Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ০১ যিলহজ্ব, ১৪৪৬ হিজরী || ২৯ মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ০১ যিলহজ্ব, ১৪৪৬ হিজরী || ২৯ মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

    শাহবাগীদের বিচার করতে হবে: হেফাজতে ইসলাম



    ইসলামবিদ্বেষী ও ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

    বুধবার (২৮ মে) এক বিবৃতিতে তিনি ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করে বলেন, শাহবাগীদেরও বিচার করতে হবে। তারা ছিল শাপলার গণহত্যার সমর্থক।

    বিবৃতিতে মাওলানা আজিজুল হক বলেন, ২০১৩ সালে ভারতীয় মদদপুষ্ট শাহবাগ আন্দোলন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও ন্যায়বিচার ধ্বংসে কাজ করেছিল। সে সময় রাষ্ট্রীয় মদদে হেফাজতের শান্তিপূর্ণ জমায়েতের ওপর গণহত্যা চালানো হয়, আর সেই হত্যাকাণ্ডে সমর্থন দিয়েছিল একদল ফ্যাসিস্ট শাহবাগী বাম ও সেক্যুলার গোষ্ঠী।

    তিনি বলেন, শাপলা চত্বরের রাসূলপ্রেমিক তৌহিদি জনতার ওপর বর্বর হত্যাকাণ্ড চালিয়ে ইসলামবিদ্বেষী শক্তি নিজেদের মুখোশ উন্মোচন করেছে। সেই শক্তির নতুন আস্ফালনের বিরুদ্ধে জুলাইয়ের ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালের শাহবাগ চক্রান্তের বিরুদ্ধে জনগণের জাগরণ ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। সেখানে ৮০ জনের বেশি মাদরাসা ছাত্র-শিক্ষক শাহাদতবরণ করেন এবং শেখ হাসিনার সরকার উৎখাত হয়।

    একই সঙ্গে তিনি দেশের এক রাজনৈতিক নেতার সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, আলেমদের ‘মৌলবাদী’ বলা ভারতের পুরাতন বয়ান। আমরা তার বক্তব্যে উদ্বিগ্ন। এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।


    তথ্যসূত্র:
    ১. শাহবাগীদেরও বিচার করতে হবে: হেফাজত
    https://tinyurl.com/mr43wusm
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ত্রাণ নিতে আসা মানুষদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী ইসরায়েলের গুলি, নিহত ১০



    আবারও ত্রাণ সংগ্রহ করতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি চালাল বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী। ২৮ মে, বুধবার গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহে স্থানীয় সময় দুপুরে ত্রাণ সংগ্রহ করতে যাওয়া মানুষদের ওপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়ে ইসরায়েলি বাহিনী এতে ১০ জন প্রাণ হারান। একে তো ত্রাণ নিয়ে কাড়াকাড়ি, তার ওপর ইসরায়েলি গুলি, আতঙ্কিত হয়ে দিগ্‌বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে অসহায় ফিলিস্তিনিরা। এতে পদদলিত হয়ে অন্তত ৬২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

    কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ তথ্য। গতকাল ত্রাণ সরবরাহ করছিল নতুন মানবিক সংস্থা গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন—জিএইচএফ। দীর্ঘ ১১ সপ্তাহ ধরে তীব্র খাদ্যসংকটের পর স্বাভাবিকভাবেই ত্রাণ সংগ্রহের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে গাজার বাসিন্দারা।

    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক লাখ মানুষের ভিড় সামাল দেওয়ার মতো সক্ষমতা ছিল না জিএইচএফের। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যর্থতা স্বীকার করে সরে যায় তারা। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিকেলের দিকে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে এত মানুষ ভিড় করেছিল যে তাদের পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে তাদের টিম পিছিয়ে আসে।

    আর এর পরই রাফাহর আকাশে দেখা যায় বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি হেলিকপ্টার। সেগুলো থেকে ত্রাণ সংগ্রহকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ও ফ্লেয়ার ছোড়া হয়। শুধু তাই নয়, ট্যাংক থেকেও সরাসরি গোলাবর্ষণ করা হয়। বার্তা সংস্থা এপি নিশ্চিত করেছে এসব তথ্য।

    জিএইচএফ ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সহায়তায় গঠিত একটি সংস্থা। এরা নিজেরাই গাজার মানবিক সংকটের জন্য দায়ী। দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় মানবিক সংস্থাগুলোর ত্রাণ আটকালেও হঠাৎ করে জিএফএইচ-কে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে, যা সন্দেহজনক। অনেকের মতে, এটি আসলে সহায়তার নামে নজরদারি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের কৌশল। গতকাল রাফাহে ত্রাণ বিতরণের সময় ইসরায়েলি গোলাগুলি আর নেতানিয়াহুর বক্তব্যের পর এমন ধারণা আরও জোরালো হলো।

    অনেকেই সংস্থাটির যোগ্যতা ও ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। গাজার বাসিন্দারা বলছেন, এমন একটি অবিশ্বস্ত ও অপ্রস্তুত সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ শুধু বিপজ্জনকই নয়, বরং ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি অবরোধের কারণে পুরো গাজা উপত্যকা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি এতটাই দুর্বিষহ যে, সামান্য ত্রাণের জন্যও হাজার হাজার মানুষ জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে বাধ্য হচ্ছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. ‘Heinous crime’: Israel kills 10 desperate aid seekers in Gaza in 48 hours
    https://tinyurl.com/2bdau3kp
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ভারতীয় সরকারি শিক্ষককে বাংলাদেশে পুশইন করল বিএসএফ


      ভারতের আসাম রাজ্যের এক প্রাক্তন সরকারি শিক্ষক খায়রুল ইসলামকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। ৫১ বছর বয়সী এই শিক্ষককে গত ২৬ মে গভীর রাতে জোর করে বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের বড়াইবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানো হয়।

      ভাইরাল একটি ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, খায়রুল ইসলাম বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার কোনও একটি মাঠে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি বাংলাদেশের এক সাংবাদিককে বলেন, ‘আমি আসাম পুলিশকে বলেছিলাম, আমি একজন শিক্ষক এবং আমাকে সম্মান করতে। কিন্তু আমার হাত চোরের মতো বেঁধে রাখা হয়েছিল এবং আমাকে বাসের মধ্যে বসতে বাধ্য করা হয়েছিল। ভোর ৪টার দিকে, আমি এখানে পৌঁছাই। বিএসএফ মোট ১৪ জনকে বাংলাদেশে জোর করে ঠেলে দেয়।’

      উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত আসামের থেংসালি খান্দাপুখুরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত খায়রুল ইসলামকে ২০১৬ সালে একটি ট্রাইব্যুনাল বিদেশি ঘোষণা করে। ২০১৮ সালে গৌহাটি হাইকোর্ট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। এরপর তাকে মাটিয়া ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তিনি দুই বছর কাটিয়েছিলেন এবং ২০২০ সালের আগস্টে জামিনে মুক্তি পান।

      হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে তার চ্যালেঞ্জ সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে খায়রুল ইসলামের মামলার শেষ শুনানি হয়েছিল গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর। গত ২৩ মে আসাম পুলিশ খান্দাপুখুরি গ্রামের খায়রুল ইসলামের বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং পুনরায় মাটিয়া আটক শিবিরে (ডিটেনশন ক্যাম্প) পাঠানো হয়। যেখান থেকে গত ২৬ মে জোর করে বাংলাদেশের ভেতর ফেলে দেওয়া হয়।

      ট্রাইব্যুনালগুলো আসামের জন্য আধা-বিচারিক সংস্থা, যা নাগরিকত্বের মামলার রায় দেয়। যদিও এই সংস্থার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা এবং পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ আনা হয়েছে। ছোটখাটো বানান ভুল, নথির অভাব বা স্মৃতিশক্তির ত্রুটির ভিত্তিতে লোকেদের বিদেশি ঘোষণা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

      শিক্ষক খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ভারতে জন্মগ্রহণ করেছি, আমার বাবা-মাও এখানে জন্মগ্রহণ করেছেন। আমি ছোট থেকে আসামের স্কুলেই পড়াশোনা করেছি। অথচ তারা আমাকে অন্যায়ভাবে বিদেশি হিসেবে ঘোষণা করেছে। আমি ১০০ বার বলেছি যে, আমি অসমিয়া (আসামের বাসিন্দা)।’

      এছাড়াও বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান যে, সোমবার বিকাল ৩টার দিকে তাকে জোর করে মাটিয়া আটক শিবির থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

      মাটিয়া ক্যাম্পের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যক্তি বলেন, ‘বেশ কয়েকজন বন্দিকে তিনটি বাসে তোলা হয়েছিল, তাদের চোখ বাঁধা ছিল। সীমান্ত পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের নিয়ে যায়।’

      ওই শিক্ষক বাংলাদেশি সাংবাদিককে আরও বলেন, ‘আমি আসতে রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে।’

      তার স্ত্রী রিতা খানমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘যখন মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, তখন তারা কীভাবে এটি করতে পারে?’

      তথ্যসূত্র:
      1. His case pending in Supreme Court, ex-govt teacher ‘picked up from Assam home and pushed into Bangladesh’, says family
      https://tinyurl.com/2nj3n4he
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        আরাকান আর্মিকে কর না দেওয়ায় দেড় মাস ধরে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ; পড়ে আছে কোটি টাকার পণ্য



        কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে পণ্য আমাদানি-রপ্তানি। দেশটির বিচ্ছিন্নবাদী সংগঠন আরাকান আর্মি পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে কর দাবি করছে। কর না পেয়ে পণ্য পরিবহনে বাধা দিচ্ছে তারা।

        জানা গেছে, মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর কাছ থেকে রাখাইন রাজ্য আরাকান আর্মি দখলে নেওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত এমন সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এর আগেও একাধিকবার পণ্যবাহী জাহাজ টেকনাফ বন্দরে আসার পথে নাফ নদীর মাঝপথে আরাকান আর্মি আটকে দেয়। বাধার কারণে টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এপারের আমদানিকারকদের ব্যবসার ধস নেমেছে।

        জানা যায়, মিয়ানমারে রপ্তানির জন্য কোটি টাকার মালামাল টেকনাফ স্থলবন্দরের গুদামে পড়ে রয়েছে। মিয়ানমারেরও এপারের আমদানিকারকদের বিভিন্ন পণ্য থেকে গিয়েছে।

        এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহেতাশামুল হক বাহদুর গণমাধ্যমকে বলেন, মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি ও টেকনাফ থেকে রপ্তানি করতে হলে আরাকান আর্মি ট্যাক্স দাবি করে। আমরা বৈধভাবে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করছি, মিয়ানমার সরকারকে ট্যাক্স দিচ্ছি, তাহলে আবার কীভাবে আরাকান আর্মিকে ট্যাক্স দেব?

        তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, দেড় মাস ধরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধের কারণে মিয়ানমারে রপ্তানি করার জন্য আনা সিমেন্ট, আলুসহ আরও কয়েক ধরনের প্রায় কোটি টাকার পণ্য টেকনাফ বন্দরের গুদামে পড়ে আছে।


        তথ্যসূত্র:
        ১. আরাকান আর্মিকে ‘কর না দেওয়ায়’ দেড় মাস ধরে বন্ধ আমদানি-রপ্তানি
        -https://tinyurl.com/56dpresw
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতে মুসলিম ছাত্রদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ, ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ লেখার অভিযোগে বহিষ্কার



          ভারতের কেরালার তিন মুসলিম ছাত্রকে ফাইনাল পরীক্ষার মাত্র তিনদিন আগে বহিষ্কার করেছে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুম্বুদুরে অবস্থিত রাজীব গান্ধী ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইয়ুথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা হোস্টেলের দেয়ালে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ ও ‘জয় ভীম’ লিখেছিলেন।

          গত ২৭ মে ক্লারিওন ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ফাইনাল পরীক্ষার আগে এই তিন মুসলিম ছাত্রকে দেশবিরোধী আখ্যা দিয়ে বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনাটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

          বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, বহিষ্কৃত ছাত্ররা হোস্টেলের দেয়ালে দেশ ও জাতিবিরোধী বার্তা লিখে গুরুতর অন্যায় করেছেন এবং প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি নষ্ট করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি হিসেবে এক বছরের জন্য যেকোনো পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং প্রবেশপত্র (হল টিকিট) ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।

          তিনজন বহিষ্কৃত ছাত্র হলেন—আসলাম এস, সাইয়েদ এম এ এবং নাহাল ইবনু আবু লাইস। তারা সবাই সমাজকর্ম বিভাগের শেষবর্ষের ছাত্র এবং কেরালার বাসিন্দা।

          ছাত্রদের দাবি, এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। হোস্টেলের দেয়ালে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ লেখার ঘটনায় আসল দায়ীদের না খুঁজে শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার কারণে তাদেরকেই শৃঙ্খলা কমিটির সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে।

          বহিষ্কৃত ছাত্র আসলাম বলেন, ‘কে এই লেখাগুলো করেছে তা জানা না থাকলেও শুধু আমাদের মুসলিম ছাত্রদেরই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। কোনো নিয়ম অনুসরণ না করেই তড়িঘড়ি করে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

          খবরে আরও বলা হয়, হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার পরেই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়, অথচ তখন কোনো কর্মদিবস ছিল না। তড়িঘড়ি ও নিয়মবহির্ভূতভাবে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত এখন বিতর্কের কেন্দ্রে।


          তথ্যসূত্র:
          1. Tamil Nadu Institute Axes 3 Muslim Students for ‘Free Palestine’ Graffiti
          https://tinyurl.com/ycxrczjk
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ‘আবরার ফাহাদকে হত্যা জায়েজ ছিল’- ছাত্র ইউনিয়ন নেতা



            বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র শহীদ আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজের ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ছাত্র ইউনিয়নের এক নেতা ‘আবরার ফাহাদকে হত্যা জায়েজ ছিল’ বলে মন্তব্য করেছে। বুধবার (২৮ মে) দুপুরের পর এই স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হলে তা নিয়ে চলে আলোচনা-সমালোচনা।

            এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মে) জামায়েত ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারের মুক্তির পর ‘শাহবাগের পরাজয় হয়েছে’ বলে এক স্ট্যাটাস দেন আবরার ফাইয়াজ। পরে সেটিকে কেন্দ্র করে শাহরিয়ার ইব্রাহিম নামে ঢাকা মহানগর ছাত্র ইউনিয়নের ওই নেতার এমন স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হয়েছে। সে ঢাকা মহানগরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে বলে ফেসবুকের প্রোফাইল সূত্রে জানা গেছে। এরপর ফেসবুকে এই নেতার আইডিটি খুঁজে পাওয়া যায়নি।

            জানা গেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছে আপিল বিভাগ। গতকাল খালাসের পর আবরার ফাইয়াজ তার ফেসবুকের স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘শাহবাগ ২০১৩ সালে শুধু যে জামায়েত বা বিএনপি নেতাদের রাজাকার বানিয়ে ফাঁসি দেওয়া বৈধতা এনে দিয়েছিলো এমন না, পরের বছরগুলোতে দল-মত নির্বিশেষে নিরীহ মানুষকে জামায়াত-শিবির ট্যাগ দিয়ে মারাও জায়েজ করেছিলো।’

            এদিকে, তার এই স্ট্যাটাসটি নিয়ে মন্তব্য করে ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শাহরিয়ার ইব্রাহিম। সে এক স্ট্যাটাসে লেখে, ‘জাশির কুত্তা আবরার ফাহাদকে হত্যা কেন জায়েজ ছিল, দেখ তোরা!’

            পরে এ স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হলে তা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই তার শাস্তি দাবি করছেন। ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আবু সাদিক কায়েম ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘উন্মত্ত দানব শাহবাগের সাথে কেউ একমত না হলে শাহবাগ তাকে হত্যা করতে চায়। বুয়েটের শহীদ আবরার ফাহাদের ভাই আবরার ফাইয়াজ এটিএম আজহারের মুক্তির পর শাহবাগের পরাজয় হয়েছে বলার পর ছাত্র ইউনিয়ন নেতার উক্তি— “জাশির কুত্তা আবরার ফাহাদকে হত্যা কেন জায়েজ ছিল, দেখ তোরা!” এটাই প্রমাণ করে।’


            তথ্যসূত্র:
            ১.‘আবরার ফাহাদকে হত্যা জায়েজ ছিল’— ছাত্র ইউনিয়ন নেতার স্ট্যাটাস ভাইরাল
            -https://tinyurl.com/3a6ayyvn
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর ইসরায়েলে ৯৪০টি অস্ত্র শস্ত্রের চালান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র





              বিশ্বব্যাপী বিবেকবান মানুষদের সকল নিন্দা, প্রতিবাদ ও যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েল গাজায় চলমান নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে, এই গণহত্যাকে আরও শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্র বিরতিহীন ভাবে অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ মে, মঙ্গলবার ইসরায়েলে ৯৪০ তম অস্ত্র শস্ত্রের চালান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সির বরাতে জানা গেছে, দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য স্বীকার করেছে।

              মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো এই চালানগুলোর মধ্যে রয়েছে গোলাবারুদ, সাঁজোয়া যান, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ও চিকিৎসা সামগ্রী। দখলদার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৯০ হাজার টনেরও বেশি সামরিক সরঞ্জাম পেয়েছে।

              ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীরা গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা এবং বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা জোরদারের মৌখিক আহ্বান জানানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। ইসরায়েল এসব মৌখিক আহ্বান যথারীতি উপেক্ষা করে চলেছে। অন্যদিকে, সৌদি আরবসহ অনেক মুসলিম দেশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে, এমনকি পণ্য সরবরাহ সহ ইসরায়েলকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করারও প্রমাণ রয়েছে এসব দেশের বিরুদ্ধে। যা ইহুদিবাদী দখলদারদের হাতকে আরও শক্তিশালী করছে।

              মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করে মুসলিমদের রক্তের বিনিময়ে নিজেদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ হাসিল করছে।

              মার্কিন সহায়তায় দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে গাজায় ধ্বংসাত্মক অভিযান চালাচ্ছে। ইসরায়েলের এই সামরিক অভিযান বিশ্বজুড়ে জুলুমবিরোধী জনতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের সম্মুখীন হয়েছে। বিশ্বের অসংখ্য দেশে লক্ষ প্রতিবাদকারী প্রতিবাদ জানালেও সন্ত্রাসী ইসরায়েল মানবতার সমস্ত আহ্বান উপেক্ষা করে চলেছে।


              তথ্যসূত্র:
              1. Israel receives 940 US arms shipments since Gaza war: Defense Ministry
              -https://tinyurl.com/ydkce4vf

              2.Israel marks 800th planeload of US guns, bombs and ammo as war nears day 600
              https://tinyurl.com/2mty8kcd
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ১ লাখ পিস ইয়াবাসহ আটক যুবদল নেতা


                কক্সবাজারের টেকনাফে ১ লাখ পিস ইয়াবাসহ মো. ইকরাম (২৯) নামে এক যুবদল নেতাকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মঙ্গলবার (২৭ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার একটি চেকপোস্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (২৮ মে) সকালে উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায়।

                জানা গেছে, মো. ইকরাম টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রবিউল হোছেন ছেলে। সে ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক ছিল।

                বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় উখিয়া থেকে টেকনাফগামী একটি মোটরসাইকেল চেকপোস্টের নিকট আসলে দায়িত্বে থাকা বিজিবি সদস্যরা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে সেটিকে থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু মোটরসাইকেল চালক থামার পরিবর্তে দ্রুতগতিতে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবি সদস্যরা পেছন থেকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করলে সে সড়কে পড়ে যায়। পরে তার কাঁধে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে প্লাস্টিকে মোড়ানো এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


                তথ্যসূত্র:
                ১.এক লাখ ইয়াবাসহ যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
                -https://tinyurl.com/28zz7j62
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment

                Working...
                X