Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ || ২৩ যিলহজ্ব, ১৪৪৬ হিজরী || ২০ জুন, ২০২৫ ঈসায়ী​​

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ || ২৩ যিলহজ্ব, ১৪৪৬ হিজরী || ২০ জুন, ২০২৫ ঈসায়ী​​

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জঘন্য ভাষায় কটূক্তি চুয়েট শিক্ষার্থীর


    নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কটূক্তির ঘটনা একের পর এক বেড়েই চলেছে‌। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় জঘন্য কটূক্তি করেছে রুবাইয়াত ফেরদৌস আলভি নামে চুয়েটের এক শিক্ষার্থী।

    বৃহস্পতিবার তার এক ফেসবুক পোস্টে সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়শা রাদিআল্লাহু আনহার বিবাহ নিয়ে কুরুচিকর ভাষায় একটি পোস্ট করে। তার ওই পোস্টের সমালোচনা করায় সে দম্ভভরে হুমকিও প্রদান করে।

    তার প্রোফাইলে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, শাতিম রুবায়েত ফেরদৌস আলভি ময়মনসিংহ গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের ২০১৮ এসএসসি ও আনন্দমোহন কলেজের ২০২০ অটোপাস ব্যাচের শিক্ষার্থী। বর্তমানে চুয়েটের Electronics and Telecommunication Engineering (ETE) ডিপার্টমেন্টের ২০ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।


    তথ্যসূত্র:
    ১. https://tinyurl.com/yfkhxaam
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    ভিডিও || ভারতের উত্তর প্রদেশে বুলডোজার দিয়ে মাদ্রাসা গুড়িয়ে দিয়েছে প্রাশাসন



    ভারতের উত্তর প্রদেশের শ্রাবস্তী জেলার ফতেহপুর বাঙাই এলাকায় জেলা প্রশাসনের অভিযানে একটি মাদরাসা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, উক্ত মাদরাসাটি অবৈধ ছিল এবং আদালতের নির্দেশে তা ভেঙে ফেলা হয়েছে।

    গত ১৮ জুন এ ঘটনাটি ঘটে। প্রশাসনের তথ্যমতে, ওই এলাকায় মোট তিনটি মাদরাসাকে ‘অবৈধ নির্মাণ’ বলে দাবি করা হয়। এর মধ্যে একটি মাদরাসা সরাসরি প্রশাসনের বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বাকি দুটি—‘গাউসিয়া তাজুল উলুম মাদরাসা’ (রামপুর বসতি) ও ‘গাউসিয়া ফয়জানে রাজা শামশুল মাদরাসা’ (নগইগাঁও) প্রশাসনের আদেশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভেঙে ফেলতে বাধ্য হয়।

    এ ঘটনায় স্থানীয় মুসলিম জনগণের মাঝে উত্তেজনা ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি শুধুমাত্র ‘অবৈধ নির্মাণ’ সরানোর বিষয় নয়, বরং মুসলিমদের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা।

    ভিডিওটি আর্কাইভ থেকে দেখুন:
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ত্রাণ নিতে যাওয়া মানুষের ওপর বর্বর ইসরায়েলি হামলা, গাজাজুড়ে শহীদ ৯২





      দখলদার ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় গাজা উপত্যকাজুড়ে অন্তত ৯২ জন নিহত হয়েছেন। ১৯ জুন, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব হামলা চালানো হয়। এদিকে গাজায় খাদ্যসংকট চরম আকার ধারণ করেছে। সেখানকার মানুষ মরিয়া হয়ে খাবারের সন্ধানে ছুটছেন।

      বৃহস্পতিবার ভোর থেকে যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৬৪ জন গাজা সিটি ও উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দা। আর অন্য ১৬ জন নেতজারিম করিডরের কাছে ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় সন্ত্রাসী ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে শহীদ হন।

      গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলকে বিভক্ত করেছে নেতজারিম করিডর। ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিরা প্রতিদিনই সেখানে জড়ো হন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের ত্রাণ সংগ্রহ করতে। তবে এই ফাউন্ডেশন ত্রাণকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

      ত্রাণ বিতরণস্থলে বর্বর ইসরায়েলি হামলার প্রত্যক্ষদর্শী বাসাম আবু শার ফরাসি বলেন, ‘খাবার পাওয়ার আশায় মানুষ রাতে সেখানে জড়ো হয়েছিল। রাত একটার দিকে তারা (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) আমাদের ওপর গুলি ছোড়া শুরু করে। তখন ট্যাংক, বিমান ও ড্রোন থেকে বোমাবর্ষণও শুরু হয়।’

      বাসাম আবু শার আরও বলেন, ‘আমরা কাউকে সাহায্য করতে পারিনি, এমনকি নিজেরাও পালাতে পারিনি। বিশাল ভিড়ের কারণে ইসরায়েলি হামলার সময় পালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছিল।’

      সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ত্রাণ নেওয়ার চেষ্টাকালে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে। এতে বহু মানুষ নিহত হয়েছেন।

      মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ থেকে আল–জাজিরার তারেক আবু আজ্জুম জানান, ত্রাণকেন্দ্রে হামলা এখন যেন ‘প্রতিদিনের রুটিন’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

      আজ্জুম আরও বলেন, তিন মাসের বেশি সময় ধরে সীমান্ত অবরুদ্ধ রাখার ফলে গাজার মানুষ অনাহারে মারা যাচ্ছে। সেখানে মানুষ সব ধরনের মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত। ফলে তারা বাধ্য হয়ে নেতজারিম করিডরের ওই নির্দিষ্ট কেন্দ্রে যাচ্ছে শুধু কিছু আটা, এক বোতল পানি আর কিছু খাবারের জন্য। তারেক আবু আজ্জুম বলেন, হামলা এখনো চলছে। সব মানবিক করিডরকে মৃত্যুকূপে রূপান্তর করা হয়েছে।


      তথ্যসূত্র:
      1. Israeli attacks kill at least 92 people including aid seekers in Gaza
      https://tinyurl.com/tx2skxu
      2. Iranian missile barrage triggers sirens in Beersheba and surrounding towns
      https://tinyurl.com/3tzhm9uy
      নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        দখলদার ইসরায়েলের বীরশেবা শহরে ‘সরাসরি আঘাত’ হানল ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র



        মধ্যপ্রাচ্যের দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র ইসরায়েলে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রেখেছে ইরান। স্থানীয় সময় ২০ জুন, শুক্রবার ভোররাত তিনটার দিকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বেরশেবা এবং আশপাশের শহরে সতর্কতামূলক সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে। শুক্রবার আল জাজিরা জানায়, বেরশেবায় কয়েকটি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে।
        হামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচ দখলদার আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আল জাজিরা জানায়, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে, সেখানকার একটি প্রধান সড়কে ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলী, আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়ি এবং সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।

        টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বীরশেবায় মাইক্রোসফট ভবনের কাছে বিকট বিস্ফোরণের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বীরশেবায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের বাইরে আঘাত হেনেছে। এতে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরেছে এবং আশেপাশের ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

        তথ্যসূত্র:
        1. LIVE: Iran missile hits south Israel; Iranian FM to meet European officials
        https://tinyurl.com/tx2skxu
        2. Iranian missile barrage triggers sirens in Beersheba and surrounding towns
        https://tinyurl.com/3tzhm9uy
        নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          এক বছরে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমানো অর্থের পরিমান বেড়েছে ৩৩ গুণ



          সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের নামে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। এক বছরের ব্যবধানে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৩৩ গুণ। তথ্যমতে, ২০২৪ সাল শেষে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশের নামে পাওনা রয়েছে ৫৯ কোটি ৮২ লাখ সুইস ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ফ্রাঁ ১৫০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। ২০২৩ সাল শেষে যার পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৬৪ লাখ ফ্রাঁ।

          বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে ২০২৪ সালে তাদের দেশের ব্যাংকগুলোর দায় ও সম্পদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।

          প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সাল শেষে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশের নামে পাওনা রয়েছে ৫৯ কোটি ৮২ লাখ সুইস ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ফ্রাঁ ১৫০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। ২০২৩ সাল শেষে যার পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৬৪ লাখ ফ্রাঁ। এখনকার বিনিময় হার ধরলে যার পরিমাণ ৩৯৬ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নামে থাকা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২৩ গুণ। ২০২২ সাল শেষে বাংলাদেশের কাছে সুইজারল্যান্ডের দায় ছিল ৫ কোটি ৮৪ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় ৮৭৬ কোটি টাকা।

          সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে দায়ের মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর পাওনা, আমানতকারীদের পাওনা এবং পুঁজিবাজারে বাংলাদেশের নামে বিনিয়োগের অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশের বেশি বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর পাওনা, যা বাণিজ্য কেন্দ্রিক অর্থ বলে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

          সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে থাকা অর্থের একটি অংশ পাচার করা সম্পদ হতে পারে বলে ধারণা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কয়েক বছর ধরে সুইজারল্যান্ড বার্ষিক ব্যাংকিং পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে। বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বা বিএফআইইউ সুইজারল্যান্ডের এফআইইউর সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগও করেছিল। কিন্তু ব্যক্তির তালিকা সম্বলিত কোনো তথ্য তারা দেয়নি।


          তথ্যসূত্র:
          ১. সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকার পাহাড়, বেড়েছে ৩৩ গুণ
          https://tinyurl.com/mu7fhaz3
          নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            বুকে ছিল আলেম হবার অদম্য স্বপ্ন; জুলাই আন্দোলনে শহীদ হন ১৩ বছরের মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ



            মুন্সীগঞ্জের পাথরঘাটা বড় কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে মাত্র ১৩ বছর বয়সেই কোরআনের ১২ পারা মুখস্থ করেছিলেন আহমদ আবদুল্লাহ। আলেম হওয়ার অদম্য স্বপ্ন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছিল সে। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না। ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন আবদুল্লাহ।

            দেশজুড়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় পাথরঘাটা মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র আবদুল্লাহ নিজেকে ঘরে আটকে রাখতে পারেননি। তাঁর পরিবার জানায়, ১৮ জুলাই সকালে কাউকে না জানিয়ে মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে পড়ে সে। এরপর জোহরের নামাজের পর বাসে করে ঢাকার কাজলায় গিয়ে আন্দোলনে যোগ দেয়।

            আবদুল্লাহর বাবা মো. মনিরুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, ওইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে এক ছাত্র ফোন করে খবর দেয়, আবদুল্লাহকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কাজলার অনাবিল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তারা তখন জানতেও পারেনি যে সে ঢাকায় এসেছে।

            প্রত্যক্ষদর্শী ও সহপাঠীদের বর্ণনায়, আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিল আবদুল্লাহ। ছয় রাউন্ড গুলির শিকার হয় সে; তার বুকে তিনটি রাবার বুলেট লাগে, আর বাঁ হাত, কোমর ও পায়ে তিনটি তাজা গুলি বিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরও প্রথম গুলি লাগার পর রাস্তা ছাড়েনি সে, প্রতিবাদ চালিয়ে গিয়েছে। পরে সহপাঠীরা তাকে হাসপাতালে নেয়।

            হাসপাতালে নেওয়ার পর সহযোদ্ধারা তার কাছ থেকে মায়ের ফোন নম্বর নিয়ে যোগাযোগ করেন। মনিরুজ্জামান বলেন, তখনও ছেলে জ্ঞান হারায়নি, কিন্তু অল্প সময় পর অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

            ঢাকায় এসে হাসপাতালে পৌঁছানো কঠিন ছিল। শহরজুড়ে ছিল ব্যারিকেড আর গুলির শব্দ। সেখানে গুলিবিদ্ধদের আর্তনাদ আর মৃতদেহ দেখতে পায় পরিবার। অনেক খোঁজাখুঁজির পর হাসপাতালের এক স্টাফের সহায়তায় ছেলের নিথর দেহ খুঁজে পান বাবা।

            তারপরও পুলিশের অনুমতি না পেয়ে দুই দিন মরদেহ ফেরত পেতে অপেক্ষা করতে হয়। ২০ জুলাই বিকেলে পোস্টমর্টেম শেষে মরদেহ গ্রহণ করে মাতুয়াইল কবরস্থানে দাফন করা হয় আবদুল্লাহকে।

            রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সন্তান আবদুল্লাহ তিন ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয়। বড় বোন মরিয়ম বিবাহিত, ছোট ভাই আনাস সাত বছর বয়সী, শেখদীর মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। মনিরুজ্জামান মৌসুমি ব্যবসা করেন।

            মায়ের আদরের সন্তান আবদুল্লাহ ছিলেন যত্নবান ও সহযোগী। মা আমেনা বেগম বলেন, ‘ছেলে আমার ফুলের টবের মাটি এনে দিত। ঘরের প্রতিটি কোনায় তার স্মৃতি। বৃষ্টি হলে মনে হয়, আমার ছেলে মাটির নিচে ভিজে যাচ্ছে।’


            তথ্যসূত্র:
            ১. আলেম হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই শহীদ হল ১৩ বছরের আবদুল্লাহ
            https://tinyurl.com/3j39w3w9
            নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              উত্তরায় কোটি টাকা ছিনতাইয়ের নেতৃত্বে সাবেক সেনা ও পুলিশ সদস্য




              রাজধানীর উত্তরায় গত ১৪ জুন (শনিবার) র‌্যাব পরিচয়ে নগদ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ১ কোটি ৮ লাখ ৪৪ হাজার টাকা ছিনতাই করে একটি চক্র। এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। একই সঙ্গে ছিনতাই হওয়া টাকার মধ্যে ২২ লাখ ১০ হাজার ৭৮০ টাকা, ব্যাংকে গচ্ছিত ১২ লাখ টাকা ও একটি হায়েস গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।

              গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হল- মো. হাসান (৩৫), গোলাম মোস্তফা ওরফে শাহিন (৫০), শেখ জালাল উদ্দিন ওরফে রবিউল (৪৩), ইমদাদুল শরীফ (২৮) ও সাইফুল ইসলাম ওরফে শিপন (২৭)।

              ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত হায়েস গাড়ির নম্বরের সূত্র ধরে বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) এবং উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।

              পুলিশ বলছে, মূলত এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় নেতৃত্বে দিয়েছে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত এক সার্জেন্ট ও চাকরিচ্যুত এক পুলিশ কনস্টেবল। ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী গোলাম মোস্তফা ওরফে শাহিন পুলিশের চাকরিচ্যুত কনস্টেবল। তার বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ নানা অপরাধে ১৭টি মামলা রয়েছে। চক্রের অন্যতম সহযোগী সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত সার্জেন্ট শেখ জালাল উদ্দিন ওরফে রবিউল। আরও অন্তত তিনজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

              বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. মুহিদুল ইসলাম জানান, গত ১৪ জুন সকাল ৮ টা ৫৫ মিনিটের দিকে নগদের ডিস্ট্রিবিউটর আব্দুল খালেক নয়ন তার উত্তরার ১২ নম্বর রোডের ৩৭ নম্বর বাসা থেকে প্রতিষ্ঠানের চারজন কর্মচারীসহ চারটি ব্যাগে এক কোটি আট লাখ ১১ হাজার টাকা নিয়ে দুটি মোটরসাইকেলযোগে উত্তরার নগদের অফিসের উদ্দেশে রওনা হয়।

              পথিমধ্যে উত্তরা ১২ ও ১৩ নম্বর রোডের সংযোগস্থলে একটি কালো রঙের হাইয়েস মাইক্রোবাস তাদের গতিরোধ করে। মাইক্রোবাস থেকে ‘র‌্যাব’ লেখা কালো কটি পরিহিত মুখে কালো কাপড় বাঁধা ৬/৭ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি হাতে অস্ত্র নিয়ে নামে। তাদের কাছে আসতে দেখে নগদের টাকা বহনকারী কর্মচারীরা টাকার ব্যাগ নিয়ে দৌড়ানোর চেষ্টা করে। তখন দুষ্কৃতকারীরা তাদের ধাওয়া করে চারটি ব্যাগে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং তাদের তিনজনকে মাইক্রোবাসে তুলে হাত-চোখ বেঁধে মারধর করে। ঘটনাস্থল থেকে একজন কর্মচারী পালাতে সক্ষম হয়।

              পরে ডাকাতরা তিনজনকে তুরাগ থানার ১৭ নম্বর সেক্টরের বৃন্দাবন এলাকায় ফেলে রেখে টাকা, দুটি অফিসিয়াল মোবাইল ফোন ও তিনটি ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আব্দুর রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা হয়।


              তথ্যসূত্র:
              ১. উত্তরার ছিনতাইয়ের নেতৃত্বে চাকরিচ্যুত সেনা ও পুলিশ সদস্য!
              https://tinyurl.com/53f538as

              নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় নামাজ থেকে মাদ্রাসার মুহতামিমকে ধরে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় রশি দিয়ে বেঁধে মারধর




                সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা শরীফ উদ্দিন জিয়াকে নামাজ থেকে ধরে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাতে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনার একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে জগন্নাথপুরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

                বুধবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের তলের বন হাওড়ের মো. ফারুক মিয়ার ফার্মের দক্ষিণপাড়া বেড়িবাঁধের উপর এ ঘটনা ঘটে।

                এদিকে ভুক্তভোগী মাওলানা শরীফ উদ্দিন জিয়া বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর থানায় ৫ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।

                এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকালে জগন্নাথপুর পৌরপয়েন্টে চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।

                ভুক্তভোগী মুহতামিম মাওলানা শরীফ উদ্দিন জিয়া (৪৫) উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের মহিষাকোনা গ্রামের মৃত আবলুছ উল্ল্যাহর পুত্র।

                অভিযুক্তরা হল- মহিষাকোনা গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র ছিদ্দেক আলী, ছিদ্দেক আলীর পুত্র মামুন সিদ্দিকি, আব্দুল আহাদের পুত্র কামরুল ইসলাম, মৃত পাইনা মিয়ার পুত্র নিজাম উদ্দিন, আব্দুল আহাদের পুত্র জুনায়েদ আহমদ।

                মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় ঘটনাস্থলে পালিত গরু রাস্তায় বেঁধে নামাজ পড়ছিলেন শরীফ উদ্দিন জিয়া। এ সময় বর্ণিত বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহকারে তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে রশি দিয়ে দুই হাত বেঁধে বাম পায়ে রামদা দিয়ে আঘাত করে। ঘটনার সময় কিল-ঘুসিসহ তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এ সময় ওই মুহতামিমের পাঞ্জাবির পকেট থেকে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল হাতিয়ে নিয়ে যায় তারা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

                এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মাওলানা শরীফ উদ্দিন জিয়া গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিগত প্রায় ২ মাস পূর্বে তারা মাদ্রাসায় এসে আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। এতে আমি অপারগতা প্রকাশ করলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমার উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়।


                তথ্যসূত্র:
                ১. নামাজ থেকে ধরে নিয়ে মাদ্রাসার মুহতামিমকে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ
                https://tinyurl.com/nhbsc9zf
                নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে ঝুলছে নববিবাহিত বাংলাদেশি যুবকের লাশ


                  ভারতের অভ্যন্তরে গাছের ডালে ঝুলছে বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ। মরদেহটি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের উৎমাছড়া এলাকার ১২৫৭ নম্বর মেইন পিলারের ২০ নম্বর সাব-পিলারের কাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা গেছে।

                  বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পান।

                  স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ঝুলন্ত মরদেহটি উপজেলার লামারগ্রামের আলাউদ্দিন আলাইয়ের ছেলে জাকারিয়া আহমদ (২৫)।

                  মৃতের আত্মীয়রা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সদ্য বিবাহিত জাকারিয়া সকালে ৭টায় বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। বেলা ১১টার দিকে ভারতের অভ্যন্তরে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে খবর দেন স্থানীয়রা। এ ঘটনার পর থেকে সীমান্ত এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।


                  তথ্যসূত্র:
                  ১. ভারতের সীমান্তে ঝুলছে বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ
                  https://tinyurl.com/2c6zzdb8
                  নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    বিশ্বের শিশু হতাহতের ২০ শতাংশই ঘটেছে ইসরায়েলি নৃশংসতায়



                    শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এতে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো উঠে এসেছে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলের নাম। শিশু হত্যা, পঙ্গুত্ব, স্কুল ও হাসপাতালের ওপর হামলা এবং শিশুদের সশস্ত্র সংঘাতে নিয়োগ—এসব গুরুতর অপরাধের প্রমাণ থাকার ভিত্তিতে দখলদার দেশটিকে তালিকাভুক্ত করেছে সংস্থাটি।

                    জাতিসংঘের স্বাধীন যাচাইয়ের ভিত্তিতে তৈরি করা হয় এই প্রতিবেদন। ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ৪১ হাজার ৩৭০টি ঘটনা নথিভুক্ত করতে পেরেছে জাতিসংঘ, যার মধ্যে ৮ হাজারের বেশি ঘটিয়েছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল। অর্থাৎ, বৈশ্বিকভাবে মোট সহিংসতার প্রায় ২০ শতাংশের জন্যই দায়ী ইসরায়েল।

                    প্রতিবেদনের অনুষঙ্গে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী শিশুদের হত্যা ও পঙ্গু করে এবং স্কুল ও হাসপাতালে হামলা চালানোর মাধ্যমে কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সব মানদণ্ড পূরণ করেছে। ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো শিশু অধিকার লঙ্ঘনের তালিকায় ইসরায়েলের নাম যুক্ত করে জাতিসংঘ। তবে, বহু বছর ধরেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এ ধরনের অপকর্মের যথেষ্ট প্রমাণ ছিল। অনেকের মতে, রাজনৈতিক চাপের কারণে এতদিন তাদের তালিকাভুক্ত করতে পারেনি জাতিসংঘ। অবশেষে সেই নীতিগত স্থবিরতা ভেঙে ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসী ইসরায়েলের নাম যুক্ত করা হয়। এবার, ২০২৪ সালেও সেই অবস্থানেই আছে ইসরায়েল।

                    এদিকে, গাজা নিয়ে আরেকটি গভীর উদ্বেগজনক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। তারা বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া নৃশংস ইসরায়েলি অভিযানে কয়েকবার করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে গাজার বেশির ভাগ মানুষ, যা ১৯৪৮ সালের ‘নাকবা’র (আরবি শব্দ, যার অর্থ ‘বিপর্যয়’) সঙ্গে তুলনীয়।

                    সংস্থাটির ভাষ্যমতে, ৭৭ বছর পরও ফিলিস্তিনিরা নিয়মিত উচ্ছেদের শিকার হচ্ছে। ১৯৪৮ সালে দখলদার অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার সময় সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে যেভাবে ঘরছাড়া করা হয়েছিল, বর্তমানেও গাজায় তেমনি আরেকটি মানবিক বিপর্যয় ঘটছে।


                    তথ্যসূত্র:
                    1. Violence against children in conflict hit ‘unprecedented levels’ in 2024, UN report says
                    https://tinyurl.com/rfdtecsp
                    2. UN: Violence against children in conflict reached ‘unprecedented levels’ in 2024, with Gaza worst
                    https://tinyurl.com/3tzhm9uy
                    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

                    Comment

                    Working...
                    X