Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ১৪ যিলহজ্ব, ১৪৪৬ হিজরী || ১১ জুন, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ১৪ যিলহজ্ব, ১৪৪৬ হিজরী || ১১ জুন, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    ভারতে ‘বিদেশি’ শনাক্তকরণের নামে মুসলিমদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে


    উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যে কথিত ‘বিদেশি’ শনাক্তকরণের নামে বাংলাদেশে পুশব্যাক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুসলিমদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকারকর্মীরা। এই বহিষ্কার অভিযানে বহু নিরীহ মুসলিম নাগরিককে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে টার্গেট করা হচ্ছে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মানবাধিকারকর্মী জানিয়েছেন, আসামে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে যেসব মানুষকে ‘বিদেশি’ ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের অনেকেই দারিদ্র্যের কারণে উচ্চ আদালতে রায় চ্যালেঞ্জ করতে পারেননি। আর এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েই বেছে বেছে মুসলিমদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হচ্ছে।

    গত মে মাস থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত আসাম রাজ্য কর্তৃপক্ষ ৩০৩ জনকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করেছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তার ভাষায়, ‘বিদেশি’ চিহ্নিতদের বহিষ্কারে সুপ্রিম কোর্টের চাপ রয়েছে এবং সরকার আরও তৎপর হবে।

    আসামে বহু দশক ধরে বসবাসরত এমন হাজার হাজার পরিবার রয়েছে, যারা মূলত বাংলা ভাষাভাষী কিন্তু এই পরিবারগুলোর অনেকেই এখন নাগরিকত্ব সংকটে পড়েছেন।

    ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের রায়ে ‘বিদেশি’ হিসেবে চিহ্নিত হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা আসামে প্রায় ৩০ হাজার। এদের অনেকেই বহু প্রজন্ম ধরে রাজ্যে বসবাস করছেন, রয়েছে জমি-জমা, সন্তানদের পড়ালেখা, এমনকি সরকারি চাকরিও। কিন্তু অধিকাংশই দরিদ্র হওয়ায় ট্রাইব্যুনালের রায় উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করার সামর্থ্য রাখেন না।

    আসাম-ভিত্তিক মানবাধিকার আইনজীবী এবং কংগ্রেস নেতা আমান ওয়াদুদ বলেন, ‘সরকার বিচারাধীন মামলাগুলোকেও উপেক্ষা করছে। তারা নির্বিচারে মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে বাংলাদেশে।’ মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এই ধরনের পুশব্যাক কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী। তাদের আশঙ্কা, বিচারাধীন এবং প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদেরও ভুয়া নথির ভিত্তিতে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হতে পারে।


    তথ্যসূত্র:
    1. India intensifies expulsion of suspected foreigners to Bangladesh
    https://tinyurl.com/5ey6db5e
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্ৰুপের সংঘর্ষে আহত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু



    ​শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রদলের দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুরুতর আহত ইয়াসিন মৃধা (১৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১০ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানী ঢাকার মগবাজার এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

    জানা গেছে, নিহত ইয়াসিন ভেদরগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হানিফ মৃধার ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তবে তিনি রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন কি না, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

    স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দু’টি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এই দ্বন্দ্বের জের ধরে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাত ৮টার দিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় সংঘর্ষে লাঠিসোটা, রড এবং দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাকিম, কনস্টেবল জাহিদ ও ইয়াসিনসহ অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়।

    তাদের মধ্যে ইয়াসিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এবং পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ৫ দিন চিকিৎসা শেষে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

    নিহত ইয়াসিন মা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমার ছেলে তো রাজনীতি করে না, মাদরাসায় পড়ে। ওরে কেন মারলো? ওর কোনো শত্রু ছিল না। যারা আমার ছেলেকে যারা মেরেছে, আমি তাদের ফাঁসি চাই।’


    তথ্যসূত্র:
    ১.ভেদরগঞ্জে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত কিশোর ইয়াসিন মৃধার মৃত্যু
    -https://tinyurl.com/y35c4kma
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মসজিদের পাশে উচ্চশব্দে গান বাজানোয় ইবাদাতে বিঘ্ন; নিষেধ করায় আলেমদের উপর হামলা, আহত ১০




      কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে মসজিদ-মাদরাসার পাশে উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বাজাচ্ছিল এলাকার একদল বখাটে যুবক। এতে মসজিদে ইবাদাত বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। এতে সাউন্ড বক্স বন্ধ করতে বলায় আলেম-উলামার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন ১০ জন।

      গত সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার গোবরিয়ার আবদুল্লাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

      এ ঘটনায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস গোবরিয়া আব্দুল্লাপুর ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা শুয়েব আহমেদ ও আশুগঞ্জের দারুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা রফিকুল ইসলামসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন। আহত মাওলানা শুয়েব আহমেদ ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম, কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

      জানা যায়, উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর মধ্যপাড়া গ্রামের আমতলায় ১০-১৭ বছর বয়সী কিছু ছেলে ঈদের তৃতীয় দিন আসরের নামাজের সময় থেকে জামিয়া দ্বীনিয়্যাহ দারুল উলুম লক্ষ্মীপুর মাদ্রাসার আশপাশে উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বাজাতে থাকে। এর ফলে মাদ্রাসা ও মসজিদে নামাজ পড়তে অসুবিধা হচ্ছিল। এলাকার অসুস্থ রোগীদেরও সমস্যা হচ্ছিল।

      এসব অসুবিধার কথা চিন্তা করে মাগরিবের নামাজের পর মাদ্রাসার ১০-১৫ জন আলেমসহ এলাকার কয়েকজন মুরুব্বিকে সঙ্গে নিয়ে সাউন্ড বক্স বাজাতে নিষেধ করা হয়। এ সময় আলেমদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।


      তথ্যসূত্র:
      ১.সাউন্ড বক্স বন্ধ করতে বলায় আলেমদের ওপর হামলা, আহত ১০
      -https://tinyurl.com/4b9rrjak
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        জনতার হাতে আটক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে ছাত্রদল নেতার গুলি বর্ষণ; নিহত ০১ যুবদল নেতা



        নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে আটক নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার সময় বিএনপির দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় আহত এক যুবদল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

        এর আগে বিকেলে মাঝিপাড়া এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বাবু অন্তত পাঁচটি গুলি ছোড়ে।

        নিহত ব্যক্তির নাম মামুন ভূঁইয়া (৩৫)। সে রূপগঞ্জের ভুলতা মাঝিপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী ছিল। তার ভাই বাদল ভূঁইয়া ভুলতা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। মামুনও যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। তার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক ফারুক।

        জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে রূপগঞ্জ উপজেলার মাঝিপাড়া এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে আটক হয় নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের ভুলতা ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন। সেখানে বাদল ভূঁইয়ার অনুসারীরাও ছিল। তারা ছাত্রলীগের ওই নেতাকে বাদলের বাড়ির দিকে নিয়ে যেতে চায়। ওই সময় সেখানে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে উপস্থিত হন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক বাবু। এ সময় সাব্বিরকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে বাবু ও তার লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বাদলের পক্ষের লোকজন।

        সংঘর্ষের একপর্যায়ে বাবু অন্তত পাঁচটি গুলি ছোড়ে। এতে মামুন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে লোকজনের ধাওয়া খেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বাবু। পরে মামুনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়।


        তথ্যসূত্র:
        ১.ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে সাবেক ছাত্রদল নেতার গুলি, আহত যুবদল কর্মীর মৃত্যু
        -https://tinyurl.com/35e67z7h
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          গাজায় ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীসহ আরও ৭০ জনকে শহীদ করল বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী





          ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে বর্বর ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৭০ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক। শহীদদের মধ্যে ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীও রয়েছেন। ১১ জুন, বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

          সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার ভোর থেকে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলায় ৭০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন বলে আল জাজিরাকে জানিয়েছেন স্থানীয় চিকিৎসা কর্মকর্তারা। শহীদদের মধ্যে ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীও রয়েছেন। জাতিসংঘের মতে, এখন দুর্ভিক্ষে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে গোটা গাজা।

          গাজা সরকারের তথ্য অফিস জানায়, মঙ্গলবার আবারো গাজার কেন্দ্রীয় অংশে ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত নেতসারিম করিডরের কাছে সামান্য খাবার সংগ্রহে আসা মানুষের ওপর গুলি চালায় দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। এতে অন্তত ২০ জন শহীদ হন, যাদের মধ্যে ১২ বছরের এক শিশুও রয়েছে।

          শহীদ শিশুটির নাম মোহাম্মদ খলিল আল-আথামনেহ বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০০ জন।

          এই ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রগুলো পরিচালনা করছে ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ) নামের একটি বিতর্কিত সংস্থা, যার কার্যক্রম দখলদার ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে চলছে এবং এটি সন্ত্রাসী ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করছে।

          ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় জনগণ এই বিতরণ কেন্দ্রগুলোকে ‘মানব কসাইখানা’ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ গত ২৭ মে থেকে সংস্থাটি ত্রাণ কার্যক্রম শুরুর পর থেকে ১৫০ জনের বেশি মানুষ সেখানে প্রাণ হারায়। আর আহত হয়েছে প্রায় ১৫০০ জন।


          তথ্যসূত্র:
          1. Israel kills more than 70 Palestinians in relentless attacks across Gaza
          https://tinyurl.com/4na84xnv
          2. Israeli gunfire kills 17 people near Gaza aid site, health officials say
          https://tinyurl.com/4na84xnv
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment

          Working...
          X