Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ০৩ যিলহজ্ব, ১৪৪৬ হিজরী || ৩১ মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ০৩ যিলহজ্ব, ১৪৪৬ হিজরী || ৩১ মে ২০২৫ ঈসায়ী​​

    ভারতে বোরকা পরে মন্দিরে প্রবেশ, দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টাকালে হিন্দু যুবক আটক


    ভারতে বোরকা পরে মুসলিম সেজে মন্দিরে আতঙ্ক ও দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টাকালে এক হিন্দু যুবককে আটক করা হয়েছে।

    গত ৩০ মে মুসলিম মিররের খবরে জানানো হয়, উগ্র হিন্দুত্ববাদী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের শাসনাধীন উত্তর প্রদেশের শামলি জেলার বরখান্দি গ্রামে ২৩ মে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। সেদিন বীরোঁ ওয়ালে মন্দিরে বোরকা পরে মুসলিম নারীর ছদ্মবেশে এক হিন্দু যুবক প্রবেশ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

    বোরকা পরে মন্দিরে প্রবেশের ঘটনায় হিন্দুদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়, যা দ্রুত সাম্প্রদায়িক উত্তেজনায় পরিণত হয়। তবে তাকে আটক করার পর জানা যায়, সে কোনো মুসলিম নারী নন, বরং হরিয়ানার ইয়ামুনানগরের বাসিন্দা এক হিন্দু পুরুষ, নাম সুনীল। জিজ্ঞাসাবাদে সে দাবি করে, নিকটবর্তী আত্মীয়দের দেখতে এসেই এমন ছদ্মবেশ ধারণ করেছিল।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তার হাঁটা-চলা ও আচরণ একেবারেই নারীর মতো ছিল না, যা দেখে তাদের সন্দেহ হয়। কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এগিয়ে গেলে সে মন্দির চত্বর থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তবে কিছুদূর যাওয়ার পরই তাকে ধরে ফেলা হয়। বোরকার ভেতর একজন পুরুষকে দেখে উপস্থিত লোকজন আরও হতবাক হয়ে পড়ে।

    এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ‘মন্দিরে মুসলিমের অনুপ্রবেশের চেষ্টা’ শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা জনমনে আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে তোলে। ভিডিও দেখে অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী এটিকে মন্দিরে মুসলিমদের কোনো নতুন সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ায়।

    স্থানীয়রা জানায়, এমন ঘটনার পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র বা হুমকি লুকিয়ে থাকতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে এবং ঘটনার প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ব্যাখ্যার দাবি জানায়।

    শামলি পুলিশ নিশ্চিত করেছে, গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনায় সাম্প্রদায়িক সংবেদনশীলতা থাকায় ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো তদন্তে নেমেছে। প্রশাসন সবাইকে গুজব না ছড়ানোর এবং শান্তিপূর্ণভাবে তদন্তে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছে।

    এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ‘আমরা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং পুরো প্রেক্ষাপট উদঘাটনের চেষ্টা করছি। সবাইকে অনুরোধ করছি, শান্ত থাকুন এবং হঠকারী সিদ্ধান্তে পৌঁছাবেন না।’

    এই ঘটনায় ধর্মীয় সংবেদনশীলতা এবং এলাকায় অস্থিরতার আশঙ্কা তৈরি করেছে। বরখান্দি গ্রামের বাসিন্দারা দ্রুত পদক্ষেপ ও প্রশাসনের আশ্বাস চেয়ে দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধ করা যায় এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Hindu man caught in Burqa entering Shamli temple; authorities launch investigation
    https://tinyurl.com/3xzzhxhh
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    গুরুতর দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে গাজার পুরো জনগোষ্ঠী




    ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটের সম্মুখীন। দেড় বছর ধরে চলমান বর্বর ইসরায়েলি অবরোধ ও সামরিক আগ্রাসনের ফলে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দা এখন দুর্ভিক্ষের “গুরুতর ঝুঁকিতে” রয়েছে। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চরম খাদ্য সংকট, অপুষ্টি ও অনাহারের মর্মান্তিক চিত্র।
    ৩০ মে, শুক্রবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজা এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুধার্ত অঞ্চল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সব লোক এখন দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

    গাজাবাসীর বর্তমান অবস্থার চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে জাতিসংঘের মানবিক সাহায্য সংস্থা ওসিএইচএ’র মুখপাত্র জেন্স লায়ের্ক বলেছে, গাজা হলো এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুধার্ত অঞ্চল। এটি হচ্ছে এমন একটি দেশ বা দেশের একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ড যার প্রতিটি লোক দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখে। এখানকার শতকরা ১০০ ভাগ লোকই দুর্ভিক্ষের মুখে।

    খাদ্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন সংস্থা আইপিসি’র মতে, গাজার ৯৩% জনগণ (প্রায় ১৯ লাখ ৫০ হাজার মানুষ) তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, যার মধ্যে ২ লাখ ৪৪ হাজার মানুষ “বিপর্যয়কর” স্তরের সম্মুখীন।

    গাজার এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মূল কারণ দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলের কঠোর অবরোধ। গত মার্চ থেকে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় খাদ্য, ওষুধ ও জরুরি ত্রাণ সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।

    ২ মার্চ থেকে সেখানে কোনো সাহায্যপণ্যই প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আর এ কারণে খাবার ও ওষুধের তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডে। এ প্রসঙ্গে জেন্স লায়ের্ক জানিয়েছে, মানবিক সহায়তাপণ্য বহন করা ৯০০টি ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল গাজায়। তবে সেখানে ৬০০টি ট্রাকের পণ্য খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোকে নিরাপত্তা ঝুঁকির ইস্যুতে ফিরে যেতে হয়েছে। এছাড়াও আমলাতান্ত্রিক ও নিরাপত্তা বাধার কারণে সেখান থেকে ত্রাণ বিতরণ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. Gaza is the ‘hungriest place on earth’, as Israel continues stranglehold on aid
    https://tinyurl.com/yrecjpey
    2. Gaza is ‘hungriest place on Earth’ with all its people at risk of famine, says UN
    https://tinyurl.com/juf2fhr5
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলায় শহীদ আরও ৭২




      ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সামরিক অভিযান প্রতিদিনই এক নতুন বিপর্যয়ের জন্ম দিচ্ছে। বেসামরিক মানুষ, বিশেষ করে শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের উপর এভাবে আগ্রাসন চালিয়ে ইসরায়েল সব ধরনের মানবিক সীমা অতিক্রম করেছে। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ৩০ মে, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ বিমান হামলায় অন্তত ৭২ জন শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৭৮ জন।

      গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছেন, ভারী উদ্ধার সরঞ্জামের অভাব এবং রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় ও অব্যাহত হামলার কারণে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাতে না পারায় এসব দেহাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।

      নিরাপদ বলে কোনো স্থান বাকি নেই গাজাবাসীর জন্য। একদিকে আকাশ ও স্থল অভিযান, অন্যদিকে ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ; গাজা যেন সাক্ষাৎ নরক হয়ে উঠেছে তার বাসিন্দাদের জন্য। ইতোমধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত ভূখণ্ডটি পুরো দখলের প্রতিজ্ঞা নিয়ে গাজায় হামলার তীব্রতা ব্যাপকহারে বাড়িয়েছে সন্ত্রাসী নেতানিয়াহুর সেনারা।

      ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় জিম্মি উদ্ধারের নামে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চলছেই। প্রতিদিনই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা; দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে লাশের মিছিল।

      গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বর্বর ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৪ হাজার ৩২১ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৭০ জন। তবে গাজার গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, শহীদের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে নিখোঁজ থাকায় তাদেরও শহীদ বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।


      তথ্যসূত্র:
      1. Gaza death toll exceeds 54,300 as Israeli assaults continue unabated
      https://tinyurl.com/4h2bxvb6
      2. Gaza death toll tops 54,300 as Israeli attacks continue
      https://tinyurl.com/2p9zftt2
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ছয়মাসের সন্তান রেখে আন্দোলনে যান বাইজিদ; হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ‘ভারতীয়’ পুলিশ



        মাত্র ছয় মাসের ছেলে সন্তান ঘরে রেখে গত বছরের ৫ আগস্ট কারফিউ ভেঙে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতনের লক্ষ্যে বন্ধুদের সাথে রাজপথে আন্দোলনে যোগ দেন বায়েজিদ বোস্তামি। সেখানেই পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তিনি। পুলিশ তাকে খুন করেই ক্ষান্ত হয়নি। আগুন দিয়ে পুড়িয়েও দেয় তার লাশ। পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়-স্বজনদের বায়েজিদ বোস্তামির লাশ একনজর দেখারও ভাগ্য হয়নি।

        শহীদ বায়েজিদ বোস্তামির বয়স ছিল মাত্র ২৩ বছর। তার বাড়ি নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার উমার ইউনিয়নের কৈগ্রাম ফার্সিপাড়া গ্রামে। তিনি মৃত সাখাওয়াত হোসেনের মেঝ ছেলে। বায়েজিদ বোস্তামির বড় ভাই এর নাম কামরুল ইসলাম (২৫) ও ছোট বোনের নাম উম্মে সালমা রুমী (১৭) আর শহীদ বায়েজিদ বোস্তামির স্ত্রীর নাম রিনা আক্তার (২০)।

        শহীদ বায়েজিদ বোস্তামির বড় ভাই কারিমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গরীব ও অসহায় পরিবারে আমাদের জন্ম। আমরা দুই ভাই এক বোন অনেক কষ্টে বড় হয়েছি। বায়েজিদ ছিল আমাদের আদরের ছোট ভাই। সে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকত। তবে সে তার সাধ্যমতো পরিবারকে টাকা পাঠাতো।

        শহীদ বায়েজিদের স্ত্রী রিনা আক্তার বলেন, তারা বিয়ে করেছেন দুই বছর হলো। একই জায়গায় চাকরি করার সুবাদে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে আসে রাফি আব্দুল্লাহ। বর্তমানে তার বয়স ১৩ মাস। ছোট্র শিশু রাফি আব্দুল্লাহ এখনও বুঝতে শিখেনি তার বাবা বেঁচে নেই।

        তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় বন্ধুদের সাথে আন্দোলনে যোগ দেয় বায়েজিদ। ঘটনার দিন দুপুরে ‘ভারতীয়’ পুলিশ বায়েজিদসহ ১৩জনকে এক সাথে আশুলিয়া এলাকায় গুলি করে হত্যা করে। তারপরে সেখান থেকে তাদের ১৩জনকে একটি গাড়িতে করে নিয়ে রাস্তার পাশে আগুন লাগিয়ে লাশগুলো জ্বালিয়ে দেয় ‘ভারতীয়’ পুলিশ।


        তথ্যসূত্র:
        ১. ছয় মাসের ছেলে রেখে আন্দোলনে যাওয়া বায়েজিদের লাশও পুড়িয়ে দেয় পুলিশ
        https://tinyurl.com/y69d2a6d
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          উত্তর গাজার শেষ সক্রিয় হাসপাতালটিও বন্ধ করে দিল দখলদার ইসরায়েল



          উত্তর গাজার একমাত্র কার্যকর হাসপাতাল আল-আওদাকে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এর ফলে চিকিৎসাধীন রোগী এবং হাসপাতালে আশ্রয় নেওয়া বহু বাস্তুচ্যুত মানুষের নিরাপত্তা ও চিকিৎসা হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

          স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আল-আওদা ছিল উত্তর গাজার শেষ হাসপাতাল যেটি তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলো। এর বন্ধ হওয়া চিকিৎসাব্যবস্থার ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের ধারাবাহিকতা। যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে অভিযোগ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

          বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, হাসপাতালটিতে রোগী স্বাস্থ্যকর্মী, আশ্রিতসহ আল-অওদায় বর্তমানে শতাধিক মানুষ অবস্থান করছে। ইসরায়েলি ঘোষণায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের সবার জীবনই। দখলদার ইসরায়েলের লাগাতার বোমা হামলায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে উপত্যকার বেশির ভাগ রাস্তাঘাট। যেকারণে হাসপাতালের সরঞ্জাম অন্য কোথাও স্থানান্তর সম্ভব হচ্ছে না। সব মিলিয়ে রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিতে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা।

          WHO আরও জানিয়েছে, ‘আল-আওদা হাসপাতালের বন্ধ হওয়া মানে উত্তর গাজার মানুষদের জন্য শেষ জীবনরেখাটিও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া।’ তারা হাসপাতাল, কর্মী এবং রোগীদের সুরক্ষার দাবি জানিয়েছে।

          আল-আওদা হাসপাতাল বন্ধ হওয়ার ঘটনা এমন সময়ে ঘটলো, যখন গাজায় মানবিক সংকট দিনে দিনে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। সন্ত্রাসী ইসরায়েল গাজার ওপর কঠোর অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তুলেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষে জানিয়েছে, গাজায় চলমান অবরোধ ও বিমান হামলায় ইতোমধ্যে ১,৪০০-র বেশি চিকিৎসাকর্মী, রোগী ও আশ্রয়প্রার্থী শহীদ হয়েছে। মানবিক সহায়তা ও চিকিৎসা নিরাপত্তার দাবিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের আরও দৃঢ় পদক্ষেপের দাবি জানানো হচ্ছে।


          তথ্যসূত্র:
          1. Israel orders closure of al-Awda Hospital, a ‘lifeline’ in north Gaza
          https://tinyurl.com/3fbnbkfs
          2. New humanitarian crisis fears as Israel expels thousands in northern Gaza, closes Al-Awda hospital
          https://tinyurl.com/2akhw2y9
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ‘চলেন ভাই, শহীদ হই’—ভাইয়ের সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে শহীদ ফরহাদের শেষ কথা





            মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. ফরহাদ হোসেন (২২)। মৃত্যুর আগের সকালেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আন্দোলনের বিষয়ে কথা বলেছিলেন তিনি। বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে ফরহাদ তার বড় ভাইয়ের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘চলেন ভাই, শহীদ হয়ে আসি।’ এটি ছিল ভাইয়ের সঙ্গে তার শেষ কথা।

            গত বছরের ৪ আগস্ট মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকায় আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন ফরহাদ। তিনি শ্রীপুর উপজেলার রায়নগর গ্রামের বাসিন্দা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। চার ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন তিনি।

            পরিবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ফরহাদের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। বড় দুই বোন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছেন। তাদের বাবা গোলাম মোস্তফা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

            পরিবার ও প্রতিবেশীদের মতে, ফরহাদ ভাইদের মধ্যে ছোট হলেও ছিলেন পরিপক্ব, দায়িত্বশীল ও সাহসী। তিনি সক্রিয়ভাবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন এবং এটিকে নৈতিক দায়িত্ব মনে করতেন। এ কারণে পরিবার কিংবা কেউই তাকে আন্দোলনে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারেননি।

            বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া বলেন, ৪ আগস্ট সকালে ফরহাদ তাকে আন্দোলনে যাওয়ার কথা বলেছিলেন এবং শহীদ হওয়ার ইচ্ছার কথা উল্লেখ করেছিলেন। ভাইয়ের এ কথা শুনে তিনি নীরব থাকলে ফরহাদ তাকে ভীরু বলে তিরস্কার করেছিলেন বলে জানান তিনি।

            গোলাম কিবরিয়া জানান, তার মায়ের হার্টের সমস্যা থাকায় সবসময় তার পাশে লোক থাকতে হয়। সে কারণে তিনি নিজে বাসায় ছিলেন। কিন্তু ছোট ভাই ফরহাদকে তিনি আটকাননি। এরপর ফরহাদ তাকে বলেছিলেন, তার জন্য দোয়া করতে যেন আল্লাহ তাকে কবুল করেন।

            ফরহাদের বড় বোন রোকেয়া খাতুন মৌসুমী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ফরহাদ তার ছোট ভাই হলেও পরিবারের সবার অভিভাবকের মতো আচরণ করতেন। সাহস, দায়িত্ববোধ ও আত্মত্যাগের মানসিকতা তাকে সবার থেকে আলাদা করেছিল।

            ঘটনার দিন সকালে রায়নগর থেকে সাতজনের একটি দল ইজিবাইকে করে কয়েক দফা বাধা অতিক্রম করে পারনান্দুয়ালী এলাকায় পৌঁছে। তাদের মধ্যে ফরহাদের স্কুলবন্ধু ও ফরিদপুর রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেনও ছিলেন।

            ইমতিয়াজ জানান, সকাল ১১টার দিকে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। মহাসড়কে আগুন ও সংঘর্ষ দেখে অনেকে ভয় পেলেও নির্ভীক ফরহাদ মোটেই ভয় পাননি।

            দুপুর দুইটার দিকে তারা মিছিলের একেবারে সামনে চলে গেলে হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে ধাওয়া শুরু হয়। তখন এক পর্যায়ে একটি গুলি এসে ফরহাদের মাথায় লাগে। নছিমন যোগে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


            তথ্যসূত্র:
            ১. ‘চলেন ভাই, শহিদ হই’—ভাইয়ের সঙ্গে শহিদ ফরহাদের শেষ কথা
            -https://tinyurl.com/5n827rdx
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় বিএনপি নেতার পা ভেঙ্গে দিল বিএনপি নেতা



              নারায়ণগঞ্জে আবদুল মতিন মুন্সী (৬০) নামের এক বিএনপি নেতার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠে সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে। কিন্ত চাঁদা না দেওয়ায় বিএনপি নেতার হাত-পা ভেঙে দিয়েছে ছাত্রদল নেতা। এ ঘটনায় সোনারগাঁও উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ফারুকসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ভুক্তভোগীর মেয়ে মহিতুন নেছা (৩৬) সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। আহত মতিন মুন্সী সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও শম্ভুপুরা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক।

              মহিতুন নেছা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তার বাবা উপজেলার চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় হৈ চৈ পার্ক নামের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে। কয়েক দিন আগে তার বাবার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ফারুকসহ এলাকার চিহ্নিত ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। তার বাবা ২ লাখ টাকা দিলেও পুরো ১০ লাখ টাকার জন্য হুমকি ও ভয়ভীতি দিয়ে আসছিল।

              গত বুধবার সন্ধ্যায় চরকিশোরগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় তার বাবার কাছে পুনরায় চাঁদা দাবি করলে দিতে অস্বীকৃতি জানালে ফারুকসহ তার বাহিনীর শহিদ, বাবু, রিমন, সোহাগ, মাসুদ, ফয়জল, মহিন ও সাব্বির দেশি অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম এবং হাত-পা ভেঙে পালিয়ে যায়। পরে তার চিৎকার শুনে এলাকাবাসী উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে ভর্তি করে।

              তথ্যসূত্র:
              ১. ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, বিএনপি নেতার হাত-পা ভেঙে দিলেন ছাত্রদল নেতা
              https://tinyurl.com/ykskbbh2
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ঘুষ লেনদেনের সময় হাতেনাতে আটক বিএনপি নেতা


                কক্সবাজার জেলা পরিষদে ঘুষ লেনদেনের সময় বিএনপি নেতা কামরুল হাসানকে হাতেনাতে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে মূল অভিযুক্ত জেলা পরিষদের নিম্নমান সহকারী রেজাউল করিম কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

                মঙ্গলবার (২৮ মে) গ্রেপ্তারকৃত কামরুল হাসানকে আদালতে হাজির করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গাঁ তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয় সে।

                মামলার এজাহারে বলা হয়, কুতুবদিয়ার বাসিন্দা আজিজুল হক কক্সবাজার জেলা পরিষদের জমিতে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিচ্ছিল। এ সময় রেজাউল করিম তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে। মঙ্গলবার বিকেলে আজিজুল ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জেলা পরিষদে গেলে রেজাউল করিম টাকা নিয়ে তা পাশে থাকা কামরুলের হাতে দেয়।

                ঘুষ লেনদেনের এ সময় দুদকের ফাঁদ পাতা টিম রুমে ঢুকে কামরুল হাসানকে হাতে নাতে ৫০ হাজার টাকাসহ আটক করে। পরে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে রেজাউল করিম ও কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।


                তথ্যসূত্র:
                ১. ঘুষ লেনদেনের সময় হাতেনাতে আটক বিএনপি নেতা
                https://thedailycampus.com/crime-and-discipline/202860
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  Originally posted by Al-Firdaws View Post
                  ভারতে বোরকা পরে মন্দিরে প্রবেশ, দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টাকালে হিন্দু যুবক আটক
                  এগুলো করার কারণ কী? এরা আসলে কোন্ ক্যাটাগরির অটিজমের শিকার? এই অটিজমের নাম কী? এটা কি কোনো ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের ফলে হতে পারে? এর কি কোনো ভ্যাক্সিন আছে? আবার এটাও (অটিজম ও ভ্যাক্সিন) কিন্তু একটা বলিউড সিনেমার বিষয় বস্তু হতে পারে।

                  Comment

                  Working...
                  X