Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২৮ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ২৭ মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২৮ যিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী || ২৭ মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

    গাজার ৯৫ ভাগ আবাদি জমি ধ্বংস করেছে দখলদার ইসরায়েল



    অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শতকরা ৯৫ ভাগ আবাদি জমি ধ্বংস করেছে দখলদার ইসরায়েল। এসব জমির কিছু অংশ কথিত বাফার জোন হিসেবে অধিগ্রহণ করেছে আর কিছু অংশ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েল। এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

    জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং স্যাটেলাইট সেন্টারের (ইউএনওএসএটি) নতুন ভূ-স্থানিক মূল্যায়ন অনুযায়ী, গাজা উপত্যকার পাঁচ শতাংশেরও কম আবাদি জমি এখন চাষোপযোগী।

    এফএও’র যৌথ স্যাটেলাইট জরিপে দেখা গেছে, গাজার ৮০ শতাংশেরও বেশি কৃষিজমি সন্ত্রাসী ইসরায়েলি হামলায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া, ৭৭.৮ শতাংশ জমিতে ফিলিস্তিনি কৃষকদের প্রবেশই সম্ভব নয়। বর্তমানে মাত্র ৬৮৮ হেক্টর (১,৭০০ একর) জমি চাষের জন্য ব্যবহারযোগ্য, যা গাজার মোট কৃষিজমির একটি নগণ্য অংশ।

    সন্ত্রাসী ইসরায়েল শুধু কৃষিজমিই নয়, গাজার গ্রীনহাউস ও পানির উৎসগুলোকেও ধ্বংস করেছে। এফএও’র রিপোর্ট অনুযায়ী, ৭১.২ শতাংশ গ্রীনহাউস এবং ৮২.৮ শতাংশ কৃষিকাজের কূপ সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এফএও’র উপ-মহাপরিচালক বেথ বেচডল বলেন, “যেখানে একসময় হাজার হাজার ফিলিস্তিনির খাদ্য, আয় ও স্থিতিশীলতার উৎস ছিল, আজ তা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় খাদ্য উৎপাদন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।”

    এই রিপোর্ট প্রকাশের আগেই জাতিসংঘের ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) সতর্ক করে বলেছিল, ইসরায়েলের ১৯ মাসের যুদ্ধ, অবরোধ ও মানবিক সহায়তা বন্ধের ফলে গাজার সম্পূর্ণ জনগোষ্ঠীই চরম দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি। যদিও ইসরায়েল গত সপ্তাহে ‘সীমিত’ মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে, কিন্তু তা গাজাবাসীর কাছে পৌঁছাচ্ছে না বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো।

    স্থানীয়ভাবে খাদ্য উৎপাদনের সমস্ত ব্যবস্থা ধ্বংস করার পর ইসরায়েল গাজায় কোনো ধরনের খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা রাখেনি। এছাড়া, আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে যে সমস্ত ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর চেষ্টা হচ্ছে তাতে বাধা সৃষ্টি করছে বর্বর দখলদার সেনারা। গাজার ফিলিস্তিনি জনগণ যাতে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে মৃত্যুবরণ করে মূলত সেই লক্ষ্যে কাজ করছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল।

    ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। এরই মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতায় গাজায় শহীদের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৯৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১,২২,৯৬৬ জন। যুদ্ধের শুরু থেকেই গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। ফলে সেখানে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। খাদ্য সংকটও চরম আকার ধারণ করেছে। খাদ্যের অভাবে শহীদ হচ্ছে বহু শিশু। গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, এই যুদ্ধে এরই মধ্যে শুধু শিশু শহীদ হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার। নিখোঁজ রয়েছে ২১ হাজারের বেশি শিশু।


    তথ্যসূত্র:
    1. More than 95 percent of Gaza’s agricultural land unusable, UN warns
    https://tinyurl.com/2pd2k89x
    2. Due to war, less than 5% of Gaza’s agricultural land remains usable: FAO
    https://tinyurl.com/yj5e9hcn
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    পবিত্র আল–আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনিদের ওপর উগ্র ইসরায়েলিদের হামলা




    অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার শতকরা ৯৫ ভাগ আবাদি জমি ধ্বংস করেছে দখলদার ইসরায়েল। এসব জমির কিছু অংশ কথিত বাফার জোন হিসেবে অধিগ্রহণ করেছে আর কিছু অংশ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েল। এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

    জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং স্যাটেলাইট সেন্টারের (ইউএনওএসএটি) নতুন ভূ-স্থানিক মূল্যায়ন অনুযায়ী, গাজা উপত্যকার পাঁচ শতাংশেরও কম আবাদি জমি এখন চাষোপযোগী।

    এফএও’র যৌথ স্যাটেলাইট জরিপে দেখা গেছে, গাজার ৮০ শতাংশেরও বেশি কৃষিজমি সন্ত্রাসী ইসরায়েলি হামলায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া, ৭৭.৮ শতাংশ জমিতে ফিলিস্তিনি কৃষকদের প্রবেশই সম্ভব নয়। বর্তমানে মাত্র ৬৮৮ হেক্টর (১,৭০০ একর) জমি চাষের জন্য ব্যবহারযোগ্য, যা গাজার মোট কৃষিজমির একটি নগণ্য অংশ।

    সন্ত্রাসী ইসরায়েল শুধু কৃষিজমিই নয়, গাজার গ্রীনহাউস ও পানির উৎসগুলোকেও ধ্বংস করেছে। এফএও’র রিপোর্ট অনুযায়ী, ৭১.২ শতাংশ গ্রীনহাউস এবং ৮২.৮ শতাংশ কৃষিকাজের কূপ সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এফএও’র উপ-মহাপরিচালক বেথ বেচডল বলেন, “যেখানে একসময় হাজার হাজার ফিলিস্তিনির খাদ্য, আয় ও স্থিতিশীলতার উৎস ছিল, আজ তা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় খাদ্য উৎপাদন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।”

    এই রিপোর্ট প্রকাশের আগেই জাতিসংঘের ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) সতর্ক করে বলেছিল, ইসরায়েলের ১৯ মাসের যুদ্ধ, অবরোধ ও মানবিক সহায়তা বন্ধের ফলে গাজার সম্পূর্ণ জনগোষ্ঠীই চরম দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি। যদিও ইসরায়েল গত সপ্তাহে ‘সীমিত’ মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে, কিন্তু তা গাজাবাসীর কাছে পৌঁছাচ্ছে না বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো।

    স্থানীয়ভাবে খাদ্য উৎপাদনের সমস্ত ব্যবস্থা ধ্বংস করার পর ইসরায়েল গাজায় কোনো ধরনের খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা রাখেনি। এছাড়া, আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে যে সমস্ত ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর চেষ্টা হচ্ছে তাতে বাধা সৃষ্টি করছে বর্বর দখলদার সেনারা। গাজার ফিলিস্তিনি জনগণ যাতে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে মৃত্যুবরণ করে মূলত সেই লক্ষ্যে কাজ করছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল।

    ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। এরই মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতায় গাজায় শহীদের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৯৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১,২২,৯৬৬ জন। যুদ্ধের শুরু থেকেই গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। ফলে সেখানে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। খাদ্য সংকটও চরম আকার ধারণ করেছে। খাদ্যের অভাবে শহীদ হচ্ছে বহু শিশু। গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, এই যুদ্ধে এরই মধ্যে শুধু শিশু শহীদ হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার। নিখোঁজ রয়েছে ২১ হাজারের বেশি শিশু।


    তথ্যসূত্র:
    1. More than 95 percent of Gaza’s agricultural land unusable, UN warns
    https://tinyurl.com/2pd2k89x
    2. Due to war, less than 5% of Gaza’s agricultural land remains usable: FAO
    https://tinyurl.com/yj5e9hcn
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মুসলিমদের ‘অশুভ শক্তি’ আখ্যা দিয়ে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান আরএসএস প্রধানের


      ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএস-এর প্রধান মোহন ভাগবত মুসলিমদের অশুভ শক্তি আখ্যা দিয়ে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।

      গত ২৬ মে মুসলিম মিররে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটির পত্রিকা অর্গানাইজার-এ মোহন ভাগবতের একটি বিস্তৃত সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে সে জোর দিয়ে বলেছে, ভারতকে বহিরাগত হুমকি থেকে রক্ষা করতে এবং দেশের সীমানায় থাকা অশুভ শক্তি, বিশেষ করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে, একটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ হিন্দু সমাজ গঠন এবং ভারতকে সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা অপরিহার্য।

      তার ভাষায়, ‘বিশ্বে অনেক শক্তি রয়েছে যারা প্রকৃতিগতভাবে আক্রমণাত্মক। ভারতকে এসব হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। আমাদের কাছে শক্তিশালী হওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই, কারণ আমরা আমাদের সব সীমানায় অশুভ শক্তির শয়তানি প্রত্যক্ষ করছি।’

      পাশ্ববর্তী দেশগুলোতে হিন্দুদের উপর তথাকথিত নিপীড়নের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সে বলেছে, হিন্দুরা যদি নিজেরাই ঐক্য ও শক্তি প্রদর্শন করতে পারে তাহলে বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের প্রতি সমর্থন বৃদ্ধি পাবে। হিন্দু সমাজের মর্যাদা ও গৌরব সরাসরি ভারতের শক্তি ও অবস্থানের সঙ্গে যুক্ত।

      এজন্য সে হিন্দু সমাজে একটি নতুন ধারণা উপস্থাপন করে বলেছে, ‘যারা নিজেদের হিন্দু হিসেবে মনে করে না, কিন্তু যাদের পূর্বপুরুষ হিন্দু ছিলেন, তাদেরও এই সমাজের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ভাগবতের আশা, এর মাধ্যমে হিন্দু সমাজ আরও শক্তিশালী, আত্মবিশ্বাসী ও স্থিতিশীল হয়ে উঠবে। বিশ্বব্যাপী হিন্দুদের অবস্থানও আরও সুদৃঢ় হবে।’

      এছাড়াও বর্তমানে হিন্দু সমাজকে শক্তিশালী করার যে প্রচেষ্টা চলমান সেই সম্পর্কে সে বলেছে, ‘এর অগ্রগতি ধীর হলেও লক্ষ্যে অবিচল। এর সাম্প্রতিক উদাহরণ তুলে ধরতে গিয়ে সে বলেছে, বিশেষত বাংলাদেশে হিন্দুদের সাহস দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেখানকার স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় নিপীড়নের মুখে পালিয়ে না গিয়ে এখন অধিকার দাবি করতে শুরু করেছে। ধীরে হলেও নিশ্চিতভাবে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটছে।’


      তথ্যসূত্র:
      1. RSS chief urges Hindu unity to defeat evil, strengthen Bharat’s mighty
      https://tinyurl.com/bdevbxtz

      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভারতের বিহারে মুসলিম যুবককে জোরপূর্বক ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে বাধ্য করলো হিন্দুত্ববাদীরা



        ভারতের বিহার রাজ্যের সুপৌল জেলায় এক মুসলিম যুবককে প্রকাশ্যে মারধর করে জোরপূর্বক ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে বাধ্য করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী একদল যুবক। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ২৫ মে অনলাইনে প্রকাশিত হয় এবং সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

        ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত হিন্দুত্ববাদী সহিংসতা ও বৈষম্যের তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশে নিয়োজিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘হিন্দুত্ব ওয়াচ’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভিডিওতে দেখা যায় মুসলিম যুবকটিকে ওই যুবকরা শারীরিকভাবে আঘাত করছে এবং তাকে হিন্দু জাতীয়তাবাদী স্লোগান ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে বাধ্য করা হচ্ছে।


        তথ্যসূত্র:
        1. Muslim youth reportedly beaten and forced to chant “Jai Shri Ram.”
        https://tinyurl.com/45ych43b
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় শহীদের মিছিলে আরও ৮১ ফিলিস্তিনি


          গাজা উপত্যকায় দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় নতুন করে আরও ৮১ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে। এদের মধ্যে শুধু গাজা শহরেই শহীদ হয়েছেন ৫৩ জন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৬৯ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক। ২৬ মে, সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই হামলা চলে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাও বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

          স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বাস্তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের নিচে অনেকেই এখনও চাপা পড়ে আছেন। উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হলেও টানা বোমা বর্ষণের মধ্যে উদ্ধারকর্মীদের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে নির্দিষ্ট করে শহীদের সংখ্যা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। অনেক পরিবার এখনও তাদের স্বজনদের কোনো খোঁজ পাচ্ছে না। ফলে নিখোঁজদের সংখ্যাও বাড়ছে।

          বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন মুখপাত্র বলেছেন, গাজার সবাই কষ্ট পাচ্ছেন কারণ হাসপাতালগুলোতে অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম ফুরিয়ে যাচ্ছে এবং আক্রমণ তীব্র করছে ইসরায়েল। পাশাপাশি বন্ধ করে দিচ্ছে সাহায্যও।

          গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর এই হামলা নতুন নয়। দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে এই অঞ্চলজুড়ে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম দীর্ঘ ও ভয়াবহ সামরিক অভিযানের এক পর্ব, যা আজও থামেনি। এই দীর্ঘ অভিযানে গাজা পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে।

          গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় মোট ৫৩ হাজার ৯৭৭ জন শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ২২ হাজার ৯৬৬ জন। শহীদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে প্রায় ৫৬ শতাংশ। যার মানে, গড়ে প্রতি দুইজন শহীদের একজনই নারী বা শিশু।


          তথ্যসূত্র:
          1. LIVE: Israel kills 81 in Gaza as ‘different messages’ emerge on truce talks
          https://tinyurl.com/2p9wfevh
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            আশ্রয় শিবিরে বর্বর ইসরায়েলি হামলায় জীবন্ত পুড়ে মরল শিশুরা





            ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন প্রতিদিনই এক নতুন বিপর্যয়ের জন্ম দিচ্ছে। বেসামরিক মানুষ, বিশেষ করে শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের উপর এভাবে আগ্রাসন চালিয়ে দখলদার ইসরায়েল যুদ্ধের সব ধরনের মানবিক সীমা অতিক্রম করেছে। সন্ত্রাসী ইসরায়েলের বোমার ভয়ে গাজার স্কুল চত্বরে আশ্রয় নিয়েছিল শত শত বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। শেষ পর্যন্ত সেই স্কুলই হয়ে উঠল তাদের ‘জীবন্ত কবর’। সেখানেই পুড়ে কয়লা হয়ে গেল শরীর।

            গাজা শহরের আল-দারাজ এলাকার ফাহমি আল-জারজাওয়ি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া মানুষের ওপর বোমাবর্ষণ করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। সে আগুনেই জীবন্ত পুড়ে মারা গেছে শিশুরা। চিৎকার করে ওঠার আগেই নিস্তব্ধ হয়ে গেল ১৮টি নিষ্পাপ প্রাণ।

            এ হামলায় ১৮ শিশুসহ অন্তত ৩৬ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। একই দিনে মৃত্যু উপত্যকাটির ঠিক উত্তরে-জাবালিয়ার একটি বাড়িতেও হামলা চালায় বর্বর সেনারা। নিমিষেই মুছে যায় গোটা একটি পরিবার। শহীদ হন আব্দ রাব্বো পরিবারের ১৯ জন সদস্যই। যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠেছে গাজার হাসপাতালগুলোও।


            ভিডিও ক্রেডিট: Middle East Eye




            ভিডিও ক্রেডিট: APT


            উত্তর গাজার ইন্দোনেশীয় ও আওদা হাসপাতাল চারপাশ ঘিরে রেখেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী, যে কোনো সময় সেখানেও পড়তে হায়েনাদের বোমার থাবা।

            সোমবার বিবিসি জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর রাতভর পৃথক দুটি বিমান হামলায় গাজায় ৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। যার মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাটি হয় ফাহমি আল-জারজাওয়ি স্কুলে।

            যেখানে বেইত লাহিয়া থেকে আসা শত শত বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। হামলায় জীবন্ত পুড়ে গেছেন আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দারা। যাদের অনেকের শরীর এমনভাবে ঝলসে গেছে যে শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে পড়ে। কোনো ধরনের পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই হামলা চালানো হয় স্কুলটিতে।

            গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘কমপক্ষে ২০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের অধিকাংশ শিশু। এছাড়া দুটি শ্রেণিকক্ষ আগুনে পুড়ে গেছে। যেগুলো ঘুমানোর জায়গা হিসাবে ব্যবহার করা হতো।’

            প্রায় এক ঘণ্টা ধরে জ্বলে আগুন। প্রত্যক্ষদর্শী রামি রফিক বিবিসিকে বলেছেন, ‘মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ছাইয়ের ওপর পড়ে থাকা দগ্ধ শরীরগুলো দেখে আমার ছেলে ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।’ টেলিগ্রাফে ছড়িয়ে পড়া ১১ সেকেন্ডের এক ভিডিও ক্লিপে গা শিউরে উঠেছে বিশ্বের।

            সারাগায়ে আগুন নিয়ে ক্লাসরুম থেকে বের হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছিল শিশুটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারেনি! স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহীদদের মধ্যে উত্তর গাজার পুলিশের তদন্ত প্রধান মোহাম্মদ আল-কাসিহ, তার স্ত্রী ও সন্তানরাও রয়েছেন।

            একই রাতে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় শহর জাবালিয়াতে একটি পরিবারের বাড়িতে চালানো পৃথক হামলায় একই পরিবারের ১৯ জন সদস্য শহীদ হন। ২৬ মে, সোমবার পর্যন্ত গত দুই দিনে গাজাজুড়ে ২০০টিরও বেশি স্থানে আঘাত হেনেছে দখলদার বাহিনী।

            ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৯৭৭ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন যার মধ্যে কমপক্ষে ১৬ হাজার ৫০০ শিশু। আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ২২ হাজার ৫৯৩ জন।


            তথ্যসূত্র:
            1. Israel’s school attack burns civilians alive
            https://tinyurl.com/3wx6us77
            2. Israeli strike kills dozens sheltering in Gaza school, officials say
            https://tinyurl.com/jctcpxkk
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              হিন্দুত্ববাদই ভারতকে ধ্বংস করবে। হিন্দুত্ববাদই ভারতকে বিভাজিত করবে।

              Comment

              Working...
              X