একটি পোশাক কারখানা থেকে কেএনএফের এসব পোশাক জব্দ করা হলেও ঘটনাটি রবিবার (২৫ মে) জানাজানি হয়। ওই ঘটনায় পোশাক কারখানার মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। থানায় মামলা হয়েছে।

গত ১৭ মে রাতে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার নয়ারহাট এলাকার রিংভো অ্যাপারেলস থেকে পোশাকগুলো জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন-সাহেদুল ইসলাম, গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার। এরমধ্যে সাহেদুল ইসলাম ওই কারখানা মালিক।
অন্য দুইজন পোশাকগুলো তৈরির অর্ডার এনেছিলেন।

---

তথ্যসূত্র:
১. চট্টগ্রামে তৈরি হচ্ছিল কেএনএফের ইউনিফর্ম, গ্রেপ্তার ৩
– https://tinyurl.com/ffmkuws3

[Al-Firdaws]

গ্রাহকের ২৫ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও এনজিও

মাদারীপুরের ডাসারে ‘জেশ ফাউন্ডেশন’ নামে একটি কথিত এনজিওর অফিসে তালা মেরে উধাও হয়েছেন এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শতাধিক গ্রাহকের সঞ্চিত প্রায় ২৫ লাখ টাকা নিয়ে তারা হঠাৎ উধাও হয়েছেন বলে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়নের পূর্ব খান্দুলী গ্রামের সৈয়দ আলী ভূঁইয়ার প্রবাসী ছেলে মিজানুর রহমানের নিজ বাড়ির দুটি রুম ভাড়া নিয়ে সম্প্রতি ‘জেশ ফাউন্ডেশন’ নামে এনজিওটি তাদের কার্যক্রম শুরু করে। কালকিনি ও ডাসার উপজেলার অসহায় পরিবারকে বিনা সুদে ঋণ দেবে বলে প্রচারণা চালিয়ে শতাধিক পরিবার তাদের কাছে সঞ্চয় জমা দেয়।

গত ২২ মে, (বৃহস্পতিবার) রাতে সঞ্চয়ের ২৫ লাখ টাকা নিয়ে এনজিওর কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম (রকি রহমান) ও তার দলের লোকজন অফিসে তালা মেরে পালিয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে এলাকায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা এনজিও কার্যালয়ের সামনে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করছেন।

---

তথ্যসূত্র:
১. গ্রাহকের ২৫ লাখ টাকা নিয়ে এনজিও উধাও!
-https://tinyurl.com/3x95u23e