Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ০৪ যিলহজ্ব, ১৪৪৬ হিজরী || ০১লা জুন, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ০৪ যিলহজ্ব, ১৪৪৬ হিজরী || ০১লা জুন, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    ভিডিও || ভারতে ‘অনুমতি না থাকার’ অজুহাতে নির্মাণাধীন মসজিদে বুলডোজার হামলা



    ভারতের আইনে ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণে সরকারি অনুমতির বাধ্যবাধকতা না থাকলেও, উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরে ‘অনুমতি না থাকা’র অজুহাতে একটি নির্মাণাধীন মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ২৯ মে নাকুর ব্লকের ভোজপুর গ্রামে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় স্থানীয় মুসলিমদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, মসজিদটির নির্মাণকাজ গত এক মাস ধরে বন্ধ ছিল।

    ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘মসজিদ নির্মাণের জন্য কোনও সরকারি অনুমতি নেওয়া হয়নি। বারবার নিষেধ করার পরও নির্মাণ চালু থাকায় ২৯ মে কাঠামোটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।’

    স্থানীয়দের অভিযোগ, মসজিদ ভাঙার আগে কোনও ধরনের লিখিত নোটিশ দেওয়া হয়নি। সাহারানপুরের কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদ বলেন, ‘প্রশাসন কোনও নোটিশ জারি না করেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ১৮৬৩ সালের ধর্মীয় দান আইনে ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণে অনুমতির বাধ্যবাধকতা নেই।

    ভোজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ওয়াজিদ আলী গণমাধ্যমকে জানান, অনুমোদনের ঘাটতি ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার অভাবে পুলিশ পূর্বে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে গ্রামবাসীরা জেলা পঞ্চায়েত চেয়ারম্যানের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেন। কিন্তু তিনি নিজেকে দায়িত্ববহির্ভূত বলে জানিয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

    ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয়রা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লিখিত আবেদন জমা দেন, তবে কোনও আনুষ্ঠানিক সাড়া পাননি। মৌখিকভাবে তাদের পঞ্চায়েতের মুখ্য অধিকারীর (এএমএ) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। তখন এএমএ তাদের জানান, ‘এটি একটি ছোট ধর্মীয় স্থাপনা; আপনারা এটি নির্মাণ চালিয়ে যেতে পারেন।’

    ২৯ মে সকাল ১১টার দিকে এসডিএম সদর সুবোধ কুমার, এএসপি মনোজ যাদব ও জেলা পঞ্চায়েতের জে ই আদেশ কুমার তিনটি বুলডোজার এবং বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আরআরএফ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং মসজিদটি গুঁড়িয়ে দেয়।

    ওয়াজিদ আলীর অভিযোগ, ভাঙার আগে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। জেলা পঞ্চায়েত বোর্ড সদস্য মজিদ আলী জানান, ২০২৩ সালে দুই ভাই ওই জমি দান করেন এবং তৎপরবর্তীতে টিনের ছাউনির নিচে নামাজ আদায় হতো। পরবর্তীতে স্থানীয় মুসলিমরা নিজস্ব অর্থায়নে মসজিদ নির্মাণ শুরু করেন। মসজিদের নিচতলার কাজ চলাকালীন এই ভাঙচুর করা হয়।

    ভিডিওটি আর্কাইভ থেকে দেখুন:

    https://archive.org/serve/demolished...C06%2C2025.mp4

    তথ্যসূত্র:
    1. ‘No notice, just bulldozers’: In Uttar Pradesh’s Saharanpur, mosque demolished amid community outrage
    https://tinyurl.com/3maaspk5
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ‘ক্লাস করা লাগবে না, প্রোগ্রামে চল’; ছাত্রদলের প্রোগ্রামে না যাওয়ায় নারী শিক্ষর্থীদের হল ছাড়ার হুমকি ছাত্রদল নেত্রীর।





    শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ছাত্রদলের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় বেগম সৈয়দুন্নেছা হলের দুই শিক্ষার্থীকে রুম ছাড়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী তাহসিন আক্তার মুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী এবং শেকৃবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের অনুসারী।

    ভুক্তভোগী ১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী রূপা রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, গত ১ মে থেকে আমাকে ও আমার রুমমেট উম্মে সুমাইয়া সুপ্তিকে ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য চাপ দিচ্ছে মুন। সে আমাদের বলে, ‘ক্লাস করা লাগবে না, প্রোগ্রামে চল। স্যার ক্লাশে প্রেজেন্ট দিয়ে দিবে।’

    ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরও জানায়, মুন বিভিন্ন সময়ে বলত, আমাদের রুম অন্যদের নামে বরাদ্দ হয়ে গেছে। এমনকি ১৫ তারিখের আগেই রুম ছেড়ে গণরুম বা অন্য কোথাও উঠতে হবে। তার কথায় সাড়া না দেওয়ায় সে আমাদের হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়।

    একই রুমের অন্য ভুক্তভোগী, ২২-২৩ সেশনের উম্মে সুমাইয়া সুপ্তি অভিযোগ করে, মুন দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদলের প্রোগ্রামে যেতে আমাদের চাপ দিয়ে আসছে। পরীক্ষার আগের দিনও সে আমাদের প্রোগ্রামে ডাকত। আমি না গেলে আমাকে ‘বেয়াদব’ আখ্যা দেয় এবং সিনিয়রদের মাধ্যমে আমাকে প্রোগ্রামে যেতে চাপ প্রয়োগ করে। মনে হচ্ছে, ছাত্রলীগের যুগ ফিরে এসেছে। ছাত্রলীগও একইভাবে প্রোগ্রামে যেতে ডাকত। তারা ক্ষমতায় আসার আগেই যা করতেছে, ক্ষমতায় এলে যে কী করবে! তাই প্রশাসনের কাছে আবেদন, প্রোগ্রামে যাওয়া নিয়ে এ ধরনের প্রেশার এখনই যেন বন্ধ হয়।

    ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা আরও দাবি করেন, মুনের ছাত্রত্ব শেষ। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী সিট পাওয়ার যোগ্য না হলেও সে বেগম সৈয়দুন্নেছা হলের ৩১৬ নাম্বার কক্ষে একাই অবস্থান করছে।


    তথ্যসূত্র:
    ১. ছাত্রদলের প্রোগ্রামে না যাওয়ায় ছাত্রীদের রুম ছাড়ার হুমকি
    -https://tinyurl.com/78a3ye57
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      সীমান্তে লাইট বন্ধ করে পুশইনের চেষ্টা বিএসএফের; বিজিবি ও স্থানীয়দের বাধায় ব্যর্থ


      কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা সীমান্তে পুশইনের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও স্থানীয়দের বাধার মুখে পিছু হঁটতে বাধ্য হয় তারা। শুক্রবার (৩০ মে) রাতে কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের শোভারকুটি ও শিপেরহাট সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

      স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবরী জেলার গোলকগঞ্জ থানার বিএসএফ সদস্যরা দুটি পিকাপ ভ্যানে ৫০/৬০জন নাগরিককে বাংলাদেশর সীমান্ত লাগোয়া ভারতের ফাইসকারকুটি গ্রামের একটি স্কুলে পুশইন করার জন্য জড়ো করে। পরে সীমান্ত গ্রামটির সব লাইট বন্ধ করে পুশইন করার চেষ্টা করে বিএসএফ। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে শত শত জনতা সীমান্তে অবস্থান নেয়। পরে কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির কচাকাটা ও কেদার ক্যাম্পের সদস্য ও আনসার ভিডিপির কয়েকটি টিম সীমান্তে কঠোর অবস্থান নেয়।

      অন্যদিকে বিএসএফও অবস্থান নেয় ভারতীয় সীমান্তে। পরে রাত ২টার দিকে শূন্য রেখায় অবস্থান নেয় বিএসএফ। এসময় বিএসএফ কয়েক দফা বিজিবির সাথে কথা বলতে চাইলে বিজিবি তা প্রত্যাখ্যান করে। পরবর্তীতে রাত তিনটার দিকে শূন্য রেখা থেকে সরে যায় বিএসএফ।


      তথ্যসূত্র:
      ১. সীমান্তে পুশইনের চেষ্টা বিএসএফের, রুখে দিল বিজিবি-জনতা
      https://tinyurl.com/mwwjzn7m
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ভারতের উত্তরাখণ্ডে ওয়াকফ জমিতে লাশ দাফনে বাধা দিলো হিন্দুত্ববাদীরা





        ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের নৈনিতাল জেলার রামনগরের গৌজানি এলাকায় এক মুসলিম ব্যক্তিকে ওয়াকফকৃত জমিতে দাফনের সময় বাধা দিয়েছে স্থানীয় হিন্দুত্ববাদীরা। জমি মুসলিমদের ওয়াকফ সম্পত্তি হওয়া সত্ত্বেও বিজেপি কর্মীদের আপত্তিতে বাধাপ্রাপ্ত হয় স্বজন হারানো পরিবারের শেষ বিদায়।

        গত ৩১ মে মুসলিম মিরর-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মুসলিম পরিবারটি তাদের প্রিয়জনকে স্থানীয়ভাবে পরিচিত ওয়াকফ জমিতে দাফনের জন্য প্রস্তুতি নিলে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাসিন্দা এবং বিজেপি নেতা-কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে বাধা দেয়। তাদের দাবি, জমিটি কোনোভাবে কবরস্থানের অন্তর্ভুক্ত নয়, বরং এটি হিন্দুদের মালিকানাধীন জমি।

        স্থানীয় বিজেপি নেতা মদন যোশী দাবী করে, দাফনের চেষ্টা করা স্থানটি অনুমোদিত কবরস্থান থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে। ‘এই জমি সরকার স্বীকৃত কবরস্থানের অংশ নয়। এখানে দাফন সম্পূর্ণ অবৈধ এবং এটি পূর্ববর্তী সম্প্রীতির চুক্তিরও লঙ্ঘন।’

        বিরোধ চরমে পৌঁছালে প্রশাসন এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে। পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, প্রশাসনের যথাযথ অনুমতি ছাড়া কোনও জমিতে দাফন বা স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হবে না।

        এই সময় পরিস্থিতি আরও নাটকীয় মোড় নেয়, যখন কয়েকজন মুসলিম যুবক খনন করা কবরে নেমে প্রতিবাদ শুরু করেন এবং ঘোষণা দেন যে, দাফন না হওয়া পর্যন্ত কবরটি ভরাট করতে দেওয়া হবে না। অবশেষে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয় এবং দাফনের জন্য পরিবারটিকে সরকার অনুমোদিত কবরস্থানে পাঠিয়ে দেয়। খননকৃত কবরটি পরে পুলিশ মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়।

        প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৯৯৪ সাল থেকেই জমিটি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। মুসলিমদের ওয়াকফ সম্পত্তিকে হিন্দুরা নিজেদের বলে দাবী করে বসলে বিরোধ তৈরী হয়, তখন উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছিল যে, নির্ধারিত কবরস্থানের সীমানার বাইরে দাফন করা যাবে না। কিন্তু মুসলিমদের দাবি, জমিটি ওয়াকফ সম্পত্তি এবং তাদের দাফনের অধিকার রয়েছে সেখানে। বিজেপি নেতা যোশী ওয়াকফ বোর্ডকে উদ্দেশ্য করে জানায়, ‘তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বিতর্কিত জমিতে দাফনের চেষ্টা চালিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বাড়াচ্ছে।’ সে আরও দাবি করেন, ‘জমিটি এক হিন্দু পরিবারের ছিল যাদের কোনো উত্তরাধিকারী বেঁচে নেই।’

        বর্তমানে এলাকাটি সংবেদনশীল হিসেবে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত পুলিশ এবং সশস্ত্র সীমা বল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে রাজস্ব বিভাগ জমির প্রকৃত মালিকানা ও কবরস্থানের সীমা নির্ধারণে জমির রেকর্ড যাচাই করছে।


        তথ্যসূত্র:
        1. BJP workers stop burial of Muslim man over dispute on alleged Waqf land in Uttarakhand
        https://tinyurl.com/37xkymyw
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতীয় পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় এক কাশ্মীরি পিতা নিহত


          কাশ্মীরের শ্রীনগরের বেমিনা এলাকায় দ্রুতগামী পুলিশের একটি গাড়ির ধাক্কায় আলী মুহাম্মদ নামে এক মুসলিম পিতা নিহত হন। গত ৩০ মে, শশুরবাড়ি থেকে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ফেরার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় পুলিশের গাড়িটি পেছন থেকে তাদের ধাক্কা দেয়। মেয়ের চোখের সামনেই গাড়িটি মুহাম্মদের বুকের উপর দিয়ে চলে যায়, যার ফলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

          মেয়েটি জানায়, ‘আমাদের পিছন থেকে আঘাত করা হয়েছিল। বাবা ডানদিকে পড়ে গেলেন, আমি বামদিকে। তবুও গাড়িটি থামেনি, সরাসরি তার বুকের উপর দিয়ে চলে যায়।’ অনেকেই এই ঘটনাকে দখলদার পুলিশের ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড হিসেবে দেখছেন, যা কাশ্মীরিদের প্রতি ভারতীয় বাহিনীর অমানবিক আচরণ ও দমননীতির এক বেদনাদায়ক ধারাবাহিকতা।

          পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে নেওয়ার পর পুলিশ আলী মুহাম্মদের মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ বলে চালানোর চেষ্টা করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পরিবার ও এলাকাবাসী প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। টানা তিন ঘণ্টার বিক্ষোভের পর শেষ পর্যন্ত বেমিনা থানায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়।

          সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করছে এবং ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিচ্ছে। তবে একই সময়ে, পুলিশ স্থানীয় গণমাধ্যমকে ঘটনাটি কভার করতে বাধা দেয় এবং সাংবাদিকদের হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেয়নি, যা আরও ক্ষোভের জন্ম দেয়।


          তথ্যসূত্র:
          1. “Vehicle didn’t stop—it ran over his chest”: Kashmiri man crushed under police vehicle in Srinagar; daughter survives
          https://tinyurl.com/2ucd8m66
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভর্তি পরীক্ষায় ছাত্রশিবিরের হেল্প ডেস্কে ছাত্রদলের হামলা; আহত ০৯ জন


            ৮ বছর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩১ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত একযোগে দেশের ১৩৭টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ছাত্রশিবিরের বসানো দুটি কেন্দ্রের হেল্প ডেস্কে ছাত্রদল ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে অন্তত ৯ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের কমার্স কলেজ ও রংপুরের পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে এ দুটি ঘটনা ঘটেছে।

            রংপুর মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি নুরুল হুদা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা ছাত্রশিবির হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছিলাম। সেখানে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কলম, পানির বোতল সরবরাহ করার পাশাপাশি তাদের মোবাইল-মানিব্যাগও জমা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
            আমাদের ডেস্কের ঠিক উল্টে পাশে চিড়িয়াখানা গ্যারেজ কর্তৃপক্ষ আরেকটি ডেস্ক বসিয়েছে। তারা টাকার বিনিময়ে মোবাইল-মানিব্যাগ জমা রাখার ব্যবস্থা করে। আর আমরা বিনামূল্যে এই সেবা দিচ্ছিলাম। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে তাদের ১৫-২০ জন এসে আমাদের ডেস্কে হামলা করে। এতে ৫ জন আহত হয়েছেন।’

            এদিকে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের সরকারি কমার্স কলেজ কেন্দ্রের হেল্প ডেস্কে ছাত্রদল হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় চারজন আহত হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি।

            তিনি বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য হেল্প ডেস্ক করা হয়। সেখানে এসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বাধা দিয়ে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এসময় বিনা উস্কানিতে তারা হামলা করেছে। এ ঘটনায় আমাদের ৪ জন আহত হয়েছেন।’


            তথ্যসূত্র:
            ১. ভর্তি পরীক্ষার দুই কেন্দ্রের হেল্প ডেস্কে ছাত্রদল-যুবলীগের হামলা, শিবিরের আহত ৯
            https://tinyurl.com/4jsbk942

            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              গাজায় ত্রাণ নিতে যাওয়া ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর সন্ত্রাসী ইসরায়েলের গুলি, নিহত ৪০




              গাজা উপত্যকায় ত্রাণ নিতে যাওয়ার পথে বর্বর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৪০ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন বলে জানিয়েছে রেড ক্রসের একটি অস্থায়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। ১ জুন, রবিবার এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

              প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শত শত মানুষ খাবার সংগ্রহ করতে যাওয়ার সময় আচমকা গুলি চালায় সন্ত্রাসী ইসরায়েলি সেনারা। গুলিবর্ষণের ঘটনাস্থলটি ছিল বিতরণকেন্দ্র থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে এবং সেটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকা।

              আল জাজিরা এ্যারাবিকের প্রতিনিধি গাজা থেকে জানিয়েছেন, ১ জুন, রবিবার দক্ষিণ গাজার রাফায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালায়। এতে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত এবং ২২০ জন আহত হন।

              ৪০ বছর বয়সী বাসিন্দা ইব্রাহিম আবু সাউদ জানান, আমরা সেনাবাহিনী থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরে ছিলাম, তখনই গুলি চালায়। এতে অনেক নারী-পুরুষ শহীদ হয়েছেন।

              ৩৩ বছর বয়সী মোহাম্মদ আবু তায়িমা বলেন, আমার চাচাতো ভাই ও এক নারী গুলিতে মারা যান। আমার ভায়রাও আহত হয়েছেন। ওরা সরাসরি আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে।

              যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এই বিতরণ ব্যবস্থাকে ‘হামাসের সহায়তা চুরি ঠেকানোর উদ্যোগ’ বলে বর্ণনা করলেও জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা একে মানবিক নীতিমালার লঙ্ঘন বলে মনে করছে। কারণ, এতে সহায়তা পেতে ফিলিস্তিনিদের নির্ধারিত স্থানে যেতে বাধ্য করা হয় এবং তা আরও গৃহহীনতা ও বিপদের ঝুঁকি বাড়িয়েছে।

              ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো গাজা, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অঞ্চলটির ৯০ শতাংশ মানুষ।


              তথ্যসূত্র:
              1. LIVE: Israeli forces kill 40 Palestinians at US-backed aid sites in Gaza
              https://tinyurl.com/y2xpedfd
              2. Dozens killed and scores injured in shooting near aid point in Gaza
              https://tinyurl.com/yn9udmuj
              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ছাত্রীকে রাস্তায় ফেলে চুল ধরে মারধর করলো ছাত্রদল নেতা


                ফরিদপুরের নগরকান্দায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বৈশাখী ইসলাম বর্ষা (১৭) নামে এক কলেজছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। হামলায় জড়িতরা ছাত্রদল নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।

                জানা গেছে, শুক্রবার (৩০ মে) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ভাবুকদিয়া গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে বৈশাখীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। ঘটনার পর সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী নিজের ফেসবুক আইডি ‘বৈশাখী ইসলাম বর্ষা’ থেকে দুটি লাইভে (১ মিনিট ৯ সেকেন্ড ও ২৭ সেকেন্ড) ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

                ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, ‘আমি বৈশাখী ইসলাম। আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। আমি একটা ইভটিজিংয়ের কেস নিয়ে প্রতিবাদ করাতে বিএনপির লোকজন আমাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করছে।’

                তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কি জুলাই আন্দোলন করা ভুল ছিল, যার কারণে রাস্তায় ফেলে বিএনপির লোকজন আমাকে মারছে। তারা আমাকে, একজন মেয়ে বলে, ইচ্ছামতো চুল ধরে টেনে লাথি মেরেছে। আমার বাবাকে খুঁজছে মারার জন্য। আমি খুব বাজে অবস্থায় আছি। আমি কী করব, বুঝতে পারছি না।’

                স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, বৈশাখীর বোনকে একই এলাকার এক যুবক যৌন হয়রানি করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সালিশ ডাকা হয়। তার আগেই বৈশাখী থানায় অভিযোগ করেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওই যুবক।


                তথ্যসূত্র:
                ১. ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে, আটক ৬
                https://tinyurl.com/cz4j4f9k
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  মে মাসে ১৭ কাশ্মীরি মুসলিম শহীদ করেছে দখলদার ভারতীয় বাহিনী, গ্রেফতার ৪৭৪




                  ভারতীয় বাহিনীর অব্যাহত দমন-পীড়নের মধ্যে গত মে মাসে কাশ্মীরের ১৭ মুসলিম শহীদ হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন নারীও আছেন। ০১ জুন কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের একটি প্রতিবেদনে এই মর্মস্পর্শী তথ্য উঠে এসেছে।

                  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহীদদের মধ্যে আটজন কাশ্মীরিকে ভারতীয় বাহিনী ভুয়া এনকাউন্টার এবং হেফাজতে হত্যা করেছে। তাদের নিখোঁজ বা বন্দি করে রাখা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে তাদের মৃতদেহ পাওয়া যায়।

                  এর পাশাপাশি কাশ্মীরিদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা দমন করতে ভারতীয় বাহিনী ব্যাপক দমন-পীড়ন চালিয়েছে। এই মাসে ২৩৬টি ঘেরাও ও তল্লাশি অভিযান এবং বাড়িঘরে অভিযান চালিয়ে ৪৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর বর্বর বলপ্রয়োগের ফলে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছে।

                  এছাড়াও ভারতের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন কাশ্মীরিদের জমি ও বাড়ি সহ ১১টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, যা এই অঞ্চলের শান্তিপূর্ণ বাসিন্দাদের উপর আরও একটি আক্রমণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।


                  তথ্যসূত্র:
                  1. Indian troops martyr 17 Kashmiris in May
                  https://tinyurl.com/yjrn3wjr
                  নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    সীমান্তে গুলি করে হত্যার পর বাংলাদেশি যুবকের লাশ নিয়ে গেল বিএসএফ



                    মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে মরদেহ নিয়ে গেছে বিএসএফ।

                    শনিবার (৩১ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের দত্তগ্রাম সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।

                    বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের নাম প্রদীপ বৈদ্য। তার বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার দত্তগ্রাম এলাকায়। সে একই এলাকার শৈলেন্দ্র বৈদ্যের ছেলে।

                    মরদেহ ভারতের কৈলাশহর হাসপাতালে আছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জয়নুল ইসলাম।

                    তিনি জানান, প্রদীপ বৈদ্য লেখাপড়ার পাশাপাশি কৃষি কাজ করতো। তাকে সীমান্তের কাটাতারের পাশে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে মরদেহ নিয়ে যায়। রাতে চেষ্টা করেও আমরা কিছু করতে পারিনি।



                    তথ্যসূত্র:
                    ১. বাংলাদেশিকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেলো বিএসএফ
                    https://tinyurl.com/39zt6pf7

                    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      পাকিস্তানের কাছে যুদ্ধবিমান হারানোর কথা স্বীকার করল ভারত





                      অবশেষে পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতে যুদ্ধবিমান হারানোর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান।

                      ৩১ মে, শনিবার সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত শাংরিলা ডায়লগে ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে বলেছে, গত মে মাসে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে ভারত কিছু যুদ্ধবিমান হারিয়েছে। তবে কতগুলো বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা স্পষ্ট করে বলেনি সে।

                      ৭ মে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী সীমান্ত সংঘাতে পাকিস্তান বিমান বাহিনী ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে তিনটি ছিল ফরাসি নির্মিত রাফায়েল জেট। তবে সেই দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই হয়নি এবং ভারত সরকারও এতদিন বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি। ঘটনার পর ভারতীয় সরকার যুদ্ধবিমান হারানোর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।

                      তবে ভারতের পক্ষ থেকে এই প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে যুদ্ধবিমান হারানোর বিষয়টি স্বীকার করা হলো।

                      এদিকে, বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা সুব্রামানিয়ান স্বামীও সম্প্রতি স্বীকার করেছে, পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।

                      এক সাক্ষাৎকারে সুব্রামানিয়ান স্বামী বলেছে, পাকিস্তান চীনা যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে আমাদের বিমানগুলো ভূপাতিত করেছে। ফরাসি বিমানের তুলনায় চীনা জেটগুলো বেশি কার্যকর ছিল। রাফায়েল ভারতের প্রয়োজন অনুযায়ী কার্যক্ষম নয়।

                      রাফায়েল চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগও তোলে সুব্রামানিয়ান স্বামী। সে বলেছে, রাফায়েল কেনাকাটায় দুর্নীতি হয়েছে, যা নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী থাকা পর্যন্ত তদন্ত হবে না।


                      তথ্যসূত্র:
                      1. Military chief admits IAF jet loss in Op Sindoor, says tactics ‘rectified’ to strike deep inside Pakistan
                      https://tinyurl.com/ms7tj73b
                      2. Indian military chief acknowledges loss of fighter jets in May conflict with Pakistan
                      https://tinyurl.com/ycywnmyu
                      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        সংস্কার প্রতিবেদনে ‘লিঙ্গ পরিচয়’ এর নামে সমকামিতাকে বৈধতা দেওয়ার শঙ্কা; ১৮০ জন শিক্ষকের উদ্বেগ





                        সংবিধান ও অন্যান্য সংস্কার প্রতিবেদনে ‘লিঙ্গ পরিচয়’ এর মোড়কে সমকামিতাকে বৈধতা দেওয়ার শঙ্কায় ১৮০ জন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষক উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন। শনিবার (৩১ মে) এ বিবৃতি দেন তারা।

                        বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা, বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ১৮০ জন সচেতন নাগরিক যারা সংবিধান, আইন এবং ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, সম্প্রতি প্রকাশিত সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে ২৮ ও ২৯ অনুচ্ছেদে বৈষম্যের অননুমোদিত কারণগুলোর তালিকায় ‘নারীপুরুষভেদ’ এর স্থলে অসংজ্ঞায়িত ‘লিঙ্গ’ শব্দের ব্যবহারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি, কেননা এই লিঙ্গ শব্দটি অসংজ্ঞায়িত থাকার সুযোগে একে লিঙ্গ পরিচয় বা ‘জেন্ডার আইডেন্টিটি’ হিসাবে ব্যাখ্যা করার মাধ্যমে এলজিবিটিকিউ+ তথা সমকামী অধিকারকে সাংবিধানিক বৈধতা দানের পথ উন্মুক্ত করবে।”

                        বিবৃতিতে বলা হয়, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনেও বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তিকরণ (ডাইভার্সিটি এন্ড ইনক্ল্যাশন) বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে যা সুস্পষ্টভাবে লিঙ্গ বৈচিত্র্যের নামে এলজিবিটিকিউ অন্তর্ভুক্তিকরণের ইঙ্গিত বহন করে। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে গণমাধ্যমের সব পর্যায়ে (‘নারী-পুরুষ’ এর পরিবর্তে) ‘সব জেন্ডার’-এর অংগ্রহণ নিশ্চিত করার সুশারিশ করা হয়েছে। পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনেও (‘নারী ও শিশুবান্ধব পুলিশিং’ এর পরিবর্তে) ‘জেন্ডার ও শিশুবান্ধব পুলিশিং’-এর সুপারিশ করা হয়েছে।”

                        “একইভাবে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনও সংবিধানের ২৮ ও ২৯ নম্বর ধারায় ‘নারী-পুরুষ’ শব্দযুগলের পরিবর্তে অসংজ্ঞায়িত ‘লিঙ্গ’ শব্দের ব্যবহারের সুপারিশ করেছে যার বাস্তবায়ন ধর্মীয় অনুশাসনের বিরুদ্ধে গিয়ে এলজিবিটিকিউ তথা সমকামীদের রাষ্ট্রীয় বৈধতা দেয়ার শামিল হবে।”

                        ১৮০ জন শিক্ষকের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এটি ভুলে গেলে চলবে না যে, বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থা মূলত ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতার ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ইসলামসহ এদেশে প্রচলিত অন্যান্য ধর্মীয় বিশ্বাসসমূহে সমকামিতা ও অপ্রাকৃতিক যৌন সম্পর্ক স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ। বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা আজও বলবৎ রয়েছে, যা অপ্রাকৃতিক যৌন সম্পর্ককে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে। যদি সংবিধান সংস্কার কমিশন বা নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত ২৮ ও ২৯ নম্বর ধারা এমনভাবে প্রয়োগ করা হয়, যা দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার বিরোধী বা তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, তাহলে এটি দেশের প্রচলিত আইন ও নৈতিক কাঠামোর মধ্যে এক বিপজ্জনক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবে এবং সমকামিতা ও অস্বাভাবিক যৌন আচরণকে সামাজিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের ঐতিহ্যবাহী পরিবারকেন্দ্রিক সমাজকে হুমকির মুখে ফেলবে।”

                        তারা বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ধর্ম, সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে কিছু চাপিয়ে দেওয়ার নাম কখনোই উন্নয়ন বা সংস্কার হতে পারে না। নারী অধিকার এবং মানবাধিকার অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে তা আমাদের নিজস্ব সমাজব্যবস্থা ও আইনি কাঠামোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে হতে হবে। অন্যথায়, তা হবে আত্মঘাতী এবং বিভ্রান্তিকর।”

                        বিবৃতি প্রদানকারী ১৮০ জন শিক্ষকের মধ্যে রয়েছেন: ৪৪ জন প্রফেসর, ৩১ জন এসোসিয়েট প্রফেসর, ৬২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এবং ৪৩ জন লেকচারার।

                        বিবৃতি প্রদানকারীদের মাঝে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬ জন, বুটেক্সের ১৩ জন, সাস্টের ১২ জন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১১ জন, আইইউবি’র ৯ জন, বুয়েটের ৭ জন, কুয়েটের ৫ জন, বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের ৩৩ জন সহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষকগণ রয়েছেন।

                        বিবৃতি প্রদানকারী শিক্ষকদের বিস্তারিত তালিকা www.mullobodh.com ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।


                        তথ্যসূত্র:
                        ১. সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবনায় ‘লিঙ্গ পরিচয়’ নিয়ে ১৮০ শিক্ষকের উদ্বেগ
                        https://tinyurl.com/43vd6fn7
                        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          গাজায় বর্বর ইসরায়েলি আগ্রাসনে শহীদ ৫৪ হাজার ৩৮১





                          অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নৃশংস গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। এতে প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণহানি। ৩১ মে, শনিবার দখলদারদের হামলায় আরও ৬০ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এতে ভূখণ্ডটিতে মোট শহীদের সংখ্যা প্রায় ৫৪ হাজার ৩৮১ জনে পৌঁছে গেছে।

                          এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় বর্বর ইসরায়েলের টানা হামলায় অন্তত ৫৪ হাজার ৩৮১ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।

                          ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার হাসপাতালে আরও ৬০টি লাশ পৌঁছেছে।

                          বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, এ সময়ের মধ্যে আহত হয়েছেন আরও ২৮৪ জন, যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামলায় মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৪ জন।

                          চলতি বছরের জানুয়ারিতে যে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের চুক্তি হয়েছিল, তা ১৮ মার্চে বাতিল করে দখলদার ইসরায়েল আবার হামলা শুরু করে। এরপর থেকে গাজায় বিমান ও স্থলপথে হামলা আরও তীব্র হয়।

                          বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা বলছে, গাজার মানুষদের না খাইয়ে রেখে এবং চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। বিস্ময়কর মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে গাজা উপত্যকা। ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডের অধিকাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।


                          তথ্যসূত্র:
                          1. Gaza death toll nears 54,400 as Israel’s genocidal war continues
                          https://tinyurl.com/2jkyp49t
                          2. Gaza death toll nears 54,400 as Israel’s genocidal war continues
                          https://tinyurl.com/44h4xaz9
                          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                          Comment


                          • #14
                            হজযাত্রীদের মিনিবাসে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনীর গাড়ির ধাক্কা



                            ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে পশ্চিম তীরজুড়ে। ৩১ মে, শনিবার ভোরে উত্তরাঞ্চলীয় শহর জেনিনে হজযাত্রীদের পরিবহনকারী একটি বাসে সামরিক গাড়ি দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দিয়েছে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনী।

                            তুর্কিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলুর প্রতিবেদন বলছে, পশ্চিমতীর এবং জর্ডানের মধ্যে কারামা সীমান্ত ক্রসিংয়ের দিকে যাওয়ার পথে জেনিন গভর্নরেট ভবনের সামনে দখলদারদের একটি সামরিক গাড়ি ধাক্কা দেয় হজযাত্রীদের বাসটিকে।

                            হজ পালনের জন্য জর্ডান হয়ে সৌদি আরব যাচ্ছিলেন বাসটিতে থাকা ফিলিস্তিনিরা। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন বেশিরভাগই বয়স্ক ফিলিস্তিনি। ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক গাড়িটি ইচ্ছাকৃতভাবে বাসটিকে আঘাত করেছে।

                            একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা মিনিবিাসটিতে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ আঘাত করছে। এসময় বয়স্ক যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

                            এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন জেনিনের ডেপুটি গভর্নর মনসুর আল-সাদি। তিনি বলেন, বাসটি গভর্নরেট ভবনের বাইরে পার্ক করা অবস্থায় দখলদাররা এটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে এবং সরাসরি আঘাত করে। ফলে আঘাতপ্রাপ্ত হন অধিকাংশ হজযাত্রী।

                            ইসরায়েলের আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য জর্ডানের বিমানবন্দর ব্যবহার করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা আনাদোলুকে জানিয়েছে, দখলদার বাহিনী এলাকা থেকে সরে যাওয়ার সময় একটি বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরিত হয়।


                            তথ্যসূত্র:
                            1. Israeli forces raid West Bank, military vehicle rams into bus carrying Hajj pilgrims in Jenin
                            https://tinyurl.com/muemrmnz
                            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                            Comment

                            Working...
                            X