উম্মাহ নিউজ || ০৫ যিলহজ্ব, ১৪৪৬ হিজরী || ০২লা জুন, ২০২৫ ঈসায়ী​​

[Al-Firdaws]

গুলি করে হত্যার ৩৬ ঘন্টা পর বাংলাদেশি হিন্দু যুবকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার দত্তগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক প্রদীপের লাশ ৩৬ ঘণ্টা পর হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার (০২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাতলাপুর সীমান্ত দিয়ে বিজিবির কাছে লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।

গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুলাউড়া থানার ওসি মো. গোলাম আফছার। তিনি জানান, ভারতের কৈলাশহর থানার পুলিশ ও কুলাউড়া থানা পুলিশের উপস্থিতিতে বিএসএফ সদস্যরা বিজিবির কাছে প্রদীপের লাশ হস্তান্তর করে।

উল্লেখ্য, উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী নিশ্চিন্তপুর এলাকায় শনিবার রাত ১১টার দিকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ঊনকোটি জেলার কৈলাশহরের রাঙ্গাউটির ওপার থেকে বিএসএফ এলোপাতাড়ি গুলি করে প্রদীপ বৈদ্যকে (১৮) হত্যা করে। নিহত প্রদীপ শরীফপুর ইউনিয়নের দত্তগ্রাম এলাকার শৈলেন্দ্র বৈদ্যের ছেলে।

---

তথ্যসূত্র:
১. বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির লাশ ৩৬ ঘণ্টা পর হস্তান্তর
– https://tinyurl.com/mvw9buym

[Al-Firdaws]

গাজায় ৯ সন্তান হারানো চিকিৎসকও শহীদ হলেন

বর্বর ইসরায়েলি হামলায় নয় সন্তান হারানো গাজার চিকিৎসক হামদি আল-নাজ্জারও শহীদ হয়েছেন। গাজার খান ইউনিস শহরের চিকিৎসক হামদি আল-নাজ্জার কয়েকদিন আগে এক নির্মম হামলায় নিজের নয়টি সন্তানকে হারিয়েছিলেন। একই হামলায় আহত হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, অবশেষে তিনিও শহীদ হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই সংবাদটি নিশ্চিত করেছে।

গত ২৩ মে ইসরায়েলি বাহিনী তার বাড়িতে বিমান হামলা চালালে ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণে তার নয় সন্তান শহীদ হয়। একই হামলায় তিনিও গুরুতর আহত হন। তার স্ত্রী ডা. আলা আল-নাজ্জার, যিনি নিজেও শিশু চিকিৎসক, সেদিন হাসপাতালের ডিউটিতে ছিলেন। সন্তানদের নিথর দেহ একে একে যখন হাসপাতালের মর্গে আসছিল, তখন এক মায়ের চোখের সামনে তার গোটা পৃথিবী যেন ভেঙ্গে পড়ে।

একজন বাবা যখন তার নয় সন্তানের লাশ চোখের সামনে দেখেন, তখন তার হৃদয়ও বুঝি আর বাঁচতে চায় না। এক ভগ্ন হৃদয় নিয়ে, নিজের যন্ত্রণার সঙ্গে লড়াই করতে করতে অবশেষে তিনিও শহীদ হলেন। ৪০ বছর বয়সী এই নিবেদিতপ্রাণ চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে নাসের হাসপাতালের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন।

হামলার পরে যে দুজন সন্তান জীবিত ছিলেন—হামদি ও তাদের ১১ বছর বয়সী ছেলে আদাম, তাদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আদাম এখনো চিকিৎসাধীন। কিন্তু হামদি আল-নাজ্জারের অবস্থা শুরু থেকেই সংকটজনক ছিল। তার মাথায় আঘাত, শরীরজুড়ে আঘাত, একাধিক হাড় ভেঙে গিয়েছে। চিকিৎসকেরা অনেক চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত হামদি শহীদ হয়ে যান।

একটি পরিবার সম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়ে গেল বর্বর ইসরায়েলি সহিংসতায়। গাজার জনপদে প্রতিদিনই এমন অগণিত পরিবারের ইতিহাস লেখা হচ্ছে চোখের পানিতে, ধ্বংসস্তূপে। এই মৃত্যু শুধু একজন চিকিৎসকের নয়—এটি এক অসহায় বাবার মৃত্যুও বটে। যে দেশ ও শহরের মানুষের প্রাণ বাঁচাতে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন, সেই শহরেই তিনি হারালেন সবকিছু—শেষ পর্যন্ত নিজেও শাহাদাত বরণ করলেন।

---

তথ্যসূত্র:
1.Gaza doctor whose nine children were killed in Israeli strike dies from injuries
– https://tinyurl.com/48n2tr4y
2. Gaza doctor who lost nine children in Israeli airstrike dies from wounds in same attack
– https://tinyurl.com/2zhk2fuk

[Al-Firdaws]

৩ হাজার স্বাস্থ্য-সরঞ্জামবাহী ট্রাক আটকে রেখেছে দখলদার ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রতিনিয়ত ভয়াবহ মানবিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে। চরম ওষুধ সংকট, নিরাপদ পানির অভাব, মহামারি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা—সব মিলিয়ে গাজাবাসীর জীবন এক ভয়ানক বিপর্যয়ের মুখে। এর মাঝেই জানা গেছে, গাজার জন্য পাঠানো ৩ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্য সরঞ্জামবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দিচ্ছে না দখলদার ইসরায়েল, যার ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।

১ জুন, রবিবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বুরশ। তিনি বলেন, মিশরের আরিশ শহর থেকে গাজায় পাঠানো স্বাস্থ্যসেবা সরঞ্জাম ও ওষুধ বহনকারী ট্রাকগুলো দখলদার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ আটকে রেখেছে। তাঁর ভাষায়, এই বাধা শুধু একটি অবরোধ নয়, বরং এটি একটি পরিকল্পিত মানবিক বিপর্যয় তৈরি করার কৌশল।

বিবৃতিতে বুরশ জানান, ইসরায়েলের এই বাধার ফলে গাজায় ডায়রিয়া, মেনিনজাইটিসসহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগ ভয়াবহ হারে ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে, গাজার ৯০ শতাংশ জনগণ এখন নিরাপদ পানির অভাবে দিন কাটাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা অবরোধ, স্বাস্থ্যসেবা সরঞ্জামের ঘাটতি এবং টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হওয়ায় শিশু ও প্রবীণরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, গাজায় নতুন যে মানবিক সাহায্য বিতরণ ব্যবস্থা চালু করেছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল তা গণহত্যার একটি হাতিয়ার। তাঁর ভাষায়, এই বিতরণ ব্যবস্থার মাধ্যমে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করছে এবং মানবিক বিপর্যয়কে আরও ঘনীভূত করছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, বর্বর ইসরায়েলি অবরোধের ফলে গাজায় এখন মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষের অবস্থা তৈরি হয়েছে। ৯০ দিনের বেশি সময় ধরে সাহায্যের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় ২৪ লাখ গাজাবাসী চরম খাদ্যসংকটে রয়েছেন। আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো একাধিকবার সতর্ক করে বলেছে, অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটি শিগগিরই দুর্ভিক্ষে পতিত হতে পারে।

---

তথ্যসূত্র:
1.Israel blocks entry of over 3,000 medical aid trucks into Gaza: Health Ministry
– https://tinyurl.com/2tds6b9h
2. Israel blocks entry of over 3,000 medical aid trucks into Gaza: Health Ministry
– https://tinyurl.com/3sj657ae

[Al-Firdaws]

উত্তর গাজার একমাত্র ডায়ালাইসিস সেন্টার ধ্বংস করল সন্ত্রাসী ইসরায়েল

গাজার উত্তরে কিডনি ডায়ালাইসিসের একটিমাত্র প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল। একে একে ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার সব সুবিধা ধ্বংস করে ফেলছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। সন্ত্রাসী ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনে গাজায় শহীদের সংখ্যা বেড়ে ৫৪ হাজার ৪১৮ জনে পৌঁছেছে।

গাজার শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী নওরা আল-কাবি ডায়ালাইসিস হাসপাতালকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে উত্তর গাজার একমাত্র এই চিকিৎসাকেন্দ্রটি ধ্বংস হয়ে গেছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মুনির আল-বুরশ বোমায় বিধ্বস্ত কেন্দ্রের ছবি শেয়ার করেছেন। আল-বুরশ কর্তৃক প্রকাশিত ফুটেজে ঘটনাস্থলে ইসরায়েলি বুলডোজার দেখানো হয়েছে। বারবার এই হাসপাতালটিতে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। আল-বুরশের মতে, কয়েক সপ্তাহ আগে পূর্ববর্তী হামলার পর কেন্দ্রটি পুনরায় চালু হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর সর্বশেষ হামলাটি ঘটে।

আল-বুরশ বলেন, হাসপাতালটি ১৬০ জনেরও বেশি রোগীকে ডায়ালাইসিসের জরুরি প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদান করে আসছিল। গাজার স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো সন্ত্রাসী ইসরায়েল কর্তৃক পদ্ধতিগতভাবে ধ্বংস করার বিষয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে এ হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।

১৮ মার্চ থেকে গাজায় দ্বিতীয় দফায় আগ্রাসন শুরু করে দখলদার ইসরায়েল। দ্বিতীয় দফার এ আগ্রাসনে গত আড়াই মাসে গাজায় শহীদ হয়েছেন তিন হাজার ৮২২ জন ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরো প্রায় ১১ হাজার।

---

তথ্যসূত্র:
1.LIVE: Israel destroys Gaza dialysis centre; outrage grows at GHF killings
– https://tinyurl.com/zkdyk2e7
2. Israeli strikes destroy Gaza dialysis hospital treating over 160 patients
– https://tinyurl.com/2w38s39u

[Al-Firdaws]

ভারতের উত্তর প্রদেশে নিম্ন শ্রেণির হিন্দুর বিয়ে অনুষ্ঠানে উচ্চ বর্ণের হিন্দুদের সম্মিলিত হামলা

ভারতের উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলার রাসরা শহরে একটি দলিত পরিবারের (নিম্ন শ্রেণির হিন্দু) বিবাহ অনুষ্ঠানে সম্মিলিত হামলা চালিয়েছে উচ্চ বর্ণের হিন্দুত্ববাদীরা। হামলা চলাকালীন, হিন্দুত্ববাদীরা দলিতদের বিরুদ্ধে বর্ণভিত্তিক গালাগালি এবং অপমানজনক মন্তব্য করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় দুই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন।

গত ১ জুন ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, ৩০ মে বালিয়া জেলার রাসরা শহরে এ ঘটনাটি ঘটে। খবরে বলা হয়, নিম্ন শ্রেণির এক হিন্দু পরিবার একটি হল রুম ভাড়া করে বিয়ের আয়োজন করেছিলেন। এই অনুষ্ঠানেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঁচু বর্ণের হিন্দু জনতা হামলা চালায়। হিন্দুত্ববাদীরা অভিযোগ করছে, ‘নিম্ন শ্রেণির হয়ে কীভাবে তারা একটি হল রুমে বিয়ের আয়োজন করতে পারে?’

আহতদের মধ্যে একজনের ভাই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানান, “আমরা আনন্দের সাথে উদযাপন করছিলাম, হঠাৎ একদল লোক এসে চিৎকার করে বলে, ‘দলিতরা কীভাবে একটি হল রুমে বিয়ে করতে পারে?’ এরপর তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করে।”

উল্লেখ্য যে, হিন্দু ধর্মের কুসংস্কার ও বর্ণবাদী ধ্যান-ধারণা দীর্ঘকাল ধরে ভারতীয় সমাজে বৈষম্য সৃষ্টি করে আসছে। উচ্চ বর্ণের হিন্দুরা তাদের সামাজিক ও ধর্মীয় প্রথায় এমন কুসংস্কারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, যা দলিতদের সামাজিক ও ধর্মীয় অধিকারকে খর্ব করে। তারা বিশ্বাস করে যে, দলিতদের জাকজমকপূর্ণ আচার-অনুষ্ঠান করার অধিকার নেই, এবং তাই তারা দলিতদের অনুষ্ঠানগুলোতে বাধা দেয় বা আক্রমণ করে।

---

তথ্যসূত্র:
1. “How can you hold wedding in hall?”: Dalit family attacked by caste-Hindu men in UP for hosting wedding in marriage hall
– https://tinyurl.com/2597rz8w

[Al-Firdaws]

পাকিস্তানের প্রতি ‘সহানুভূতির’ অভিযোগে ভারতে গণগ্রেফতার

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে পাকিস্তানের প্রতি ‘সহানুভূতি’ দেখানোর অভিযোগে অন্তত ৮১ জন মুসলমান নাগরিককে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক পরিবেশে এই ধরণের দমন-পীড়ন এক নতুন উদ্বেগের মাত্রা ছুঁয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

২ জুন, রবিবার ভারতের এক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

গ্রেপ্তারের ঘটনাগুলো ঘটেছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছে, ‘পাকিস্তানের প্রতি সহমর্মিতা দেখানোর দায়ে রাষ্ট্রবিরোধী ৮১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

কট্টর হিন্দুত্ববাদী এই বিজেপি নেতা এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা সার্বক্ষণিকভাবে সামাজিক মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী পোস্টের ওপর নজর রাখছি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

আসাম পুলিশ আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানায়, গ্রেফতার হওয়া এক ব্যক্তি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা পোস্ট করেছিলেন। তবে বাকি গ্রেফতারদের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মুসলমানদের প্রতি অব্যাহত বৈষম্য, দমন এবং ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে গ্রেফতারের ঘটনাগুলো এখন প্রায় নিয়মিত চিত্রে পরিণত হয়েছে। পাকিস্তানের নাম উচ্চারণ করাই এখন দেশদ্রোহের শামিল হয়ে উঠেছে। হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার ও মোদির নেতৃত্বাধীন প্রশাসন বহুদিন ধরেই ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কৌশলগত নিপীড়ন চালিয়ে আসছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, আসামে সাম্প্রতিক গ্রেফতারগুলো ভারতের ‘ইসলাম-বিদ্বেষী’ রাষ্ট্রীয় নীতিরই বহিঃপ্রকাশ। শুধু মতপ্রকাশ বা ধর্মীয় অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য কাউকে কারাগারে পাঠানো ব্যক্তি স্বাধীনতার মারাত্মক লঙ্ঘন।

ভারতে সংখ্যালঘুদের প্রতি রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের ঘটনা ক্রমশ বাড়লেও আন্তর্জাতিক মহলের ভূমিকা এখনো অনেকটা নীরব। বিশেষত, মুসলমানদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের বিষয়ে পশ্চিমা বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থা গুলো আজ নিশ্চুপ। ভারতের তথাকথিত গণতান্ত্রিক আবরণে হিন্দুত্ববাদী শাসনব্যবস্থার নিচে সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, আসামের এই ঘটনা তা স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে।

---

তথ্যসূত্র:
1. 81 arrested in India for showing ‘sympathy’ for Pakistan
– https://tinyurl.com/bdf39jze
2. India arrests 81 for ‘sympathizing’ with Pakistan
– https://tinyurl.com/y5ztv44b

[Sabbir Ahmed]

আল্লাহ তাআলা এই জালিমদের ধ্বংস করুন, আমীন