Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ০৯ যিলহজ্ব, ১৪৪৬ হিজরী || ০৬ জুন, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ০৯ যিলহজ্ব, ১৪৪৬ হিজরী || ০৬ জুন, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    কাশ্মীর সীমান্তে গ্রামবাসীকে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বিএসএফ



    ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী গ্রামবাসীদের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, “গ্রাম প্রতিরক্ষা রক্ষী” (ভিডিজি) কর্মসূচির আওতায় এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তবে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে এই উদ্যোগকে দেখা হচ্ছে হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের ইসলামবিদ্বেষী রাজনীতির অংশ হিসেবে, যা কাশ্মীরি মুসলিমদের দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

    বিএসএফ দাবি করছে, এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য গ্রামবাসীদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো। প্রশিক্ষণে মৌলিক আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার, রাইফেল ও হ্যান্ড গ্রেনেড চালানোর পদ্ধতি, রাতের টহল দেওয়া এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ শেখানো হচ্ছে। এমনকি কিছু এলাকায় নারী ও কিশোরীদেরও আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

    কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রশিক্ষণ প্রকৃতপক্ষে কাশ্মীরের মুসলিম প্রধান এলাকায় ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা। মোদি সরকারের উগ্র হিন্দুত্ববাদী নীতির অধীনে কাশ্মীরি মুসলমানদের দীর্ঘদিন ধরে সামরিকীকরণ, জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। বিএসএফের এই প্রশিক্ষণ স্থানীয়দের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি এবং ভারতপন্থী মিলিশিয়া গড়ে তোলার ষড়যন্ত্র বলে মনে করা হচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকার কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বিলোপ (৫ আগস্ট, ২০১৯), নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ), এবং মুসলিমবিরোধী লিঞ্চিংয়ের মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে মুসলিমদের ভারতের মূলস্রোতে ঠাঁই দেওয়ার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই।

    এখন, সীমান্তবর্তী গ্রামবাসীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে স্থানীয় মুসলিম যুবকদের ভারতীয় রাষ্ট্রের পক্ষে লেলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এর মাধ্যমে ভারত সরকার কাশ্মীরে একটি বিভক্ত সমাজ গড়ে তুলতে চাইছে যেখানে মুসলিমরা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

    কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা ভারত সরকারকে আরও উৎসাহিত করছে। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বারবার কাশ্মীরে ভারতের নৃশংসতার কথা উল্লেখ করলেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

    বিএসএফের এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি কাশ্মীরের জটিল পরিস্থিতিতে নতুন অশান্তির বীজ বপন করতে পারে। এটি কেবল স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তাহীনতাই বাড়াবে না, বরং হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রের মুসলিমবিদ্বেষী এজেন্ডাকে আরও এগিয়ে নেবে। কাশ্মীরি মুসলমানরা আজও স্বাধীনতা ও মর্যাদার জন্য সংগ্রাম করছে, কিন্তু ভারতের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস তাদের জীবনে প্রতিদিন নতুন করে আতঙ্কের প্রাচীর গড়ে তুলছে।


    তথ্যসূত্র:
    1. BSF Trains Villagers In J&K Border Areas On How Firearms Work, Self-Defence
    -https://tinyurl.com/mr3w4yfh
    2. Army, BSF train border VDGs in arms handling in J&K
    https://tinyurl.com/yprmawbv
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    সন্ত্রাসী ইসরায়েলকে রক্ষায় জাতিসংঘে পাঁচবার ভেটো যুক্তরাষ্ট্রের!



    দীর্ঘদিন ধরে চলমান গাজা সংকট নতুন এক ভয়াবহ মোড়ে পৌঁছেছে। অব্যাহত হামলা, মানবিক সহায়তার ঘাটতি এবং শিশুরা পর্যন্ত ক্ষুধায় কাতর—এই চিত্রেই এখন গাজা উপত্যকার জীবন আটকে আছে। এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল, যাতে গাজায় তাৎক্ষণিক নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু আবারও ভেটো দিয়ে সেই প্রস্তাব আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে দেশটি পাঁচবার ইসরায়েল সম্পর্কিত প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তার ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করেছে।

    ৪ জুন, বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য দেশের মধ্যে ১৪টি দেশ যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিলেও যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র দেশ হিসেবে প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেয়। এর ফলে প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়। গতবারও দখলদার ইসরায়েলের প্রধান মিত্র সন্ত্রাসী যুক্তরাষ্ট্র একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আটকে দেয়।

    এই ভেটোর পরিপ্রেক্ষিতে চীনের রাষ্ট্রদূত ফু কং সন্ত্রাসী যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, দখলদার ইসরায়েল ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতিটি সীমা অতিক্রম করেছে’ এবং জাতিসংঘের প্রস্তাব লঙ্ঘন করছে। একটি দেশের সুরক্ষা থাকার কারণেই এইসব লঙ্ঘন থামানো যাচ্ছে না বা জবাবদিহির আওতায় আনা যাচ্ছে না।

    আল জাজিরার জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেন, এই ভেটোর মাধ্যমে ‘যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরি একঘরে হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘একটি বৈশ্বিক স্রোত তৈরি হচ্ছে, যা ইসরায়েল ও গাজায় তার কার্যক্রমের বিরুদ্ধে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই এখনো ইসরায়েলকে রক্ষা করতে গিয়ে এই প্রবাহ আটকে রাখার চেষ্টা করছে। এটি আত্মরক্ষা নয়, বরং গাজায় দখল ও অবরোধকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টাই করছে ইসরায়েল।’

    যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭০ সালে সন্ত্রাসী ইসরায়েলকে বাঁচাতে তার ভেটো ক্ষমতার ব্যবহার শুরু করে। এরপর থেকে ইসরায়েল সম্পর্কিত নিরাপত্তা পরিষদের খসড়া প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আরও পাঁচবার তার ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করেছে।

    এদিকে গাজায় বরর্বর ইসরায়েলি হামলা আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেইর আল-বালাহ ও মধ্য গাজা জুড়ে চলছে বোমাবর্ষণ। শুধু বুধবারই সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৯৭ জন শহীদ ও ৪৪০ জন আহত হয়েছে। খাদ্য সংগ্রহ করতে আসা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। ২৭ মে থেকে মার্কিন সমর্থিত ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন’-এর সহায়তা কেন্দ্রগুলোর আশপাশে জমায়েত হওয়া শতাধিক মানুষকে শহীদ করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।


    তথ্যসূত্র:
    1. US vetoes UN Security Council demand for Gaza ceasefire
    https://tinyurl.com/6ek6xm35
    2. US vetoes resolution for unconditional Gaza ceasefire at UN security council
    https://tinyurl.com/3mkby5aa
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X